• মহাভারতের শহরগুলোর বর্তমান অবস্থান

    মহাভারতে যে সময়ের এবং শহরগুলোর কথা বলা হয়েছে সেই শহরগুলোর বর্তমান অবস্থা কি, এবং ঠিক কোথায় এই শহরগুলো অবস্থিত সেটাই আমাদের আলোচনার বিষয়। আর এই আলোচনার তাগিদে আমরা যেমন অতীতের অনেক ঘটনাকে সামনে নিয়ে আসবো, তেমনি বর্তমানের পরিস্থিতির আলোকে শহরগুলোর অবস্থা বিচার করবো। আশা করি পাঠকেরা জেনে সুখী হবেন যে, মহাভারতের শহরগুলো কোনো কল্পিত শহর ছিল না। প্রাচীনকালের সাক্ষ্য নিয়ে সেই শহরগুলো আজও টিকে আছে এবং নতুন ইতিহাস ও আঙ্গিকে এগিয়ে গেছে অনেকদূর।

  • মহাভারতেের উল্লেখিত প্রাচীন শহরগুলোর বর্তমান অবস্থান ও নিদর্শনসমুহ - পর্ব ০২ ( তক্ষশীলা )

    তক্ষশীলা প্রাচীন ভারতের একটি শিক্ষা-নগরী । পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের রাওয়ালপিন্ডি জেলায় অবস্থিত শহর এবং একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান। তক্ষশীলার অবস্থান ইসলামাবাদ রাজধানী অঞ্চল এবং পাঞ্জাবের রাওয়ালপিন্ডি থেকে প্রায় ৩২ কিলোমিটার (২০ মাইল) উত্তর-পশ্চিমে; যা গ্রান্ড ট্রাঙ্ক রোড থেকে খুব কাছে। তক্ষশীলা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৫৪৯ মিটার (১,৮০১ ফিট) উচ্চতায় অবস্থিত। ভারতবিভাগ পরবর্তী পাকিস্তান সৃষ্টির আগ পর্যন্ত এটি ভারতবর্ষের অর্ন্তগত ছিল।

  • প্রাচীন মন্দির ও শহর পরিচিতি (পর্ব-০৩)ঃ কৈলাশনাথ মন্দির ও ইলোরা গুহা

    ১৬ নাম্বার গুহা, যা কৈলাশ অথবা কৈলাশনাথ নামেও পরিচিত, যা অপ্রতিদ্বন্দ্বীভাবে ইলোরা’র কেন্দ্র। এর ডিজাইনের জন্য একে কৈলাশ পর্বত নামে ডাকা হয়। যা শিবের বাসস্থান, দেখতে অনেকটা বহুতল মন্দিরের মত কিন্তু এটি একটিমাত্র পাথরকে কেটে তৈরী করা হয়েছে। যার আয়তন এথেন্সের পার্থেনন এর দ্বিগুণ। প্রধানত এই মন্দিরটি সাদা আস্তর দেয়া যাতে এর সাদৃশ্য কৈলাশ পর্বতের সাথে বজায় থাকে। এর আশাপ্সহ এলাকায় তিনটি স্থাপনা দেখা যায়। সকল শিব মন্দিরের ঐতিহ্য অনুসারে প্রধান মন্দিরের সম্মুখভাগে পবিত্র ষাঁড় “নন্দী” –র ছবি আছে।

  • কোণারক

    ১৯ বছর পর আজ সেই দিন। পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে সোমবার দেবতার মূর্তির ‘আত্মা পরিবর্তন’ করা হবে আর কিছুক্ষণের মধ্যে। ‘নব-কলেবর’ নামের এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দেবতার পুরোনো মূর্তি সরিয়ে নতুন মূর্তি বসানো হবে। পুরোনো মূর্তির ‘আত্মা’ নতুন মূর্তিতে সঞ্চারিত হবে, পূজারীদের বিশ্বাস। এ জন্য ইতিমধ্যেই জগন্নাথ, সুভদ্রা আর বলভদ্রের নতুন কাঠের মূর্তি তৈরী হয়েছে। জগন্নাথ মন্দিরে ‘গর্ভগৃহ’ বা মূল কেন্দ্রস্থলে এই অতি গোপনীয় প্রথার সময়ে পুরোহিতদের চোখ আর হাত বাঁধা থাকে, যাতে পুরোনো মূর্তি থেকে ‘আত্মা’ নতুন মূর্তিতে গিয়ে ঢুকছে এটা তাঁরা দেখতে না পান। পুরীর বিখ্যাত রথযাত্রা পরিচালনা করেন পুরোহিতদের যে বংশ, নতুন বিগ্রহ তৈরী তাদেরই দায়িত্ব থাকে।

  • বৃন্দাবনের এই মন্দিরে আজও শোনা যায় ভগবান শ্রীকৃষ্ণের মোহন-বাঁশির সুর

    বৃন্দাবনের পর্যটকদের কাছে অন্যতম প্রধান আকর্ষণ নিধিবন মন্দির। এই মন্দিরেই লুকিয়ে আছে অনেক রহস্য। যা আজও পর্যটকদের সমান ভাবে আকর্ষিত করে। নিধিবনের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা রহস্য-ঘেরা সব গল্পের আদৌ কোনও সত্যভিত্তি আছে কিনা, তা জানা না গেলেও ভগবান শ্রীকৃষ্ণের এই লীলাভূমিতে এসে আপনি মুগ্ধ হবেনই। চোখ টানবে মন্দিরের ভেতর অদ্ভুত সুন্দর কারুকার্যে ভরা রাধা-কৃষ্ণের মুর্তি।

২৩ আগস্ট ২০১৮

বঙ্গীয় হিন্দু সমাজে সামাজিক একতা এত লুপ্তপ্রায় কেনো ?

