• মহাভারতের শহরগুলোর বর্তমান অবস্থান

    মহাভারতে যে সময়ের এবং শহরগুলোর কথা বলা হয়েছে সেই শহরগুলোর বর্তমান অবস্থা কি, এবং ঠিক কোথায় এই শহরগুলো অবস্থিত সেটাই আমাদের আলোচনার বিষয়। আর এই আলোচনার তাগিদে আমরা যেমন অতীতের অনেক ঘটনাকে সামনে নিয়ে আসবো, তেমনি বর্তমানের পরিস্থিতির আলোকে শহরগুলোর অবস্থা বিচার করবো। আশা করি পাঠকেরা জেনে সুখী হবেন যে, মহাভারতের শহরগুলো কোনো কল্পিত শহর ছিল না। প্রাচীনকালের সাক্ষ্য নিয়ে সেই শহরগুলো আজও টিকে আছে এবং নতুন ইতিহাস ও আঙ্গিকে এগিয়ে গেছে অনেকদূর।

  • মহাভারতেের উল্লেখিত প্রাচীন শহরগুলোর বর্তমান অবস্থান ও নিদর্শনসমুহ - পর্ব ০২ ( তক্ষশীলা )

    তক্ষশীলা প্রাচীন ভারতের একটি শিক্ষা-নগরী । পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের রাওয়ালপিন্ডি জেলায় অবস্থিত শহর এবং একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান। তক্ষশীলার অবস্থান ইসলামাবাদ রাজধানী অঞ্চল এবং পাঞ্জাবের রাওয়ালপিন্ডি থেকে প্রায় ৩২ কিলোমিটার (২০ মাইল) উত্তর-পশ্চিমে; যা গ্রান্ড ট্রাঙ্ক রোড থেকে খুব কাছে। তক্ষশীলা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৫৪৯ মিটার (১,৮০১ ফিট) উচ্চতায় অবস্থিত। ভারতবিভাগ পরবর্তী পাকিস্তান সৃষ্টির আগ পর্যন্ত এটি ভারতবর্ষের অর্ন্তগত ছিল।

  • প্রাচীন মন্দির ও শহর পরিচিতি (পর্ব-০৩)ঃ কৈলাশনাথ মন্দির ও ইলোরা গুহা

    ১৬ নাম্বার গুহা, যা কৈলাশ অথবা কৈলাশনাথ নামেও পরিচিত, যা অপ্রতিদ্বন্দ্বীভাবে ইলোরা’র কেন্দ্র। এর ডিজাইনের জন্য একে কৈলাশ পর্বত নামে ডাকা হয়। যা শিবের বাসস্থান, দেখতে অনেকটা বহুতল মন্দিরের মত কিন্তু এটি একটিমাত্র পাথরকে কেটে তৈরী করা হয়েছে। যার আয়তন এথেন্সের পার্থেনন এর দ্বিগুণ। প্রধানত এই মন্দিরটি সাদা আস্তর দেয়া যাতে এর সাদৃশ্য কৈলাশ পর্বতের সাথে বজায় থাকে। এর আশাপ্সহ এলাকায় তিনটি স্থাপনা দেখা যায়। সকল শিব মন্দিরের ঐতিহ্য অনুসারে প্রধান মন্দিরের সম্মুখভাগে পবিত্র ষাঁড় “নন্দী” –র ছবি আছে।

  • কোণারক

    ১৯ বছর পর আজ সেই দিন। পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে সোমবার দেবতার মূর্তির ‘আত্মা পরিবর্তন’ করা হবে আর কিছুক্ষণের মধ্যে। ‘নব-কলেবর’ নামের এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দেবতার পুরোনো মূর্তি সরিয়ে নতুন মূর্তি বসানো হবে। পুরোনো মূর্তির ‘আত্মা’ নতুন মূর্তিতে সঞ্চারিত হবে, পূজারীদের বিশ্বাস। এ জন্য ইতিমধ্যেই জগন্নাথ, সুভদ্রা আর বলভদ্রের নতুন কাঠের মূর্তি তৈরী হয়েছে। জগন্নাথ মন্দিরে ‘গর্ভগৃহ’ বা মূল কেন্দ্রস্থলে এই অতি গোপনীয় প্রথার সময়ে পুরোহিতদের চোখ আর হাত বাঁধা থাকে, যাতে পুরোনো মূর্তি থেকে ‘আত্মা’ নতুন মূর্তিতে গিয়ে ঢুকছে এটা তাঁরা দেখতে না পান। পুরীর বিখ্যাত রথযাত্রা পরিচালনা করেন পুরোহিতদের যে বংশ, নতুন বিগ্রহ তৈরী তাদেরই দায়িত্ব থাকে।

  • বৃন্দাবনের এই মন্দিরে আজও শোনা যায় ভগবান শ্রীকৃষ্ণের মোহন-বাঁশির সুর

    বৃন্দাবনের পর্যটকদের কাছে অন্যতম প্রধান আকর্ষণ নিধিবন মন্দির। এই মন্দিরেই লুকিয়ে আছে অনেক রহস্য। যা আজও পর্যটকদের সমান ভাবে আকর্ষিত করে। নিধিবনের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা রহস্য-ঘেরা সব গল্পের আদৌ কোনও সত্যভিত্তি আছে কিনা, তা জানা না গেলেও ভগবান শ্রীকৃষ্ণের এই লীলাভূমিতে এসে আপনি মুগ্ধ হবেনই। চোখ টানবে মন্দিরের ভেতর অদ্ভুত সুন্দর কারুকার্যে ভরা রাধা-কৃষ্ণের মুর্তি।

০২ সেপ্টেম্বর ২০২০

কেন হিন্দু মেয়েরা ধর্মান্তরিত হয় ? পর্ব - ২

প্রশ্ন : কেন হিন্দু মেয়েরা ধর্মান্তরিত হয়? পর্ব - ২

উত্তর : গত পর্বে মূলত সংক্ষিপ্ত আলোচনা ছিল। তাহলে আজ একটু বড় পরিসরে আলোচনা করার ইচ্ছে প্রকাশ করছি। কি কেন কিভাবে?

১.কি জন্য ধর্মান্তরিত হয়?

২.কেন ধর্মান্তরিত হয়?

৩. কিভাবে ধর্মান্তরিত হয়?

একটু ভেবে দেখা যাক? নিজেকে প্রশ্ন করুন উত্তর এমনিতে দেওয়া শুরু হয়ে যাবে।

১....কি জন্য ধর্মান্তরিত হয়?

