• মহাভারতের শহরগুলোর বর্তমান অবস্থান

    মহাভারতে যে সময়ের এবং শহরগুলোর কথা বলা হয়েছে সেই শহরগুলোর বর্তমান অবস্থা কি, এবং ঠিক কোথায় এই শহরগুলো অবস্থিত সেটাই আমাদের আলোচনার বিষয়। আর এই আলোচনার তাগিদে আমরা যেমন অতীতের অনেক ঘটনাকে সামনে নিয়ে আসবো, তেমনি বর্তমানের পরিস্থিতির আলোকে শহরগুলোর অবস্থা বিচার করবো। আশা করি পাঠকেরা জেনে সুখী হবেন যে, মহাভারতের শহরগুলো কোনো কল্পিত শহর ছিল না। প্রাচীনকালের সাক্ষ্য নিয়ে সেই শহরগুলো আজও টিকে আছে এবং নতুন ইতিহাস ও আঙ্গিকে এগিয়ে গেছে অনেকদূর।

  • মহাভারতেের উল্লেখিত প্রাচীন শহরগুলোর বর্তমান অবস্থান ও নিদর্শনসমুহ - পর্ব ০২ ( তক্ষশীলা )

    তক্ষশীলা প্রাচীন ভারতের একটি শিক্ষা-নগরী । পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের রাওয়ালপিন্ডি জেলায় অবস্থিত শহর এবং একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান। তক্ষশীলার অবস্থান ইসলামাবাদ রাজধানী অঞ্চল এবং পাঞ্জাবের রাওয়ালপিন্ডি থেকে প্রায় ৩২ কিলোমিটার (২০ মাইল) উত্তর-পশ্চিমে; যা গ্রান্ড ট্রাঙ্ক রোড থেকে খুব কাছে। তক্ষশীলা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৫৪৯ মিটার (১,৮০১ ফিট) উচ্চতায় অবস্থিত। ভারতবিভাগ পরবর্তী পাকিস্তান সৃষ্টির আগ পর্যন্ত এটি ভারতবর্ষের অর্ন্তগত ছিল।

  • প্রাচীন মন্দির ও শহর পরিচিতি (পর্ব-০৩)ঃ কৈলাশনাথ মন্দির ও ইলোরা গুহা

    ১৬ নাম্বার গুহা, যা কৈলাশ অথবা কৈলাশনাথ নামেও পরিচিত, যা অপ্রতিদ্বন্দ্বীভাবে ইলোরা’র কেন্দ্র। এর ডিজাইনের জন্য একে কৈলাশ পর্বত নামে ডাকা হয়। যা শিবের বাসস্থান, দেখতে অনেকটা বহুতল মন্দিরের মত কিন্তু এটি একটিমাত্র পাথরকে কেটে তৈরী করা হয়েছে। যার আয়তন এথেন্সের পার্থেনন এর দ্বিগুণ। প্রধানত এই মন্দিরটি সাদা আস্তর দেয়া যাতে এর সাদৃশ্য কৈলাশ পর্বতের সাথে বজায় থাকে। এর আশাপ্সহ এলাকায় তিনটি স্থাপনা দেখা যায়। সকল শিব মন্দিরের ঐতিহ্য অনুসারে প্রধান মন্দিরের সম্মুখভাগে পবিত্র ষাঁড় “নন্দী” –র ছবি আছে।

  • কোণারক

    ১৯ বছর পর আজ সেই দিন। পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে সোমবার দেবতার মূর্তির ‘আত্মা পরিবর্তন’ করা হবে আর কিছুক্ষণের মধ্যে। ‘নব-কলেবর’ নামের এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দেবতার পুরোনো মূর্তি সরিয়ে নতুন মূর্তি বসানো হবে। পুরোনো মূর্তির ‘আত্মা’ নতুন মূর্তিতে সঞ্চারিত হবে, পূজারীদের বিশ্বাস। এ জন্য ইতিমধ্যেই জগন্নাথ, সুভদ্রা আর বলভদ্রের নতুন কাঠের মূর্তি তৈরী হয়েছে। জগন্নাথ মন্দিরে ‘গর্ভগৃহ’ বা মূল কেন্দ্রস্থলে এই অতি গোপনীয় প্রথার সময়ে পুরোহিতদের চোখ আর হাত বাঁধা থাকে, যাতে পুরোনো মূর্তি থেকে ‘আত্মা’ নতুন মূর্তিতে গিয়ে ঢুকছে এটা তাঁরা দেখতে না পান। পুরীর বিখ্যাত রথযাত্রা পরিচালনা করেন পুরোহিতদের যে বংশ, নতুন বিগ্রহ তৈরী তাদেরই দায়িত্ব থাকে।

  • বৃন্দাবনের এই মন্দিরে আজও শোনা যায় ভগবান শ্রীকৃষ্ণের মোহন-বাঁশির সুর

    বৃন্দাবনের পর্যটকদের কাছে অন্যতম প্রধান আকর্ষণ নিধিবন মন্দির। এই মন্দিরেই লুকিয়ে আছে অনেক রহস্য। যা আজও পর্যটকদের সমান ভাবে আকর্ষিত করে। নিধিবনের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা রহস্য-ঘেরা সব গল্পের আদৌ কোনও সত্যভিত্তি আছে কিনা, তা জানা না গেলেও ভগবান শ্রীকৃষ্ণের এই লীলাভূমিতে এসে আপনি মুগ্ধ হবেনই। চোখ টানবে মন্দিরের ভেতর অদ্ভুত সুন্দর কারুকার্যে ভরা রাধা-কৃষ্ণের মুর্তি।

১৯ মে ২০১৯

আসুন আজ সনাতন ধর্মের বিভিন্ন সময়ের হিসেব জানি

সত্যযুগ=১৭,২৮,০০০ বছর
ত্রেতাযুগ= ১২,৯৬,০০০ বছর
দ্বাপরযুগ= ৮,৬৪,০০০ বছর
কলিযুগ= ৪,৩২,০০০ বছর
চারযুগ মিলে এক চতুর্যুগ= ৪.৩২ মিলিয়ন বছর
১০০০ চতুর্যুগ= এক “কল্প”= ব্রহ্মার একদিন= ব্রহ্মার একরাত= ৪.৩২ বিলিয়ন বছর
১০০ বছর হল ব্রহ্মার আয়ু= আমাদের এই ব্রহ্মান্ডের আয়ু= ৩১১.০৪ ট্রিলিয়ন বছর।
আবার এক “কল্প” সময়ের মধেয় ১৪ জন মনু আসেন। প্রথম মনুকে বলা হয় স্বায়ম্ভুব মনু এবং তাঁর স্ত্রী হলেন স্বতরুপা(এই ব্রহ্মান্ডের প্রথম নারী ও পুরুষ)। প্রত্যেক মনুর সময়কালকে বলা হয় মন্বন্তর।

.
১ মন্বন্তর= ৭১ চতুর্যুগ= ৩০৬.৭২ মিলিয়ন বছর
ছয়জন মনু গত হয়েছেন, মানে ৬টি মন্বন্তর চলে গিয়েছে। আমরা আছি সপ্তম মনুর অধীনে যাঁর নাম “বিবস্বত মনু”। তার মানে, এই মনুর পরে আরও ৭ জন মনু আসবেন, আরও ৭ টি মন্বন্তর অতিবাহিত হবে। তারপর পূর্ণ হবে ব্রহ্মার একদিন!! তারপর হবে রাতের শুরু!!
.
এখন গীতা কি বলে দেখি:-
“মনুষ্যমানের সহস্র চতুর্যুগে ব্রহ্মার একদিন হয় এবং সহস্র চতুর্যুগে তাঁর এক রাত হয়।…………।
ব্রহ্মার দিনের সমাগমে সমস্ত জীব অব্যক্ত থেকে অভিব্যক্ত হয় এবং ব্রহ্মার রাত্রির সমাগমে সমস্ত জীব আবার অব্যক্তে লয়প্রাপ্ত হয়।”গীতা-৮/১৭-১৮
“…কল্পের শেষে সমস্ত জড় সৃষ্টি আমারই প্রকৃতিতে প্রবেশ করে এবং পুনরায় কল্পের শুরুতে প্রকৃতির দ্বারা আমি তাদের সৃষ্টি করি।”গীতা-৯/৭
“……আমার অধ্যক্ষতার দ্বারা(পরিচালনায়) জড়া প্রকৃতি এই চরাচর বিশ্ব সৃষ্টি করে। প্রকৃতির নিয়মে এই জগৎ পুনঃ পুনঃ সৃষ্টি হয় এবং ধ্বংস হয়।”
.
বিঃ দ্রঃ হিন্দুদের প্রচার বিমুখতার জন্য এই গুরুত্বপূর্ণ বৈজ্ঞানিক বিষয়গুলো আজও শুধু ধর্মগ্রন্থের পাতায় সীমাবদ্ধ! অন্যের প্রশ্নের সামনে আমরা নুয়ে পড়ি, না জানার লজ্জায়, অথচ কতো সমৃদ্ধ আমাদের ইতিহাস। সারা জীবন আমরা অন্যের উপহাসের পাত্রই রয়ে গেলাম, শুধু নিজেদের সম্বন্ধে না জানার জন্য। তাই সত্যকে জানুন, জানিয়ে দিন সবাইকে।
.
সনাতন ধর্মের ইতিহাস:-
অনেকেই বলে সনাতন ধর্মের ইতিহাস নেই, আবার অনেকেই নানা রকম যুক্তি দিয়ে আসল জিনিসটা এড়িয়ে যায় না জানার কারণে, সনাতন ধর্মের ইতিহাস আছে কিনা, তা আজ দ্বিতীয়বারের মত আমি তুলে ধরার চেষ্টা করব আপনাদের সামনে।
পুরাণ পড়ুন ও ডাউনলোড করুন - বাংলায়
আমরা জেনেছি, আমাদের এই ব্রহ্মান্ডের জীব সৃষ্টির দায়িত্বে নিয়োজিত দেবতা প্রজাপতি ব্রহ্মার(চতুর্মুখ ব্রহ্মার) আয়ু তথা এই ব্রহ্মান্ডের আয়ু হল ১০০ বছর(মহাভারত অনুযায়ী এক বছর= ৩৬০ দিন) মানে আমাদের সময় অনুযায়ী ৩১১.০৪ ট্রিলিয়ন বছর। ব্রহ্মার আয়ু তথা ১০০ বছর শেষ হলে ঘটবে মহাপ্রলয় বা প্রাকৃতিক প্রলয়, এই পুরা ব্রহ্মান্ড(স্থাবর জঙ্গম যা কিছু আছে) ধ্বংসপ্রাপ্ত হবে।
.
ব্রহ্মার ১ মাস= ৩০ দিন, এই ৩০ দিনে ৩০ টি কল্প গত হয়, কল্প বলতে প্রধানত কেবল দিবাভাগকে ফোকাস করা হয়, রাত নয়। ৩০ টি কল্পের ৩০ টি নাম আছে। প্রথম কল্পের নাম শ্বেত-বরাহ কল্প বা অনেক জায়গায় আছে শ্বেত কল্প।
এই কল্পের ১৪ জন মনুর নাম হলঃ স্বায়ম্ভুব, স্বরোচিষ, উত্তম, তামস, রৈবত, চাক্ষুস, বৈবস্বত বা সত্যব্রত, সাবর্ণি, দক্ষসাবর্ণি, ব্রহ্মসাবর্ণি, ধর্মসাবর্ণি, রুদ্রসাবর্ণি, দেবতাসাবর্ণি ও ইন্দ্রসাবর্ণি। কল্প হল ব্রহ্মার দিন বা দিবাভাগ, আরও জানুন, ২ কল্পের সমান সমাম সময়= ব্রহ্মার ১ দিন + ১ রাত; কিন্তু কল্প বলতে কেবল দিবাভাগকেই ফোকাস করা হয়। এখানে মনে রাখা দরকার, প্রত্যেক মন্বন্তর শেষে একটি করে খন্ড প্রলয় ঘটে, এই সময়ে পৃথিবী এবং জীবসমুহ অব্যক্ত বা লয়প্রাপ্ত হয়। আর ব্রহ্মার দিন বা কল্পের শেষে ঘটে নৈমিত্তিক প্রলয়। এক্ষেত্রে গীতা বলে “…কল্পের শেষে সমস্ত জড় সৃষ্টি আমারই প্রকৃতিতে প্রবেশ করে এবং পুনরায় কল্পের শুরুতে প্রকৃতির দ্বারা আমি তাদের সৃষ্টি করি।”গীতা-৯/৭
তাহলে ব্রহ্মার এক বছরে আসেন ৫০৪০ জন মনু, এবং ব্রহ্মার আয়ুষ্কাল তথা এই ব্রহ্মান্ডের আয়ুষ্কাল জুড়ে মোট ৫০৪,০০০ জন মনু আসেন এবং তাঁরা আসেন ভিন্ন ভিন্ন নামে। একেকজন মনুর আয়ুষ্কাল হল ৩০৬.৭২ মিলিয়ন বছর এবং এই সময় হল মহাবিষ্ণুর এক নিঃশ্বাস নিতে যেটুকু সময় লাগে সেইটুকু!!! মহাবিষ্ণুর প্রত্যেকটি শ্বাস-প্রশ্বাসের সাথে সাথে একজন করে মনু আসে আর যায় তথা একটি করে মন্বন্তর শেষ হয়।
.
আমি বলেছিলাম, এটা সপ্তম মন্বন্তর চলছে আর আমরা সপ্তম মনু “বৈবস্বত মনু” এর অধীনে আছি। তাঁর আরেক নাম সত্যব্রত। তিনি সূর্যদেব বিবস্বানের পুত্র। এ প্রসঙ্গে আমরা গীতার জ্ঞানযোগ নামক ৪র্থ অধ্যায়ের প্রথম শ্লোকে দেখতে পাই,
“……আমি পূর্বে সূর্যদেব বিবস্বানকে এই অব্যয় নিষ্কাম কর্মসাধ্য জ্ঞানযোগ বলেছিলাম। তিনি তা মানবজাতির জনক বৈবস্বত মনুকে বলেছিলেন। মনু আবার তা নিজ সন্তান ইক্ষাকুকে বলেছিলেন।”
.
অর্থাৎ অবতার হিসেবে শ্রীকৃষ্ণের জন্মের আগেও সর্বশেষ প্রায় ১২০.৫৩ মিলিয়ন বছর আগে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ সূর্যদেব বিবস্বানকে গীতাজ্ঞান দান করেছিলেন। কিন্তু কালের প্রবাহে তা ধীরে ধীরে নষ্ট বা বিলুপ্ত হয়, মানুষ ভুলে যায়, তাই ৫০০০ বছর আগে জন্মগ্রহণ করে আবার অর্জুনকে তিনি এই জ্ঞান দান করেন, এবং ঋষি ব্যাসদেব তা লিপিবদ্ধ করায় একই সাথে সারা পৃথিবীর মানবজাতিও আবার এই পবিত্র গীতা জ্ঞানের সান্নিধ্য লাভ করে....।।।

