১২ জুন ২০১৩

হিন্দুর গর্ব সত্যেন্দ্রনাথ বসু





যারা বলেন যে, বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান চর্চা সম্ভব নয়, তারা হয় বাংলা জানেন না, নয়তো বিজ্ঞান জানেন না’ -আগামী প্রজন্মের উদ্দেশে এই চিরস্মরণীয় উক্তিটি যিনি করেছিলেন, তিনি হলেন উপমহাদেশের শ্রেষ্ঠতর প্রতিভাদের একজনসত্যেন্দ্রনাথ বসু

যে সময়টাতে জন্মেছিলেন বিজ্ঞানের চার কিংবদন্তি_ পরমাণু বিজ্ঞানী লিস মিটনার, অটোহ্যান, আলবার্ট আইনস্টাইন ও ম্যাক্সভন লু-এর মতো প্রতিভাবান বিজ্ঞানীরা; সময়ের সেই সুবর্ণ ধারায় এ উপমহাদেশে রামানুজন, মেঘনাদ সাহা, আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু এবং রবীন্দ্রনাথের পাশাপাশি জন্মগ্রহণ করেন আরেক যোগ্য উত্তরসূরি সত্যেন্দ্রনাথ বসু


পৃ্থিবীর মোট ১৮টি মৌলিক কণার মধ্যে ১৭টি আবিস্কৃত (সূত্রঃ আনন্দবাজার পত্রিকা,শারদীয় সংখ্যা ১৪১৯) হলেও বাকি ১টি কণা যা অন্য সব কণার ভরের কারন তার প্রথম ধারণা দেন সত্যেন্দ্রনাথ বসু পৃথিবীর যেকোন বস্তু সৃস্টির কারনও এই কণা এই কণার নাম হল ঈস্বর কণা বা (GOD PARTICLE)

প্রথম দিকে তিনি কলকাতা প্রেসিডেন্সির কলেজে অধ্যাপনা করলেও পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিধ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে যোগদান করেনঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকা অবস্থায় তিনি এই কণার ধারণা দেন এবং একটি নিবন্ধ লিখে জার্মানীর একটি বিখ্যাত বিজ্ঞান সাময়িকীর কাছে তা প্রকাশ করার জন্য পাঠানকিন্তু সাময়িকীটি তা অবহেলায় না ছাপালে তিনি তা সরাসরি আইনস্টাইনের ঠিকানায় পাঠানআইনস্টাইন এর গুরুত্ব অনুধাবন করে নতুন একটি তত্ব দেন যা বোস-আইনস্টাইন তত্বনামে পরিচিতপরে পিটার হিগস্ এই তত্বের উপর গবেষনা করেন এবং এই কণিকার নাম দেন বোসনকণা (বসু থেকে বোসন)
সর্বশেষে এ সম্পর্কিত বই বাজারে বেশী বিক্রি এবং মানুষকে আকর্ষন করতে এই কণার নাম দেওয়া হয় ঈশ্বর কণা বা (GOD PARTICLE)

সত্যেন্দ্রনাথ  বসু তার জীবনের সেরা কাজটি করেছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলের একটি কক্ষে বসেতাঁর মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বপ্রেক্ষাপটে পরিচিত নাম হয়ে ওঠে অথচ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এই বসুর নাম মনে রাখেনিতার বাস করা বাড়িটি ভেঙে ফেলেছেতাঁর নথিপত্রও সংরক্ষণ করতে পারেনিআসলে আমাদের দেশের মাটি কৃতজ্ঞতাবোধ জিনিসটা বোঝে নাইতিহাস জিনিসটা তাদের কাছে অর্থহীনদ্রুত মন থেকে মুছে ফেলাটাই স্বাভাবিক ব্যাপার  



কিন্তু, পদার্থবিজ্ঞানের ইতিহাসে বোসের নাম বোসন কণা হিসেবে চিরস্থায়ী আসন নেয়

---------------------------------------- 
তথ্য সংগ্রহ ও সম্পাদনাঃ শ্রী জয় রায়

   

Share:

