• মহাভারতের শহরগুলোর বর্তমান অবস্থান

    মহাভারতে যে সময়ের এবং শহরগুলোর কথা বলা হয়েছে সেই শহরগুলোর বর্তমান অবস্থা কি, এবং ঠিক কোথায় এই শহরগুলো অবস্থিত সেটাই আমাদের আলোচনার বিষয়। আর এই আলোচনার তাগিদে আমরা যেমন অতীতের অনেক ঘটনাকে সামনে নিয়ে আসবো, তেমনি বর্তমানের পরিস্থিতির আলোকে শহরগুলোর অবস্থা বিচার করবো। আশা করি পাঠকেরা জেনে সুখী হবেন যে, মহাভারতের শহরগুলো কোনো কল্পিত শহর ছিল না। প্রাচীনকালের সাক্ষ্য নিয়ে সেই শহরগুলো আজও টিকে আছে এবং নতুন ইতিহাস ও আঙ্গিকে এগিয়ে গেছে অনেকদূর।

  • মহাভারতেের উল্লেখিত প্রাচীন শহরগুলোর বর্তমান অবস্থান ও নিদর্শনসমুহ - পর্ব ০২ ( তক্ষশীলা )

    তক্ষশীলা প্রাচীন ভারতের একটি শিক্ষা-নগরী । পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের রাওয়ালপিন্ডি জেলায় অবস্থিত শহর এবং একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান। তক্ষশীলার অবস্থান ইসলামাবাদ রাজধানী অঞ্চল এবং পাঞ্জাবের রাওয়ালপিন্ডি থেকে প্রায় ৩২ কিলোমিটার (২০ মাইল) উত্তর-পশ্চিমে; যা গ্রান্ড ট্রাঙ্ক রোড থেকে খুব কাছে। তক্ষশীলা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৫৪৯ মিটার (১,৮০১ ফিট) উচ্চতায় অবস্থিত। ভারতবিভাগ পরবর্তী পাকিস্তান সৃষ্টির আগ পর্যন্ত এটি ভারতবর্ষের অর্ন্তগত ছিল।

  • প্রাচীন মন্দির ও শহর পরিচিতি (পর্ব-০৩)ঃ কৈলাশনাথ মন্দির ও ইলোরা গুহা

    ১৬ নাম্বার গুহা, যা কৈলাশ অথবা কৈলাশনাথ নামেও পরিচিত, যা অপ্রতিদ্বন্দ্বীভাবে ইলোরা’র কেন্দ্র। এর ডিজাইনের জন্য একে কৈলাশ পর্বত নামে ডাকা হয়। যা শিবের বাসস্থান, দেখতে অনেকটা বহুতল মন্দিরের মত কিন্তু এটি একটিমাত্র পাথরকে কেটে তৈরী করা হয়েছে। যার আয়তন এথেন্সের পার্থেনন এর দ্বিগুণ। প্রধানত এই মন্দিরটি সাদা আস্তর দেয়া যাতে এর সাদৃশ্য কৈলাশ পর্বতের সাথে বজায় থাকে। এর আশাপ্সহ এলাকায় তিনটি স্থাপনা দেখা যায়। সকল শিব মন্দিরের ঐতিহ্য অনুসারে প্রধান মন্দিরের সম্মুখভাগে পবিত্র ষাঁড় “নন্দী” –র ছবি আছে।

  • কোণারক

    ১৯ বছর পর আজ সেই দিন। পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে সোমবার দেবতার মূর্তির ‘আত্মা পরিবর্তন’ করা হবে আর কিছুক্ষণের মধ্যে। ‘নব-কলেবর’ নামের এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দেবতার পুরোনো মূর্তি সরিয়ে নতুন মূর্তি বসানো হবে। পুরোনো মূর্তির ‘আত্মা’ নতুন মূর্তিতে সঞ্চারিত হবে, পূজারীদের বিশ্বাস। এ জন্য ইতিমধ্যেই জগন্নাথ, সুভদ্রা আর বলভদ্রের নতুন কাঠের মূর্তি তৈরী হয়েছে। জগন্নাথ মন্দিরে ‘গর্ভগৃহ’ বা মূল কেন্দ্রস্থলে এই অতি গোপনীয় প্রথার সময়ে পুরোহিতদের চোখ আর হাত বাঁধা থাকে, যাতে পুরোনো মূর্তি থেকে ‘আত্মা’ নতুন মূর্তিতে গিয়ে ঢুকছে এটা তাঁরা দেখতে না পান। পুরীর বিখ্যাত রথযাত্রা পরিচালনা করেন পুরোহিতদের যে বংশ, নতুন বিগ্রহ তৈরী তাদেরই দায়িত্ব থাকে।

  • বৃন্দাবনের এই মন্দিরে আজও শোনা যায় ভগবান শ্রীকৃষ্ণের মোহন-বাঁশির সুর

    বৃন্দাবনের পর্যটকদের কাছে অন্যতম প্রধান আকর্ষণ নিধিবন মন্দির। এই মন্দিরেই লুকিয়ে আছে অনেক রহস্য। যা আজও পর্যটকদের সমান ভাবে আকর্ষিত করে। নিধিবনের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা রহস্য-ঘেরা সব গল্পের আদৌ কোনও সত্যভিত্তি আছে কিনা, তা জানা না গেলেও ভগবান শ্রীকৃষ্ণের এই লীলাভূমিতে এসে আপনি মুগ্ধ হবেনই। চোখ টানবে মন্দিরের ভেতর অদ্ভুত সুন্দর কারুকার্যে ভরা রাধা-কৃষ্ণের মুর্তি।

৩১ মার্চ ২০১৮

রাম নবমী কি ?

