০৪ আগস্ট ২০১৭

ব‌লি রাজা ও বামন অবতার


প্রহ্লা‌দের পৌত্র ব‌লি । প্রহ্লা‌দ ছিলেন পরম হ‌রিভক্ত । ব‌লি ছিলেন বিষ্ণু‌দ্বেষী । বিষ্ণু‌নিন্দা করার জন্য প্রহ্লাদ ব‌লি‌কে অ‌ভিশাপ দি‌য়ে‌ছিলেন - " বিষ্ণু‌নিন্দার জন্য রাজ্য হারা‌বে ।তোমার দারুণ অধঃপতন হ‌বে । " ব‌লি ইহাতে ভয় পাইয়া ব‌লি‌লেন - " কি উপায় হ‌বে , পিতামহ ? এমন শাপ কেন দি‌লেন ? "

প্রহ্লাদ বলি‌লেন - " উপায় আবার কি ? শ্রীহ‌রি‌তে ভ‌ক্তি জন্মা‌লেই সব ফি‌রে পা‌বে । "

প্রহ্লাদ হ‌রিভক্ত ছি‌লেন - তাই ব‌লিয়া ই‌ন্দ্রের প্রতি বি‌দ্বেষ তাঁহার কম ছিল না । দেবতা‌দের তি‌নি শত্রু ব‌লিয়াই ম‌নে করি‌তেন । একশত বৎসর ধ‌রিয়া প্রহ্লা‌দ দেবতা‌দের স‌ঙ্গে অ‌বিরত যুদ্ধ চালান । বৃদ্ধ বয়‌সে প্রহ্লাদ পরা‌জিত হইয়া রাজত্ব ত্যাগ ক‌রেন । তি‌নি পৌত্র ব‌লি‌কে রা‌জ্যে অ‌ভি‌ষিক্ত ক‌রিয়া গদ্ধমাদন পর্ব্ব‌তে তপস্যার জন্য চ‌লিয়া যান ।

ব‌লি রাজা হইয়া দেবতাদের স‌ঙ্গে যুদ্ধ চালাইতে থাকেন । ব‌লির অ‌ন্ত‌রে বিষ্ণুভ‌ক্তি তখনও জা‌গে নাই । পিতামহের অ‌ভিশা‌পের ফ‌ল ফ‌লিল । ইন্দ্র বিষ্ণুর সহায়তায় ব‌লি‌কে রাজ্যভ্রষ্ট ক‌রি‌লেন ।ই‌ন্দ্রের ভ‌য়ে ব‌লি নানাস্থা‌নে লুকাইয়া বেড়াই‌তেন । একবার তি‌নি গর্দ্দ‌ভের রূপ ধ‌রিয়া ভ্রমণ ক‌রি‌তে‌ছি‌লেন । ছদ্মরূপ ধ‌রিলেও তাহা দেবতা‌দের দৃ‌ষ্টি এড়ায় না । ইন্দ্র তাঁহা‌কে দে‌খিয়া চি‌নিয়া ব‌লি‌লেন - " হে দৈত্যরাজ , আজ না হয় তু‌মি রাজ্যহারা হ‌য়েছ । তাই ব‌লে এ কি দুর্গ‌তি তোম‌রি ! ছি ছি ! কাপুরু‌ষের মত তু‌মি একটা গর্দ্দ‌ভের মধ্যে আত্মগোপন ক'‌রে আছ ! বড়ই লজ্জার কথা । "

দৈত্যরাজ উত্তর দি‌লেন - " এ‌তে আর লজ্জা বা দুঃখ কি আ‌ছে ? তোমা‌দের হত্তাকর্ত্তা বিধাতা বিষ্ণু মৎস , কূর্ম্ম , বরাহ ইত্যা‌দির রূপ ধ‌রে‌ছি‌লেন প্র‌য়োজন‌সি‌দ্ধির জন্য । তু‌মি নি‌জেও ব্রহ্মহত্যা ক‌রে মানস - স‌রোব‌রে পদ্মপাতার তলায় আশ্রয় নি‌য়ে‌ছি‌লে ।