Post: Rajib Shil
Share:

শুকদেব গোস্বামীর আবিৰ্ভাব।

 একবার মহাদেব পাৰ্বতীদেবীকে নিয়ে নিৰ্জন স্থানে দিকবন্ধন করে বসে শ্ৰীমদ্ভাগবতম কীৰ্তন করছিলেন। ভাগবত কথার প্রারম্ভে মহাদেব পাৰ্বতীকে শর্ত দিলেন যে, ভাগবত কথা চলাকালে পাৰ্বতীদেবী যে গভীর মনোযোগ সহকারে শুনছেন, তার প্রমাণস্বরপ তিনি যেনো ''হু'' বলে সায় দেন।

যথারীতি ভাগবত কথা শুরু হলো। কিছুক্ষণ অতিবাহিত হলে পাৰ্বতীদেবী ভাগবত কথা শুনতে শুনতেখনিদ্ৰাচ্ছন্ন হলেন। যে বৃক্ষের নিচে মহাদেব ভাগবত কথা বলছিলেন, সে বৃক্ষে অবস্থান করে একটি শুকপাখিও ভাগবত কথা শ্ৰবণ করছিলো। পাখিটি দেখলো যে, পাৰ্বতী দেবী ঘুমিয়ে গেছেন। তখন ভাগবত কথা বন্ধ হয়ে যাবে ভেবে পাৰ্বতীদেবীর বদলে পাখিটিই ''হু'' দিতে থাকলো।

এদিকে মহাদেব তন্ময় হয়ে সম্পূৰ্ণ ভাগবত কথা শ্ৰবণ করালেন। চোখ খুলে দেখতে পেলেন, দেবী পাৰ্বতী ঘুমিয়ে পড়েছেন। তখন মহাদেবের মনে প্রশ্নের উদয় হলো, 'তাহলে ‘হু’ দিলো কে?' চারদিকে তাকিয়ে তিনি বৃক্ষের ডালে ঐ পাখিটিকে দেখতে পেলেন। পাৰ্বতীদেবীর পরিবর্তে পাখিটি ‘হু’ দিছিলো। তাছাড়া ভাগবতের অতি গুহ্য লীলাকথা সাধারণ একটি শুকপাখি শ্ৰবণ করেছে ভেবে মহাদেব অত্যন্ত ক্রদ্ধ হয়ে ত্ৰিশুল হাতে পাখিটিকে তাড়া করলেন। প্রাণভয়ে পাখিটি দিকবিদিক শূন্য হয়ে পলায়ন করতে লাগলো।


মহাদেবও তার পেছনে পেছনে ধাবিত হলেন। এদিকে ব্যাসদেবও তাঁর স্ত্ৰীকে ভাগবত কথা শ্ৰবণ করাচ্ছিলেন। তিনিও তখন ভাগবত কথা শুনতে শুনতে হা করে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। ঠিক তখনই শুকপাখিটি প্ৰাণ বাঁচানোর কোনো উপায় না পেয়ে ব্যাসদেবের স্ত্রীর মুখে প্ৰবেশ করলো।

তৎক্ষণাৎ মহাদেবও সেখানে উপস্থিত হয়ে, পাখিটিকে ব্যাসদেবের স্ত্রীর মুখে প্ৰবেশ করতে দেখে অভিশাপ দিলেন যে, পাখিটি যেখানে প্ৰবেশ করেছে, সেখানে তাকে ষোল বছর মতান্তরে বারো বছর, থাকতে হবে। শ্রীল ব্যাসদেব মহাদেবকে দেখামাত্ৰই ব্যাসদেব প্ৰণাম নিবেদন করলেন এবং তাঁকে ক্ৰোধান্বিত দেখে ক্রোধের কারণ জিজ্ঞেস করলেন। তখন মহাদেব সমস্ত বৃত্তান্ত খুলে বললেন। ব্যাসদেব মহাদেবের সন্তুষ্টি বিধানের জন্য বললেন, “ হে দেবাদিদেব, যিনি আপনার শ্ৰীমুখ থেকে ভাগবত কথা শ্ৰবণ করেছেন, তিনি তো মহাভাগ্যবান এবং আপনার আশীৰ্বাদের যোগ্য।"

আশুতোষ মহাদেব প্ৰসন্ন হয়ে, সেই শুকপাখিটিকে আশীৰ্ব্বাদ করলেন, “পাখিটি আমার কাছ থেকে যে ভাগবতকথা শ্ৰবণ করেছে, তা সম্পূৰ্ণরপে তার হৃদয়ে অক্ষত থাকুক।" এই বলে তিনি প্ৰস্থান করলেন।

মহাদেবের অভিশাপে ষোলো বছর সেই শুকপাখিটি ব্যাসদেবের স্ত্রীর গর্ভে অবস্থান করছিলো। ভাগবতের বীর্যবতী কথা শ্ৰবণ করার ফলে, সেই শুকপাখি মহাভাগবত শুকদেব গোস্বামীতে রুপান্তরিত হলেন। মাতৃগৰ্ভে অবস্থানকালেও তিনি নিত্য তার পিতা ব্যাসদেবের কাছ থেকে ভাগবত শ্ৰবণ করতেন।

ইতোমধ্যে ষোল বছর অতিক্ৰান্ত হলেও শুকদেব গোস্বামী এ জড়জগতের মায়ায় প্ৰবেশ করতে অনিচ্ছা প্ৰকাশ করলেন। এমতাবস্থায় ব্যাসদেব তাকে বুঝিয়ে বললেন, “বৎস, তুমি ভূমিষ্ট হও নতুবা তোমার মাতৃহত্যা জনিত পাপ হবে।"

তাতেও শুকদেব গোস্বামীর কোনো প্ৰতিক্ৰিয়া না হলে, ব্যাসদেব উপায়ান্তর না দেখে ভগবান শ্ৰীকৃষ্ণের কাছে গেলেন। তখন ভগবান স্বয়ং শুকদেব গোস্বামীকে প্ৰবোধ দিলেন, “এ জগতে আবির্ভাব হলেও আমার মায়া কখনোই তোমাকে স্পৰ্শ করতে পারবে না।"

 শুকদেব গোস্বামী ভগবানের আশীৰ্বাদ প্ৰাপ্ত হয়ে বললেন, “এ জগতে ভূমিষ্ট হলেও আমি এ জগতের কোনো বন্ধনে আবদ্ধ না হয়ে বনে গমন করবো।"

যথারীতি আবিস্তৃত হয়ে, ষোড়শ বৰ্ষীয় যুবক শুকদেব গোস্বামী দিগম্বর বেশে অন্য কোনো দিকে না তাকিয়ে বনে গমন করেন। তখন ব্যাসদেব হা পুত্ৰ! হা পুত্ৰ! বলে শুকদেব গোস্বামীর পেছন পেছন ধাবিত
হলেন।
''যং প্ৰজন্তমনুপেতমপেতকৃত্যং
দ্বৈপায়নো বিরহকাতর আজুহাব।
পুত্ৰেতি তনুয়াতিয়া তরবোেহভিনেদু
স্তং সৰ্বভূতহদয়ং মুনিমানতোহম্মি'।।"

পুত্ৰকে ধরতে না পেরে বিরহকাতর পিতা ব্যাসদেব বনের ব্যাধদের ভাগবতের দুটি শ্লোক শিখিয়ে দিলেন। যা শুকদেব গোস্বামীকে শ্ৰবণ করানোর মাধ্যমে পুনরায় তাকে ফিরিয়ে আনা হলো। তারপর তিনি তার পিতা ব্যাসদেবের আনুগত্যে পুনরায় ভাগবত অধ্যয়ন করলেন। এর পর কলিযুগে মহারাজ পরিক্ষিতকে তিনি সাতদিন ব্যাপী শ্রীমদ্ভাগবতম শ্রবন করান এবং বলেন, শ্রীমদ্ভাগবতে নির্দেশখরয়েছে,
"কলের্দোষনিধে রাজন্ অস্তি হ্যেকো মহান্ গুণঃ।
কীর্তনাদেব কৃষ্ণস্য মুক্তসঙ্গ পরং ব্রজেৎ॥"

অর্থাৎ, “হে রাজন্! কলিযুগ সমস্ত দোষের আকর। কিন্তু এই কলিযুগে একটি মাত্র মহান গুণ রয়েছে। তা হলো কেবলমাত্র শ্রীকৃষ্ণের নাম কীর্তন করে জীব সংসার-বন্ধন মুক্ত হয়ে ভগবানকে লাভ করতে পারে।"

শ্রীমদ্ভাগবতে (১২/৩/৫১-৫২) বলা হয়েছে,
"কৃতে যৎ ধ্যায়তো বিষ্ণুং ত্রেতায়াং যজতো মখৈঃ।
দ্বাপরে পরিচর্যায়াং কলৌ তদ্ হরিকীর্তনাৎ॥"

 অর্থাৎ, “সত্যযুগে ধ্যান, ত্রেতাযুগে যজ্ঞ, আর দ্বাপরযুগে অর্চন দ্বারা যা লাভ হয়, কলিযুগে কেবলমাত্র শ্রীকৃষ্ণনাম সংকীর্তন দ্বারা তা লাভ হয়ে থাকে। তাই প্রত্যেকের উচিত ভগবানের দিব্য নাম কীর্ত্তণ ও জপ করা।"
“হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ
কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে
হরে রাম হরে রাম
রাম রাম হরে হরে।।”


পরমকরুনাময় গোলোকপতি সচ্চিদানন্দ ভগবান, পরমেশ্বর শ্রীকৃষ্ণ ও তাঁর একান্ত হ্লাদিনী শক্তি শ্রীমতী রাধারাণী আর সকল ভক্ত-পার্ষদদের শ্রীচরণকমলে নিরন্তর প্রার্থনা করি, সকলের জীবন যেনো রাধাকৃষ্ণময়তায় পূর্ণ হয়ে, মঙ্গলময়, কল্যাণময়, ভক্তিময়, সুন্দরময় আর আনন্দময় হয়ে ওঠে।

"হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ
কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে
হরে রাম হরে রাম
রাম রাম হরে হরে!!"
!!জয় হোক সকল ভক্তদের!!
!!জয় শ্রীল সুকদেব গোস্বামী!!
!!জয় শ্রীকৃষ্ণ!! জয় রাধে!!

(দেবেন্দ্র)
Share:

১৬ মে ২০১৯

কিছু লোকজন প্রশ্ন করে কেন বিয়ের পর মেয়েরা শাখা,সিদুর,নোয়া পড়ে?

দাম্পত্য জীবনের মঙ্গল কামনার জন্য যদি এইগুলো পড়েন! তবে শহুড়ে মানুষেরা এইগুলো পড়েনা বলে কি মঙ্গল হয়না? কেন এটা মেয়েদেরই পড়তে হয়? বিবাহের চিহ্ন তো পুরুষের ক্ষেত্রেও থাকা উচিৎ! তবে কেন নয়?

প্রথমেই বলে রাখা ভালো,
যদি কেউ এই সিঁদুর পরিধান না করে, তবে তার কারনে তাকে নরক বাস করতে হবে! এমন কোন বিষয় পাওয়া যায়নি। তবে যদি আপনি সনাতনধর্মাবলম্বী হোন, তবে আপনার রীতিতে বিশ্বাস প্রাধান্য থাকা আবশ্যিক। আর আরেকটি বিষয় হলো,

যদি কোন প্রথা বা রীতির কারনে ক্ষতি সাধন হয়। তবে সেটাকে প্রশ্ন বিদ্ধ করে, বাদ দেওয়া ধর্ম স্থাপনার মতো একটি মহৎ কাজ হয়ে দাঁড়ায়। কিন্ত আপনি কি এই প্রথার আদি থেকে অন্ত পর্যন্ত কোন এমন ঘটনার উল্লেখযোগ্য উদাহরণ পাবেন? যেটার দ্বারা প্রমানিত করা যায়, এইগুলো দেওয়া একটি খারাপ বিষয়?