যুদ্ধে একে একে মারা পড়েছেন লঙ্কার সব বড়ো বড় বীর। রাবণ তখন একা কুম্ভের মতো রক্ষা করছেন লঙ্কাপুরী। তিনিও শ্রান্ত, বিধ্বস্ত। এমনকি একবার তো হনুমানের হাতে প্রচুর মার খেয়ে অজ্ঞানই হয়ে গেলেন। বেগতিক বুঝে রাবণ অম্বিকার স্তব করলেন:- - -

আর কেহ নাহি মোর ভরসা সংসারে। শঙ্কর ত্যজিল তেঁই ডাকি মা তোমারে।। রাবণে কাতর স্তবে হৈমবতীর হৃদয় টলল। তিনি কালী রূপে রাবণকে কোলে তুলে নিয়ে তাঁকে দিলেন অভয়। এই খবর রামের কানে যেতেই তিনি গুণলেন প্রমাদ। দেবতাদের ঘুম উড়ে যাওয়ার জোগাড় হল। ইন্দ্র ব্রহ্মার কাছে গিয়ে কাকুতি-মিনতি করে একটা কিছু করার অনুরোধ জানালেন। বুড়ো ঠাকুরদাদা ব্রহ্মা এসে রামকে পরামর্শ দিলেন, “দুর্গাপূজা করো। আর কোনো উপায় নেই ।।”

রাম বললেন, “তা কেমন করে হয়? দুর্গাপূজার
প্রশস্ত সময় বসন্তকাল। শরৎকাল তো অকাল। তাছাড়া বিধান রয়েছে, অকালবোধনে নিদ্রা ভাঙাতে হবে কৃষ্ণানবমীতে। সুরথ রাজা প্রতিপদে পূজারম্ভ করেছিলেন। কিন্তু সেকাল তো আর নেই। পূজা করি কিভাবে?” ব্রহ্মা বললেন, “আমি ব্রহ্মা, বিধান দিচ্ছি, শুক্লাষষ্ঠীতে বোধন করো।” শুনে রাম মহাখুশি হলেন।।

চণ্ডীপাঠ করি রাম করিল উৎসব। গীত নাট করে জয় দেয় কপি সব। রাম চণ্ডীপাঠ করে উৎসব করলেন। সেই সুযোগে বাঁদরের দল খানিকটা নাচগান করে নিল ।।

রামচন্দ্র কিভাবে দুর্গাপূজা করেছিলেন:

তার একটু বর্ণনা দেবো। চণ্ডী -তে আছে, সুরথ রাজা দুর্গার মাটির মূর্তি গড়ে পূজা করেছিলেন (‘তৌ তস্মিন্ পুলিনে দেব্যাঃ কৃত্বা মূর্ত্তিং মহীময়ীম্।’ চণ্ডী , ১৩।১০)।

রামচন্দ্রও পূজা করেছিলেন নিজের হাতে তৈরি মাটির প্রতিমায় (‘আপনি গড়িলা রাম প্রতিমা মৃন্ময়ী’)। ষষ্ঠীর সন্ধায় বেল গাছের তলায় হল দেবীর বোধন। অধিবাসের সময় রাম স্বহস্তে বাঁধলেন নব পত্রিকা। সায়াহ্নকালেতে রাম করিল বোধন ।।

আমন্ত্রণ অভয়ার বিল্বাধিবাসন।। …
আচারেতে আরতি করিলা অধিবাস।
বান্ধিলা পত্রিকা নব বৃক্ষের বিলাস।।
সপ্তমীর দিন সকালে স্নান করে রাম ‘বেদবিধিমতে’ পূজা করলেন।

অষ্টমীর দিনও তাই। অষ্টমী-নবমীর সন্ধিক্ষণে রাম সন্ধিপূজা করলেন। দুই দিনই রাতে চণ্ডীপাঠ ও নৃত্যগীত হল। রামচন্দ্রের নবমী পূজার বিশদ বর্ণনা দিয়েছেন কৃত্তিবাস। বহুরকম বনফুল ও বনফলে পূজার আয়োজন হল। ‘তন্ত্রমন্ত্রমতে’ পূজা হল। কিন্তু দেবী দর্শন দিলেন না। তখন বিভীষণ উপদেশ দিলেন, “নীলপদ ্মে পূজা করুন। দেবী নিশ্চয় দর্শন দেবেন।”

কিন্তু নীলপদ্ম দুর্লভ। দেবতারাও তার খোঁজ রাখেন না। পৃথিবীতে একমাত্র দেবীদহ নামক হ্রদেই নীলপদ্ম মেলে। কিন্তু সেও লঙ্কা থেকে দশ বছরের পথ। শুনে হনুমান নিমেষে উপস্থিত হলেন দেবীদহে। এনে দিলেন একশো আটটি নীলপদ্ম। কিন্তু দুর্গা ছলনা করে একটি পদ্ম রাখলেন লুকিয়ে। রাবণকে তিনি কথা দিয়ে রেখেছিলেন কিনা। কিন্তু রামও ছাড়বার পাত্র নন। একটি নীলপদ্মের ক্ষতিপূরণে তিনি নিজের একটি চোখ উপড়ে নিবেদন করতে চাইলেন।

চক্ষু উৎপাটিতে রাম বসিলা সাক্ষাতে।
হেনকালে কাত্যায়নী ধরিলেন হাতে।।
কর কি কর কি প্রভু জগত গোঁসাই।
পূর্ণ তোমার সঙ্কল্প চক্ষু নাহি চাই।।

বাধ্য হয়েই দুর্গা রামচন্দ্রকে রাবণ বধের বর দিলেন। যাওয়ার আগে বলে গেলেন:অকালবোধনে পূজা কৈলে তুমি দশভূজা বিধিমত করিলা বিন্যাস। লোকে জানাবার জন্য আমারে  করিতে ধন্য অবনীতে করিলে প্রকাশ।।