বর্তমান দিনে আমরা একটা বাস্তব কথার সাথে খুব পরিচিত:

"যদি কিছু হিন্দুর সাথে কিছু মুসলিমের ঝামেলা হয় তাহলে হিন্দুদের দল থেকে কিছু হিন্দু পলায়ন করবে আর অপর দিকে মুসলিমের দলে কিছু মুসলিম যোগ দান করবে"
যদি এর কারণ অনুসন্ধান করা যায়, তাহলে আমার মতে এর ৫টা কারণ হতে পারে:-







১. ভ্রাত্রিয়তা বোধের অভাব:-

বর্তমান বঙ্গীয় হিন্দু সমাজে সামাজিক একতা লুপ্তপ্রাপ্তির একটা প্রধান কারণ এটি। একটা উদাহরণ দিচ্ছি-
ধরুণ আমি কোনো স্থানে বিনা দোষে কোনো মুসলিম বা হিন্দুর দ্বারা অত্যাচারীত হচ্ছি। আর আপনি আমার কাছে আছেন, আর আমি আপনার কাছে সাহায্যের জন্য বার বার আবেদন করছি। আর আপনি সব দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখছেন আর মনে মনে Ignore করছেন ও সাহায্যের জন্য এগিয়েও আসছেন না। আপনি মনে মনে ভাবছেন "আমি আপনার কে হই, যার জন্য আমাকে আপনি সাহায্য করবেন"। এবার ঘটনা টিকে উল্টে দেওয়া যাক-
অত্যাচারীত হচ্ছেন আপনি আর আমি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখছি। আপনি আমার কাছে সাহায্য চাইছেন আর আমিও Ignore করছি। এই সময় আপনার মানসিক অবস্থা কেমন হবে আশা করছি আমাকে আর বলতে হবে না।
কিন্তু যদি আপনার ও আমার মধ্যে ভ্রাত্রিয়তা বোধ টুকু থাকতো তাহলে আপনাকে বিনা দোষে নিপীড়ন হবার কোনো প্রশ্নই থাকতো না, কারণ ভ্রাত্রিয়তা বোধের জন্য আমি আপনার দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতাম। কিন্তু বর্তমানে "প্রতিটি হিন্দু পরস্পরের ভাই" এই কথা টা যেন লুপ্তপ্রায় হচ্ছে। ফলে আমাদের সামাজিক একতায় ফাটল ধরছে।বর্তমান দিনে হিন্দু সমাজে সামাজিক একতা কে ফিরিয়ে আনার সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হল পরস্পরের মধ্যে সাহায্যের আদান প্রদান করা।তাই আমি প্রতিটি হিন্দুদের বলছি আপনারা যথাসাধ্য মতো অপর এক হিন্দুদের সাহায্য করুণ ও নিজেদের মধ্যে ভ্রাত্রিয়তা বোধ গড়ে তুলুন, যাতে আমরা একে অপরের সাহায্যে সময় বিনা দ্বিধাবোধে এগিয়ে আসতে পারি।চেস্টা করুন চেস্টা করতে দ্বিধাবোধ করছেন কেনো।

২. স্বার্থপরতা:-
 
বর্তমান বঙ্গীয় হিন্দু সমাজে সামাজিক একতা লুপ্তপ্রাপ্তির এটি আরেকটি কারণ। আমাদের বঙ্গীয় হিন্দু সমাজে এক শ্রেণীর মানুষ আছে যাদের "নিজ স্বার্থপরতা" গুনের জন্য সামাজিক একতা ও ভ্রাত্রিয়তা বোধের মধ্যে ফাটল সৃস্টি করে। এই শ্রেণীর মানুষেরা সাহায্য নেবার সময় সবসময় প্রস্তুত কিন্তু সাহায্য দেবার সময় হাত গুটিয়ে নেবে, একমাত্র নিজের স্বার্থ ছাড়া কাউকে সাহায্য করবে না, এমন কি এই সব মানুষের দ্বারা যারা প্রতারিত হয় তাদেরও মন থেকে ভ্রাত্রিয়তা বোধ উড়ে যায় এবং সেও স্বার্থপর হয়ে উঠে। যার ফলে সামাজিক একতা ও ভ্রাত্রিয়তা বোধের লুপ্তপ্রায় ঘটে।এই শ্রেণীর মানুষদের শোধন এর জন্য আমাদের প্রতিবার এদের সামনে একটি করে বাস্তব বোধমূলক উদাহরণ তুলে ধরতে হবে, যে উদাহরণের দ্বারা সে বুঝতে পারে নিজ স্বার্থপরতার দরুণ সে কিভাবে অন্য মানুষের কাছে ছোটো হচ্ছে ও সমাজে সামাজিক একতা মধ্যে ফাটল ধরাচ্ছে। এরপর যদিও সে বুঝতে না পারে তাহলে যতটা পারবেন ওনাকে Ignore করার চেস্টা করবেন।কারণ দুস্ট গোরুর চেয়ে শূন্য গোয়াল অনেক ভালো।

৩. সাহসিকতার অভাব:-
 
সামাজিক একতা তৈরির জন্য সাহসিকতা খুব গুরুত্বপূর্ণ। সাহসিকতার অভাবে একতা তৈরির হলেও সেটা কার্যকারী হয়ে উঠতে পারে না। আপনার মধ্যে সাহসিকতার আছে কিনা তা জানার জন্য আপনি নিজে কে ৫টি প্রশ্ন করুন:-
১) আপনি কি অন্যায় কে সহ্য করে মাথা নিচু করে বাঁচবেন না ন্যায় কে সঙ্গী করে মাথা উঁচু করে বাঁচবেন ?
২) আপনার উপকারে যদি কতগুলি মানুষের উপকার হয় তবে আপনি কি সেই উপকারে উপস্থিত থাকবেন না সেখান থেকে কেটে পরবেন ?
৩) আপনি কি ঐ মানুষদের উপকার করে তাদের কাছে থেকে "একজন সত্যিকারের বন্ধু" হিসাবে পরিচিত হতে চান না "বেইমান" হিসাবে পরিচিত হতে চান?
৪) ঐ মানুষদের উপকারের জন্য যদি আপনাকে কয়েকটি আঘাত খেতে হয়, তবে আপনি কি সেখান থেকে পলায়ন করবেন না একজন সহকারী হিসাবে সেখানে উপস্থিত থাকবেন ?
৫) আপনার একটি সাহায্য যদি পরস্পরের ভ্রাত্রিয়তা বোধ সম্পর্ক কে পুনঃজীবন দিতে পারে তবে আপনি কি সেই সাহায্য করবেন ?
যদি আপনার মন আপনাকে কার্য করার জন্য উৎসাহ দেয় তাহলে আপনি নিঃসন্ধেহে একজন ন্যায়বাদী সাহসী, আর যদি বাধাদেয় তাহলে আপনি নিঃসন্ধেহে একজন দূর্বল মানসিকতা সম্পন্ন বেক্তি।আরেকটা জিনিস আমাদের ভালোভাবে মনে রাখতে হবে -"একটি লাঠি যদি অল্পচাপ পাই তাহলে সেটা ভেঙে যায় কিন্তু লাঠির সংখ্যা বাড়ানোর সাথে সাথে বেশী চাপ সহ্য করার ক্ষমতা বৃদ্ধি পাই ও একটি অভঙ্গুর লাঠি স্তম্ভ তৈরি করে"।

৪. হিন্দু সামাজিক Cast System:-


বঙ্গীয় হিন্দু সমাজে সামাজিক একতা ভাঙনের এটা একটা প্রধান কারণ, এখনও বর্তমান দিনে বঙ্গীয় হিন্দুরা এই মিথ্যা Cust System কে মেনে চলে। কিন্তু হিন্দুধর্ম মতে Cust System এর কোনো স্থান নেই এবং প্রতিটি মানুষ সমান অধীকারী, এই Cust System এর জন্য হিন্দু্দের মধ্যে ভেদা ভেদ তৈরী হয়, একজন বলে "আমি জ্ঞানী, আমি উঁচু, আমি মাথা" অপর জন বলে "আমি জ্ঞানী, আমি উঁচু, আমি মাথা" "তুই মূর্খ, তুই নিচু, তুই ল্যাজ। এই মনোভাবের জন্য দুটি ভিন্ন Cust এর হিন্দু্দের মধ্যে একতা তৈরী হয় না। এর জন্য আমাদের এই মিথ্যা Cust System কে ভুলে, মনে রাখতে হবে স্বামী বিবেকানন্দের কথা -
"হে ভারত ভুলিও না নীচ জাতি, মূর্খ, দরিদ্র, অজ্ঞ, মুচি, মেথর তোমার রক্ত তোমার ভাই"
"হে বীর, সাহস অবলম্বন কর, সদর্পে বল-আমি ভারতবাসী, ভারতবাসী আমার ভাই"
(স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা ৬ খন্ড ২৪৯ পৃস্ঠা)
আবারও বলছি চেস্টা করুন অন্য জনকে অনুপ্রেরণা জোগান, এটা সম্ভব নয় বলে হাত গুটিয়ে বসে থাকবেন না, চেস্টা করুন, আপনি কয়বার চেস্টা করেছেন ???

৫. উপযুক্ত সনাতনী শিক্ষার অভাব:-

 
বর্তমান দিনে উপযুক্ত সনাতনী শিক্ষার অভাব মানুষের অধঃপতনের একটি মুখ্য কারণ। মুসলিমরা যেমন মাদ্রাসাতে গিয়ে সঠিক ইসলামিক শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে, স্কুল কলেজে গিয়ে ইসলামিক শিক্ষার উপর ডিগ্রী গ্রহণ করতে পারে, যার ফলে ওরা শুধু নিজের জাতি কে এগিয়ে নিয়ে যাবার উৎসাহ পাই। কিন্তু আমরা হিন্দুরা এই দিকে অনেক পিছিয়ে আছি। তাই আমরা আস্তে আস্তে লুপ্তির দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। বর্তমান সালের সাথে সাথে যত আমরা এগিয়ে যাচ্ছি তেমনি উপযুক্ত সনাতনী শিক্ষার অভাবে আমরা অন্ধকার রূপী কুসংস্কার, অনৈতিক, অধার্মিক, অমানবিক প্রবৃত্তির দিকে আস্তে আস্তে এগিয়ে যাচ্ছি। ফলে সামাজিক একতা তো দূরে থাক নিজের মায়ের পেটের ভাই এমন কি নিজের জন্মদাতা বাবা মায়ের সঙ্গেও সঠিক সম্পর্ক রাখতে চাই না। ফলে সামাজিক ও পারিবারিক একতা দুটি শুন্যের দিকে ধাবিত হচ্ছে।