নিশ্চিত থাকতে পারেন, আপনি একটাও উল্লেখ্যযোগ্য বিষয় তুলে ধরতে পারবেন নাহ। তবে আমি এইগুলো নিয়ে অনেক গুলো যৌক্তিক ও ভালো দিক তুলে ধরতে পারবো। এই বিষয় গুলোকে সনাতনধর্ম অনেক প্রবিত্র হিসেবে ধরা হয়ে থাকে। আমি এই বিষয় গুলো সম্পরকে কিছু বিষয় তুলে ধরি,

সিঁদুর,শাখা,নোয়া হলো সনাতনী বিবাহিত নারীদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সিঁদুর যা বিবাহিত নারীরা তাদের সিথিতে দিয়ে থাকেন। সিঁদুর কে শাস্ত্র ও ধর্মীয় দৃষ্টিকোনে রজঃগুন হিসেবে ধরা হয়। আর এই রজঃগুন এর সাথে রজঃস্রাব তথা ঋতুস্রাব (মাসিকের) সম্পর্ক ও আছে,

এই সিঁদুরে মার্কারি তথা পারদের মতো ধাতু পাওয়া যায়। আর শাখা যার মধ্যে ক্যালসিয়াম নিহিত আছে আর নোয়া থেকে পাওয়া যায় আয়রন। এই তিনটি যা নারীর রজঃস্রাব এর ক্ষতিপূরণ সাধনে অনেক বড় ভূমিকা রাখে। এই মাসিক তথা ঋতুস্রাব কে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে,

অন্ধ্রপ্রদেশে এখনও একটা রীতি প্রচলিত আছে যে, কোন মেয়ে যদি প্রথমবার মাসিক তথা ঋতুস্রাব হয়। তবে তাকে পুজো সহ অনুষ্ঠান করা হয়, এই উপলক্ষ্যে। এই বিষয়টি সৃষ্টির অন্যতম এক মহাকারন। তাই এটিকে অতি প্রবিত্রতার সহিত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে ধরে। এই বিষয়গুলো নারীদের পড়ার রীতি প্রচলিত।

আর যেহুতু এই ঋতুস্রাব নারীদেরই হয়, তাদের জন্য এইগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেটা পুরুষদের পড়ার প্রয়োজন হয়না। তবে এই সিঁদুর বা টীকা দেওয়ার বিষয়ে নারীর মতো পুরুষেরও কিছু উল্লেখ্য পাওয়া যায়। আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন না যে,

প্রাচীন ভারতে কুঙকুমচর্চা ছিলো। যা নারী ও পুরুষের উভয়ের ক্ষেত্রেই প্রাধান্য দেওয়া হতো। ব্রহ্মচর্য কালে মাথায় টিকি বা শিখার সহিত মাথায় সিঁদুর বা তিলকের দ্বারা অংকিত রাখা হতো কপাল কে। আর বিবাহের পর যারা ব্রহ্মচর্য থেকে সাময়িক বিরতি নিত। তখন তার শিখা কে সাময়িক বিরতি দিত।

এখনও বিয়ের সময় পৃথিবীর একমাত্র হিন্দুরাষ্ট্র হিসেবে উপাধি পাওয়া নেপালে রীতি আছে, বিবাহের সময় স্বামী ও স্ত্রীর উভয়েরই কারো কপাল, কারো সীঁথি কে সিঁদুর দ্বারা অংকিত করার। আর এখনও অনেক সাধু-সন্ন্যাসী তাদের কপাল সহ সীঁথি কে সিঁদুর, গেরুয়া রঙ কিংবা তিলক দ্বারা আবৃত করে রাখেন।

তবে উল্লেখ্য শাক্ত মতে এখনও সিঁদুর কে নারী পুরুষ উভয়েই কেউ কপালে, কেউ সীথিতে ধারন করেন। আমি নিজেও পূজা, কোন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সিঁদুর অথবা তিলক দ্বারা কপাল অংকিত করি। আর এটা আজকাল অনেকেই করে। তবে আমরা সব প্রশ্নের ক্লিয়ার উত্তর পেলেও ওখানে যে প্রশ্নের সমাধান দেওয়া হয়নি তা হলো,

কেউ যদি সিঁদুর পড়তে না চান! তবে সেটা তার একান্তই ব্যক্তিগত বিষয়। কিন্ত শহুড়ে ও আধুনিকতার জীবন গুলোতেই কিন্ত সাংসারিক বিচ্ছেদ অনেক বেশী। সংবাদমাধ্যম এর জরিপে উঠে এসেছে, শহুরে জীবন তথা যেখানে আধুনিকতার নামে ধর্মীয় বিষয়গুলো মানা হয়না, সেখানে বিবাহ বিচ্ছেদ খুব বেশী পরিমানে হয়ে থাকে। সত্যতা জানতে অনলাইন তথ্য ও অনলাইন পোর্টাল দেখুন।

এই সিঁদুর পড়লে বুঝা যায়, নারী বিবাহিত। আর পূর্বে শিখা রাখা হতো, ব্রহ্মচর্য পালনের প্রতীক হিসেবে। এখন কি বলা যাবে, নারীরা সিঁদুর পড়বে, ছেলেরা পড়বেনা! এটা অনুচিত। তবে তো এটাও বলতে হয়, ছেলেরা শিখা রাখতো ব্রহ্মচর্য তথা সংযত এর জন্য! তার মানে কি মেয়েরা রাখেনা, সংযত নয়।

আসলে এইগুলো হলো একপ্রকার মনস্তাত্ত্বিক চিন্তাধারা। বিবাহ হলো প্রবিত্র বন্ধন। এখানে কে কি পরিধান করবে না করবে সেটা তেমন গুরুত্বপূর্ণ অপেক্ষা, দুজনদুজনকে ভালবাসা ও বিশ্বাস দ্বারা আজীবন আগলে রাখবে সেটাই হলো মুল বিষয়। পুরুষের ঋতুচক্র এর মত বিষয় থাকলে, তবে তাদেরও এইগুলো পড়া উচিত ছিল।

মনস্তাত্ত্বিক বিষয় হলো,
সিঁদুর যেরুপ নারীকে অপর পুরুষের লোলুপ দৃষ্টি ও পরকীয়া থেকে রক্ষা করছে। আর এর জন্য নারীদের প্রতি অবনত কৃতজ্ঞতা! তারা এই পুরুষের লোলুপ দৃষ্টিকে উপেক্ষা করছেন। যদিও পুরুষদের এমন হওয়া অনুচিত। কিন্ত তারা আমাদের জন্য ত্যাগ স্বীকারের মত সিঁদুর পরিধান করে, আমাদের লোলুপ দৃষ্টি প্রতিহত করছেন।

আর বিশ্বাসই সম্পর্ক এর মুল ভরসা। বাকীসব সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার মাধ্যম মাত্র।

আরো অনেক কিছু বলার ছিলো। কিন্ত আর টাইপিং সম্ভব না বলে লিখতে পারছিনা। এর জন্য দুঃখিত।
আশাকরি পাঠকগন সকলে বুঝবেন বিষয়টি। আর তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ভালবাসা, যারা আমার লেখাসমুহ প্রতিনিয়ত পড়েন।

ধন্যবাদ
ভালো থাকুন, ভালো রাখুন।

Collected from :
Rupon Kumar Dev
Share:

০৯ মে ২০১৯

বিষ্ণু পুরানে সৃষ্টিতত্ত্ব

 প্রথমে এ বিশ্বব্রহ্মান্ড সৃষ্টির পুর্বে এই মহাবিশ্বে কিছুই ছিল না সম্পূর্ন শূন্য ছিল। সেই শূন্যতার সৃষ্টি মহাজ্যোতি পূঞ্জ থেকে। সেই জ্যোতি ধীরে ধীরে মানুষ রূপ ধারন করে। সেই আদি পূরুষ হচ্ছে ভগবান নারায়ন।  তারপর নারায়ন যোগ নিদ্রায় মগ্ন হয়। সেই যোগ নিদ্রা থেকে ব্রহ্মজল নির্গত হয় ও ক্ষীর সাগরের তৈরী হয়। এরপর শ্রী নারায়নের নাভী থেকে একটি পদ্মফুলের কলি সৃষ্টি হয় এবং নারায়নের একটি প্রতিরুপ গিয়ে ঐ পদ্মফুলকে প্রস্ফুটিত করে।