এরপর রাম দশমীপূজা সমাপ্ত করে দুর্গাপ্রতিমাবিসর্জন দিলেন । তারপরে রাবণ বধের গল্প তো সবাই জানে। রামচন্দ্রের দুর্গাপূজার এই ইতিহাস বাল্মীকি রামায়ণে নেই। আছে দেবীভাগবত পুরাণ ও কালিকাপুরাণ -এ। খ্রিস্টীয় নবম -দ্বাদশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে লেখা এই দুই পুরাণ, গবেষক মহলের মতে, বাঙালি স্মার্তদের দুই মহাকীর্তি।

কৃত্তিবাসের আগেও যে বাংলায় দুর্গাপূজার ব্যাপক প্রচলন ছিল, তার প্রমাণ ভবদেব ভট্টের মাটির মূর্তিতে দুর্গাপূজার বিধান (একাদশ শতাব্দী), বিদ্যাপতির দুর্গাভক্তি-তরঙ্গিনী (চতুর্দশ শতাব্দী), শূলপাণির দুর্গোৎসব-বিবেক (চতুর্দশ শতাব্দী) ও স্মার্তরঘুনন্দনের দুর্গাপূজা-তত্ত্ব (পঞ্চদশ শতাব্দী)।

অর্থাৎ, কৃত্তিবাসের যুগে (পঞ্চদশ শতাব্দীতে) দুর্গাপূজা ছিল বাঙালির এক প্রধান উৎসব। আর সেই জন্যই তিনি রামচন্দ্রকে দিয়ে দুর্গাপূজা করালেন সনাতন বাঙালি পন্থায়। যদিও কৃত্তিবাসী রামায়ণের দুর্গোৎসব বিবরণের সঙ্গে পৌরাণিক দুর্গোৎসব বর্ণনা ঠিক হুবহু মেলে না। যেসব পুরাণমতে আজ বাংলায় দুর্গাপূজা হয়, তার একটি হল কালিকাপুরাণ । এই পুরাণে রামচন্দ্রের দুর্গাপূজার বর্ণনা পাই। সংস্কৃত শ্লোক ক্লান্তিকর ঠেকতে পারে, তাই সর্বজনবোধ্য বাংলা ভাষায় কালিকাপুরাণ -এর ষাট অধ্যায়ের ২৬ থেকে ৩৩ সংখ্যক শ্লোকগুলি

অনুবাদ করে দিচ্ছি:
পূর্বে রামের প্রতি অনুগ্রহ করে রাবণ বধে তাঁকে সাহায্য করার জন্য ব্রহ্মা রাত্রিকালে এই মহাদেবীর বোধন করেছিলেন। বোধিতা হয়ে দেবী গেলেন রাবণের বাসভূমি লঙ্কায়। সেখানে তিনি রাম ও রাবণকে দিয়ে সাত দিন ধরে যুদ্ধ করালেন। নবমীর দিন জগন্ময়ী মহামায়া রামের দ্বারা রাবণ বধ করেন। যে সাত দিন দেবী রামরাবণের যুদ্ধ দেখে আনন্দ  করলেন, সেই সাত দিন দেবতারা তাঁর পূজা করেন ।।

রাবণ নিহত হলে নবমীর দিন ব্রহ্মা সকল দেবতাকে সঙ্গে নিয়ে দেবীর বিশেষ পূজা করলেন। তারপর দশমীর দিন শবরোৎসব উদযাপিত হল। শেষে দেবীর বিসর্জন হল। এখানে রাত্রিকাল কথাটির একটু ব্যাখ্যা প্রয়োজন। এই ব্যাখ্যার মধ্যেই রয়েছে, শরৎকালকে রাম কেন দুর্গাপূজার পক্ষে অকাল বলেছিলেন, সেই প্রশ্নের উত্তর ।।

সূর্যের দক্ষিণায়ণ দেবতাদের রাত। এই সময় দেবতারা ঘুমান। শরৎকাল পরে দক্ষিণায়ণের সময়। এই সময় দেবতাকে পূজা করতে হলে, তাকে জাগরিত করতে হয়। এই প্রক্রিয়াটিই হল বোধন। বৃহদ্ধর্মপুরাণ-এ রামের জন্য ব্রহ্মার দুর্গাপূজার বিস্তারিত বর্ণনা পাওয়া যায়। এই পুরাণের মতে, কুম্ভকর্ণের নিদ্রাভঙ্গের পর রামচন্দ্রের অমঙ্গল আশঙ্কায় দেবতারা হলেন শঙ্কিত। তখন ব্রহ্মা বললেন, দুর্গাপূজা ছাড়া অন্য কোনো উপায় নেই ।।

তাই রামচন্দ্রের মঙ্গলের জন্য স্বয়ং ব্রহ্মা যজমানী করতে রাজি হলেন। তখন শরৎকাল। দক্ষিণায়ণ। দেবতাদের নিদ্রার সময়। এতএব ব্রহ্মা স্তব করে দেবীকে জাগরিত করলেন। দেবী তখন কুমারীর বেশে এসে ব্রহ্মাকে বললেন, বিল্ববৃক্ষমূলে দুর্গার বোধন করতে। দেবতারা মর্ত্যে এসে দেখলেন, এক দুর্গম স্থানে একটি বেলগাছের শাখায় সবুজ পাতার রাশির মধ্যে ঘুমিয়ে রয়েছে একটি পরমাসুন্দরী বালিকা। ব্রহ্মা বুঝলেন, এই বালিকাই জগজ্জননী দুর্গা ।।