আজ আমার দু‌র্দ্দিন - তাই আমাকে ধিক্কার দিচ্ছ । ইন্দ্র , আমার এ‌দিন থাকবে না । চাকা উ‌ল্টে যাচ্ছে । ইহ‌লো‌কের ঐশ্বর্য্য , ধনসম্পদ আজ আ‌ছে , কাল নেই । তা নি‌য়ে গর্ব্ব করছ , কর । দু'‌দিন পরে তোমার দশাও এম‌নি হবে । "

দৈত্যগুরু ব‌লি‌কে নানাস্থা‌নে খুঁ‌জি‌তে খুঁ‌জি‌তে সহসা একদিন আ‌বিস্কার করি‌লেন । তি‌নি ব‌লি‌কে বিশ্ব‌জিৎ য‌জ্ঞে অ‌ভি‌ষিক্ত ক‌রিলেন । সেই য‌জ্ঞের অ‌গ্নি‌তে আহু‌তি দিবামাত্র ই‌ন্দ্রের র‌থের মত এক‌টি রথ , ই‌ন্দ্রের অ‌শ্বের মত অশ্ব , সিংহ‌চি‌হ্নিত ধ্বজা , স্বর্ণময় ধনু , দিব্য কবচ ও দুই‌টি অক্ষয় বা‌ণে পূর্ণ তূণ উত্থিত হইল । শুক্রাচার্য্য এক‌টি বিজয়শঙ্খ দান ক‌রি‌লেন ।

নবরূ‌পে স‌জ্জিত হইয়া ব‌লি দৈত্য‌সেনা লইয়া প্রথ‌মে পৃ‌থিবীর রাজ্য অ‌ধিকার ক‌রি‌লেন ও তারপর স্বর্গরাজ্য - জ‌য়ের জন্য যাত্রা ক‌রি‌লেন । দেবগণ ভীত হইয়া বৃহস্প‌তির শরণ লই‌লেন ।

বৃহস্প‌তি ব‌লি‌লেন - " তোমরা যুদ্ধ কর‌তে যেও না । তোমরা এখন দুর্ব্বল । শুক্রাচার্য্য সঞ্জীবনী বিদ্যার দ্বারা দৈত্য‌দের বাঁ‌চিয়ে দে‌বে । তা ছাড়‌া , দুর্ব্বাসার অভিশাপ তোমা‌দের উপর চল‌ছে । তোমরা সব স্বর্গ হ'‌তে স'‌রে পড় । মর্ত্ত‌লো‌কে গিয়ে মানুষ ও জীবজন্তুর ম‌ধ্যে লু‌কি‌য়ে থা‌ক । "
ব‌লি বিনাযু‌দ্ধে স্বর্গরাজ্য অধিকার ক‌রিয়া লই‌লেন ।

শুক্রাচা‌র্য্যের উপ‌দে‌শে ব‌লি একশত বার অশ্ব‌মেধ যজ্ঞ ক‌রিলেন ।

বহস্প‌তি দেবতা‌দের উপ‌দেশ দি‌লেন - " দেখ , সমুদ্রমন্থন ক'‌রে অমৃত উদ্ধার করতে না পার‌লে আর দৈত্য‌দের তাড়া‌নো যা‌বে না । অমৃত পেলে তোমরা অমর হ'‌য়ে যাবে ।

শুক্রাচা‌র্য্যের সঞ্জীবনী বিদ্যা তখন বে‌শি অ‌নিষ্ট কর‌তে পার‌বে না । সমুদ্রমন্থন খুব দুরূহ কাজ । তোমরা একা পারবে না - দৈত্য ও দেবতা দুই দ‌লে মি‌লে মন্থন কর‌তে হবে । ব‌লির কা‌ছে গি‌য়ে প্রস্তাব ক‌রো । ও‌দের সাহা‌য্যে সমুদ্রমন্থন ক'‌রে অমৃত উঠলে ফাঁ‌কি দি‌য়ে তোমরা অমৃতভাণ্ডটা অ‌ধিকার ক'‌রে নি‌তে পার‌বে । বিষ্ণুর স‌ঙ্গে পরামর্শ কর । "

দেবগণ ব‌লির স‌ঙ্গে সাক্ষাৎ ক‌রিয়া সমুদ্রমন্থনের প্রস্তাব ক‌রি‌লেন । ব‌লি সম্মত হই‌লেন । দেবতারা দৈত্য‌দের সঙ্গে যোগ দিয়া সমুদ্রমন্থন ক‌রিয়া অমৃত অধিকার ক‌রিলেন । তাহা‌তে দেবাসু‌রে সংগ্রাম ঘোরতর হইয়া উ‌ঠিল । দেবতারা কিছু‌তেই স্বর্গরাজ্য হই‌তে দৈত্য‌দের তাড়াই‌তে পারি‌লেন না । দেবতামা অ‌দি‌তি বিষ্ণুর শরণাপন্ন হই‌লেন । অ‌দি‌তি ব‌লি‌লেন - " বৎস , তু‌মি ছাড়া ত ' আমার ছে‌লে‌দের আর স্বর্গরাজ্য ফি‌রে পাওয়ার উপায় দেখ‌ছি না । তু‌মি একটা উপায় কর । "

বিষ্ণু বলি‌লেন - " মা , প্র‌তিকার করবার জন্য তোমার গ‌র্ভেই আ‌মি একবার জন্ম নেব । তু‌মি নি‌শ্চিন্ত হ‌য়ে যাও । এবার আ‌মি বামন হয়ে জন্মাব । "

শ‌্রী‌বিষ্ণু অ‌দি‌তির গ‌র্ভে বামনরূপে জন্ম লই‌লেন ।

ক‌য়েক বৎসর প‌রের কথা । নর্ম্মদাতী‌রে ভূগুকচ্ছ নামক স্থা‌নে ব‌লি এক‌টি বিরাট যজ্ঞ ক‌রিলেন । সে য‌জ্ঞে ব‌লি যে যাহা চা‌হি‌তে‌ছিল , তাহাই দান করি‌তে‌ছিলেন । বাম‌ন‌দেব সেই যজ্ঞস্থ‌লে অ‌তি‌থি হইলেন । ব‌লি বামন‌দেবকে সমাদর ক‌রিয়া পাদ্য - অর্ঘ্য দিয়া অভ্যর্থনা ক‌রিয়া জিজ্ঞাসা ক‌রিলেন - " হে ব্রাহ্মণ , আপনার প্রার্থনা কি ? যা চান তা- ই পাবেন । "
বামন বলি‌লেন - " আমার প্রার্থনা সামান্য । আ‌মি ধনরত্ন চাই না , আ‌মি চাই সামান্য ত্রিপাদ ভূ‌মি । "
শুক্রাচার্য্য দে‌খিয়া বু‌ঝি‌লেন - এই বামন নিশ্চয় ছদ্ম‌বে‌শী বিষ্ণু । ইহার উ‌দ্দে‌শ্যে ভাল নয় । ব‌লি‌কে তি‌নি ব‌লি‌লেন - " মহারাজ , সাবধান ! এই বামন যা চাই‌বে , তা - ই‌ দি‌তে সম্মত হ‌বেন না । এই বামন এ‌সে‌ছে আপনা‌কে ছলনা কর‌তে । "
ব‌লি ব‌লি‌লেন - " আ‌মি যখন অঙ্গীকার ক‌রে‌ছি , তখন ই‌নি যা চান , তা - ই দেবই । "