উত্তর : খুব সহজ প্রশ্ন আবার খুব কঠিন প্রশ্ন।

১. আমরা আসলে নিজেদের ধর্মীয় সংস্কৃতি থেকে মুখ বহু আগেই ঘুরিয়ে নিয়েছি। তবে আমরা আবার এতটাই উদার যে অপরের সংস্কৃতি গুলোকে আমরা নিজের ভেবে নিয়েছি।

২. আমাদের মধ্যে জড়তা প্রচুর, কোন ব্যাক্তি যে যদি ধর্মীয় কিছু সমন্ধে কিছু জিজ্ঞাসা করা হয় তাহলে সে তেমন স্বচ্ছন্দ বোধ করে না।

৩. পরিবার বিরাট অংশে দ্বায়ী। আপনার সন্তান দের ধর্মীয় শিক্ষা প্রদানের প্রাথমিক বলি আর গুরুদ্বায়িত্বই বলি না কেন, পরিবারের ভূমিকা টা অপরিসীম। কিন্তু আমরা চাই সব কিছু করুক কিন্তু মাঝখান থেকে ধর্মীয় ব্যাপারটি না খুব সুন্দর করে বাদ চলে যায়।

৪. সেকুলারিজম। আমারা তো সর্বধর্ম সমান এই রুপ মতবাদ নিয়ে চলি। কোন মুসলিম কি গিয়ে একটু জিজ্ঞাসা করুন, যে সেকুলারিজম মানে কি না? সে বলবে আমি মুসলিম, আমি সেকুলারিটি মানি না, আর কোনদিন মানবও না। তাহলে আপনি হিন্দু, আপনার হিন্দু হিসেবে পরিচয় দিতে সমস্যা কোথায়। সব সমান ভাবলে একটি প্রশ্নের উত্তর তাহলে আপনাদের কাছে থাকার কথা যারা সেকুলারিটি মানেন! উত্তর টি দিয়ে যাবেন

প্রশ্নটি হলো : হাতের পাঁচ টা আঙ্গুল কেন সমান না? সব সমান থাকা উচিত ছিল বোধ হয়। সবাই কেন আলাদা আলাদা সম্প্রদায়ের?

আপনি সেকুলারিটি মানেন আর নাই মানেন তাতে আমার কোন আপত্তি নেই! সেটা আপনার বিষয়। কিন্তু এই সেকুলারিটির কারনে খুব সুন্দর করে আমাদের ধর্মীয় ছেলে/ মেয়েরা ধর্ম ত্যাগ করে অন্য ধর্মের অনুসারী হচ্ছে। যদি বাচতে চান এই সেকুলার বা আমি সেকুলারিটি মানি এইসব কথা বলা এইক্ষণে বাদ দিন। না হলে সেকুলার করতে করতে নিজেই ফির আবার এই ফাদে পা ফেলে দিয়েন না যেন!

২...এখন আসি কেন ধর্মান্তরিত হয়? এবার আরো একটু গভীর ভাবে ভাবার চেষ্টা করি?

উত্তর : উত্তর খুঁজতে গেলে সবার একটা কমন উত্তর পাওয়া যাবে যে, ধর্মীয় শিক্ষা ও সচেতনতা নেই। সঠিক কিন্তু পুরোপুরিভাবে সঠিক নয়। ধরুন সেই ছেলে/ মেয়েটি জানে যে লাভ-জিহাদ কি? তারপরেও সে নিজে এর শিকার হলো? এবং ধর্ম চেঞ্জ করল? তাহলে কেন চেঞ্জ করল সে?

উত্তর প্রেক্ষিতে আসতে পারে প্রকৃত সত্য খোজার অনিচ্ছা। একজন ব্যাক্তি আজবীন পৌরাণিক গল্প শুনে আসছে আর গীতাও পড়েছে। ধরে নিলাম সে গীতা সম্পূর্ণ ভাবেই শেষ করেছে। যেহেতু বাংলাদেশের ঘরে ঘরে বেদ পৌছায় নি সেহেতু এটাকে আলাদা করে রাখি। এখন অনেকেই বলবেন যে দাদা বেদকে কেন আলাদা করে রাখলেন? আচ্ছা বেদকে কেন আলাদা করলাম এর কারণ হলো, আমার কাছে বেদ আছে, আপনার কাছেও আছে কিন্তু ১০০ জনের মধ্যে ৯০-৯৫ জনের কাছে বেদ নেই তাই বেদকে আলাদা করে রাখলাম।

শ্রীমদ্ভাগবত গীতা প্রায় সবার ঘরে ঘরেই আছে তাই ছোট একটি শ্লোক বলি। অধ্যায় ৭, শ্লোক : ২০

কামৈস্তৈস্তৈর্হৃতজ্ঞানাঃ প্রপদ্যন্তেন্যদেবতাঃ৷
তং তং নিয়মমাস্থায় প্রকৃত্যা নিয়তাঃ স্বয়া৷৷২০

অর্থ: যাদের মন জড়-কামনা বাসনা দ্বারা বিকৃত তারা অন্য দেব-দেবীর শরণাগত হয়ে এবং তাদের স্বীয় স্বভাব অনুসারে নিয়ম পালন করে দেবতাদের উপাসনা করে।

ব্যস এখন কাজ শেষ। প্রশ্ন আসতে পারে যে তুমি কয়টা ঈশ্বর মানো? ঈশ্বর তো একজন আর যেখানে তোমাদের গীতায় পর্যন্ত বলা আছে দেব দেবীর পূজা নিষিদ্ধ। সেখানে এত পূজো করে কি হবে। তোমাদের বেদেও কিন্তু কোন প্রতিমাপূজার কথা বলা নেই।

এরপর ছোট ভাবনা আসবেই,,, কি? সত্যি নেই! তাহলে কি আমি ভুল পথে ছিলাম! আমি কি এখনো ভুল পথেই আছি? অনেকে হয়তো প্রকৃত সত্য না জেনেই সব কিছু গুলিয়ে ফেলেন। আবার অনেকে খোজার চেষ্টা করেন, যারা খোজার চেষ্টা করেন তাদের ধন্যবাদ। আর আমাদের মন এমন একটি জিনিস যে পূর্বের ভুল গুলোকে সংশোধন করার জন্য উঠেপড়ে লাগে। যেহেতু আপনার মাথায় ঢুকে গেছে যে আপনি ভুল ছিলেন!

এরপরে আসে দারিদ্র্যতা আর নিচু বর্ণের সমস্যা।

কর্ম অনুসারে মনুষ্য সমাজে চারটি বর্ণবিভাগ সৃষ্টি করা হয়েছে তবে বুঝতে হবে কর্ম অনুসারে। জন্ম অনুসারে নয়। তাই জন্ম আর কর্মকে দুইয়ে মানুষে বিভ্রান্ত হয়ে পড়ে। শংকর ভাষ্যে আপনি পাবেন যে নারীদের বেদ পড়ার অধিকার নেই আবার কোন নিচু বর্নের লোক বেদ পাঠ শুনলে তার কানে গরম শিষা ঢেলে দেওয়ার কথা পর্যন্ত বলা হয়েছে। তাহলে যে ধর্মে নারীদের বেদ পড়ার অধিকার নেই, নিচু বর্নের সাথে এত হীন আচরণ করা হয় সেটাকি আদেও কোন ধর্ম হতে পারে ? আচ্ছা বলুন তো নিচু বর্নের লোকেদের মন্দিরে ঢুকতে দেওয়া হয় কিনা? পরক্ষনে আপনার উত্তরটিও হবে না, আসলেই তো এতো বুজরুকি। এতো কোন ধর্মই না। এরপর আসবে মর্যাদা পুরুষোত্তম ভগবান শ্রীরামচন্দ্রের কথা। রামচন্দ্র শম্বুক নামে একজন শুদ্রকে হত্যা করেছিল। তাহলে কিভাবে হবে বলো? এরপর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ নিয়ে আরো কিছু অপপ্রচার চলবে যেমন টা চলেছে ভগবান রামচন্দ্রের বেলায়। এরপরে মনে হওয়া টা কি স্বাভাবিক নয় যে আপনার পদ্ধতিটা ভুল। আপনারা ভুল পথে আছেন।

আচ্ছা আপনিই বলুন তো আমরা জানি যে পৃথিবী গতিশীল ও তা সুর্যের চারদিকে ঘোরে। কিন্তু বেদে বলা হয়েছে, “পৃথিবী স্থির ও নিশ্চল দাঁড়িয়ে আছে “ আপনি খুব সুন্দর ভাবেই বলবেন ওহ আমি তো জানতাম না এই ব্যাপারে। পরক্ষণে অপরদিক থেকে উত্তর আসবে এবার আপনি নিজের বিবেককে প্রশ্ন করুন? এখনো কি নিজ ধর্মকে সঠিক বলবেন? যেখানে সব কিছুই ভুয়ো।

৩. কিভাবে এই ধর্মান্তরকরণ প্রক্রিয়াটি চলমান?

প্রথমত আপনাকে প্রেম দ্বারা বশীভূত করা হয় এবং আপনি প্রেমে এতটাই অন্ধ হয়ে যান যে তার দ্বারা উচ্চারিত প্রত্যেকটি শব্দকে আপনি সত্য বলে স্বীকার করতে থাকেন। তখন সে আপনাকে যাহাই বলিবে তাহাই আপনি মানবেন। সত্য মিথ্যার ফারাক তো পরে আসবে অনেক। কেন ধর্মান্তরিত হয়? ওই অংশটুকু পড়লে অনেক কিছুই পরিষ্কার হয়ে যাওয়ার কথা।

এরপর বাকি থাকে আমাদের টিভি সিরিয়াল আর মুভির মতো জায়গা টা,,,, এই জায়গাটাতে তো হিন্দু ধর্মকে খুব ভালো মতোই ছোট করার কাজ টি করে ফেলেছে। টিভি সিরিয়াল আর মুভি এতটাই অনুপ্রাণিত করে যে অর্ধেক কাজ ওইখানেই হয়ে যায় আর বাকি অর্ধেক মানুষেরা করে। ধর্মান্তরিত হবার জন্য মিডিয়ার সাপোর্ট দরকার যদি মিডিয়া সেই সাপোর্ট দিয়েই দেয় তাহলে তো কথাই নেই কোন। মিডিয়ার দৌলতে প্রক্রিয়া এখন খুব সোজা।

দারিদ্র হলে তো কথাই নেই সুযোগ সুবিধার নাম করে হলেও শেষ পর্যন্ত ধর্মান্তরকরণ এর খাতায় সবুজ টিক পড়বেই পড়বে।

পিকে মুভির একটা অংশ বলি

" সাফরাজ কাভি ধোকা নেহি দেগা "

সমালোচনা বেশি করে ফেলেছি বোধ হয়। আচ্ছা এবার থামি তাহলে । সাফরাজ ধোকা দেয় কি না? সে উত্তর তো সবাই জানে এর জন্য অনেক মেয়েকেই বস্তাবন্দী লাশ হয়ে যেতে হয়।

আমি শুধু ধারণা গুলো দেওয়ার চেষ্টা করলাম মাত্র। একটু চোখ কান খুলা রাখলে দেখবেন যে এইরকম হাজার টা ঘটনা সামনে চলে আসবে। আমাদের অবস্থা মহাত্মা গান্ধীর ওই উক্তির মতো যে এক গালে চড় মারলে আরেক গাল এগিয়ে দিতে হবে। যাতে আরো একবার চড় মারতে পারে। নিজে সচেতন হয়ে যান না হলে এখন একটি দুইটি খবর আসছে, হয়তো সামনের দিনে দশটি পর্যন্ত খবর আসতে পারে।

পারিবারিক ধর্মীয় কাঠামো আরো শক্তিশালী হবার দরকার বলে আমি মনে করি কিন্তু ধর্মীয় কাঠামো যতই শক্তিশালী হোক না কেন? যদি নিজের সদিচ্ছা না থাকে তাহলে কিছুই হবে না। শুধু ধর্মীয় জ্ঞান না জানা ব্যাক্তিরা ধর্ম ত্যাগ করছে না। অর্ধ জ্ঞান নিয়ে যারা জীবিত আছে আর যারা পৌরানিক ব্যাপারে বিশ্বাসী তারাও কিন্তু এই ফাদে পা দিচ্ছেন। সময় থাকতে নিজে সাবধান হন আর অপরকে সাবধান করুন।

দুইটি বই পড়লে অনেক কিছুই পরিষ্কার হয়ে যাবে

"সত্যার্থ প্রকাশ" এই বইটি পড়লে নিজেই বুঝতে পারবেন যে ঘটনা কি?

সত্যার্থ প্রকাশের ডাউনলোড লিংক :

https://drive.google.com/…/10FGs-BatALm0m2h5mtcVhMPc-…/view…

আর এই বইটি শুধু মাত্র বাস্তবতা জানার জন্য পড়া উচিত,,, কি হয় লাভ জিহাদের ফলে?

বইয়ের নাম : যখন আমির আনুষ্কার সাথে দেখা করেছিল

ডাউনলোড লিংক :
https://drive.google.com/…/1FkcR4jUqMxZiKh_Mh_TjE7ISL…/view…

পড়তে থাকুন আর জানতে থাকুন, সর্বোপরি নিজে সচেতন হন আর ধর্মীয় চেতনায় উদ্বুদ্ধ হন। প্রশ্ন জাগলে পোস্ট করুন অথবা কমেন্ট করুন।

অবশেষে say not to Love Jihad

 Post: Koushik Basak Koushik


 

Share:

কেন হিন্দু মেয়েরা ধর্মান্তরিত হয় ? পর্ব - ১

লাভ জিহাদ অনেকটাই নীরব ঘাতকের মতোন কিন্তু এই নীরব ঘাতককে প্রতিরোধ না করতে পারলে এটাই ভয়াবহ রূপ নিতে পারে। এর জন্য কোন অস্ত্রের দরকার নেই।
 

কেন হিন্দু মেয়েরা ধর্মান্তরিত হয়? পর্ব - ১

উত্তর: এটার উত্তর অনেক ভাবেই দেওয়া যেতে পারে এখন আপনারা যদি এই টাইপের মেয়েদের একটু background ঘাটাঘাটি করেন তাহলে যে জিনিসগুলো কমন পাবেন ।

১. সব ধর্ম সমান। আমরা তো মানুষ নাকি তাছাড়া সব কিছুতেই ভাল খারাপ আছে।

২. এরপর এদের সার্কেল টাতে সবচাইতে বেশি সমস্যা , স্কুল বা কলেজে এই ধর্মীয় বিষয় নিয়ে প্রশ্ন উঠলে দুইটা কাজ করা হয়
১. যা বলছে তাকে সমর্থন দেওয়া
২. না হয় চুপ করে যাওয়া

৩. এই পয়েন্ট ভয়ংকর গুরুতর এইসব মেয়েদের ধর্মীয় শিক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠে এটা খুব স্বাভাবিক এবং নির্দ্বিধায় বলা যায় যে এই মেয়েটির ধর্মীয় জ্ঞান শূন্য। এই জায়গাটা দুইটি কারনে হতে পারে,

১. বাবা- মায়ের কারণে অথবা ২. নিজের সদিচ্ছার অভাব

**আমাদের সনাতনী বাবা-মায়েদের সংস্কৃতি চর্চা করাটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় চর্চার চেয়ে। তাই এটি একটি কারণ হতে পারে। এখানে আমি বলছি না যে সংস্কৃতি চর্চা বাদ দিয়ে দেওয়া হোক কিন্তু সংস্কৃতি পাশাপাশি ধর্মীয় চর্চাটাও অব্যাহত রাখাটা দরকার। আর নিজের সদিচ্ছার অভাব অনেকের মধ্যেই আছে সেটা বলাই বাহুল্য। তাহলে একটা ঘটনা বলি যা আমার এক প্রাইভেটে ঘটেছিল একদিন স্যার ৩ জন মেয়েকে পর্যায়ক্রমে দাঁড়া করিয়ে জিজ্ঞাসা করলেন, সনাতন ধর্মের প্রধান ধর্মগ্রন্থের নাম কি?

১ম জন বলল শ্রীমদ্ভগবদগীতা
২য় জন বলল রামায়ণ
৩য় জন বলল মহাভারত। অবস্থান টা ঠিক এই রকম যেখানে এই ৩ জনের একজনেও প্রধান ধর্মগ্রন্থের নাম টুকু জানে না। এতেই বুঝা যায় যে ধর্মচর্চা কতটুকু করে বা তাদের আগ্রহ কতটুকু??? এদের ৩ জনের দ্বারা বাকি সবাইকে হয়তো বিচার করাটা মুশকিল কিন্তু অনেকের অবস্থা এই ৩ জনের মতোন।

৪. বন্ধু - বান্ধব এইটাও একটা এক্স ফ্যাক্টর। কিভাবে? এই মেয়েদের সাথে কি ঘটেছে তা আমরা কেউ জানি না! তবে অনেক বন্ধুরাই এই জায়গাটায় অনুপ্রেরণার জোগান দেয়।

" আরে কি হবে? ও তো মানুষ আর তাছাড়া ভালোবাসার কোন ধর্ম হয় না " accept করে নে আর এমনিতেও ছেলে হিসেবে ও খুব ভাল। তোকে ভালোই রাখবে। আর ও মানুষ হিসেবেও সৎ আর এখন সৎ মানুষ পাওয়াটা তো ভাগ্যের ব্যাপার। তুই তো ভাগ্যবতী। ব্যাস এইসব কথার দ্বারা আকৃষ্ট হয়ে এবং প্রাণপ্রিয় বন্ধুর দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে এই ভুল পদক্ষেপ তারা নেয়। আর একটি ভুল সারা জীবনের কান্না।

৫. এরপর ধীরে ধীরে মনুষ্যধর্ম তথা সেকুলারিটি থেকে বের হয়ে আসল পরিচয় প্রকাশ পায়। তারপরের ঘটনা সবার জানা।

পর্যায়ক্রমিক ঘটনাটা এমন যে,,,,

প্রথমে ভাল মানুষের অভিনয় > সাহায্য দ্বারা বা কোন গুণাবলী দ্বারা আকৃষ্ট > তারপর প্রেম প্রস্তাব > তারপর প্রেম মানে না ধর্ম > সেকুলারিটি > প্রেম পর্বের শুরু > ধীরে ধীরে সেকুলারিটি ত্যাগ > ইসলামের সৌন্দর্য্য > সনাতন ধর্মের ভুল > পার্থক্য পর্ব শেষ > এরপর জান্নাতি লোভ > অতঃপর ধর্ম ও পরিবার ত্যাগে বাধ্য করা > বিবাহ > অত্যাচার > ধর্ষণ > তালাক এখন অনেকে বেচে যায় প্রাণে তবে অনেকের ক্ষেত্রে মৃত্যু পর্যন্ত যায় > মৃত্যু

ব্যস শেষ। এখন এই মেয়েদের গুলি করে মারে দিলে তো সমস্যার সমাধান হবে না। দেখবেন দুইমাস/ দুই বছর পর কোন ঝোপঝাড় বা জঙ্গল বা রাস্তার ধারে বস্তাবন্দী লাশ হয়ে আছে। কর্মফল বলে কিছু একটা আছে।

করনীয় বলতে গেলে অনেকেই অনেক কিছু বলবেন জানি,, তবে এতটুকু জিনিস আগে প্রথমে পরিষ্কার করতে হবে যে,

১. সেকুলারিটি বাদ। যতদিন সেকুলারিটি থাকবে ততদিন ফাদে পড়ার প্রবণতা অনেকাংশে বেড়ে যাবে।

২. ধর্মীয় চর্চার প্রতি মনোযোগী হতে হবে

৩. পিন মারা লোক যারা অনুপ্রাণিত করে যে "আরে ওই ছেলে ভাল হ্যান ত্যান " তাদের থেকে সম্পর্ক বিচ্ছন্ন করতে হবে। না হলে দূরত্ব বজায় চলা উচিত অথবা এড়িয়ে যাও

৪. সব কিছু সমান এই দৃষ্টিভঙ্গি বাদ দিতে হবে। হাতের পাচ টা আঙ্গুল ও কিন্তু সমান না। গর্বের সাথে বলো যে আমি হিন্দু।

৫. উপোরক্ত ৪ টি বিষয় মানাটা জরুরি।

নিন্মে একটি বই রিকমান্ড করে দিলাম

"সত্যার্থ প্রকাশ" এই বইটি পড়লে নিজেই বুঝতে পারবেন যে ঘটনা কি?

সত্যার্থ প্রকাশের ডাউনলোড লিংক :

https://drive.google.com/…/10FGs-BatALm0m2h5mtcVhMPc-…/view…

আর এই বইটি শুধু মাত্র বাস্তবতা জানার জন্য পড়া উচিত,,, কি হয় লাভ জিহাদের ফলে?

বইয়ের নাম : যখন আমির আনুষ্কার সাথে দেখা করেছিল

ডাউনলোড লিংক :
https://drive.google.com/…/1FkcR4jUqMxZiKh_Mh_TjE7ISL…/view…

সর্বোপরি শিক্ষণীয় ব্যাপার আমাদের ধর্মের মেয়েদেরকে এই সব ব্যাপার গুলোতে সজাগ করতে হবে। ১ জন ভুল পথে গেলে তার দেখাদেখি যাতে অন্য কেউ ভুল পথে না যায়। এই কারণে ধর্মীয় শিক্ষা এবং এই সম্পর্কে অবগত করা একান্ত জরুরি বলে আমি মনে করি।। আর যে কোন প্রশ্ন মনের মধ্যে জাগলে শাস্ত্রপৃষ্ঠায় পোস্ট করবেন সবাই চেষ্টা করবে আপনাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করবার। ধন্যবাদ সকলকে। নমস্কার

শ্রেয়ান স্বধর্মো বিগুনোঃ পরা ধর্মা স্বনুষ্ঠিতাৎ।
স্বধর্মে নিধনং শ্রেয়ং পরো ধর্মো ভয়াবহ।।
শ্রীমদ্ভগবদগীতা(৩/৩৫)

অর্থাৎঃ- স্বধর্মে যদি দোষ থাকে পরো ধর্ম হতে তাও ভালো, স্বধর্মে সাধনে যদি মৃত্যু হয় তাও মঙল জনক।

এবং সবশেষে say no to love_Jihad


Post: Koushik Basak Koushik


 

Share:

সনাতন ধর্মের পরিনতির কারণ

( সনাতন ধর্মের ধংসের জন্য ব্রাহ্মণেরা দায়ী নয়, মুলে ছিল নতুন ধর্মের প্রবর্তন তথা গৌতম বৌদ্ধের বেদ উপনিষদ গীতাকে বাদ দিয়ে নতুন মতবাদ চালু, সনাতন ধর্মাল্বীদের মধ্যে অনৈক্য, ক্ষত্রিয় রাজাদের স্বেচারিতা, অনৈক্য, যুদ্ধ ও ধর্মান্তর করণ। বিদেশী দখলদারদের হামলা, দখল বিশেষ করে মোগলদের কঠোর অত্যাচার,গণহত্যা, ধর্ষন, সর্বশেষ সেকুলার ও নাস্তিকতা)
তথ্যসুত্রঃ ভারত বর্ষের ইতিহাস।

৫৬৭ খিষ্টপূর্বাব্দ গৌতম বুদ্ধের জন্মের পর ২৯ বছর বয়সে সত্য ও জ্ঞানের সন্ধানে বাহির হন। এরপর বুদ্ধত্ব লাভ করে ধর্ম প্রচার শুরু করেন। ৪৮৬ খীষ্টপূর্বাব্দে নির্বাণ লাভ করেন। ৫৪০ খিষ্টপূর্বাব্দে মহাবীরের জন্ম হয় এরপরে ওনি জৈন ধর্মের প্রচল করেন। ঐ সময় সনাতন ধর্মালম্বীদের ধর্মান্তর করনের জোড় দিয়ে শুরু করেন বৌদ্ধ ও জৈনরা। এক সময় সনাতন ধর্ম নামটি ব্রাহ্মণ্য, শৈব ধর্ম ও বৈষ্ণব ধর্মে বিভক্ত হয়ে কোন মতে চলতে থাকে। মৌর্য বংশের রাজত্বকাল ৩২৪- ১৮৬ খিষ্ট পূর্ব। (এর মধ্যে সম্রাট আশোক এর রাজত্বকাল ছিল খিষ্টপূর্ব ২৭৩ -২৩২ অব্দ।)
চন্দ্রগুপ্ত ছিলেন জৈন ধর্মের অনুসারী। শেষ জীবনের ক্ষমতা ত্যাগ করে জৈন ধর্মের প্রথা অনুযায়ী সংসার ত্যাগী হয়েছিলেন।। এর পর
চন্দ্র গুপ্তের ছেলে বিন্দুসার অমিত্রঘাত উপাধি গ্রহন করে খীষ্টপূর্ব ৩০০ অব্দে সিংহাসন আরোহন করেন। তিনি বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহন করেন। বিন্দুসারের ১০১জন ছেলে, তার মধ্যে অশোক ছিলেন দ্বিতীয়। অশোক ক্ষমতা গ্রহন করেন খিষ্টপূর্ব ২৭৩ অব্দে। তিনি বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারী ছিলেন। তবে সম্রাট অশোকে অভিষেক সম্পূর্ণ হয় আরো চার বছর পর। সম্রাট অশোক রাধাগুপ্ত নামের এক মন্ত্রির সহায়তায় অপরাপর জন ভ্রাতাদের হত্যা করে সিংহাসন নিষ্কটক করেছিলেন। "দিব্যবদন" ও সিংহলীয় উপাখ্যান সমূহে অশোক ও তার ভ্রাতাদের মধ্যে বিরোধের কাহিনী আছে। এরপর শুঙ্গবংশ খিষ্টপূর্ব ১৮৫-৭৫ অব্দ।
এর পর সাতবাহন বংশ খ্রীঃপূঃ ২৭ অব্দ থেকে। এর পর বৈদেশিক আক্রমন। এর পর
কৃষান শাসন।
কৃষান ও অন্ধ্রবংশের পতনের পর গুপ্তবংশের উত্থান হয় ২৪০ খ্রীঃ সম্রাট হন শ্রীগুপ্ত। ২৪০ খিষ্টাব্দ থেকে গুপ্তরাজারা ভারত বর্ষে রাজত্ব করেন।

গুপ্ত বংশে প্রথম সম্রাট শ্রীগুপ্ত ক্ষত্রিয় ছিলেন তবে কোন ধর্মের সমর্থক উল্লেখ নেই। এরপর ৩৮০ থেকে ৪১৪ খিষ্টাব্দ ছিলে দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত বিক্রমাদিত্য তিনিও স্বভাবত ক্ষত্রিয়। তিনি ব্রাহ্মণ্য ধর্মের প্রতি অনুগত ছিলেন। তাঁর মন্ত্রী ছিলেন বৌদ্ধ পন্ডিত বসুবন্ধু ছিলেন। ভারত বর্ষের ইতিহাসে বিক্রমাদিত্য শক্তিশালি এবং পদ্মা যমুনা ও হিমালয় পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। বিক্রমাদিত্যর পর তাহার পুত্র ৪১৪-৪৫৫ পর্যন্ত কুমার গুপ্ত সম্রাট ছিলেন। এরপর কুমার গুপ্তের পুত্র ক্ষমতা নেন। তাকে ক্ষমতাচুত্য করিয়া তার বৈমাত্রের ভ্রাতা স্কন্ধগুপ্ত বিক্রমাদিত্য ৪৫৫-৪৬৭ খিষ্টাব্দ পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিলেন। তিনি ছিলেন বৈষ্ণব ধর্মের ঘোর অনুসারী। আর্যমঞ্জুশ্রী ও মুলকল্প গ্রন্থ স্কন্ধ গুপ্ত জ্ঞানী ও ধর্মপরায়ন বলে উল্লেখ আছে।
স্কন্ধ গুপ্তের পরবর্তী বংশধর পুরগুপ্ত, এরপর ক্রমগত বংশধর দ্বীতিয় কুমার গুপ্ত, এরপর বুধগুপ্ত, তথাগত গুপ্ত ও বালাদিত্য গুপ্ত শেষ তিন সম্রাট বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহন করেছিলেন।
দেখা যাচ্ছে গুপ্ত বংশ প্রথমে ক্ষত্রিয় হলেও পর বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহন করে ফলে গুপ্ত সম্রাজ্যের পতন হয় পঞ্চম শতাব্দীর শেষ দিকে।
মুলত এই গুপ্ত সম্রাটদের আমলেই কালিদাস সহ অনেক কবি লেখক ও সাহিত্যিকের জন্ম হয়। এই সময়ে বায়ুপুরাণ, মৎস্যপুরান ব্রহ্মান্ড পুরাণ, বিষ্ণুপুরাণ, ভগবৎ পুরাণ সহ অনেক পুরাণ রচিত হয় এবং রামায়ণ ও মহাভারতের সংশোধন ও পরিবর্ধন করা হয় এই কারনে তখনকার সময়ের অধিকাংশ রাজা ছিলেন বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারী ছিলেন। কেউ কেউ সনাতন ধর্মে ফিরে এসেছিলেন। তখন বৌদ্ধ ধর্মের থেকে আগতদের ব্রাহ্মণ্য ধর্মের প্রতি আকৃষ্ট করার জন্য রামায়ন, মহাভারত ও পুরাণ গুলির এক বিরাট সম্পাদনার কাজ সম্পন্ন হয় যাহা নাকি হিন্দু সভ্যতার নব-রূপায়নে সাহায্য করে বলে ঐতিহাসিক গনের অভিমত।বৌদ্ধকে হিন্দুদের অবতার বলে সমযোতা করেন।

এর পর অনেক রাজা রাজত্ব করেন, এবং বিদেশি অগ্রাসন হয়েছিল।
হর্ষবর্ধন ৬০৬-৬৪৭ খিষ্টাব্দ পর্যন্ত।
(৬৪৭ খিষ্টাব্দ পর্যন্ত অধিকাংশ সম্রাট বৌদ্ধ ধর্মালম্বী ছিলেন।)

এর মধ্য বিদেশী আক্রমন রাজ্য দখল করে কিছু কাল। তবে কিছু সময় শুদ্র বংশ, ব্রামণ্য ধর্মের অনুসারী ও বৈষ্ণব ধর্মের অনুসারীরা ক্ষনস্থায়ী দেশ শাসন করেছিলে। ঐ সময় ৩৫০ খিষ্টাব্দে উড়িষ্যায় পল্লববংশের উত্থান হয় ওনারা ছিলে বৈষ্ণব ধর্মের অনুসারী। পল্লব বংশ ৭৯৬ পর্যন্ত রাজত্ব করেন।
আষ্টম শতাব্দী থেকে শুরু হয় আরব্য দখলদারদের হামলা দখল।
এরপর কিছুকাল হিন্দু বৌদ্ধ রাজারা কিছু অংশে রাজত্ব করলেও পরবর্তীতে মোগলদের দখলে চলে যায় এই ভারত বর্ষ ১৭৫৭ খিষ্টাব্দ পর্যন্ত। এর পর থেকে ১৯৪৬ সাল পর্যন্ত ব্রিটিশ শাসন। এর ভারত বর্ষের ভাঙ্গাগড়ার পর ভারতের অংশে ক্ষমতায় আসেন মুসলিমদের এজেন্ট কংগ্রেস সরকার ও কিছুকাল দলছুট সেকুলার সরকার। কংগ্রেসকে মুসলিমদের এজেন্ট এই জন্যই বলছি ঐ সময়েই মোগলদের মানব দরদী বলে ইতিহাস রচন করে অথচ মোগলদের নির্বিচারে হিন্দুদের গনহত্যা, লুট ও ধর্ষনের ইতিহাস ছিল পৃথীবীর ইতিহাসে বর্বোচিত ও জঘন্যতম একটি অধ্যায়।
মুলত ভারতের হিন্দুদের তথা সনাতন ধর্মের স্বাধিনতার সূর্য উচিত হয় বাজপেয়ির জয়লাভের পর। প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীজীর ক্ষমতা লাভের পর সনাতন ধর্মের পূর্ণতা পায়।
এত গুলি খুব সংক্ষেপে আলোচনা করলাম এই জন্যে এফবিতে অনেকেই ব্রাহ্মনদের উপর চোটপাত করেন সনাতন ধর্ম ধংসের জন্যে। অথচ মৌর্য আমল থেকে প্রায় হর্ষবর্ধের সময় পর্যন্ত সনাতন ধর্মের অস্থিত্ব খুবই ক্ষিন ছিল। ঐ সময় ব্রাহ্মণ্য ধর্ম, শৈব, বৈষ্ণব ধর্ম ও শৈব ধর্মে বিভিক্ত ছিল। অষ্টম শতাব্দীতে মোগল দখদাররা নাম দেন হিন্দু ধর্ম এর পর ব্রিট্রিশ শাসন আমলে সরকারী ভাবে ঘোষনা করেন হিন্দু ধর্ম।
তাহলে ভাবুন কেন সনাতন ধর্মালম্বীদের মধ্য বেদ উপনিষদের চর্চা হ্রাস পেয়েছে কেন? এখানে আর একটি বিষয় বলে রাখি বৌদ্ধ সম্রাটদের শাসন আমলেই পূরাণ রচন করা হয় এদের অধিকাংশ গুপ্ত সাম্রাজ্যের সময়। ঐ সময় রামায়ন ও মহাভারতের সংশোধন ও পরিবর্ধন হয় এই কারনে বৌদ্ধরা অনেকেই সনাতন ধর্মে ফিরে আসছে বলে।

