ঈশ্বর স্বত্ব , রজঃ ও তম -- এই তিন গুণের দ্বারা জগত রচনা করেছেন । তিনি স্বয়ং এই জগতে অবস্থান করছেন আবার তিনি এই জগতের বহির্দেশেও আছেন ।
উপনিষদে বলা হয়েছে --
অগ্নির্যথৈক ভুবনং প্রবিষ্টো রূপং রূপং প্রতিরূপ বভুব ।
একস্তথা সর্বভূতান্তরাত্মা রূপং রূপং প্রতিরূপো বহিশ্চ ।।
অর্থাৎ যেমন এক অগ্নি এই জগতে ভিন্ন ভিন্ন রূপে অবস্থান করে , ঠিক তেমনি করে সর্বভূতের সেই এক অন্তরাত্মা বিভিন্ন রূপে এই জগতে অবস্থান করেন , আবার তিনি এই জগতের বহির্দেশেও অবস্থিত ।
ঈশ্বরের এই স্বত্ব রজঃ তম , অর্থাৎ যথাক্রমে সৃষ্টি স্থিতি ও প্রলয়রূপ কার্যের এই ক্রিয়াময় অবস্থাটিকে বলা হয় ' শক্তি ' ।
ঈশ্বরের সাথে শক্তির সম্পর্ক বোঝাতে গিয়ে ভগবান শ্রীরামকৃষ্ণ বলেছেন , '' যেমন অগ্নি আর তার দাহিকা শক্তি । '' অর্থাৎ ঈশ্বর ও শক্তি প্রকৃতপক্ষে অভিন্ন । যেমন শিব নিষ্ক্রিয় , তাই নিশ্চেষ্ট হয়ে পড়ে আছেন , তাঁর বুকের উপর নৃত্যরতা কালী হলেন শিবের ক্রিয়াত্মিকা শক্তি বা ক্রিয়াময় রূপ ।
ঈশ্বরের এই স্বত্ব , রজঃ ও তম ত্রিবিধ গুণের প্রতীক হলেন যথাক্রমে ব্রহ্মা , বিষ্ণু ও শিব । এঁরা একই সত্তার ত্রিবিধ প্রকাশ ।
এবার আসি মহামুনি মেধস কথিত শ্রী শ্রী চণ্ডী গ্রন্থের একটি অংশ প্রসঙ্গে। সেখানে বলা হয়েছে, '' দেবী চণ্ডিকা সচেতন চিন্ময়ী , তিনি নিত্যা ... স্বত্ব গুণে তিনি ব্রহ্মার গৃহিণী বাগদেবী , রজ গুণে বিষ্ণুর পত্নী লক্ষী , তমোগুণে শিবের বণিতা পার্বতী । আবার ত্রিগুণাতীত তুরীয়াবস্হায় তিনি অনির্বচনীয়া ( অর্থাৎ বাক্য - মনের অতীত ) ...''
সুতরাং ঈশ্বর ও শক্তির এই সম্পর্ক মোটেই সাধারণ স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক নয় । আর সাধারণ দম্পতীর মতো তাঁদের ছেলে মেয়ে হওয়ার বিষয়টিও অযৌক্তিক । , সরস্বতী লক্ষ্মী ও পার্বতী একই জগন্মাতৃকা শক্তির ত্রিবিধ রূপ । যেমন ব্রহ্মা বিষ্ণু ও মহেশ্বর বস্তুতঃ অভিন্ন সত্তার ত্রিবিধ রূপ । এই অভিন্ন সত্ত্বাটি ঈশ্বর এবং শক্তি তাঁর সক্রিয় প্রকাশ । লৌকিক অর্থে এই শক্তিকে ' স্ত্রী ' বলে চিহ্নিত করা হয়েছে ।
BY: Tapos Ghosh
উপনিষদে বলা হয়েছে --
অগ্নির্যথৈক ভুবনং প্রবিষ্টো রূপং রূপং প্রতিরূপ বভুব ।
একস্তথা সর্বভূতান্তরাত্মা রূপং রূপং প্রতিরূপো বহিশ্চ ।।
অর্থাৎ যেমন এক অগ্নি এই জগতে ভিন্ন ভিন্ন রূপে অবস্থান করে , ঠিক তেমনি করে সর্বভূতের সেই এক অন্তরাত্মা বিভিন্ন রূপে এই জগতে অবস্থান করেন , আবার তিনি এই জগতের বহির্দেশেও অবস্থিত ।
ঈশ্বরের এই স্বত্ব রজঃ তম , অর্থাৎ যথাক্রমে সৃষ্টি স্থিতি ও প্রলয়রূপ কার্যের এই ক্রিয়াময় অবস্থাটিকে বলা হয় ' শক্তি ' ।
ঈশ্বরের সাথে শক্তির সম্পর্ক বোঝাতে গিয়ে ভগবান শ্রীরামকৃষ্ণ বলেছেন , '' যেমন অগ্নি আর তার দাহিকা শক্তি । '' অর্থাৎ ঈশ্বর ও শক্তি প্রকৃতপক্ষে অভিন্ন । যেমন শিব নিষ্ক্রিয় , তাই নিশ্চেষ্ট হয়ে পড়ে আছেন , তাঁর বুকের উপর নৃত্যরতা কালী হলেন শিবের ক্রিয়াত্মিকা শক্তি বা ক্রিয়াময় রূপ ।
ঈশ্বরের এই স্বত্ব , রজঃ ও তম ত্রিবিধ গুণের প্রতীক হলেন যথাক্রমে ব্রহ্মা , বিষ্ণু ও শিব । এঁরা একই সত্তার ত্রিবিধ প্রকাশ ।
এবার আসি মহামুনি মেধস কথিত শ্রী শ্রী চণ্ডী গ্রন্থের একটি অংশ প্রসঙ্গে। সেখানে বলা হয়েছে, '' দেবী চণ্ডিকা সচেতন চিন্ময়ী , তিনি নিত্যা ... স্বত্ব গুণে তিনি ব্রহ্মার গৃহিণী বাগদেবী , রজ গুণে বিষ্ণুর পত্নী লক্ষী , তমোগুণে শিবের বণিতা পার্বতী । আবার ত্রিগুণাতীত তুরীয়াবস্হায় তিনি অনির্বচনীয়া ( অর্থাৎ বাক্য - মনের অতীত ) ...''
সুতরাং ঈশ্বর ও শক্তির এই সম্পর্ক মোটেই সাধারণ স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক নয় । আর সাধারণ দম্পতীর মতো তাঁদের ছেলে মেয়ে হওয়ার বিষয়টিও অযৌক্তিক । , সরস্বতী লক্ষ্মী ও পার্বতী একই জগন্মাতৃকা শক্তির ত্রিবিধ রূপ । যেমন ব্রহ্মা বিষ্ণু ও মহেশ্বর বস্তুতঃ অভিন্ন সত্তার ত্রিবিধ রূপ । এই অভিন্ন সত্ত্বাটি ঈশ্বর এবং শক্তি তাঁর সক্রিয় প্রকাশ । লৌকিক অর্থে এই শক্তিকে ' স্ত্রী ' বলে চিহ্নিত করা হয়েছে ।
BY: Tapos Ghosh
2 Comments:
এই তিন গুনের মধ্যে কোনটি কোন দেবতার মধ্যে রয়েছে তা কোথায় বর্ণিত আছে?
এই তিন গুনের মধ্যে কোনটি কোন দেবতার মধ্যে রয়েছে তা কোথায় বর্ণিত আছে?
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন