• মহাভারতের শহরগুলোর বর্তমান অবস্থান

    মহাভারতে যে সময়ের এবং শহরগুলোর কথা বলা হয়েছে সেই শহরগুলোর বর্তমান অবস্থা কি, এবং ঠিক কোথায় এই শহরগুলো অবস্থিত সেটাই আমাদের আলোচনার বিষয়। আর এই আলোচনার তাগিদে আমরা যেমন অতীতের অনেক ঘটনাকে সামনে নিয়ে আসবো, তেমনি বর্তমানের পরিস্থিতির আলোকে শহরগুলোর অবস্থা বিচার করবো। আশা করি পাঠকেরা জেনে সুখী হবেন যে, মহাভারতের শহরগুলো কোনো কল্পিত শহর ছিল না। প্রাচীনকালের সাক্ষ্য নিয়ে সেই শহরগুলো আজও টিকে আছে এবং নতুন ইতিহাস ও আঙ্গিকে এগিয়ে গেছে অনেকদূর।

  • মহাভারতেের উল্লেখিত প্রাচীন শহরগুলোর বর্তমান অবস্থান ও নিদর্শনসমুহ - পর্ব ০২ ( তক্ষশীলা )

    তক্ষশীলা প্রাচীন ভারতের একটি শিক্ষা-নগরী । পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের রাওয়ালপিন্ডি জেলায় অবস্থিত শহর এবং একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান। তক্ষশীলার অবস্থান ইসলামাবাদ রাজধানী অঞ্চল এবং পাঞ্জাবের রাওয়ালপিন্ডি থেকে প্রায় ৩২ কিলোমিটার (২০ মাইল) উত্তর-পশ্চিমে; যা গ্রান্ড ট্রাঙ্ক রোড থেকে খুব কাছে। তক্ষশীলা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৫৪৯ মিটার (১,৮০১ ফিট) উচ্চতায় অবস্থিত। ভারতবিভাগ পরবর্তী পাকিস্তান সৃষ্টির আগ পর্যন্ত এটি ভারতবর্ষের অর্ন্তগত ছিল।

  • প্রাচীন মন্দির ও শহর পরিচিতি (পর্ব-০৩)ঃ কৈলাশনাথ মন্দির ও ইলোরা গুহা

    ১৬ নাম্বার গুহা, যা কৈলাশ অথবা কৈলাশনাথ নামেও পরিচিত, যা অপ্রতিদ্বন্দ্বীভাবে ইলোরা’র কেন্দ্র। এর ডিজাইনের জন্য একে কৈলাশ পর্বত নামে ডাকা হয়। যা শিবের বাসস্থান, দেখতে অনেকটা বহুতল মন্দিরের মত কিন্তু এটি একটিমাত্র পাথরকে কেটে তৈরী করা হয়েছে। যার আয়তন এথেন্সের পার্থেনন এর দ্বিগুণ। প্রধানত এই মন্দিরটি সাদা আস্তর দেয়া যাতে এর সাদৃশ্য কৈলাশ পর্বতের সাথে বজায় থাকে। এর আশাপ্সহ এলাকায় তিনটি স্থাপনা দেখা যায়। সকল শিব মন্দিরের ঐতিহ্য অনুসারে প্রধান মন্দিরের সম্মুখভাগে পবিত্র ষাঁড় “নন্দী” –র ছবি আছে।

  • কোণারক

    ১৯ বছর পর আজ সেই দিন। পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে সোমবার দেবতার মূর্তির ‘আত্মা পরিবর্তন’ করা হবে আর কিছুক্ষণের মধ্যে। ‘নব-কলেবর’ নামের এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দেবতার পুরোনো মূর্তি সরিয়ে নতুন মূর্তি বসানো হবে। পুরোনো মূর্তির ‘আত্মা’ নতুন মূর্তিতে সঞ্চারিত হবে, পূজারীদের বিশ্বাস। এ জন্য ইতিমধ্যেই জগন্নাথ, সুভদ্রা আর বলভদ্রের নতুন কাঠের মূর্তি তৈরী হয়েছে। জগন্নাথ মন্দিরে ‘গর্ভগৃহ’ বা মূল কেন্দ্রস্থলে এই অতি গোপনীয় প্রথার সময়ে পুরোহিতদের চোখ আর হাত বাঁধা থাকে, যাতে পুরোনো মূর্তি থেকে ‘আত্মা’ নতুন মূর্তিতে গিয়ে ঢুকছে এটা তাঁরা দেখতে না পান। পুরীর বিখ্যাত রথযাত্রা পরিচালনা করেন পুরোহিতদের যে বংশ, নতুন বিগ্রহ তৈরী তাদেরই দায়িত্ব থাকে।

  • বৃন্দাবনের এই মন্দিরে আজও শোনা যায় ভগবান শ্রীকৃষ্ণের মোহন-বাঁশির সুর

    বৃন্দাবনের পর্যটকদের কাছে অন্যতম প্রধান আকর্ষণ নিধিবন মন্দির। এই মন্দিরেই লুকিয়ে আছে অনেক রহস্য। যা আজও পর্যটকদের সমান ভাবে আকর্ষিত করে। নিধিবনের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা রহস্য-ঘেরা সব গল্পের আদৌ কোনও সত্যভিত্তি আছে কিনা, তা জানা না গেলেও ভগবান শ্রীকৃষ্ণের এই লীলাভূমিতে এসে আপনি মুগ্ধ হবেনই। চোখ টানবে মন্দিরের ভেতর অদ্ভুত সুন্দর কারুকার্যে ভরা রাধা-কৃষ্ণের মুর্তি।

২২ ফেব্রুয়ারী ২০১৪

রাজা রামমোহন রায় কে আমরা সবাই চিনি


রাজা রামমোহন রায় কে আমরা সবাই চিনি। নতুন করে তাঁর পরিচয় দেওয়ার হয়তো প্রয়োজন নেই। তবে তাঁর একটি মহৎ কর্মকে আজ আমি সবার সামনে তুলে ধরছি।