তিনি বোধন-স্তবে তাঁকে জাগরিত করলেন। ব্রহ্মার স্তবে জাগরিতা দেবী বালিকামূর্তি ত্যাগ করে চণ্ডিকামূর্তি ধরলেন। ব্রহ্মা বললেন, “রাবণবধে রামচন্দ্রকে অনুগ্রহ করার জন্য তোমাকে অকালে জাগরিত করেছি। যতদিন না রাবণ বধ হয়, ততদিন তোমার পূজা করব। যেমন করে আমরা আগামীকাল তোমার বোধন করে পূজা করব, তেমন করেই মর্ত্যবাসী যুগ যুগ ধরে তোমার পূজা করবে। যতকাল সৃষ্টি থাকবে, তুমিও পূজা পাবে এইভাবেই।”

একথা শুনে চণ্ডিকা বললেন, “সপ্তমী তিথিতে আমি প্রবেশ করব রামের ধনুর্বাণে। অষ্টমীতে রাম-রাবণে মহাযুদ্ধ হবে। অষ্টমী-নবমীর সন্ধিক্ষণে রাবণের দশমুণ্ড বিচ্ছিন্ন হবে। সেই দশমুণ্ড আবার  জোড়া লাগবে। কিন্তু নবমীতে রাবণ নিহত হবেন। দশমীতে রামচন্দ্র করবেন বিজয়োৎসব।” হলও তাই। মহাবিপদ কেটে গেল অষ্টমীতে; তাই অষ্টমী হল মহাষ্টমী। রাবণ বধ করে মহাসম্পদ সীতাকে লাভ করলেন রাম; তাই নবমী হল মহানবমী ।।

কৃত্তিবাসী রামায়ণে দুর্গাপূজা করেছিলেন রাম। কিন্তু পুরাণ বলে, রামের মঙ্গলের জন্য দেবগণ করেছিলেন পূজার আয়োজন। পুরোহিত হয়েছিলেন স্বয়ং ব্রহ্মা। কৃত্তিবাসের দুর্গাপূজা বিবরণে বাংলায় প্রচলিত লৌকিক প্রথার অনেক নিদর্শন ছড়িয়ে আছে। কিন্তু সেই বিবরণ সম্পূর্ণ শাস্ত্রানুগ নয়। যদিও কৃত্তিবাসকে ধরে লোকে আজকাল মনে করে, শরৎকালের দুর্গাপূজার সূচনা করেছিলেন রাম। কিন্তু এই সম্মান বুড়ো ঠাকুরদাদারই পাওয়া উচিত। আমাদের মনে রাখা উচিত, বাংলার লক্ষ লক্ষ দুর্গাপূজায় আজও বোধনের মন্ত্রে উচ্চারিত হয়:

ওঁ ঐং রাবণস্য বধার্থায় রামস্যানুগ্রহায় চ।
অকালে ব্রহ্মণা বোধো দেব্যস্তয়ি কৃতঃ পুরা।।
অহমপাশ্বিনে ষষ্ঠ্যাং সায়াহ্নে বোধয়মি বৈ।

(হে দেবী, রাবণবধে রামকে অনুগ্রহ করার জন্য ব্রহ্মা তোমার অকালবোধন করেছিলেন, আমিও সেইভাবে আশ্বিন মাসের ষষ্ঠী তিথিতে সন্ধ্যায় তোমার বোধন করছি।)


(C) সনাতন ধর্ম প্রচার -Circulate Of sanatan
Share:

ছান্দোগ্যোপনিষৎঃ ২য় প্রপাঠকঃ(পর্ব-১১)

 ১ম খণ্ডঃ
সমস্ত সামের উপাসনাই সাধু।সাধুই সাম,অসাধুই অসাম।ভাষাতেও দেখা যায় -সাম্না এনমুপাগাৎ,অর্থ-সাধুনা এনমুপাগাৎ।আর 'অসাম্না' অর্থ ' অসাধুনা'।কোন সাধু ঘটনাকে বলা হয় 'সাম নঃ' ইহা আমাদের পক্ষে সাধু।আর অসাধু ঘটনাকে 'অসাম' বলা হয়।যে বিদ্বান সাম সাধু এইরূপ জানিয়া উপাসনা করেন সাধুগণ তাহার নিকট শীঘ্র আগমন করেন-'সাধবো ধর্ম্মা আ চ গচ্ছেষুঃ, উপ চ নমেষুঃ'- তাহার নিকট আগমন করে ও তাহার ভোগ্য হয়।
 
২য় খণ্ডঃ
লোকদৃষ্টিতে পঞ্চবিধ সামের উপাসনা করিবে।পঞ্চবিধং সাম উপাসীত।পৃথিবী হিংকার,অগ্নি প্রস্তাব, অন্তরীক্ষ উদগীথ,আদিত্য প্রতিহার, দ্যৌ নিধন।ইহা উর্ধ্ব দৃষ্টিতে সামোপাসনা।তাহার পর উর্ধ্বলোক হইতে আরম্ভ করিয়া নিম্নদৃষ্টিতে সামোপাসনা।দ্যৌ হিংকার,আদিত্য প্রস্তাব, অন্তরীক্ষ উদগীথ,অগ্নি প্রতিহার,পৃথিবী নিধন।
যিনি এই তত্ত্ব জানিয়া উর্ধ্ব হইতে নিম্ন পর্যন্ত ও নিম্ন হইতে উর্ধ্ব পর্যন্ত উপাসনা করেন-সমুদয় লোক তাহার ভোগ্য হয়।
৩য় খণ্ডঃ
বৃষ্টি বর্ষণে পাঁচ প্রকার সামের উপাসনা। বৃষ্টির পূর্ববর্তী বায়ু হিংকার,মেঘ জমে ইহা প্রস্তাব, বৃষ্টি পড়ে ইহা উদগীথ,মেঘগর্জ্জন ও বিদ্যুৎচমক ইহা প্রতিহার,বৃষ্টিপাত শেষ হয়-ইহা নিধন।যিনি এই তত্ত্ব জানিয়া বৃষ্টি-দৃষ্টিতে পঞ্চবিধ সামের উপাসনা করেন,মেঘ তাহার জন্য বর্ষণ করে,তিনি অন্যের জন্য বর্ষণ করান।
৪র্থ খণ্ডঃ
জলবিষয়ে পঞ্চপ্রকার সামের উপাসনা।মেঘ ঘনীভূত হয় ইহা হিংকার,বর্ষণ হয় ইহা প্রস্তাব, পূর্বদিকে প্রবাহিত নদী, ইহা উদগীথ,পশ্চিম দিকে প্রবাহিত নদী প্রতিহার,সমুদ্র নিধন। যিনি এই তত্ত্ব জানিয়া জলতত্ত্বে তাহার উপাসনা করেন তিনি জলমগ্ন হন না,জলশায়ী হন।