প্রায় ২৪০০ বছর ভারত বর্ষ ভিনদেশী গ্রীক, শক, পহ্লব, কৃষাণ, চৈনিক, মোগল ও ব্রিট্রিশদের দখল, শাসন এ ছাড়া বৌদ্ধ ও জৈন শাসন মাত্র কিছু সময় কিছু রাজ্য ক্ষত্রিয়, শুদ্র, বৈষ্ণব ও হিন্দু রাজারা শাসন করেছে। এরপর মোগলদের গণহত্যা লুট ও ধর্ষনের বন্যা। এখনো সনাতন ধর্ম ঠিকে আছে সেটাই ভাগ্যের বিষয়।
আসুন বর্ণ বিভাজন ভুলে গিয়ে ঐক্যবদ্ধ হই, কুসংস্কার ত্যাগ করি এবং সনাতন ধর্মের বিতর্কিত গ্রন্থ সংশোধন করার ব্রতি হই এবং বেদ উপনিষদ গীতার আলোকে জীবন গড়ি।
জয় নিশ্চিত সনাতন ধর্মের হবেই।

 

Post: Sento Saha

 


 

Share:

শ্রীমন্মহর্ষি সুসিদ্ধানন্দ যতি মহারাজ এর " হিন্দু চেতনা " বইয়ের গুরত্বপূর্ণ অংশসমুহ

প্রথম চিন্তন:

১। হীন চেতনা ত্যাগ হিন্দুর পরিচয়
অক্ষয় আনন্দ আত্মা হিন্দুর উপাস্য হয়।

২। 'আমি হিন্দু' –এই অনুভূতি বা চেতনাই হিন্দুত্ববোধ।

৩। হিন্দু ধর্ম – প্রাচীনতম ধর্ম – এই চেতনা সদা রাখ।

৪। হিন্দুই ত্রিসন্ধ্যা করে/করবে, সত্য কথাই হিন্দুর প্রাণ।

৫। হিন্দুই দান করবে, ইন্দ্রিয় সংযম করবে এবং মুক্তির সাধনা করবে।

৬। গোষ্ঠীবদ্ধ হয়ে বসবাস করাই হলো হিন্দুর স্বাভাবিক জীবন-যাপন।হিন্দু কাউকে বঞ্চনা করে না,কাউকে ঠকাই না।

৭। হিন্দুই স্বধর্ম ও আশ্রম ধর্ম রক্ষা করে।

৮। হিন্দু নিন্দা করে না,ঘৃণা করে না,দ্বেষ করে না।

৯। গুরুকরণ হিন্দুর উন্নতির লক্ষণ। হিন্দু ধর্ম বেচা-কেনা করে না।

১০। প্রকৃত হিন্দু মুনি-ঋষি-সাধু-মহাত্মাকে প্রাণের ন্যায় ভালোবাসবে ও শ্রদ্ধা করবে।

১১। হিন্দু পরলোক বিশ্বাসী । পিতৃশ্রদ্ধা-মাতৃশ্রদ্ধা-ভ্রাতৃত্ব বোধ হিন্দুর অঙ্গের ভূষণ।

১২। হিন্দু অন্যধর্মকে আঘাত করে না।কেউ হিন্দুকে আঘাত করলে তবে হিন্দু নীরবে সহ্য করবে না।

১৩। হিন্দু একেশ্বরেও যেমন বিশ্বাসী তেমনি বহু দেবতাতেও শ্রদ্ধাশীল।

১৪। হিন্দুর নিকট নারী মাত্রেই মাতা; নর-নারায়ন; জীব-শিব এবং জন-জনার্দ্দন।

১৫। হিন্দুই একমাত্র পরলোকের কড়ি সংগ্রহ করে। সৎ সঙ্গ, সাধন-ভজন হিন্দুর রক্ষা কবচ।

১৬। প্রশংসনীয় কর্ম হিন্দুই করবে তবে আত্ম প্রশংসায় থাকবে বিমুখ।

১৭। হিন্দু অদৃষ্টবাদী নহে – পুরুষকারবাদী।
আসুরিকত্ব-অলসতা-অদৃষ্টবাদ-পরনির্ভরতা হিন্দুর পতনের কারণ।

১৮। হিন্দু স্বরুপ ভুলে না।হিন্দু চিরদিনই হিন্দুধর্মকে রক্ষা করবে ও প্রসার করবে।

১৯। হিন্দু চিরকৃতজ্ঞ। অকৃতজ্ঞ ও কৃতঘ্নতা হিন্দুর ধর্ম নহে।

২০। হিন্দু অপপ্রচার করে না, জোর করে ধর্মান্তরিত করে না।

২১। হিন্দুই সদাচার – শৌচাচার রক্ষা করে।
মিথ্যাচার ও কদাচার হিন্দুই ধর্ম নহে।

২২। হিন্দুধর্ম বিজ্ঞানের চেয়েও উন্নত। বিজ্ঞান মানুষকে মুক্তি দিতে পারে না,শান্তি দিতে পারে না। কিন্তু হিন্দুধর্ম তা পারে।