তাই আমি প্রতিটি হিন্দুদের বলছি- নিজ সন্তান সন্তানীদের শুধমাত্র পুঁথিগত বিদ্য না দিয়ে, উপযুক্ত সনাতনী শিক্ষায় শিক্ষিত করুন। অথ্যাৎ ভগবত গীতা বা বেদ এর জ্ঞানের সাথে পরিচয় করান, কারণ এই জ্ঞান তার ভবিষ্যৎ জীবন যাত্রার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। যদি সময়ের অভাব হয় তাহলে সারাদিনে একবার ভগবত গীতা বা বেদ এর একটি শ্লোক বা মন্ত্র পড়ান ও বুঝান।

এই একতা কেই ভিত্তি করে প্রাচীনকাল থেকে বর্তমান দিন পর্যন্ত বহু জীবজন্তু এখনো বেঁচে রয়েছে, যদি তাদের এই একতা নস্ট হত তাহলে তাদের আর এই বর্তমান দিনে দেখা যেতোনা, এমন কি এই একতা নস্ট হবার জন্য অনেক জীবজন্তু লুপ্ত হয়ে গেছে। কারণ এদের উপর ডারউইনের যোগ্যতমের উদবর্তন (Survival of the fittest) ও প্রাকৃতিক নির্বাচন (Natural selection) নীতি প্রয়োগ হয়েছিল, আমরা মানুষ হলেও আমরা একটি জীব তাই এই নীতি আমাদেরও উপর প্রয়োগ হতে পারে, তাই "সাবধান"।

এখন এই বর্তমান দিনে যদি আমরা নিজেদের মধ্যে একতা গড়ে তুলতে না পারি, তবে ভবিষ্যতে আমাদের কাছে কেবল মাত্র ২টি রাস্তা খোলা থাকবে
১. কারো গোলামি করা.
২. লুপ্ত হয়ে যাওয়া.
Choice is yours?
লেখার মাধ্যমে যদি কোন ভূল হয় সবাই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

আপনার বন্ধুদের আমাদের ওয়েভসাইটে  #ইনভাইট করুন যাতে করে তারাও আপনার মত ধর্মীয় ঞ্জান অর্জনের সুযোগ পায়।

☀  হরে কৃষ্ণ  ☀

Collected:   আশীর্বাদ - Ashirbad
Share:

ঢাকেশ্বরী মন্দিরের প্রকৃত ও অলৌকিক ইতিহাস

ঢাকেশ্বরী মন্দির কত পুরাতন তা সঠিক ভাবে কেহই বলতে পারেনি । বহুবছর অাগে এখানে কিছু কাঠুরে জঙ্গলে কাঠ কাটতে এসে একটি অষ্টভূজা দূর্গা দেবীর মুর্তি লতাপাতা দ্বারা অাবৃত অবস্থায় দেখতে পান । তারপর তারা সেখানে কুড়ে ঘড়ের মন্দির নির্মাণ করে এবংস্থানটি বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত বলে উক্ত দেবীকে গঙ্গা দেবী রূপে পূজা অর্চনা শুরু করেন । এখানে ঈশ্বরী লতা পাতায় ঢাকা ছিল বিধায় উক্ত মন্দিরটি ঢাকা+ঈশ্বরী = ঢাকেশ্বরী মন্দির বলা হয় । ধীরে ধীরে এখানে ভক্ত সমাগম বাড়তে থাকে ।


বহুকাল পরে ১১০০ খ্রিষ্টাব্দে ‌সেন অামলে রাজা বল্লাল সেন এর মাতা রাজা বিজয় সেনের স্ত্রী অষ্টমী স্নান করার জন্য লাঙ্গলবন্দ এসেছিলেন । এখানে রাত্রিবাসকালীন তিনি দেবী দূর্গার সপ্নাদেষ পান তার স্নান সিদ্ধ হওয়ার জন্য দেবী দর্শন অাবশ্যক। তখন তিনি লোকজনের থেকে খোঁজ নিয়ে ঢাকেশ্বরী মন্দিরে অাসেন এবং মায়ের দর্শন লাভ করে তীর্থ পূর্ণ করেন । তিনি সেই সময় ঢাকেশ্বরীতে অষ্ট ধাতু দিয়ে মায়ের দশভূজা দূর্গা মুর্তি স্থাপন করেন । বিগ্রহের উচ্চতা দেড় ফুটের মতো ,দেবীর দশ হাত, কাত্যায়নী মহিষাসুরমর্দিনী দূর্গা রূপী, পাশে লক্ষী-সরস্বতী ও নিচে কার্তিক-গণেশ ।বাহন রূপে পশুরাজ সিংহ দন্ডায়মান যার ওপর দাঁড়িয়ে দেবী মহিষাসুরকে বধ করেছেন ।


এবং তিনি এক কক্ষ বিশিষ্ট স্থায়ী মন্দির নির্মাণ করেন, যাহা বর্তমানে মূল মন্দিরের মধ্যের কক্ষ । এবং তিনি ভক্তদের জলের সুবিধার জন্য তিনটি জলকূপও খনন করেন । স্থানীয় লোকজনের নিজ চোখে দেখা এই তিনটি কুপের একটিতে গভীর রাতে দেবী দূর্গা লাল পাইড়ের সাদা শাড়ি পরে স্নান করে অাবার মন্দিরে প্রবেশ করে অদৃশ্য হয়ে যেতেন । প্রচলিত নিয়ম অনুসারে প্রত্যেক ভক্তই তাদের অষ্টমী স্নানের পূর্ণতা পাওয়ার জন্য স্নানের পর ঢাকেশ্বরী মন্দিরে অাসতেন ।