(C) Niha Rani Roy
Share:

ছান্দোগ্যোপনিষৎঃ ১ম প্রপাঠক(পর্ব-১০)

 একাদশ খণ্ডঃ
উষস্তি চক্রের পুত্র এই পরিচয় পাইয়া প্রীত হইয়া যজমান রাজা তাহাকে ঋত্বিক পদে বরণ করিলেন।কারণ তাহাকেই তিনি এই পদের জন্য খুজিতেছিলেন।
ঋত্বিক উষস্তির নিকট প্রস্তোতা জানিতে চাহিলেন- কোন্ দেবতা প্রস্তাবের অনুগমন করেন?উষস্তি উত্তর দিলেন,প্রাণ দেবতা।সমুদয় ভুত প্রাণের উৎপন্ন,প্রাণেই বিলীন হয়।এই মন্ত্রদ্বারা প্রাণই পরমাত্না ইহা বুঝা যায়।এই সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে ব্রহ্মসূত্র (২/৪/১) "তথা প্রাণাঃ" প্রতিষ্ঠিত।
উদগাতা জানিতে চাহিলেন,কোন্ দেবতা উদগীথের অনুগমন করে? উষস্তি উত্তর দিলেন- আদিত্য দেবতা।তিনি উর্ধ্বস্থ হইলে সমুদয় ভূত তাহার স্তব করে।প্রতিহর্তা জানিতে চাহিলেন- কোন্ দেবতা প্রতিহারের অনুসরণ করেন? উষস্তি বলিলেন- অন্ন দেবতা।সমুদয় ভূত অন্নাহরণ করিয়াই জীবিত থাকে।
 

দ্বাদশ খণ্ডঃ
দালভ্যের পুত্র বক।তাঁহার অপর নাম মৈত্রেয়,গ্লাব।তিনি একদা বেদ পাঠের জন্য কোনো নির্জন স্থানে গমন করিলেন।তখন তাঁহার নিকট একটি শ্বেত বর্ণের কুকুর আসিল।অন্য কতকগুলি কুকুর তাহার নিকট গিয়া বলিল- আমাদের অন্ন লাভের জন্য আপনি সাম গান করুন।আমরা অন্ন ভোজন করিতে ইচ্ছা করি।শ্বেত কুকুর বলিল,"সকলে প্রভাতে আসিও"।দালভ্য তাহাদের অপেক্ষা করিলেন।তাহারা আসিল।বহিষ্পবমান স্তোত্রদ্বারা স্তুতি করিবার সময় যেমন পরস্পর সংলগ্ন হইয়া পরিভ্রমণ করে কুকুরগুলি সেইরূপ করিল।তাহারা 'হিং' উচ্চারণ করিল।ওঁ অদাম(আহার করি)ওঁ পিবাম(জলপান করি)ওঁ দেব বরুণ প্রজাপতি সবিতা অন্ন আনয়ন করুন।হে অন্নপতে,এই স্থানে অন্ন আহরণ করুন।আহরণ কর।ওম্।

ত্রয়োদশ খণ্ডঃ
এই পৃথিবী 'হাউ' কার।বায়ু 'হাই' কার।চন্দ্রমা 'অথ' কার।আত্না 'ইহ' কার।অগ্নি 'ঈ' কার।আদিত্য 'উ' কার।আহ্বান 'এ' কার।বিশ্বদেব 'ঔহোই' কার।প্রজাপতি 'হিং' কার।প্রাণই 'স্বর' কার।অন্নই 'যা' অক্ষর। বাকই বিরাট। তেরটি স্তোভ-' হাউ','অথ','ইহ','ঈ','এ','উ',ঔহোই','হিং','স্বর',যা,বাক্ ও হুং।ইহা অনিরুক্ত-অনির্ব্বচনীয়।
বাক্যের যে দুগ্ধ, তাহা বাক্ স্বয়ং উপাসকের জন্য দোহন করেন।যিনি স্তোভ অক্ষরসমুহের উপনিষদ অর্থাৎ গুহ্যার্থ জানেন তিনি অন্নবান হন।

 (C) Niha Rani Roy
Share:

দেবতারা কেন স্বর্গে থাকেন আর দানবরা কেন পাতালে থাকেন ??

এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজতে গিয়ে ,,দেবর্ষি নারদ একবার ব্রহ্মলোকে সৃষ্টিকর্তা ব্রহ্মাজীর কাছে গিয়ে উপস্থিত হলেন।ব্রহ্মাজী বললেন ,, হে দেবর্ষি নারদ !!দেবতারাও আমার সন্তান আর দানবরাও আমারই সন্তান ,,তাই এই প্রশ্নের উত্তর যদিও আমার দেওয়া উচিৎ নয় ,, তবে আমি তোমাকে আগামীকাল একটি উদাহরন দেখিয়ে বুঝিয়ে দেবো !! তুমি আজ সকল দেবতা ও দানবদের কাছে গিয়ে নিমন্ত্রন করে আসো ,,আগামীকাল তারা যেন আমার এখানে দ্বিপ্রহরে ভোজন সেবা করতে আসেন।দেবর্ষি নারদও পিতার আদেশ পালন করলেন।তিনি স্বর্গে গিয়ে দেবতাদের আর পাতালে গিয়ে দানবদের নিমন্ত্রন করে আসলেন !! পরদিন দুপুর বেলা প্রথমে দানবরা এসে উপস্থিত হলেন।দানবেরা ভোজন শুরু করবেন ,,ঠিক সেইসময় ব্রহ্মাজী একজন দানবের হাত ধরে ফেললেন এবং বললেন ,, তোমরা ভোজন করার আগে আমার একটি শর্ত মানতে হবে !! শর্তটি হলো তোমাদের সবার হাতে আমি কাঠ বেঁধে দেবো তারপর তোমরা ভোজন করতে পারবে !!


সেই মোতাবেক সকল দানবদের হাতে লাকড়ী বেঁধে দেওয়া হলো ,,তারা যেন হাত কিছুতেই বাঁকা করে খেতে না পারে !! দানবরা তো হাত বাঁকা করতে না পেরে কেউ কেউ মাটিতে শুয়ে ভোজন শুরু করে দিলেন ,,আবার কেউ কেউ পা দিয়ে কোনোরকমে ভোজনের থালাটা উঠিয়ে অনেক কষ্টে ভোজন করতে লাগলেন !! অবশেষে তারা ভালো করে ভোজন করতে না পেরে বিরক্ত হয়ে ব্রহ্মাজীকে বকাবকি শুরু করে দিলেন !! এইরকম ভাবেই যদি দুই হাতে লাকড়ী বেঁধে আমাদের ভোজন করতে দেওয়া হয় তাহলে কেন আমাদের নিমন্ত্রন করে এখানে আনা হলো ?? আমাদের কি এখানে অপমান করার জন্য আনা হয়েছে ??

ঠিক সেইসময় দেবতারা সেখানে এসে উপস্থিত হলেন এবং তারাও ভোজন করতে বসলেন।পরমপিতা ব্রহ্মাজী তাদেরও হাত ঐ একইভাবে বেঁধে দিলেন।দেবতারা বুঝে গেছেন যে এইভাবে তো ভোজন করা যাবেনা।তাই এই হাত সোজা অবস্থাতেই দেবতারা খুবই আনন্দ সহকারে একে অপরকে ভোজন করাতে লাগলেন।কিছুক্ষণ পর দেবতাদের ভোজন শেষ হয়ে গেল।এবার দেবতারা একে অপরকে হাত ধোঁয়াতে লাগলেন।এই দৃশ্য দেখে দানবরা খুবই লজ্জিত হয়ে গেলেন এবং তারা আফসোস করতে লাগলেন যে ,, দেবতাদের এই চিন্তাধারাটা আগে কেন আমাদের মাথায় আসলোনা !!

দূর থেকে দেবর্ষি নারদ এই দৃশ্য দেখে উনার এতদিনের প্রশ্নের উত্তর পেয়ে গেছেন এবং ব্রহ্মাজীকে অসংখ্য ধন্যবাদ ও প্রনাম জানালেন।

#হিতোপদেশঃ- তাই ভগবৎ ভক্তগন ,, এই পৌরাণিক কাহিনীটি থেকে আমরা একটা দারুন শিক্ষা পাচ্ছি যে ,, অপরকে ভালবাসা আর পরোপকার করার মধ্যেই ধর্মের অন্তর্নিহিত অর্থ লুকিয়ে থাকে।

(C) ডি শীল
Share:
শিবগীতা : বিভূতিযোগো নাম ষষ্ঠোহধ্যায়ঃ
ময়্যেব সকলং জাতং ময়ি সর্বং প্রতিষ্ঠিতম্ ।
ময়ি সর্বং লয়ং যাতি তদ্ ব্রহ্মাদ্বয়মস্ম্যহম্ ॥৫৪॥
অণোরণীয়ানহমেব তদ্বন্মহানহং বিশ্বমহং বিশুদ্ধঃ ।
পুরাতনোহহং পুরুষোহহমীশো হিরণ্ময়োহহং শিবরূপমস্মি ॥৫৫॥
অপাণিপাদোহহমচিন্ত্যশক্তিঃ পশ্যাম্যচক্ষুঃ স শৃণোম্যকর্ণঃ ।
অহং বিজানামি বিবিক্তরূপো ন চাস্তি বেত্তা মম চিৎ সদাহম্ ॥৫৬॥
বেদৈরমোঘৈরহমেব বেদ্যো বেদান্তকৃদ্বেদবিদেব চাহম্ ।
ন পুণ্যপাপে মম নাস্তি নাশো ন জন্ম দেহেন্দ্রিয়বুদ্ধিরস্তি॥৫৭॥

অনুবাদ :- বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের সকল কিছুই আমার থেকে সৃষ্ট , আবার সবকিছুই আমাতে প্রতিষ্ঠিত আছে । এবং অবশেষে আমাতেই সব লয় হয় । তাই আমিই অদ্বিতীয় ব্রহ্ম ॥৫৪॥
আমি সূক্ষ্ম থেকেও সূক্ষ্মতম , আবার বৃহৎ থেকেও বৃহত্তম , মহৎ থেকে মহত্তম । আমিই বিশ্বস্বরূপ , বিশুদ্ধ । আমিই পুরাতন পুরুষ , ঈশ এবং হিরণ্ময় । আমিই পরমব্রহ্ম - পরমজ্যোতিঃ শিব ॥৫৫॥
আমি হস্তপদহীন তবুও আমার শক্তি অচিন্তনীয় । আমি চক্ষুহীন হলেও সকল কিছুই দর্শন করি । আবার কর্ণহীন হয়েও আমি সবই শ্রবণ করে থাকি । আমি সর্ববেত্তা , আমার বেত্তা কেউ নেই । আমি বিবিক্তরূপী , আমি সকলই প্রকাশ করি , অথচ আমার স্বরূপ কেউ জানতে পারে না । সর্বদাই চিৎস্বরূপ আমি - আমিই সচ্চিদানন্দময় ॥৫৬॥
বেদসমূহের মর্ম উপলব্ধি করতে পারলেই আমাকে জানা যায় । আমি অমোঘ বেদ দ্বারা বেদ্য , আমিই বেদান্তকর্তা , আমিই বেদবিৎ । আমি পাপ - পুণ্য রহিত , আমার জন্ম বা বিনাশ নেই , আমি দেহ , ইন্দ্রিয় ও বুদ্ধি রহিত ॥৫৭॥