আমাদের হিন্দু দর্শন যেসব গ্রন্থাবলীর উপর নির্ভর করে এত ব্যাপক ও গভীরতা লাভ করেছে, উপনিষদ তাদের মধ্য একটি। বলা হয়ে থাকে, বেদের উত্তর ভাগই হল উপনিষদ। কিন্তু সংস্কৃত ভাষার জটিলতা ও এর দুষ্প্রাপ্যতার জন্য আজ আমরা অধিকাংশ হিন্দুরাই আমাদের মূল দর্শন জানা থেকে বঞ্চিত।

আর এই উপলব্ধি থেকেই বঙ্গদেশে সর্বপ্রথম উপনিষদ চর্চা শুরু করেন - রাজা রামমোহন রায়। উনবিংশ শতাব্দীতে খ্রিষ্টধর্মের সঙ্গে পরিচয় হওয়া এবং নতুন ইংরেজি শেখার ফলে অনেক হিন্দুই সনাতন ধর্মের প্রতি আকর্ষণ হারাতে শুরু করে। তাদের ধারণা ছিল ইংরেজি শিখে আধুনিক হতে গেলে এই প্রাচীন ধর্ম ত্যাগ করতে হবে। এই দৃশ্য রাজা রামমোহন রায়কে ব্যাথিত করে তুলে। তিনি বিকল্প পথের কথা ভাবতে থাকেন। আর এই ভাবনা থেকেই তিনি আকৃষ্ট হন – “ব্রহ্মসূত্র ” এবং উপনিষদের প্রতি। এই উপনিষদীয় দর্শন নিয়েই তিনি রচনা করেন “বেদান্ত গ্রন্থ”। আর এই বেদান্ত গ্রন্থের দর্শনকে কেন্দ্র করে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন “ব্রাহ্ম সমাজ” এবং নিরাকার ব্রহ্মের উপাসনা। সংস্কৃত না জানা বাঙ্গালীকে উপনিষদের বানীর সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্যই তিনি নিজে পাঁচটি উপনিষদ যথা ঈশ, কেন, কঠ, মুণ্ডক ও মাণ্ডুক্য উপনিষদ বাংলায় অনুবাদ করেন।

✔ ✔ ✔ লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে যে- আমাদের বাংলাদেশের নবম-দশম শ্রেণীর পাঠ্য পুস্তকে যেটা হাইলাটস করা হয় সেটা হল, "রাজা রামমোহন রায় একেশ্বরবাদী ছিলেন। তিনি 'মূর্তিপূজা'সহ বিভিন্ন "অর্থহীন" ধর্মীয় অনুষ্ঠান দূর করার চেষ্টা করেন। আর এই জন্যই রামমোহন রায় ব্রাহ্মধর্ম প্রতিষ্ঠা করেন। কিন্তু সব থেকে দুঃখ যে, তারা ব্রাহ্মধর্ম বা ব্রাহ্ম সমাজ গড়ে তোলার পিছনে প্রকৃত কারন টা আমাদের সামনে তুলে ধরছে না। আর এই জন্য ছোটবেলা থেকেই আমাদের হিন্দু সন্তানদের মনে রাজা রামমোহন রায় ও সনাতন ধর্মের প্রতিমাপূজার প্রতি একটা ভুল ধারণা বা পারস্পরিক দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হচ্ছে। সত্যিই আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা কতটা করুন!!!

জয় রায়
Share:

১৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৪

পৌরাণিক তন্ত্রোক্ত একান্নটি মহাপীঠের অন্যতম গ্রীবা মহাপীঠ

পুরাণে বর্ণিত আছে পতি নিন্দা সহ্য করতে না পেরে স্বীয় পিতা দক্ষ আয়োজিত যজ্ঞের অগ্নিকুণ্ডে শিবপত্নী সতী আত্মাহুতি দিলে সতীর মৃতদেহ স্কন্দে স্থাপন করতঃ মহাদেব উদ্ভ্রান্ত চিত্তে নানা দিগদেশে ভ্রাম্যমান ছিলেন। দেবাদিদেব মহাদেবের এরূপ অবস্থা দর্শনে ব্রহ্মাদি দেবগণ অতিশয় চিন্তান্বিত হয়ে সৃষ্টি রক্ষার্থে ভগবান বিষ্ণুর শরণাপন্ন হলে তিনি তাঁর সুদর্শন চক্র দ্বারা সতীর শবদেহ খণ্ড খণ্ড করে ছেদন করেন। সতীদেহের খণ্ডিত মোট একান্নটি অংশ ভিন্ন ভিন্ন স্থানে পতিত হয়।

প্রতিটি স্থানই মহাপীঠ রূপে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের তীর্থস্থানে পরিণত হয়। ভারত, বাংলাদেশ, নেপাল, পাকিস্থান ও শ্রীলংকায় উক্ত একান্নটি পীঠস্থান অবস্থিত। তন্মধ্যে বাংলাদেশে ছয়টির মধ্যে দুইটি সিলেটে।

পৌরাণিক তন্ত্রোক্ত একান্নটি মহাপীঠের অন্যতম গ্রীবা মহাপীঠটি সিলেট শহরের কেন্দ্রস্থল থেকে দুই মাইল দক্ষিণে জৈনপুর গ্রামে অবস্থিত। পীঠাধিষ্ঠাত্রী দেবী মহালক্ষ্মী এবং পীঠরক্ষী ভৈরব সর্ব্বানন্দ ভৈরব মন্দিরটি তৎসংলগ্ন ঈশান কোণে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের পার্শ্বে গোটাটিকর গ্রামের প্রকাশিত শিববাড়িতে সুউচ্চ টিলার উপর অবস্থিত।

বর্তমানে মাননীয় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দূল মুহিত এর প্রচেষ্টায় সরকারী খরচে নূতন মন্দির নির্মানের কাজ শেষ পর্যায়ে আছে।

Collected from : Sree Sree Gurudeb Shyamsundor Goswami
Share:

১১ ফেব্রুয়ারী ২০১৪

"ধর্ম, সত্যি একটি অমৃতের স্বাদ দেয়।...ধর্ম ব্যর্থ হয় নি বলেই আজো টিকে আছে"- Asit Ray


ধর্ম, সত্যি একটি অমৃতের স্বাদ দেয়। চিরকাল বিচার-বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের মত, ধর্মকে যার যার ইচ্ছেমত গালি, নিন্দা, যত অভিমান সহ যা কিছু আছে, সব ঢেলে দিলেই, কেউ কেউ শান্তি পায়। ধর্মের প্রেমী-ও রয়েছে। কিন্তু এই আধুনিক যুগে, বিজ্ঞান-মনস্ক মানুষ, যতই চালাক হোক না কেন, যতই নিজেদের বুদ্ধি-সম্পন্ন ভাবুক না কেন, এখনও ঐ দলের ৯৯% ধর্ম ও অধর্মের পার্থক্য নির্ণয় জানে না। যত কিছু মন্দ হয়, সব কিছুই যেন ধর্মের জন্যই হয়ে থাকে। আধুনিক মানুষ বা বিজ্ঞান-মনস্ক মানুষের এই একটি ডাস্টবিন, ১২ মাস ব্যবহারের যোগ্য। কোথাও অশান্তি হয়েছে, ওরা খুঁজে কোনোভাবে যদি ঐ অশান্তির কারণের জন্য, ধর্মকে দায়ী করা যায়, একদিকে যেমন শান্তি বা তৃপ্তি, অপরদিকে সমাজে আঁতেল বলেও কিছু মানুষের নিকট মর্যাদা লাভ করা যায়।


ধর্ম, মানে কি? ধারণ করা অর্থে যা কিছু, তাই ধর্ম? ঐসব বিশ্লেষণ স্কুলের শিশুদের জন্য। তোমার বয়সের সাথে সাথে, আর কোনো পরিবর্তন হয়েছে কি না, সেদিকে খেয়াল রেখেছ? চুল পাকলেই তো মস্তিষ্ক পাকে না। মস্তিষ্ক পাকানো সে ভিন্ন বিষয়। কে তুমি, ধর্ম নিয়ে এত সংশয় রাখো? তুমি কি তাঁর ব্যাখ্যান উপলব্ধি করতে বা ধারণ করতে নিজেকে প্রস্তুত করেছ? এ বিষয়ে কথা বলতে হলেই, নিজের নিকট নিজে পরীক্ষা দিয়ে দেখো, সে পরীক্ষাতে কি ফল আসে। তোমাকে যদি প্রশ্ন করা হয়, আজ থেকে আগামী ১০০ বা ২০০ বা ৫০০ বছরের পৃথিবীর অগ্রীম ইতিহাস লেখার জন্য, কতটুকু তোমার চিন্তাশক্তি কাজ করবে? তোমার কলমই বা কতদূর চলতে পারবে? তুমি কি সত্যি সত্যি দেখতে পাচ্ছো, আগামীর দিনগুলোকে? বা আরও পরে এ জগতে কি হবে? তখনের মানুষের আকৃতি কি একই রকম থাকবে, মানুষের খাবার পোষাক পরিচ্ছদ, মানুষের সার্বিক চিন্তা ভাবনায় পরিবর্তন আসবে কি না? মানবতার সংজ্ঞা কি একই রকম থাকবে না পালটে যাবে? মানুষের পরিবার বলতে কিছু কি থাকবে, যদি থাকে তা হলে কি, আজকের মতই থাকবে না কি সবকিছুই পালটে যাবে?


যদি তুমি ভবিষ্যতের ঐ অল্প ক'টি দিনের চিত্র আঁকতে না পারো, যদি ওই সময়টিকে মানসপটে দেখতে না পাও, তা হলে তুমিই বলো, এই যে হাজার হাজার বছর আগের ধর্মকে কিছু না বুঝেই গালমন্দ করো, তা কি সুন্দর দেখায়? তা কি কোনো অর্থ বহন করে? না কি তোমার অগোচরেই নিজের মূর্খতা জগতকে জানাচ্ছো? ** তোমার জানা উচিত, সেই পরম ব্রহ্মের প্রেমে মাতোহারা হওয়া ব্যতীত, রাব্বুল আল-আমীনের আশিক হওয়া ব্যতীত, সেই সর্বজ্ঞ বা সর্বশক্তিমানের সাথে সখ্য-ভাব প্রতিষ্ঠা ব্যতীত, বাকী সব কিছুই ধর্মের অতি নগণ্য অংশ মাত্র। বাকী সবকিছু স্থান-কাল-পাত্র ভেদে পরিবর্তিত হতে পারে। তা নিয়ে তর্ক বা যুক্তি আসতে পারে, মারামারি হতেই পারে, ধর্মের দোহাই দিয়ে, কালে কালে যা **অধর্মে পর্যবসিত হয় এবং হয়েছে। যে আধ্যাত্মিক-প্রেম প্রচার পাওয়ার কথা, তাই রয়ে গেল অন্ধকারে, আর আনুষ্ঠানিকতা এবং পৌরাণিকতার উপর লাগল আলোর রোশনি, এই নিয়ে প্রচারযন্ত্রে বেশী বেশী শব্দ হয়!! যা অধর্মের নামান্তর, তাই হয়ে আছে ধর্ম। এভাবেই পবিত্র মানব সন্তান ভয়ংকর দানব হয়ে ওঠে।


ঈশ্বর-প্রেমের শুরু হয়, ইন্দ্রিয়-জ্ঞানে। যেখানে কেবল বর্ণমালার অতিরিক্ত কিছু লাভ করা যায় না। কিন্তু রাব্বুল আল-আমীনের আশিক হওয়ার জন্য, পরম ব্রহ্মের প্রেমী হওয়ার জন্য, যে জ্ঞান দরকার, তা থাকে ইন্দ্রিয়-জ্ঞানের ওপারে। যাকে বলা হয় অতীন্দ্রিয় জ্ঞান। অতীন্দ্রিয় জ্ঞান লাভের পূর্বে, প্রেমীর নিকট রিপুগণের শোচনীয় পরাজয় ঘটে। মন আর চাইলেই, নীচতার দিকে যেতে পারে না। অর্থাৎ মনকে কুমন্ত্র দিয়ে বা সস্তা আনন্দের লোভ দেখিয়ে, পথচ্যুত করার জন্য যে রিপুরা সর্বদা তৎপর থাকত, তারা হয়ে যায় নিষ্ক্রিয়। তাই অতীতের আনন্দের সকল উপকরণকে অর্থহীন মনে হয়। তখনই যে জ্ঞান জেগে ওঠে, যে নব-জ্যোতিতে চোখ দেখতে পায়, তাতে মনে হয়, ব্রহ্মাণ্ডের একটি 'সত্যকে' একেকজন একেক মঞ্চ থেকে দেখেছে, ভিন্ন ভিন্ন কোণ থেকে দেখেছে, দর্শনার্থীরা নিজেদের মতো করে মত প্রকাশ করেছে- - -এই যা। প্রকৃতপক্ষে যা ছিল, একটি সত্য, যা চিরকালের সত্য।


তোমার যতই সংশয় থাকুক ধর্মগ্রন্থে, তোমাকেই সেই সংশয় দূর করতে হবে। তোমাকে রাজহংসের গুণাবলী অর্জন করতে হবে, দুধ মিশ্রিত জল থেকে, দুধটুকু পান করা শিখতে হবে। পিঁপড়ে হয়ে 'বালি-মিশ্রিত চিনি' থেকে, চিনিটুকু আলাদা করার গুণাবলী অর্জন করা চাই। পরম-ব্রহ্ম ব্যতীত আর শতভাগ শুদ্ধতা কোথাও নেই। ধর্ম-গ্রন্থের হাজার হাজার বছর পূর্বের বিশ্লেষণ ও ব্যাখ্যা, কালের আবর্তনে কিছু নতুনত্ব দাবী করতেই পারে তার অর্থ এই নয় যে ঐগুলো ভ্রান্ত ছিল। হয়ত তুমি দু-হাজার বা পাঁচ-হাজার বছর অতীতে, নিজের চিন্তাশক্তিকে প্রেরণ করতে পারো নি। ব্যর্থতা তোমারই। ধর্ম ব্যর্থ হয় নি বলেই আজো টিকে আছে। তোমার চিন্তার উন্নতি চাই। যখনই ঈশ্বর-প্রেমে, নিজেকে সমর্পণ করবে, তখনই দেখা যাবে, সেখানে একটিই নিয়ম। সকলেই কৃত্রিমতা ধুয়ে মুছে এসেছে। তা যেমন, যত রকমের বিষাক্ত সর্পই থাকুক জগতে, যত বিচিত্র রঙের সর্পই থাকুক না কেন, গর্তে ঢুকার পূর্বে সকলেই সোজা হতে জানে এবং হতে হয়।



লিখেছেনঃ Asit Ray
Share:

১০ ফেব্রুয়ারী ২০১৪

একুশ শতকের হিন্দুদের একটাই পথ হোক ----সেই পথ সনাতন হিন্দু ধর্ম কে সর্বান্তকরণে অনুসরন করা।

একটি কথা অবশ্যই আমাদের মনে রাখতে হবে যে, “জ্ঞান চর্চার ক্ষেত্রে , অধাত্ম চর্চার ক্ষেত্রে আমাদের উদারতা আমাদের সনাতন ধর্ম কে উন্নত করেছে । যুগ যুগ ধরে আমাদের ধর্মে গবেষণার দরজা সব সময়ই খোলা থেকেছে, তাই আমাদের ধর্মে এত মত, এত বিভিন্নতা। আর সেই জন্যই যুগে যুগে আমাদের ধর্মে বিভিন্ন সময়, বিভিন্ন সংস্কারক আবির্ভূত হয়েছেন। যাদের সকলের মৌলিক লক্ষ্য ছিল একটাই, ঈশ্বরে বিশ্বাস রেখে জগতের কল্যাণের জন্য কাজ করে যাওয়া। কেউ হয়তো জ্ঞানের পথে, কেউ হয়তো ভক্তির পথে বা কেউ হয়তো কর্মের পথে এগিয়েছেন। আমাদের সনাতন ধর্মে কেউ ঈশ্বরকে দেখেছেন মাতৃরূপে, কেউ পিতৃরূপে, কেউ সন্তানরূপে। যেখানে, পৃথিবীর অন্যান্য ধর্মগুলোতে এই ধরনের বিস্তৃত ভাবনা একদমই নেই।

পৃথিবীতে যখন ধর্মের মাধ্যমে মানুষের মাঝে বিভেদ রেখা টানা হয়েছে ঠিক তখন সনাতন তার বুকে জন্ম নেয়া সকল মতের মানুষকে ঠাই দিয়েছে। তাই, যুগে যুগে আমাদের সনাতন ধর্মে “ধর্ম” নামক অভিধাটির বারবার নতুন ব্যাখ্যার প্রয়োজন হয়েছে। কিন্তু, আমাদের ভুলে গেলে চলবে না যে, এই নতুন নতুন ব্যাখ্যার হাজারো শাখা-প্রশাখা নিয়েই এই সনাতনের বটবৃক্ষের পরিণতি; যা আজও ঠিকে আছে সগৌরবে!!!

একুশ শতকের হিন্দুদের একটাই পথ হোক ----সেই পথ সনাতন হিন্দু ধর্ম কে সর্বান্তকরণে অনুসরন করা। আপনার যেভাবে ইচ্ছা, আপনি ঈশ্বরকে ডাকুন, কিন্তু সেই ডাকার অভিমুখ যেন অবশ্যই সনাতন হিন্দুত্বের দিকে থাকে।

আজ সময় হয়েছে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে হিন্দু তরুণদের চোখে দেখিয়ে দেওয়া আমাদের হিন্দুদের ব্যাবহারিক আদর্শের জায়গাগুলো কতটা দৃঢ়। ফেসবুকে যে সকল হিন্দু ধর্মীয় পেজ আছে তাদের সবার কাছে আমার অনুরোধ থাকবে আপনারা হিন্দুর ব্যাবহারিক দিকগুলো আমাদের তরুণদের সামনে তুলে ধরুন। হিন্দু ধর্মের গৌরবময় ইতিহাস ও সংস্কৃতির সর্বোচ্চ প্রচারে আমাদের কাজ করতে হবে, তাহলেই নিজ ধর্মের প্রতি আমাদের ভালোবাসা বাড়বে।

=Joy Ray=
Share:

০৬ ফেব্রুয়ারী ২০১৪

ওম আশ্রম


‘ওম আশ্রম’ ‘ওম বিশ্ব দীপ গুরুকুল স্বামী মহেশ্বরানন্দ আশ্রম শিক্ষা ও গবেষণা কেন্দ্র’ এর একটি অংশ। এই আশ্রমটি ১৯৯৩ সালে ভারতের রাজস্থানের পালি জেলায় নির্মিত হয়েছে। রাজস্থানের বিশাল এলাকা জুড়ে নির্মিত এই আশ্রম কমপ্লেক্সের কেন্দ্রীয় ভবন ‘ওম আশ্রমের’ নিজস্ব এরিয়াই ২৫০ একর। এই ভবনটি তৈরি হয়েছে প্রাচীন সংস্কৃত প্রতীক ‘ওম’ এর আকৃতিতে। এই ‘ওম’ এর অর্থ আদি-অনাদি, সেই সত্য যা ছিল-আছে-থাকবে।
এই ভবনে জপমালার সাথে মিল রেখে ১০৮ টি কক্ষ তৈরি কর হয়েছে। ভবনটির কেন্দ্রটি টাওয়ার আকৃতির, যেখানে রয়েছে ১২ টি মন্দির, আর সর্বোচ্চ মন্দিরটি হল সূর্য মন্দির। মন্দিরটি প্রাচীন বাস্তুশাস্ত্র অনুযায়ী নির্মাণ করা হয়েছে। সবকিছু মিলিয়ে এই আশ্রম তার দর্শনার্থীদের মধ্যে শান্তি, সৌহার্দ্য আর আধ্যাত্মিকতার জোয়ার নিয়ে আসে।





Share:

০২ ফেব্রুয়ারী ২০১৪

আজ উপনিষদের একটি গল্প, সংক্ষেপে আপনাদের সাথে শেয়ার করি

 এক অল্প-বুদ্ধি-সম্পন্ন যুবক, একজন মুনির নিকট গিয়ে ঈশ্বর সম্পর্কে জানতে চাইল। মুনি জিজ্ঞেস করলেন, ঈশ্বরকে তোমার কি দরকার? যদি বিশেষ কোনো দরকার না থাকে, তবে ঈশ্বর দেখা দেন না। যুবকটি উত্তরে জানাল, তার দেখার ভীষণ ইচ্ছে। দেখা চাই-ই চাই। মুনি বললেন, 'চাইলেই তো আর দেখা যায় না। দেখার জন্য ব্যাকুল হতে হয়, তবেই দেখা যায়।' যুবক বলল, আমি অনেক ব্যাকুল হয়েও কোনো ইঙ্গিত পাই নি। তিনি কোথায় থাকেন? মুনি উত্তর দিলেন,'তা কেন, তিনি তো সর্বভূতে বিরাজমান। তোমার দেখার মত চোখ এখনও জেগে ওঠেনি, তাই দেখতে পাচ্ছো না।'

নাছোড়বান্দা যুবক কিছুতেই শান্ত হচ্ছে না। বরং মুনিকে একটু আঘাত করেই কথা বলল। এবং বলল ' আপনি যে বলেছিলেন দেখাতে পারবেন , তবে দেখিয়ে দিন না? তবেই না বুঝব আপনি দেখেছেন এবং আপনার কথার মূল্য আছে।'

মুনি আধ্যাত্মিক শক্তি-সম্পন্ন, তিনি জানেন এই যুবকটির অন্তরে ঈশ্বর-ভাব রয়েছে এবং সে ঐ বিষয়ে অকপট। তাই তিনি যুবককে শান্ত করতে বললেন, 'আহা ধৈর্য ধরো, সবুরে মেওয়া ফলে'!! এই যুবকের ধৈর্যের বাঁধন যেন ততই টুটে যাচ্ছে। আরও বেশী অস্থির হয়ে গেল। অবশেষে মুনি তাকে, একটি দিন ধার্য করে দিলেন এবং বললেন ঐদিন দেখা মিলবেই।