পরবর্তীতে মোঘল অামলে সম্রাট অাকবরের সেনাপতি মানসিংহ সোনারগাঁও এ বারো ভূইয়াদের বিদ্রোহ দমন করতে বাংলায় অাসেন এবং ঢাকেশ্বরী মন্দিরের ভগ্নাদশা দেখে তিনি তার ব্যক্তিগত তহবিলের অর্থে তার নিজ এলাকা সুদূর রাজস্থান থেকে মিস্ত্রি ও শ্রমিক এনে রাজস্থানী ঘরোনার নকশা অনুযায়ী মূল মন্দিররটি ‌তিন কক্ষ বিশিষ্ট করেন এবং দেবী দূর্গার দুই পাশের কক্ষে শিবলিঙ্গ স্থাপন করেন । মন্দিরের নিরাপত্তার জন্য দুইটি প্রবেশ দ্বার নির্মান করেন । তিনি ভক্তদের বসবাসের জন্য একটি ধর্মশালাও নির্মান ও একটি পুকুর খনন করেন সর্বশেষ তিনি তার চার বার বাংলা অাগমনের নিদর্শন স্বরূপ চারটি শিব মঠ স্থাপন করেন । মানসিংহ এই বিগ্রহ ঢাকায় প্রতিষ্ঠা করার পর আজমগড়ের এক তিওয়ারি পরিবারকে সেবায়েত এবং বাংলাদেশের জনৈক দাস পরিবারকে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য নিযুক্ত করেন ।


পরবর্তীতে ভাওয়ালের জমিদার রাজা রাজেন্দ্রনারায়ন রায়বাহাদুর ভাওয়াল ষ্টেটের মালিকানা নির্ধারনের জন্য মন্দির রক্ষণাবেক্ষণকা
রী সুধীর কুমার দাস গং কে ৫ শতাংশ মালিকানা এবং সেবায়েত গং দের ১ আনি ভোগত্বর সহ ঢাকেশ্বরী মন্দিরকে ২০ বিঘা জায়গা দেবোত্তর হিসেবে সিএস রেকর্ডভূক্ত করিয়া দেন ।


দেবী ঢাকেশ্বরী আসল ৮০০ বছরের পুরোনো অাদি বিগ্রহটি ৪৮ সালে দেশভাগ-পরবর্তী হিন্দু মুসলিম দাঙ্গার সময় অভ্যন্তরীণ বিরোধের জেড় ধরে সেবায়েত তিওয়ারী পরিবারের শেষ বংশধর বিশাল তেওয়ারীর স্ত্রী কর্তৃক ভারতে নিয়ে যাওয়া হয় । মূর্তিটি বর্তমানে কলকাতার কুমারটুলি অঞ্চলে দুর্গাচারণ স্ট্রিটে বিরাজ করছে । ‌সেখানেও মন্দিরের নাম শ্রী শ্রী ঢাকেশ্বরী মাতার মন্দির | এখন যে বিগ্রহটি ঢাকার ঢাকেশ্বরী মন্দিরে আছে তা হলো মূল মূর্তির প্রতিরূপ। কলকাতায় বিগ্রহটি আনার পর প্রথম দু'বছর হরচন্দ্র মল্লিক স্ট্রিটে দেবেন্দ্রনাথ চৌধুরির বাড়িতে দেবী পূজিতা হন । পরে ১৯৫০ নাগা ব্যাবসায়ী দেবেন্দ্রনাথ চৌধুরী কুমোরটুলি অঞ্চলে দেবীর মন্দির নির্মাণ করে দেন ও প্রতিষ্ঠা করে দেবীর নিত্য সেবার জন্য কিছু দেবোত্তর সম্পত্তি দান করেন এবং অদ্যবধি এখানেই দেবী পূজিতা হয়ে চলেছেন ।


১৯৬৪ সালে সেই পরিবারের বংশধরেরাই কলকাতায় এসে পুনরায় সেবায়েত নিযুক্ত হন, এখনো তারাই দেবীর নিত্য সেবা করেন । এই ঢাকেশ্বরী দেবীর পূজা পদ্ধাতিও বাংলার চিরপুরাতন পদ্ধতির চেয়ে আলাদা । শারদীয়া দুর্গাপূজার সময় দেবীর পূজা হয় উত্তর ভারতের নবরাত্রির বিধি মেনে । দেবীকে যেভাবে অলংকারহীন এবং প্রায় বিবস্ত্র অবস্থায় লুকিয়ে আনা হয়েছিল, তার ছবিও এই মন্দিরে সংরক্ষিত আছে। ঢাকার ঢাকেশ্বরী মন্দিরের প্রচারের আলোয় ঢাকা পড়ে গেছে কলকাতার ঢাকেশ্বরী মাতার মন্দির। শোভাবাজার ছাড়িয়ে কুমোরটুলির এক অপরিসর গলিতে ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে নীরবে নিভৃতে বিরাজমান এই ঢাকেশ্বরী মাতা । ঢাকার ঢাকেশ্বরী মন্দিরের আদি বিগ্রহ এখানেই প্রতিষ্ঠিত ।