২৩। হিন্দুর আত্মা অমর, অক্ষর, স্বপ্রকাশ ও আনন্দস্বরূপ।

২৪। কুযুক্তি –জীবনধর্মের প্রতিকূলবাণী হিন্দুধর্মে নাই।

২৫। নারীহরণ, বলাৎকার,অনধিকারচর্চা হিন্দুধর্মে স্বীকৃত নহে।

২৬। অবৈধ বিবাহ ও অবৈধ সন্তান উৎপাদন হিন্দুধর্মের শাস্ত্রবিরুদ্ধ।

২৭। হিন্দু অভক্ষ্য ভক্ষণ করে না,চুরি করে না,হিংসা করে না,রাগদ্বেষ করে না।

২৮। শাস্ত্রপাঠ, গীতাপাঠ,উপাসনা হিন্দু নিত্য করবে।

২৯। ব্রহ্মচর্য্য পালন হিন্দুর প্রথম ধর্ম প্রবেশিকা।

৩০।হিন্দুর গার্হস্থ্যধর্ম ভোগসর্বস্ব নহে বরং সমুচ্ছ অর্থাৎ জ্ঞান–যোগ–ভক্তি সর্বস্ব।

৩১। ত্যাগ-তিতিক্ষা-বিবেক-বৈরাগ্য হিন্দুধর্মে চির জাগ্রত। হিন্দুর রক্ত ঋষির রক্ত।

৩২। ভোগ বিলাসিতা হিন্দুর কাম্য নহে।

৩৩। অন্যায়ে প্রশ্রয় ও পাপে প্রবৃত্তি বিষয়ে হিন্দু চির নিষ্টুর।

৩৪। সাচ্চা হিন্দু সরল-সত্যবাদী-দেব-দেবী।

 

বই : হিন্দু চেতনা
লেখক : শ্রীমন্মহর্ষি সুসিদ্ধানন্দ যতি মহারাজ।

শ্রী শ্রী বারাসাত যোগাশ্রম
(বোয়ালখালী উপজেলা, চট্টগ্রাম)

 

Post collected from: Joy DhAr

Share:

Total Pageviews

বিভাগ সমুহ

অন্যান্য (91) অবতারবাদ (7) অর্জুন (4) আদ্যশক্তি (68) আর্য (1) ইতিহাস (30) উপনিষদ (5) ঋগ্বেদ সংহিতা (10) একাদশী (10) একেশ্বরবাদ (1) কল্কি অবতার (3) কৃষ্ণভক্তগণ (11) ক্ষয়িষ্ণু হিন্দু (21) ক্ষুদিরাম (1) গায়ত্রী মন্ত্র (2) গীতার বানী (14) গুরু তত্ত্ব (6) গোমাতা (1) গোহত্যা (1) চাণক্য নীতি (3) জগন্নাথ (23) জয় শ্রী রাম (7) জানা-অজানা (7) জীবন দর্শন (68) জীবনাচরন (56) জ্ঞ (1) জ্যোতিষ শ্রাস্ত্র (4) তন্ত্রসাধনা (2) তীর্থস্থান (18) দেব দেবী (60) নারী (8) নিজেকে জানার জন্য সনাতন ধর্ম চর্চাক্ষেত্র (9) নীতিশিক্ষা (14) পরমেশ্বর ভগবান (25) পূজা পার্বন (43) পৌরানিক কাহিনী (8) প্রশ্নোত্তর (39) প্রাচীন শহর (19) বর্ন ভেদ (14) বাবা লোকনাথ (1) বিজ্ঞান ও সনাতন ধর্ম (39) বিভিন্ন দেশে সনাতন ধর্ম (11) বেদ (35) বেদের বানী (14) বৈদিক দর্শন (3) ভক্ত (4) ভক্তিবাদ (43) ভাগবত (14) ভোলানাথ (6) মনুসংহিতা (1) মন্দির (38) মহাদেব (7) মহাভারত (39) মূর্তি পুজা (5) যোগসাধনা (3) যোগাসন (3) যৌক্তিক ব্যাখ্যা (26) রহস্য ও সনাতন (1) রাধা রানি (8) রামকৃষ্ণ দেবের বানী (7) রামায়ন (14) রামায়ন কথা (211) লাভ জিহাদ (2) শঙ্করাচার্য (3) শিব (36) শিব লিঙ্গ (15) শ্রীকৃষ্ণ (67) শ্রীকৃষ্ণ চরিত (42) শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু (9) শ্রীমদ্ভগবদগীতা (40) শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা (4) শ্রীমদ্ভাগব‌ত (1) সংস্কৃত ভাষা (4) সনাতন ধর্ম (13) সনাতন ধর্মের হাজারো প্রশ্নের উত্তর (3) সফটওয়্যার (1) সাধু - মনীষীবৃন্দ (2) সামবেদ সংহিতা (9) সাম্প্রতিক খবর (21) সৃষ্টি তত্ত্ব (15) স্বামী বিবেকানন্দ (37) স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (14) স্মরনীয় যারা (67) হরিরাম কীর্ত্তন (6) হিন্দু নির্যাতনের চিত্র (23) হিন্দু পৌরাণিক চরিত্র ও অন্যান্য অর্থের পরিচিতি (8) হিন্দুত্ববাদ. (83) shiv (4) shiv lingo (4)

আর্টিকেল সমুহ

অনুসরণকারী

" সনাতন সন্দেশ " ফেসবুক পেজ সম্পর্কে কিছু কথা

  • “সনাতন সন্দেশ-sanatan swandesh" এমন একটি পেজ যা সনাতন ধর্মের বিভিন্ন শাখা ও সনাতন সংস্কৃতিকে সঠিকভাবে সবার সামনে তুলে ধরার জন্য অসাম্প্রদায়িক মনোভাব নিয়ে গঠন করা হয়েছে। আমাদের উদ্দেশ্য নিজের ধর্মকে সঠিক ভাবে জানা, পাশাপাশি অন্য ধর্মকেও সম্মান দেওয়া। আমাদের লক্ষ্য সনাতন ধর্মের বর্তমান প্রজন্মের মাঝে সনাতনের চেতনা ও নেতৃত্ত্ব ছড়িয়ে দেওয়া। আমরা কুসংষ্কারমুক্ত একটি বৈদিক সনাতন সমাজ গড়ার প্রত্যয়ে কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের এ পথচলায় আপনাদের সকলের সহযোগিতা কাম্য । এটি সবার জন্য উন্মুক্ত। সনাতন ধর্মের যে কেউ লাইক দিয়ে এর সদস্য হতে পারে।