যথারীতি ঠিক সময়ে সেদিন যুবক পৌঁছাল। তাকে দেখেই মুনি বললেন, 'আমি স্থির করলাম, তোমার জন্য ঈশ্বরদর্শন, স্থলের চেয়ে জলেই সহজ হবে এবং অল্প সময়ের মধ্যেই দেখা পাবে।' এদিকে যুবকের কি আনন্দ! কি আনন্দ! আজ ঈশ্বরদর্শন হবে। মুনি যুবককে বললেন জলে নামতে, তার সাথে তিনি থাকবেন। গলা জলে নেমে যুবক অপেক্ষা করছে। মুনিও জলে নামলেন। যুবককে বললেন, 'ঐ জলে ডুব দাও। আর দেরী নেই। সময় ঘনিয়ে এসেছে।' যুবক ডুব দিল। তখনই মুনি, জলের মধ্যে ডুবন্ত অবস্থায়, যুবকের ঘাড়ে ধরে থাকলেন। কয়েক সেকেণ্ডের মধ্যেই যুবকের প্রাণ যায় যায় !! সে উঠবে, কিন্তু মুনি ধরেই আছেন। অন্তিম অবস্থায় তার ঘাড় থেকে হাত সরালেন। জিজ্ঞেস করলেন, ' কি হে কেমন দেখলে?' যুবক উত্তর দিল, 'কি আর দেখব, এদিকে আমার প্রাণ যায় যায়, আমি কিছুই দেখিনি।' মুনি তখন স্নেহের সুরে ব্যাখ্যা করে বুঝালেন, ' দেখো হে, যখন হ্নদয় পূর্ণ পবিত্র হবে, সাধনায় মগ্ন হবে, আর ঈশ্বরের জন্য তোমার প্রাণ যায় যায় অবস্থা হবে, যেমনটি জলের ভিতরে থেকে বাঁচার জন্য তোমার হয়েছিল, ঠিক তখনই বুঝবে, ঈশ্বরদর্শনের সময় এসেছে এবং সকল যুক্তি-তর্ক এমনিতেই দূর হয়ে যাবে।

courtesy: Asit Ray
Share:

গুরুভক্তির জন্য মহাভারতে অমর হয়ে থাকা একটি চরিত্র হচ্ছে “একলব্য”


গুরু ব্রহ্মা গুরু বিষ্ণু গুরুদেব মহেশ্বর।
গুরু রেব পরং ব্রহ্ম তস্মৈ শ্রী গুরুবে নমঃ ।।

গুরুভক্তির জন্য মহাভারতে অমর হয়ে থাকা একটি চরিত্র হচ্ছে “একলব্য” । একলব্য ছিল মগধের অধিবাসী নিষাদরাজ হিরণ্যধনুর পুত্র। এই নিষাদরা ছিল অনার্য জাতি বা উপজাতি। নিজের প্রতি একলব্যের ছিল গভীর আস্থা এবং সেই সাথে ছিল বিখ্যাত ধনুর্ধর হবার প্রবল বাসনা। আর সেই জন্য বনের মধ্য দ্রোণাচার্যের মাটির মূর্তি তৈরি করে দ্রোণাচার্যকে গুরু বলে বরণ করে পরম শ্রদ্ধার সাথে ধনুর্বেদ শিক্ষা অর্জন করতে থাকে।


কিন্তু একসময় দ্রোণাচার্যের আদেশেই এই একলব্য নিজের ডানহাতের বৃদ্ধাঙ্গুল কেটে গুরু দক্ষিণা দিয়েছে। মহাভারতের এই কাহিনীটি আমরা অনেকেই caste প্রথার দৃষ্টান্ত হিসেবে দেখে থাকি। এমনকি আমরা অনেকেই ভেবে থাকি যে, “অর্জুনকে সর্বশ্রেষ্ঠ ধনুর্ধর হিসেবে তৈরি করতেই দ্রোণ পক্ষপাতমূলক ভাবে একলব্যের প্রতি এই রূপ আচরণ করেছে।” কিন্তু, বাস্তবিক অর্থে এই প্রেক্ষাপট সম্পূর্ণ ভিন্ন।

সঠিকভাবে পর্যালোচনা করলে এই কাহিনীর মধ্য দিয়ে আমরা গুরু দ্রোণাচার্যের দূরদর্শিতা ও হস্তিনাপুরের প্রতি আনুগত্যতার পরিচয় পাই। একলব্য ছিল মগধদেশের উপজাতি। এই মগধের রাজা ছিল জরাসন্ধ এবং তাঁর সেনাপতি ছিল শিশুপাল। মগধ ছিল হস্তিনাপুরের শত্রুরাজ্য; তাই হস্তিনাপুরের অন্নে প্রতিপালিত দ্রোণাচার্য চায়নি যে তাঁর বিদ্যা হস্তিনাপুরের বিপক্ষে প্রয়োগ করা হোক। ভবিষ্যতে একলব্য যাতে অজেয় হতে না পারে সেই জন্য দ্রোণ একলব্যের কাছ থেকে তাঁর ডানহাতের বৃদ্ধাঙ্গুল গুরু দক্ষিণা হিসেবে গ্রহন করে। অতএব, বৃহত্তর দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে একলব্যের প্রতি এরূপ ব্যবহারে আমাদের দুঃখ হবে না ।

মহাভারতে অনেকবার একটা কথা বলা হয়েছে যে, “কালই মহাভারতের নায়ক।” আর এই কালের নিয়ন্ত্রক হচ্ছেন স্বয়ং ভগবান শ্রীকৃষ্ণ। ধর্মসংস্থাপনের জন্যই ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাব। কুরুক্ষেত্রের সেই ধর্মযুদ্ধে একলব্য, জরাসন্ধ কিংবা শিশুপাল; এরা প্রত্যেকেই অধর্মের সহায়ক হতো। তাই, গভীরভাবে চিন্তা করলে একটি বিষয় সুস্পষ্ট যে, “ধর্ম রক্ষার্থে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের ইচ্ছানুসারেই কালের প্রভাবে একলব্যের বীরত্ব নষ্ট হয়েছে।”


Joy Ray
Share:

এই পোষ্ট আমাদের যুব সম্প্রদায়ের জন্য

স্বামী বিবেকানন্দের উক্তি থেকে নেওয়া (ভারতের বিবেকানন্দ বই থেকে)

প্রশ্নঃ ঋষি শব্দের অর্থ কি?
উত্তরঃ বিশুদ্ধ স্বভাব ব্যক্তি

অগ্রে বিশুদ্ধ চিত্ত হও তোমার শক্তি আসিবে। কেবল আমি ঋষি বললেই চলিবে না। কিন্তু তুমি যখন ঋষিত্ব লাভ করিবে তখন তুমি দেখিবে যে, অপরে তোমার কথা কোন না কোন ভাবে শুনিতেছে। তোমার ভেতর হইতে এক আশ্চর্য বস্তু আসিয়া অপরের মনের উপর প্রভাব বিস্তার করিবে। তাহাতে তাহারা বাধ্য হইয়া তোমার অনুবর্তী হইবে। তোমার কথা শুনিবে, এমনকি তাহাদের অজ্ঞাতসারে তাহাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে তোমার সংকল্পিত কার্যসিদ্ধির সহায়ক হইবে। ইহাই ঋষিত্ব।
----------------------------------------------------------------------------------