মায়ের অলৌকিক সব ঘটনা বিজড়িত মূল ঢাকেশ্বরী মন্দিরটি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত । প্রতিদিন বহূ পূণ্যার্থীর অাগমন ঘটে এখানে । ৪৭ এর দেশভাগ, ৬৪ এর দাঙ্গা, ৭১ এর স্বাধীনতা যুদ্ধ, ৯০ এর সাম্প্রদায়িক দাঙ্গাসহ বহু ঘাতপ্রতিঘাত, লুন্ঠন, অগ্নিসংযোগের ইতিহাস বুকে নিয়ে সুধীর কুমার দাস ও মন্দিরে বসবাসকারী হিন্দুদের অাত্ম ত্যাগের বিনিময়ে ঢাকেশ্বরী মন্দির আজও সগৌরবে দাঁড়িয়ে আছে.....।
জঁয় মা ঢাকেশ্বরী
পল্টন দাস, সেবায়েত,
শ্রী শ্রী ঢাকেশ্বরী মাতার মন্দির ।

written by: Deb Prosad
Share:

আমাদের সনাতন ধর্ম, আমাদের গর্ব

কি নেই আমাদের ধর্মে ? বেদান্ত জ্ঞান , রামায়ন ও মহাভারত এর সদাচার শিক্ষা , পুরান এর মানবিক শিক্ষা , গীতার জীবন দর্শন , চন্ডীর শক্তি তত্ত্ব ।

আমাদের সনাতন ধর্ম একমাত্র সত্য ধর্ম । আমরা হিন্দু । আমরা গর্বিত । ঈশ্বরকে ধন্যবাদ তিনি আমাদের সনাতন কূলে জন্ম দিয়েছেন । আমাদের ধর্মেই সব আছে , নীতি শিক্ষা বা সদাচার শিক্ষার জন্য অন্য ধর্মের অনুকরণ বা আদর্শ গ্রহণ না করলেও চলবে ।


আমরা সেইভৃগু , শুক্র, বিশ্বামিত্র, বশিষ্ঠ, পুলস্ত, কশ্যপ আদি মহান ঋষি মুনিদের বংশধর । ঋষি রক্তআমাদের শিরায় শিরায় বইছে । সেই মহান আচার্য গণ আমাদের জন্য বিবিধ জ্ঞান ভাণ্ডার রেখে গেছেন ।আমরা সেই জ্ঞান থাকতে অন্য জ্ঞান কেনো নেবো ।

তার সাথে আছে ভারতীয় দর্শন এমনকি চার্বাক নামক নাস্তিক দর্শন কেও আমরা আমাদের সংস্কৃতি তে স্থান দিয়েছি । আয়ুর্বেদ দিয়েছে চিকিৎসা বিজ্ঞান । গাছ গাছড়ার থেকে ঔষধ । যোগা দিয়েছে যোগাসন , প্রানায়াম- শরীর সুস্থ রাখার এক পদ্ধতি । এই ধর্ম এত বিশাল ও ব্যপক সব কিছুই আছে ।

এমনকি রতি শাস্ত্রের ওপর ঋষি বাৎস্যায়ন, বাভ্র রচনা করেছেন গ্রন্থ।যেহেতু ‘ধর্ম , অর্থ , কাম , মোক্ষ’ কে চতুর্বিধ ফল বলা হয় । সব এখানেই পাওয়া যাবে । তাই যে সব হিন্দু গণ অন্য ধর্মের মতামত নিয়ে সদাচার শিখতে যান – তারা গঙ্গার জল ফেলে দূরে ডোবার জল আনতে যান । পতিত পাবনী গঙ্গা থাকতে কেন আমরা সাধারন জল দিয়ে কলসি ভরবো?

এই ধর্ম সব সদাচারের স্রষ্টা । আচার্য শঙ্কর বেদান্ত জ্ঞান দিয়েছেন । মহাপ্রভু দিয়েছেন ভক্তি, ক্ষমা, ভালোবাসার আদর্শ । ক্ষমা শীলতা শিখতে হলে এখানেই শেখা যাবে । অন্য মত নিতে হবে না । ঠাকুর রামকৃষ্ণ দেব এসেছেন । তিনি বেদান্ত, বৈষ্ণব , তন্ত্র কে এক সুতোয় গেঁথে দেখিয়েছেন- সব সনাতন পথ সত্য ।তাঁর শিষ্য স্বামী বিবেকানন্দ আমাদের শিখিয়েছেন ‘নিজের অন্তরের সুপ্ত শক্তিকে জাগরণের তত্ত্ব’ ।

আমি হিন্দু ।আমি গর্বিত । গর্ব করে বল আমি হিন্দু ।ভারতের দেব দেবী সত্য। তেঁনারা আমার পূজ্য । সেবা , ত্যাগ , ব্রহ্মচর্যের , হিন্দুত্বের কথা এই সন্ন্যাসী গোটা বিশ্ব মাঝে প্রচার করেছিলেন । স্বামী প্রনবানন্দ মহারাজ আশ্রম স্থাপন পূর্বক হিন্দু ধর্মের বিরাট দর্শন , ত্যাগের ভাবনা , দেশ ও ধর্মের প্রতি কর্তব্য , নিষ্ঠা , সদাচার শেখালেন ।স্বামী নিগমানন্দ সরস্বতী মহারাজ এলেন । তিনি ভক্তি , তন্ত্র , জ্ঞান সাধনা করে সমস্ত ব্রহ্মজ্ঞান আমাদের জন্যই রেখে গেলেন । এসেছেন লোকনাথ বাবা ।এসেছেন ঠাকুর সীতারাম ওমকার নাথ , এসেছেন তারাপীঠ ভৈরব বামাদেব , এসেছেন রাম ঠাকুর ।