ঐ পদ্মথেকে ব্রহ্মার সৃষ্টি হয়। এরপর নারায়নের ভ্র থেকে একটি রুদ্রাক্ষের সৃষ্টি হয়। পরে নারায়নের একটি প্রতিরূপ গিয়ে তার বিষ্ফোরন ঘটিয়ে শিবের সৃষ্টি করে। এরপর ব্রহ্মা ও শিব নারায়নের স্তুতি করে ও তাঁদের পরিচয় জানতে চান, তাঁরা বলেন হে জগদীশ জন্ম যখন দিয়েছেন পরিচয়ও দিন। তখন শ্রী নারায়ন মধুর হাসি হেসে বলেন আমিও যা আপনারাও তা। আমার প্রতিরূপ আপনারা। হে পঞ্চমুখি আপনি ব্রহ্মা (ব্রহ্মা প্রথমে পাঁচ মুখ বিশিষ্ট ছিল এরপর শিব ত্রিশূল দিয়ে একবার ব্রহ্মার একটি মস্তক কাটেন ও ব্রহ্মার পূজা নিশিদ্ধ করেন) আর হে জটাধারী হে ত্রিনেত্রেশ্বর আপনি শিব। আমরা.তিনজন ত্রিদেব।

শ্রী নারায়নের এই উত্তরের পর ব্রহ্মা ও শিব তাঁদের জন্মের উদ্দেশ্য জানতে চাইলেন। তখন শ্রী নারায়ন বললেন, হে ব্রহ্মা, হে মহেশ্বর এই সংসারে জন্ম নিলে তাকে কর্মও করতে হয়। আপনাদেরও কর্ম করতে হবে। হে ব্রহ্মা আপনি সৃষ্টিকর্তা আপনি সৃষ্টি করবেন। আর হে মহেশ্বর আপনি সংহার কর্তা আপনি সংহার করবেন। আর আমি নারায়ন যখন নিরাকার রূপ থেকে সাকার রূপ ধারন করেছি তখন আমাকেও কর্মকরতে হবে। আমি বিষ্ণু রুপে জগতের পালন করব। হে ব্রহ্মা আপনি গিয়ে সৃষ্টি রচনার প্রারম্ভ করুন।

এরপর ব্রহ্মা ও শিব প্রস্হান করলেন। এরপর শ্রীবিষ্ণু শেষ নাগের শয্যা থেকে উঠে দাঁড়িয়ে প্রনব মন্ত্র 'ওঁ' এর উচ্চরন করলেন। তখন তাঁর বাম হাত থেকে মা মহালক্ষী আবির্ভূত হলেন। তখন মা মহালক্ষী শ্রী নারানকে বললেন হে পরমশ্রেষ্ঠ আপনি নিজেই তো সম্পূর্ন ছিলেন, তবে আমায় কেন সৃষ্টি করলেন? তখন শ্রী বিষ্ণু মধুর হাসি হেসে.বললেন আমি জানি আমি সম্পূর্ন আমি সেই প্রদীপের মত পূর্ণ যার থেকে অন্য প্রদীপ জ্বালালেও তার পূর্ণ আলো পূর্ণই থাকে। তবু হে প্রিয়া, চাঁদযেমন চাঁদনী ছাড়া, ফুল যেমন সুগন্ধ ছাড়া, সূর্য যেমন তেজ ছাড়া অপূর্ণ তেমনি আমিও তোমাকে ছাড়া অপূর্ণ। আর আজ থেকে আমি ঘোষনা করছি যে কোন পুরুষ নারীকে ছাড়া সম্পূর্ণ হবে না, আর এই সম্পূর্নতাই নতুন প্রজন্মকে জন্ম দিবে। আর তোমাকেও একটি বর দিচ্ছি আমার নাম আজ থেকে লক্ষীপতি এবং আমার নারায়ন নামের পূর্বে তোমার নাম যুক্ত হবে। আমার নাম আজ থেক লক্ষীনারায়ন।

 তখন মা লক্ষী বললেন,.তোমায় কোটি কোটি প্রনাম শ্রীহরি। এবার আমার কাজ বলে দাও। শ্রীবিষ্ণু বল্লেন তুমি আমার প্রেরণা। আমি তোমার কাছ থেকে প্রেরণা পেয়েই সৃষ্টি পালন করব। আর তুমি ব্রহ্মা সৃষ্ট প্রানীদের উপর ধনের বর্ষা করবে। এরপর শ্রীনারায়ন ব্রহ্মার কাজে সহায়তার জন্য যোগ নিদ্রায় মগ্ন হলেন এবং যোগের মাধ্যমে ব্রহ্মাকে শক্তি প্রদান করতে থাকলেন। ভগাবান শ্রী বিষ্ণুর এবং ব্রক্ষার শক্তি একত্রিত হয়েও সৃষ্টি রচনার কাজ অগ্রসর হচ্ছিল না। এটাও প্রকৃত পক্ষে শ্রীবিষ্ণুর লীলারই অংশ ছিল। 

এদিকে সৃষ্টি রচনার কাজ এগোচ্ছে না দেখে ব্রক্ষা বিষ্ণুর শরনাপন্ন হলেন। তখন বিষ্ণু যোগ নিদ্রা মগ্ন ছিলেন। ব্রক্ষা গিয়ে বিষ্ণুর স্তব করতে লাগলেন। বিষ্ণু স্তবে খুশি হয়ে চোখ  খুললেন। ব্রক্ষা বিষ্ণুকে বললেন হে ক্ষীরসাগর বাসী কমল নয়ন রক্ষা কর। বিষ্ণু  তাঁর সুমধুর হাসি হেসে বললেন, শান্ত হোন আদি প্রজাপতি, শান্ত হন। অধীরতা ত্রিদেবের মাঝে শোভা পায় না। ব্রক্ষা বললেন কিভাবে শান্ত হব জগদীশ বলুন। আমি সৃষ্টি করার জন্য জন্ম নিয়েছি। কিন্তু আমার এবং আপনার শক্তি মিলেও তো এই মহান কার্যকে রূপ দিতে পারছে না। এভাবে চলতে থাকলে তো আমার জন্ম বৃথা হয়ে যাবে। আমাকে এই সংকট থেকে বাঁচান প্রভু। নারায়ন হাসলেন, বললেন,  আপনি সৃষ্টি কর্তা, আমি পালন কর্তা কিন্তু আমরা ছাড়াও আর একজন আছে যাঁর কাছে একটা মহান কাজের দায়িত্ব আছে। মহাদেব।  আপনি তাঁর কাছে যান। তিনি আপনাকে সহায়তা করবে। আর তখনি সৃষ্টি রচনার কাজ সার্থক হবে। কারন সৃষ্টির অর্থই জন্ম পালন এবং ধ্বংস। তিনি সংহার কর্তা। তাঁর শক্তিই সৃষ্টি রচনাতে সাহায্য করবে। শ্রীবিষ্ণুর আদেশে ব্রক্ষা শিবের কাছে গেলেন এবং তাঁকে শ্রীবিষ্ণুর কথা ও অনুরোধ জানালেন। শিব তখন যোগের মাধ্যমে শিব এবং শিবা এই দুই খন্ডে ভাগ হয়ে গেলেন। এই শিবাই আদি  শক্তি। এরপর ত্রিদেবের একত্রিত.শক্তি দিয়ে নক্ষত্র, গ্রহ, উপগ্লহ, জীব ও.জড় তৈরী করলেন। 

এদিকে বিষ্ণু যখন যোগনিদ্রা মগ্ন থেকে ব্রক্ষাকে শক্তি দিচ্ছিলেন তখন তাঁর কান থেকে মধু ও কৈটভ নামে দুটো অসুর জন্ম নিল। তারা প্রচন্ড শক্তিশালী ছিল। তারা সামনে ব্রক্ষাকে পেয়ে আক্রমন করল। ব্রক্ষা তাদের কাছ থেকে পালিয়ে বিষ্ণুর শ্মরণে এলেন এবং বিষ্ণু তাদের গদাপ্রহারে হত্যা করলেন। গদার আঘাতে এই বিশালদেহী অসুরদের মেদ ছড়িয়ে পরল। তখন বিষ্ণুর আদেশে ব্রক্ষা এই মেদ বা চর্বি দিয়ে পৃথিবী সৃষ্টি করলেন। এজন্য পৃথিবীর অপর নাম মেদিনী।

সমগ্র জড় জগৎ সৃষ্টির পর ব্রক্ষা তাঁর চার হাত থেকে চারজন ছোট ছেলেকে তৈরী করলেন। তাদের নাম সনদ, সনাতন,সনন্দন ও সনদকুমার। ব্রক্ষা তাদের সৃষ্টি পরিচালনা ও বংশবিস্তার করতে আদেশ দিলেন। কিন্তু তাদের ইচ্ছার অভাব ছিল তাই তারা এতে অপারগতা প্রকাশ করে। যার ফলে ব্রক্ষা ক্রুদ্ধ হয় এবং তাদের দূর করে দেন ব্রক্ষলোক থেকে। এবার ব্রক্ষা ভাবলেন সৃষ্টি রচনার আগে প্রয়োজন ভাল শিক্ষকের তাই.তিনি সপ্তর্ষিকে তৈরী করলেন। এরপর তৈরী করলেন ব্রক্ষার মানসপুত্র দক্ষ এবং নারদকে। তিনি দক্ষকে প্রজাপতি নিযুক্ত করলেন এবং দেবর্ষি নারদকে ভগবত ভক্তি প্রচারের নির্দেশ দিলেন। এবার তৈরী করলেন মনু ও শতরুপাকে। এই মনু ও শতরুপাই আমাদের আদি পিতামাতা।

এরপর ব্রক্ষার মনে হলো যে তিনি এই মহান সৃষ্টি রচনা করেছেন। তাঁর মনে অহংকার তৈরী হল। তখন শিব দেখলেন এই অহংকার ঠিক না এতে করে সৃষ্টিতেও অরাজকতা তৈরী হবে তাই তিনি ব্রক্ষার নিকটে গেলেন। কিন্তু ব্রক্ষার অহংকার এতটা চরম সীমায় পৌঁছে গিয়েছিল যে শিব শত চেষ্টা করেও বোঝাতে পারলেন না ব্রক্ষাকে। ব্রহ্মা একসময় শিবের অপমান করতে শুরু করলেন। তখন শিব ক্রুদ্ধ হয়ে মহারুদ্র রুপ ধারন করে তাঁর ত্রিশুল ব্রহ্মার দিকে নিক্ষেপ করলেন যা ব্রক্ষার একটি মস্তক কেটে ফেলল। ব্রহ্মাকে শিব সব ধরনের পূজা অর্চনা থেকে বহিস্কার করলেন। ব্রহ্মা মস্তক কাটার পরে ভগবান সদা শিবের স্বরূপ চিনলেন।

তিনি শিবের স্তব করতে লাগলেন। শিব খুশি হলেন। তিনি বললেন ব্রহ্মাকে, হে আদি প্রজাপতি অহংকার পতনের মুল। আপনার পন্ঞ্চম মাথাটি ছিল অহংকারের স্বরুপ যা আমি কেটে ফেলেছি। আপনার অহংকার সমূলে নাশ হয়েছে। এটা বলে শিব অন্তর্ধান হয়ে গেলেন। ব্রহ্মার পুত্রদের মধ্যে সপ্তর্ষি এবং নারদ বুঝেছিলেন যে শিব ব্রহ্মার মঙ্গলেই তাঁর মাথা কেটেছেন। এই মাথাটা না কাটলে অহংকারের কারনে ব্রহ্মা ত্রিদেব হওয়ার মর্যাদা হারাতেন। কিন্তু ব্রহ্মাপুত্র দক্ষ এটা বুঝলেন না। তিনি শিবকে শত্রু ভাবতে লাগলেন।

(অপমাপ্ত)

পরমকরুনাময় সচ্চিদানন্দ গোলোকপতি ভগবান শ্রীহরি ও তাঁর একান্ত হ্লাদিনী শক্তি শ্রীরাধার চরণকমলে সবার মঙ্গলময়, কল্যাণময়, সুন্দরময় আর শান্তিময় জীবনের প্রার্থনা আমাদের।  

(দেবেন্দ্র)

"হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ
কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে
হরে রাম হরে রাম
রাম রাম হরে হরে!!"

!!জয় শ্রীহরি!! জয় রাধে!!

!!জয় হোকসৃষ্টি তত্ত্বের!!