Total Pageviews

বিভাগ সমুহ

অন্যান্য (91) অবতারবাদ (7) অর্জুন (3) আদ্যশক্তি (68) আর্য (1) ইতিহাস (30) উপনিষদ (5) ঋগ্বেদ সংহিতা (10) একাদশী (10) একেশ্বরবাদ (1) কল্কি অবতার (3) কৃষ্ণভক্তগণ (11) ক্ষয়িষ্ণু হিন্দু (21) ক্ষুদিরাম (1) গায়ত্রী মন্ত্র (2) গীতার বানী (14) গুরু তত্ত্ব (6) গোমাতা (1) গোহত্যা (1) চাণক্য নীতি (3) জগন্নাথ (23) জয় শ্রী রাম (7) জানা-অজানা (7) জীবন দর্শন (68) জীবনাচরন (56) জ্ঞ (1) জ্যোতিষ শ্রাস্ত্র (4) তন্ত্রসাধনা (2) তীর্থস্থান (18) দেব দেবী (60) নারী (8) নিজেকে জানার জন্য সনাতন ধর্ম চর্চাক্ষেত্র (9) নীতিশিক্ষা (14) পরমেশ্বর ভগবান (25) পূজা পার্বন (43) পৌরানিক কাহিনী (8) প্রশ্নোত্তর (39) প্রাচীন শহর (19) বর্ন ভেদ (14) বাবা লোকনাথ (1) বিজ্ঞান ও সনাতন ধর্ম (39) বিভিন্ন দেশে সনাতন ধর্ম (11) বেদ (35) বেদের বানী (14) বৈদিক দর্শন (3) ভক্ত (4) ভক্তিবাদ (43) ভাগবত (14) ভোলানাথ (6) মনুসংহিতা (1) মন্দির (38) মহাদেব (7) মহাভারত (39) মূর্তি পুজা (5) যোগসাধনা (3) যোগাসন (3) যৌক্তিক ব্যাখ্যা (26) রহস্য ও সনাতন (1) রাধা রানি (8) রামকৃষ্ণ দেবের বানী (7) রামায়ন (14) রামায়ন কথা (211) লাভ জিহাদ (2) শঙ্করাচার্য (3) শিব (36) শিব লিঙ্গ (15) শ্রীকৃষ্ণ (67) শ্রীকৃষ্ণ চরিত (42) শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু (9) শ্রীমদ্ভগবদগীতা (40) শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা (4) শ্রীমদ্ভাগব‌ত (1) সংস্কৃত ভাষা (4) সনাতন ধর্ম (13) সনাতন ধর্মের হাজারো প্রশ্নের উত্তর (3) সফটওয়্যার (1) সাধু - মনীষীবৃন্দ (2) সামবেদ সংহিতা (9) সাম্প্রতিক খবর (21) সৃষ্টি তত্ত্ব (15) স্বামী বিবেকানন্দ (37) স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (14) স্মরনীয় যারা (67) হরিরাম কীর্ত্তন (6) হিন্দু নির্যাতনের চিত্র (23) হিন্দু পৌরাণিক চরিত্র ও অন্যান্য অর্থের পরিচিতি (8) হিন্দুত্ববাদ. (82) shiv (4) shiv lingo (4)

আর্টিকেল সমুহ

অনুসরণকারী

" সনাতন সন্দেশ " ফেসবুক পেজ সম্পর্কে কিছু কথা

  • “সনাতন সন্দেশ-sanatan swandesh" এমন একটি পেজ যা সনাতন ধর্মের বিভিন্ন শাখা ও সনাতন সংস্কৃতিকে সঠিকভাবে সবার সামনে তুলে ধরার জন্য অসাম্প্রদায়িক মনোভাব নিয়ে গঠন করা হয়েছে। আমাদের উদ্দেশ্য নিজের ধর্মকে সঠিক ভাবে জানা, পাশাপাশি অন্য ধর্মকেও সম্মান দেওয়া। আমাদের লক্ষ্য সনাতন ধর্মের বর্তমান প্রজন্মের মাঝে সনাতনের চেতনা ও নেতৃত্ত্ব ছড়িয়ে দেওয়া। আমরা কুসংষ্কারমুক্ত একটি বৈদিক সনাতন সমাজ গড়ার প্রত্যয়ে কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের এ পথচলায় আপনাদের সকলের সহযোগিতা কাম্য । এটি সবার জন্য উন্মুক্ত। সনাতন ধর্মের যে কেউ লাইক দিয়ে এর সদস্য হতে পারে।