এমন অনেক মহা মানব, মনিষী বৃন্দ এসে আমাদের ধর্মের মাধ্যমে আমাদের সদাচার শেখালেন । ভিন্ন মত নিয়ে নয় । গুরুদেব সুধীন কুমার মিত্র শাক্ত সাধনা করেছেন । তিনি দেখালেন এই সনাতন ধর্মের সাথে মানব ধর্মের কোন ভেদ নেই । কারন আমাদের সনাতন ধর্ম মানবিক মূল্যবোধ শেখায় , অপরকে এমনকি ভিন্ন ধর্মী কেও কাছে এনে ভালোবাসার শিক্ষা দেয় । এর দাম হিন্দু দের যদিও অনেক ক্ষতি পূরণ দিয়ে দিতে হয় বারংবার ।

তাই অন্তিমে বলি আমি আমার ধর্মের জন্য গর্বিত । আপনারা যারা নিষ্ঠাবান হিন্দু আছেন- তাঁরাও গর্ব করেন । আমরা ভিন্ন ধর্মী দের উপাসনা লয় ভাঙ্গি না । আমরা কারোর পেছনে লাগি না । আমরা বিশ্বাস করি নিজেও ভালো থাকি , অপর কেউ ভালো রাখি । কেউ পর নয় , তাই বারংবার আঘাত খেয়েও আমরা ফুল, মিষ্টি দেই । এখানেই আমাদের জয় । সব শিক্ষা আমাদের ধর্মেই আছে । একটু জানুন নিজ ধর্ম সম্বন্ধে ।

কৃতজ্ঞতাঃ Babai Basak
Share:

হরিনাম করলে কি ফল লাভ হয়?

একবার দেবর্ষি নারদ তাঁর আরাধ্য প্রভু নারায়ণকে জিজ্ঞাসা করলেন," হে প্রভু, হরিনাম করলে কি ফল হয়?"
জগতপালক শ্রী নারায়ণ তখন একটু হেসে নারদকে বললেন," হে নারদ, তুমি পৃথিবীতে গিয়ে যাকে সবার প্রথম দেখবে তাকে এই প্রশ্নটি করবে।তখন তুমি এর মহিমা বুঝতে পারবে। "

নারদ তখন মর্ত্যে গেলেন। মর্তে গিয়েই কিছুদুর যেতেই দেখতে পেলেন একটি গরু বিষ্ঠা ত্যাগ করেছে তার মধ্যে একটি কৃমি লাফাচ্ছে, নারদ সেই কৃমির কাছে জিজ্ঞাসা করলেন,"হে ক্ষুদ্র কৃমি, তুমি আমায় বলো যে হরিনাম করলে কি ফল লাভ হয়?"

তখন সঙ্গে সঙ্গে সেই কৃমিটি মারা গেল। নারদ ভাবল আমার কারনে হয়তো কৃমিটি মারা গেল। তিনি আবার বৈকুন্ঠে ফিরে গেলেন ফিরে গিয়ে সব জানালেন। নারায়ণ সব শুনে বললেন," হে ধর্মিক নারদ, এবার তুমি পূর্ব দিক বরাবর চলে যাও দেখবে একটা গরুর বাছুর হয়েছে তাকে এই প্রশ্নটি করো।"

নারদ তখন নারায়ণের কথা মত পূর্বদিকে গিয়ে দেখলেন সত্যিই সেখানে একটি গরুর বাছুর হয়েছে।নারদ তখন সেই সদ্যজাত বাছুরকে গিয়ে বললেন, "হে গোবৎস, হরিনাম করলে কি ফল হয়?"

বাছুরটিও তখন সাথে সাথে মারা গেল।
নারদ এবার ভয় পেয়ে গেলেন তিনি মনে করলেন আমি গোহত্যার অপরাধে অপরাধি হলাম। তিনি তাড়াতাড়ি করে বৈকুন্ঠে উপস্থিত হলেন আর নারায়ণকে সব খুলে বললেন।

শ্রীনারায়ন তখন বললেন," বৎস, তাহলে তুমি এবার দক্ষিন দিক বরাবর যাও দেখবে সেখানে রাজার একটি সন্তান হয়েছে তাকেও তুমি এই একই প্রশ্নটি করো।"
নারদ বললেন," প্রভু, এবার যে তবে আমি নর হত্যার অপরাধে অপরাধি হব!"
নারায়ন বললেন,"এবার তুমি তোমার সব প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবে।'
তখন নারদ গিয়ে রাজার ছেলেকে জিজ্ঞাসা করল," হে রাজকুমার, তুমি কি জানো যে হরিনাম করলে কি ফল হয়?"
তখন ছেলেটি বলে উঠল," হে মুনিবর, আমি তো কোনদিন হরিনাম করিনি কিন্তু হরিনাম শুনে আমি কৃমি যোনি থেকে মুক্তি পেয়ে গোবৎস রুপে জন্ম গ্রহণ করলাম।গোবৎস রুপে যখন হরিনাম শুনলাম তখন মানব জনম পেলাম আর মানব হিসাবে এখন হরিনাম শুনে আমার জন্ম জন্মান্তরের মায়ার বন্ধন
ছিন্ন হয়েছে। এখন আমি মুক্তি লাভ করেছি।তাহলে আপনিই ভাবুন হরিনাম শুনে যদি আমি মুক্তি লাভ করতে পারি তবে অপরাধ শুন্য হয়ে হরিনাম করলে কি লাভ হতে পারে।"
নারদ বুঝতে পারলেন হরিনাম করলে কি ফল লাভ করা যায় তা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়।
তাই আসুন আমরা সবাই এই মধুমাখা হরিনাম জপ করি।
"হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে।
হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে।।"