জয় শিবগীতা,জয় পরমেশ্বর শিব
Share:

২৬ মার্চ ২০১৮

রামায়ন কথা (সম্পূর্ন)

                                                        আদিকাণ্ড

রামায়ন কথাঃ আদিকান্ড - ৩২ পর্ব

                                           অযোধ্যাকাণ্ড



                                                                   অরণ্যকাণ্ড


রামায়ন কথাঃ অরণ্যকাণ্ড - ১২ পর্ব

                                                                     কিষ্ন্ধিন্ধ্যাকাণ্ড


রামায়ন কথাঃ  কিষ্ন্ধিন্ধ্যাকাণ্ড -  ০১ পর্ব

                                                            সুন্দরাকাণ্ড


রামায়ন কথাঃ সুন্দরাকাণ্ড -০১  পর্ব
রামায়ন কথাঃ সুন্দরাকাণ্ড - ১২ পর্ব
রামায়ন কথাঃ সুন্দরাকাণ্ড -১৩  পর্ব

                                                             লঙ্কাকাণ্ড


রামায়ন কথাঃ লঙ্কাকাণ্ড -০১ পর্ব
রামায়ন কথাঃ লঙ্কাকাণ্ড -০৪ পর্ব
রামায়ন কথাঃ লঙ্কাকাণ্ড -০৫ পর্ব
রামায়ন কথাঃ লঙ্কাকাণ্ড -০৮ পর্ব
রামায়ন কথাঃ লঙ্কাকাণ্ড -০৯ পর্ব
রামায়ন কথাঃ লঙ্কাকাণ্ড -১২ পর্ব
রামায়ন কথাঃ লঙ্কাকাণ্ড -১৩ পর্ব
রামায়ন কথাঃ লঙ্কাকাণ্ড -১৬ পর্ব
রামায়ন কথাঃ লঙ্কাকাণ্ড -১৭ পর্ব
রামায়ন কথাঃ লঙ্কাকাণ্ড -২০ পর্ব
রামায়ন কথাঃ লঙ্কাকাণ্ড -২১ পর্ব
রামায়ন কথাঃ লঙ্কাকাণ্ড -২৪ পর্ব
রামায়ন কথাঃ লঙ্কাকাণ্ড -২৫ পর্ব
রামায়ন কথাঃ লঙ্কাকাণ্ড -২৮ পর্ব
রামায়ন কথাঃ লঙ্কাকাণ্ড -২৯ পর্ব
রামায়ন কথাঃ লঙ্কাকাণ্ড -৩২ পর্ব
রামায়ন কথাঃ লঙ্কাকাণ্ড -৩৩ পর্ব
রামায়ন কথাঃ লঙ্কাকাণ্ড -৩৬ পর্ব
রামায়ন কথাঃ লঙ্কাকাণ্ড -৩৭ পর্ব
রামায়ন কথাঃ লঙ্কাকাণ্ড - পর্ব
রামায়ন কথাঃ লঙ্কাকাণ্ড - পর্ব
রামায়ন কথাঃ লঙ্কাকাণ্ড - পর্ব
রামায়ন কথাঃ লঙ্কাকাণ্ড - পর্ব
রামায়ন কথাঃ লঙ্কাকাণ্ড - পর্ব
রামায়ন কথাঃ লঙ্কাকাণ্ড - পর্ব
রামায়ন কথাঃ লঙ্কাকাণ্ড - পর্ব
রামায়ন কথাঃ লঙ্কাকাণ্ড - পর্ব
রামায়ন কথাঃ লঙ্কাকাণ্ড - পর্ব
রামায়ন কথাঃ লঙ্কাকাণ্ড - পর্ব
রামায়ন কথাঃ লঙ্কাকাণ্ড - পর্ব
রামায়ন কথাঃ লঙ্কাকাণ্ড - পর্ব
রামায়ন কথাঃ লঙ্কাকাণ্ড - পর্ব
রামায়ন কথাঃ লঙ্কাকাণ্ড - পর্ব
রামায়ন কথাঃ লঙ্কাকাণ্ড - পর্ব
রামায়ন কথাঃ লঙ্কাকাণ্ড - পর্ব
রামায়ন কথাঃ লঙ্কাকাণ্ড - পর্ব
রামায়ন কথাঃ লঙ্কাকাণ্ড - পর্ব
রামায়ন কথাঃ লঙ্কাকাণ্ড - পর্ব
রামায়ন কথাঃ লঙ্কাকাণ্ড - পর্ব
রামায়ন কথাঃ লঙ্কাকাণ্ড - পর্ব
রামায়ন কথাঃ লঙ্কাকাণ্ড - পর্ব
রামায়ন কথাঃ লঙ্কাকাণ্ড - পর্ব
রামায়ন কথাঃ লঙ্কাকাণ্ড - পর্ব
রামায়ন কথাঃ লঙ্কাকাণ্ড - পর্ব
রামায়ন কথাঃ লঙ্কাকাণ্ড - পর্ব
রামায়ন কথাঃ লঙ্কাকাণ্ড - পর্ব
রামায়ন কথাঃ লঙ্কাকাণ্ড - পর্ব
রামায়ন কথাঃ লঙ্কাকাণ্ড - পর্ব
রামায়ন কথাঃ লঙ্কাকাণ্ড - পর্ব
রামায়ন কথাঃ লঙ্কাকাণ্ড - পর্ব
রামায়ন কথাঃ লঙ্কাকাণ্ড - পর্ব
রামায়ন কথাঃ লঙ্কাকাণ্ড - পর্ব
রামায়ন কথাঃ লঙ্কাকাণ্ড - পর্ব
রামায়ন কথাঃ লঙ্কাকাণ্ড - পর্ব
রামায়ন কথাঃ লঙ্কাকাণ্ড - পর্ব
রামায়ন কথাঃ লঙ্কাকাণ্ড - পর্ব
রামায়ন কথাঃ লঙ্কাকাণ্ড - পর্ব
রামায়ন কথাঃ লঙ্কাকাণ্ড - পর্ব
রামায়ন কথাঃ লঙ্কাকাণ্ড - পর্ব
রামায়ন কথাঃ লঙ্কাকাণ্ড - পর্ব
Share:

Total Pageviews

বিভাগ সমুহ

অন্যান্য (91) অবতারবাদ (7) অর্জুন (4) আদ্যশক্তি (68) আর্য (1) ইতিহাস (30) উপনিষদ (5) ঋগ্বেদ সংহিতা (10) একাদশী (10) একেশ্বরবাদ (1) কল্কি অবতার (3) কৃষ্ণভক্তগণ (11) ক্ষয়িষ্ণু হিন্দু (21) ক্ষুদিরাম (1) গায়ত্রী মন্ত্র (2) গীতার বানী (14) গুরু তত্ত্ব (6) গোমাতা (1) গোহত্যা (1) চাণক্য নীতি (3) জগন্নাথ (23) জয় শ্রী রাম (7) জানা-অজানা (7) জীবন দর্শন (68) জীবনাচরন (56) জ্ঞ (1) জ্যোতিষ শ্রাস্ত্র (4) তন্ত্রসাধনা (2) তীর্থস্থান (18) দেব দেবী (60) নারী (8) নিজেকে জানার জন্য সনাতন ধর্ম চর্চাক্ষেত্র (9) নীতিশিক্ষা (14) পরমেশ্বর ভগবান (25) পূজা পার্বন (43) পৌরানিক কাহিনী (8) প্রশ্নোত্তর (39) প্রাচীন শহর (19) বর্ন ভেদ (14) বাবা লোকনাথ (1) বিজ্ঞান ও সনাতন ধর্ম (39) বিভিন্ন দেশে সনাতন ধর্ম (11) বেদ (35) বেদের বানী (14) বৈদিক দর্শন (3) ভক্ত (4) ভক্তিবাদ (43) ভাগবত (14) ভোলানাথ (6) মনুসংহিতা (1) মন্দির (38) মহাদেব (7) মহাভারত (39) মূর্তি পুজা (5) যোগসাধনা (3) যোগাসন (3) যৌক্তিক ব্যাখ্যা (26) রহস্য ও সনাতন (1) রাধা রানি (8) রামকৃষ্ণ দেবের বানী (7) রামায়ন (14) রামায়ন কথা (211) লাভ জিহাদ (2) শঙ্করাচার্য (3) শিব (36) শিব লিঙ্গ (15) শ্রীকৃষ্ণ (67) শ্রীকৃষ্ণ চরিত (42) শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু (9) শ্রীমদ্ভগবদগীতা (40) শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা (4) শ্রীমদ্ভাগব‌ত (1) সংস্কৃত ভাষা (4) সনাতন ধর্ম (13) সনাতন ধর্মের হাজারো প্রশ্নের উত্তর (3) সফটওয়্যার (1) সাধু - মনীষীবৃন্দ (2) সামবেদ সংহিতা (9) সাম্প্রতিক খবর (21) সৃষ্টি তত্ত্ব (15) স্বামী বিবেকানন্দ (37) স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (14) স্মরনীয় যারা (67) হরিরাম কীর্ত্তন (6) হিন্দু নির্যাতনের চিত্র (23) হিন্দু পৌরাণিক চরিত্র ও অন্যান্য অর্থের পরিচিতি (8) হিন্দুত্ববাদ. (83) shiv (4) shiv lingo (4)

আর্টিকেল সমুহ

অনুসরণকারী

" সনাতন সন্দেশ " ফেসবুক পেজ সম্পর্কে কিছু কথা

  • “সনাতন সন্দেশ-sanatan swandesh" এমন একটি পেজ যা সনাতন ধর্মের বিভিন্ন শাখা ও সনাতন সংস্কৃতিকে সঠিকভাবে সবার সামনে তুলে ধরার জন্য অসাম্প্রদায়িক মনোভাব নিয়ে গঠন করা হয়েছে। আমাদের উদ্দেশ্য নিজের ধর্মকে সঠিক ভাবে জানা, পাশাপাশি অন্য ধর্মকেও সম্মান দেওয়া। আমাদের লক্ষ্য সনাতন ধর্মের বর্তমান প্রজন্মের মাঝে সনাতনের চেতনা ও নেতৃত্ত্ব ছড়িয়ে দেওয়া। আমরা কুসংষ্কারমুক্ত একটি বৈদিক সনাতন সমাজ গড়ার প্রত্যয়ে কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের এ পথচলায় আপনাদের সকলের সহযোগিতা কাম্য । এটি সবার জন্য উন্মুক্ত। সনাতন ধর্মের যে কেউ লাইক দিয়ে এর সদস্য হতে পারে।