দান ক‌রিবার আগে আচমন ক‌রি‌তে হয় । আচম‌নের জল যাহাতে ব‌লি না পান , সেজন্য শুক্রাচার্য্য ভূঙ্গারের মধ্যে প্র‌বেশ ক‌রিয়া জল‌রোধ ক‌রি‌লেন ।ভূ্ঙ্গার ভরা , অথচ জল প‌ড়ে না ! তখন বামন এক‌টি কুশ লইয়া ভূঙ্গা‌রের ন‌লের ম‌ধ্যে খোঁচা দিলেন - তাহা‌তে শুক্রাচা‌র্য্যের এক‌টি চোখ কানা হইয়া গেল ।
যাহাই হোক , ব‌লি আচমন ক‌রিয়া দা‌নে উদ্যত হই‌লেন । বামন‌দেব তখন বিশ্বরূপ ধারণ ক‌রি‌লেন । এক পা‌য়ে তি‌নি পৃ‌থিবী , অন্য পায়ে তি‌নি স্বর্গ আক্রমণ ক‌রি‌লেন । তাঁহার না‌ভি‌দেশ হই‌তে তৃতীয় এক‌টি চরণ নিঃসৃত হইল ।

বামন‌দেব ব‌লি‌লেন - " এই পদ‌টি কোথায় ফেলব , দৈত্যরাজ ? "

প্রহ্লা‌দের পৌত্র ব‌লি , র‌ক্তের ম‌ধ্যে হ‌রিভ‌ক্তি ছিল - সেই ভ‌ক্তির চরম নি‌দর্শন দেখাইবার সময় আ‌সিয়া‌ছে । ব‌লি তৃতীয় প‌দের জন্য নি‌জের মাথা পা‌তিয়া দি‌লেন ।

‌ত্রি‌বিক্রম বামন‌দেব ব‌লির মাথার উপর তৃতীয় পদ রা‌খি‌লেন । ব‌লি চির‌দি‌নের জন্য ব‌ন্দী হই‌লেন ।

স্বর্গম‌র্ত্ত্যে আর ব‌লির ঠাঁই হইল না । ব‌লি পাতাল আশ্রয় ক‌রি‌লেন । তি‌নি পাতালের রাজা হইয়াই থা‌কি‌লেন । দেবতারা বাম‌নের ছলনায় স্বর্গরাজ্য ফি‌রি‌য়া পাই‌লেন । হ‌রিও চির‌দি‌নের জন্য ব‌লির কা‌ছে বন্দী হ‌ইয়া র‌হিলেন ।

স্বর্গম‌র্ত্ত্যে আর ব‌লির ঠাঁই হইল না । ব‌লি পাতাল আশ্রয় ক‌রি‌লেন । তি‌নি পাতালের রাজা হইয়াই থা‌কি‌লেন । দেবতারা বাম‌নের ছলনায় স্বর্গরাজ্য ফি‌রি‌য়া পাই‌লেন । হ‌রিও চির‌দি‌নের জন্য ব‌লির কা‌ছে বন্দী হ‌ইয়া র‌হিলেন ।

ব‌লি দৈত্যহ‌লেও অব‌শে‌ষে বিষ্ণুর নিকট পরা‌জিত হই‌লেন । তাই তি‌নিও ভ‌ক্তে প‌রিণত ।

হ‌রিবল

Courtesy: Joy Shree Radha Madhav
Share:

1 Comments:

নামহীন বলেছেন...