জয় শ্রী নারায়ন

---প্রীতিরাজ চক্রবর্ত্তী (তুষার)
★এডমিন
সনাতন কথামৃত
ব্রহ্মযোগ
সত্য সনাতন
ডেউয়াতলী লক্ষ্মী-নারায়ন অলকা মঞ্জুরী
সেবাশ্রম (DLNAMS)
ব্রাহ্মন কমিটি*এপার ও ওপার বাংলা*
★মোডারেট
সনাতনি ব্রহ্মবিদ্যা সাংসদ
Share:

Total Pageviews

বিভাগ সমুহ

অন্যান্য (91) অবতারবাদ (7) অর্জুন (4) আদ্যশক্তি (68) আর্য (1) ইতিহাস (30) উপনিষদ (5) ঋগ্বেদ সংহিতা (10) একাদশী (10) একেশ্বরবাদ (1) কল্কি অবতার (3) কৃষ্ণভক্তগণ (11) ক্ষয়িষ্ণু হিন্দু (21) ক্ষুদিরাম (1) গায়ত্রী মন্ত্র (2) গীতার বানী (14) গুরু তত্ত্ব (6) গোমাতা (1) গোহত্যা (1) চাণক্য নীতি (3) জগন্নাথ (23) জয় শ্রী রাম (7) জানা-অজানা (7) জীবন দর্শন (68) জীবনাচরন (56) জ্ঞ (1) জ্যোতিষ শ্রাস্ত্র (4) তন্ত্রসাধনা (2) তীর্থস্থান (18) দেব দেবী (60) নারী (8) নিজেকে জানার জন্য সনাতন ধর্ম চর্চাক্ষেত্র (9) নীতিশিক্ষা (14) পরমেশ্বর ভগবান (25) পূজা পার্বন (43) পৌরানিক কাহিনী (8) প্রশ্নোত্তর (39) প্রাচীন শহর (19) বর্ন ভেদ (14) বাবা লোকনাথ (1) বিজ্ঞান ও সনাতন ধর্ম (39) বিভিন্ন দেশে সনাতন ধর্ম (11) বেদ (35) বেদের বানী (14) বৈদিক দর্শন (3) ভক্ত (4) ভক্তিবাদ (43) ভাগবত (14) ভোলানাথ (6) মনুসংহিতা (1) মন্দির (38) মহাদেব (7) মহাভারত (39) মূর্তি পুজা (5) যোগসাধনা (3) যোগাসন (3) যৌক্তিক ব্যাখ্যা (26) রহস্য ও সনাতন (1) রাধা রানি (8) রামকৃষ্ণ দেবের বানী (7) রামায়ন (14) রামায়ন কথা (211) লাভ জিহাদ (2) শঙ্করাচার্য (3) শিব (36) শিব লিঙ্গ (15) শ্রীকৃষ্ণ (67) শ্রীকৃষ্ণ চরিত (42) শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু (9) শ্রীমদ্ভগবদগীতা (40) শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা (4) শ্রীমদ্ভাগব‌ত (1) সংস্কৃত ভাষা (4) সনাতন ধর্ম (13) সনাতন ধর্মের হাজারো প্রশ্নের উত্তর (3) সফটওয়্যার (1) সাধু - মনীষীবৃন্দ (2) সামবেদ সংহিতা (9) সাম্প্রতিক খবর (21) সৃষ্টি তত্ত্ব (15) স্বামী বিবেকানন্দ (37) স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (14) স্মরনীয় যারা (67) হরিরাম কীর্ত্তন (6) হিন্দু নির্যাতনের চিত্র (23) হিন্দু পৌরাণিক চরিত্র ও অন্যান্য অর্থের পরিচিতি (8) হিন্দুত্ববাদ. (83) shiv (4) shiv lingo (4)

আর্টিকেল সমুহ

অনুসরণকারী

" সনাতন সন্দেশ " ফেসবুক পেজ সম্পর্কে কিছু কথা

  • “সনাতন সন্দেশ-sanatan swandesh" এমন একটি পেজ যা সনাতন ধর্মের বিভিন্ন শাখা ও সনাতন সংস্কৃতিকে সঠিকভাবে সবার সামনে তুলে ধরার জন্য অসাম্প্রদায়িক মনোভাব নিয়ে গঠন করা হয়েছে। আমাদের উদ্দেশ্য নিজের ধর্মকে সঠিক ভাবে জানা, পাশাপাশি অন্য ধর্মকেও সম্মান দেওয়া। আমাদের লক্ষ্য সনাতন ধর্মের বর্তমান প্রজন্মের মাঝে সনাতনের চেতনা ও নেতৃত্ত্ব ছড়িয়ে দেওয়া। আমরা কুসংষ্কারমুক্ত একটি বৈদিক সনাতন সমাজ গড়ার প্রত্যয়ে কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের এ পথচলায় আপনাদের সকলের সহযোগিতা কাম্য । এটি সবার জন্য উন্মুক্ত। সনাতন ধর্মের যে কেউ লাইক দিয়ে এর সদস্য হতে পারে।