Post Courtesy : Sagar Bhowmick
Share:

০২ মে ২০১৯

স্বপ্নে পাওয়া কষ্টি পাথরের কালী প্রতিমা উদ্ধার ঝিনাইদহ শহরের চাকলা পাড়া এলাকার নবগঙ্গা নদী থেকে

ঝিনাইদহ শহরের চাকলা পাড়া এলাকার নবগঙ্গা নদী থেকে স্বপ্নে পাওয়া কালী প্রতিমা  উদ্ধার হয়েছে। বুধবার (১লা মে) ঝিনাইদহ শহরের চাকলা পাড়া এলাকার নবগঙ্গা নদী থেকে স্বপ্নে পাওয়া কালী প্রতিমা  উদ্ধার হয়েছে। জানা গেছে, ঝিনাইদহ শহরের চাকলা পাড়া এলাকার বাবু জোয়ারদারের আম বাগান সংলগ্ন নবগঙ্গা নদী থেকে স্বপ্নে পাওয়া কালী মুর্তী উদ্ধার করেছে এক বৃদ্ধা, তার নাম কল্যানী বিশ্বাস (৭০)।


চাকলা পাড়ার মৃত. ধীরেন গোপাল বিশ্বাসের স্ত্রী কল্যানী বিশ্বাস গত ১০/১২ দিন ধরে গভীর রাতে স্বপ্নে দেখেন ঐ কালী প্রতিমা তাকে বলছেন “আমি নবগঙ্গা নদীর সিড়িতলা ঘাটে আছি, আমাকে তুলে নিয়ে যাও” গভীর রাতে স্বপ্নে একথা শোনার পর কল্যনী বিশ্বাস ভয়ে কারো কাছে কিছু বলেনা। এক পর্যায়ে বুধবার সকালে কল্যানী বিশ্বাস তার নাতি ছেলে সোহাগ (২২)কে নিয়ে চাকলাপাড়ার নবগঙ্গা নদীর সিড়ি ঘাট এলাকায় তার মেজে মেয়ে অলকা,বৌমা মমতা ও তার ছেলে হিরোনকে নিয়ে কালী প্রতিমা খুজতে থাকে। খুজতে খুজতে কল্যানী বিশ্বাস তার স্বপ্নে দেখা কালী প্রতিমাটি পেয়ে যায়। পরে তার বড় ছেলে চাকরাপাড়ার মিলনের বাসায় কালী প্রতিমাটি রাখা হয়েছে।






এ সময় চাকালা পাড়ার শত শত উৎসুক জনগন এই মহা মুল্যবান পাথরের প্রতিমাটি দেখতে মিলনের বাড়িতে ভিড় জমায়। এ ব্যপারে ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি মিজানুর রহমান খান সাংবাদিকদের জানান, আমি লোকমুখে ঘটনাটা শুনেছি, একটু পরে চাকলাপাড়ায় গিয়ে খোজখবর নিয়ে ব্যাবস্থা নেব। এঘটনায় এরাকাবাসীদের মধ্যে মিন্টু কুমার বিশ্বাস বলেন, এটি মহা মুল্যবান পাথরের কালী মুর্তি হতে পারে। উল্লেখ্য, কল্যানী বিশ্বাস শহরের চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলাকার কেয়ার হাসপাতালে আয়ার চাকরি করেন।














তথ্যসুত্রঃ জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ, কুয়াকাটা নিউজ
https://www.kuakatanews.com/?p=69830&fbclid=IwAR2pVw-fKWDA4ZGeuU1HUMDO-zI3B9aJPAHtVAXSideS80Emro-zbMWGVb0
Share:

Total Pageviews

বিভাগ সমুহ

অন্যান্য (91) অবতারবাদ (7) অর্জুন (4) আদ্যশক্তি (68) আর্য (1) ইতিহাস (30) উপনিষদ (5) ঋগ্বেদ সংহিতা (10) একাদশী (10) একেশ্বরবাদ (1) কল্কি অবতার (3) কৃষ্ণভক্তগণ (11) ক্ষয়িষ্ণু হিন্দু (21) ক্ষুদিরাম (1) গায়ত্রী মন্ত্র (2) গীতার বানী (14) গুরু তত্ত্ব (6) গোমাতা (1) গোহত্যা (1) চাণক্য নীতি (3) জগন্নাথ (23) জয় শ্রী রাম (7) জানা-অজানা (7) জীবন দর্শন (68) জীবনাচরন (56) জ্ঞ (1) জ্যোতিষ শ্রাস্ত্র (4) তন্ত্রসাধনা (2) তীর্থস্থান (18) দেব দেবী (60) নারী (8) নিজেকে জানার জন্য সনাতন ধর্ম চর্চাক্ষেত্র (9) নীতিশিক্ষা (14) পরমেশ্বর ভগবান (25) পূজা পার্বন (43) পৌরানিক কাহিনী (8) প্রশ্নোত্তর (39) প্রাচীন শহর (19) বর্ন ভেদ (14) বাবা লোকনাথ (1) বিজ্ঞান ও সনাতন ধর্ম (39) বিভিন্ন দেশে সনাতন ধর্ম (11) বেদ (35) বেদের বানী (14) বৈদিক দর্শন (3) ভক্ত (4) ভক্তিবাদ (43) ভাগবত (14) ভোলানাথ (6) মনুসংহিতা (1) মন্দির (38) মহাদেব (7) মহাভারত (39) মূর্তি পুজা (5) যোগসাধনা (3) যোগাসন (3) যৌক্তিক ব্যাখ্যা (26) রহস্য ও সনাতন (1) রাধা রানি (8) রামকৃষ্ণ দেবের বানী (7) রামায়ন (14) রামায়ন কথা (211) লাভ জিহাদ (2) শঙ্করাচার্য (3) শিব (36) শিব লিঙ্গ (15) শ্রীকৃষ্ণ (67) শ্রীকৃষ্ণ চরিত (42) শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু (9) শ্রীমদ্ভগবদগীতা (40) শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা (4) শ্রীমদ্ভাগব‌ত (1) সংস্কৃত ভাষা (4) সনাতন ধর্ম (13) সনাতন ধর্মের হাজারো প্রশ্নের উত্তর (3) সফটওয়্যার (1) সাধু - মনীষীবৃন্দ (2) সামবেদ সংহিতা (9) সাম্প্রতিক খবর (21) সৃষ্টি তত্ত্ব (15) স্বামী বিবেকানন্দ (37) স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (14) স্মরনীয় যারা (67) হরিরাম কীর্ত্তন (6) হিন্দু নির্যাতনের চিত্র (23) হিন্দু পৌরাণিক চরিত্র ও অন্যান্য অর্থের পরিচিতি (8) হিন্দুত্ববাদ. (83) shiv (4) shiv lingo (4)

আর্টিকেল সমুহ

অনুসরণকারী

" সনাতন সন্দেশ " ফেসবুক পেজ সম্পর্কে কিছু কথা

  • “সনাতন সন্দেশ-sanatan swandesh" এমন একটি পেজ যা সনাতন ধর্মের বিভিন্ন শাখা ও সনাতন সংস্কৃতিকে সঠিকভাবে সবার সামনে তুলে ধরার জন্য অসাম্প্রদায়িক মনোভাব নিয়ে গঠন করা হয়েছে। আমাদের উদ্দেশ্য নিজের ধর্মকে সঠিক ভাবে জানা, পাশাপাশি অন্য ধর্মকেও সম্মান দেওয়া। আমাদের লক্ষ্য সনাতন ধর্মের বর্তমান প্রজন্মের মাঝে সনাতনের চেতনা ও নেতৃত্ত্ব ছড়িয়ে দেওয়া। আমরা কুসংষ্কারমুক্ত একটি বৈদিক সনাতন সমাজ গড়ার প্রত্যয়ে কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের এ পথচলায় আপনাদের সকলের সহযোগিতা কাম্য । এটি সবার জন্য উন্মুক্ত। সনাতন ধর্মের যে কেউ লাইক দিয়ে এর সদস্য হতে পারে।