কিছুটা গল্প, কিছুটা গাঁজাখুরি, কিছুটা!!!!! হবে হয়ত অন্য কিছু। সব মিলিয়ে ককটেল।

Total Pageviews

বিভাগ সমুহ

অন্যান্য (91) অবতারবাদ (7) অর্জুন (3) আদ্যশক্তি (68) আর্য (1) ইতিহাস (30) উপনিষদ (5) ঋগ্বেদ সংহিতা (10) একাদশী (10) একেশ্বরবাদ (1) কল্কি অবতার (3) কৃষ্ণভক্তগণ (11) ক্ষয়িষ্ণু হিন্দু (21) ক্ষুদিরাম (1) গায়ত্রী মন্ত্র (2) গীতার বানী (14) গুরু তত্ত্ব (6) গোমাতা (1) গোহত্যা (1) চাণক্য নীতি (3) জগন্নাথ (23) জয় শ্রী রাম (7) জানা-অজানা (7) জীবন দর্শন (68) জীবনাচরন (56) জ্ঞ (1) জ্যোতিষ শ্রাস্ত্র (4) তন্ত্রসাধনা (2) তীর্থস্থান (18) দেব দেবী (60) নারী (8) নিজেকে জানার জন্য সনাতন ধর্ম চর্চাক্ষেত্র (9) নীতিশিক্ষা (14) পরমেশ্বর ভগবান (25) পূজা পার্বন (43) পৌরানিক কাহিনী (8) প্রশ্নোত্তর (39) প্রাচীন শহর (19) বর্ন ভেদ (14) বাবা লোকনাথ (1) বিজ্ঞান ও সনাতন ধর্ম (39) বিভিন্ন দেশে সনাতন ধর্ম (11) বেদ (35) বেদের বানী (14) বৈদিক দর্শন (3) ভক্ত (4) ভক্তিবাদ (43) ভাগবত (14) ভোলানাথ (6) মনুসংহিতা (1) মন্দির (38) মহাদেব (7) মহাভারত (39) মূর্তি পুজা (5) যোগসাধনা (3) যোগাসন (3) যৌক্তিক ব্যাখ্যা (26) রহস্য ও সনাতন (1) রাধা রানি (8) রামকৃষ্ণ দেবের বানী (7) রামায়ন (14) রামায়ন কথা (211) লাভ জিহাদ (2) শঙ্করাচার্য (3) শিব (36) শিব লিঙ্গ (15) শ্রীকৃষ্ণ (67) শ্রীকৃষ্ণ চরিত (42) শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু (9) শ্রীমদ্ভগবদগীতা (40) শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা (4) শ্রীমদ্ভাগব‌ত (1) সংস্কৃত ভাষা (4) সনাতন ধর্ম (13) সনাতন ধর্মের হাজারো প্রশ্নের উত্তর (3) সফটওয়্যার (1) সাধু - মনীষীবৃন্দ (2) সামবেদ সংহিতা (9) সাম্প্রতিক খবর (21) সৃষ্টি তত্ত্ব (15) স্বামী বিবেকানন্দ (37) স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (14) স্মরনীয় যারা (67) হরিরাম কীর্ত্তন (6) হিন্দু নির্যাতনের চিত্র (23) হিন্দু পৌরাণিক চরিত্র ও অন্যান্য অর্থের পরিচিতি (8) হিন্দুত্ববাদ. (82) shiv (4) shiv lingo (4)

আর্টিকেল সমুহ

অনুসরণকারী

" সনাতন সন্দেশ " ফেসবুক পেজ সম্পর্কে কিছু কথা

  • “সনাতন সন্দেশ-sanatan swandesh" এমন একটি পেজ যা সনাতন ধর্মের বিভিন্ন শাখা ও সনাতন সংস্কৃতিকে সঠিকভাবে সবার সামনে তুলে ধরার জন্য অসাম্প্রদায়িক মনোভাব নিয়ে গঠন করা হয়েছে। আমাদের উদ্দেশ্য নিজের ধর্মকে সঠিক ভাবে জানা, পাশাপাশি অন্য ধর্মকেও সম্মান দেওয়া। আমাদের লক্ষ্য সনাতন ধর্মের বর্তমান প্রজন্মের মাঝে সনাতনের চেতনা ও নেতৃত্ত্ব ছড়িয়ে দেওয়া। আমরা কুসংষ্কারমুক্ত একটি বৈদিক সনাতন সমাজ গড়ার প্রত্যয়ে কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের এ পথচলায় আপনাদের সকলের সহযোগিতা কাম্য । এটি সবার জন্য উন্মুক্ত। সনাতন ধর্মের যে কেউ লাইক দিয়ে এর সদস্য হতে পারে।