আমার একটা পোষ্ট এ আমি লিখেছিলাম; অসুর, মানুষ, সাধক, ঋষি, দেবতা ও ভগবান এই ধাপ গুলির মধ্যবর্তী ব্যবধান হলো গুন, জ্ঞান ও উপলব্ধি। আজ স্বামীজির এই উক্তি পরে আমি আরো নিশ্চিত হতে পারলাম। প্রতিটা মানুষের মধ্যেই অসীম ক্ষমতা রয়েছে। আত্মার শক্তি অসীম। আমরা আত্মজ্ঞান উপলব্ধি করতে পারি না বলেই ধাপ গুলিকে পার করতে পারি না। আমাদের চেষ্টা করতে হবে জ্ঞান, গুন ও আত্মজ্ঞান উপলব্ধি অর্জনের।

ঋষি শক্তির ক্ষয় হয়েছিলো বলেই আমরা সত্য থেকে ত্রেতা, ত্রেতা থেকে দ্বাপর, দ্বাপর থেকে কলি কালে প্রবেশ করেছি। এই ঋষি শক্তি অর্জনের মধ্য দিয়েই আমদের সেই স্থানে পৌঁছাতে হবে যে স্থানে আমাদের ঋষিরা বিচরণ করতেন, অর্থাৎ সত্য যুগে। ক্ষয়িষ্ণু উপলব্ধি আমাদের স্থলন ঘটিয়েছে, আমরা ঋষি শক্তি অর্জন করেই পুনরায় হারানো অবস্থানে ফিরে যাবো। এই কাজ করবে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য উপযুক্ত মঞ্চ আমাদেরই তৈরি করে দিতে হবে।

তাই নিজ নিজ অবস্থান থেকে আপনারা ভূমিকা রাখুন সেই উপযুক্ত মঞ্চ সৃষ্টি করতে।

ঈশ্বর সকলের মঙ্গল করুন
গর্বের সাথে বলুন আমরা বৈদিক, আমরা সনাতন।
=Lincon Chakraborty=
Share:

স্বামী বিবেকানন্দের অমর কিছু বাণী

স্বামী বিবেকানন্দের অমর কিছু বাণী, কতটা বাস্তবিক না পড়লে বুঝা যায়না নিজের উপর বিশ্বাস না আসিলে ঈশ্বরে বিশ্বাস আসে না। ভাবিও না তোমরা দরিদ্র, ভাবিও না তোমরা বন্ধুহীন; কে কোথায় দেখিয়াছে টাকায় মানুষ করিয়াছে! মানুষই চিরকাল টাকা করিয়া থাকে। জগতের যা কিছু উন্নতি, সব মানুষের শক্তিতে হয়েছে, উৎসাহের শক্তিতে হইয়াছে। বিশ্বাসের শক্তিতে হইয়াছে। প্রাচীন ধর্ম বলিত, যে ঈশ্বরে বিশ্বাস না করে সে নাস্তিক। নতুন ধর্ম বলিতেছে, যে আপনাতে বিশ্বাস স্থাপন না করে সে ই নাস্তিক। নিজের উপর বিশ্বাস-ঈশ্বরের উপর বিশ্বাস। ইহাই উন্নতি লাভের একমাত্র উপায়। তোমার যদি এ দেশীয় পুরাণের তেত্রিশ কোটি দেবতার উপর এবং বৈদেশিকেরা মধ্যে মধ্যে যে সকল দেবতার আমদানি করিয়াছে, তাহাদের সবগুলির উপরই বিশ্বাস থাকে ,অথচ যদি তোমার আত্মবিশ্বাস না থাকে, তবে তোমার কখনই মুক্তি হইবে না। নিজের উপর বিশ্বাস সম্পন্ন হও - সেই বিশ্বাসসম্পন্ন হও - সেই বিশ্বাসবলে নিজের পায়ে নিজে দাড়াও এবং বীর্যবান হও। মানুষকে সর্বদা তাহার দুর্বলতার বিষয় ভাবিতে বলা তাহার দুর্বলতার প্রতীকার নয়- তাহার শক্তির কথা স্মরণ করাইয়া দেওয়াই প্রতিকারের উপায়। তাহার মধ্যে যে শক্তি পূর্ব হইতে বিরাজিত ,তাহার বিষয় স্মরণ করাইয়া দাও। সাফল্য লাভ করিতে হইলে প্রবল অধ্যবসায় ,প্রচণ্ড ইচ্ছাশক্তি থাকা চাই। অধ্যবসায়শীল সাধক বলেন,' আমি গণ্ডূষে সমুদ্র পান করিব। আমার ইচ্ছামাত্র পর্বত চূর্ণ হইয়া যাইবে।' এইরূপ তেজ, এইরূপ সংকল্প আশ্রয় করিয়া খুব দৃঢ়ভাবে সাধন কর। নিশ্চয়ই লক্ষে উপনীত হইবে। তোমাদের স্নায়ু সতেজ কর। আমাদের আবশ্যক - লৌহের মত পেশী ও বজ্রদৃঢ় স্নায়ু। আমরা অনেক দিন ধরিয়া কাঁদিয়াছি; এখন আর কাদিবার প্রয়োজন নাই, এখন নিজের পায়ে ভর দিয়া দাঁড়াইয়া মানুষ হও। পৃথিবীর ইতিহাস কয়েকজন আত্মবিশ্বাসী মানুষেরই ইতিহাস। সেই বিশ্বাসই ভিতরের দেবত্ব জাগ্রত করে। তুমি সব কিছু করিতে পার। মনে করিও না, তোমরা দরিদ্র। অর্থই বল নহে ; সাধুতাই-পবিত্রতাই বল। আপনাতে বিশ্বাস রাখো। প্রবল বিশ্বাসই বড় কাজের জনক। হে বীরহৃদয় যুবকগণ ,তোমরা বিশ্বাস কর যে ,তোমরা বড় বড় কাজ করবার জন্য জন্মেছ। ওঠ, জাগো, আর ঘুমিও না; সকল অভাব, সকল দুঃখ ঘুচাবার শক্তি তোমাদের ভিতরেই আছে। এ কথা বিশ্বাস করো, তা হলেই ঐ শক্তি জেগে উঠবে।
Share:

বেদ অপৌরুষেয়

বেদ মন্ত্রাদি স্মৃতির ন্যায় মনুষ্যকৃত নহে ।
"অস্য মহতো ভুতস্য নিঃশ্বসিতমেতদ্‌যদ্‌গ্‌বেদযজুর্ব্বেদসামবেদঃ"
ইতাদি শ্রুতিদ্বারা বেদ ঈশ্বরপ্রণীত বলিয়া অবগত হওয়া যায় । এইরূপ উৎপত্তিশ্রুতি থাকায়, বেদ ঈশ্বরের ন্যায় কূটস্থ নিত্য নহে, কিন্তু এককল্পস্থায়ী ; নৈয়ায়িকের ন্যায় বেদান্তমতে শব্দের তৃতীয়ক্ষণে নাশ স্বীকার করা যায় না । সৃষ্টির প্রথমে বেদ ব্রক্ষ হইতে উৎপন্ন হইয়া প্রলয়কালে তাঁহাতেই লয় প্রাপ্ত হয়, পুনরায় ঈশ্বর গতকল্পীয় বেদ হিরণ্যগর্ভকে উপদেশ দেন; তিনি আবার মরীচি প্রভৃতি ঋষিগনকে উপদেশ দিয়া থাকেন; এইরূপে পুনরায় বেদ সম্প্রদায়ক্রমে প্রচার লাভ করে । যদ্যপি বেদ ঈশ্বর হইতে উৎপন্ন হইয়াছে, তথাপি বেদে ঈশ্বরের স্বতন্ত্রতা নাই ; কালিদাস প্রভতির গ্রন্থে যেরূপ কালিদাসাদির স্বাতন্ত্রতা আছে, বেদে ঈশ্বরের সেরুপ নাই । ঈশ্বর গত কল্পে যেরূপ আনুপূর্ব্বিক বেদ রচনা করিয়াছিলেন, একল্পেও তদ্রূপ রচনা করিয়াছেন । যদি তাঁহার বেদে স্বাতন্ত্র্য থাকিত, তাহা হইলে তিনি যেমন আনুপূর্ব্বীক অন্যথা করিতে পারেন, সেইরুপ অর্থেরও অন্যথা করিতে পারেন । একল্পে অগ্নিহোত্র যাগে স্বর্গ হয়, ব্রক্ষহননে নরক হয়; ঈশ্বরের বেদে স্বতন্ত্রতা থাকিলে কল্পান্তরে তাহার বিপরীত হইতে পারে, -অর্থাৎ অগ্নিহোত্র দ্বারা নরক এবং ব্রক্ষহত্যা দ্বারা স্বর্গও হইতে পারে, । তজ্জন্য মনীষিগণ বেদে ঈশ্বরের স্বতন্ত্রতা স্বীকার করেন না । ভগবান্‌ কুমারিলভট্টও স্বপ্রণীত শ্লোকবার্ত্তিকে স্পষ্টভাবে এই কথা বলিয়াছেন,-"যত্নতঃ প্রতিষেধ্যা নঃ পুরুষাণ্যাং স্বতন্ত্রতা" -অর্থাৎ পুরুষগণের স্বতন্ত্রতাই আমরা যত্নসহকারে নিষেধ করিয়া থাকি । পৌরুষেয়,শব্দের অর্থ- পুরুষনির্ম্মিত; অপৌরুষেয় তাহার বিপরীত, -এরুপ অর্থ গ্রহণ করা যাইতে পারে না । কারণ বেদও ঈশ্বররুপ পুরুষনির্ম্মিত । সুতরাং এখানে পৌরুষয় শব্দের অর্থ-পুরুষ স্বাতন্ত্র; তদ্‌রাহিত্য অপৌরুষেয়ত্ব নিরুপিত হইলে, তদন্তর্গত বেদান্তের অপৌরুষেয়ত্ব্বে আর সন্দেহ নাই ।

=কৃষ্ণকমল=
๑۩๑ শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা স্কুল ๑۩๑
Share:

চৈতন্য আন্দোলন


শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভূ ভারতের নদীয়া জেলার মায়াপুরে ১৮ ফেব্রুয়ারী ১৪৮৬ খ্রীস্টাব্দ জন্মগ্রহন করেন । তিনি মূলত একটি আন্দোলনের আগ্রপথিক হিসাবে কাজ করেন। তিনি প্রধানত ভারতের বাংলা(বাংলাদেশ সহ) ও পূর্ব উড়িষ্যা অঞ্চলের মানুষের মাঝে হিন্দু ধর্ম সম্পর্কিত একটি আন্দোলনএর উদোক্তা ছিলেন। তাঁর পিতামাতা ছিলেন অধুনা পশ্চিমবঙ্গের নদিয়া জেলার অন্তর্গত নবদ্বীপের অধিবাসী জগন্নাথ মিশ্র ও শচী দেবী।চৈতন্যদেবের পূর্বপুরুষেরা ছিলেন ওড়িশার জাজপুরের আদি বাসিন্দা। তাঁর পিতামহ মধুকর মিশ্র ওড়িশা থেকে বাংলায় এসে বসতি স্থাপন করেন।

চৈতন্যদেবের পিতৃদত্ত নাম ছিল বিশ্বম্ভর মিশ্র। চৈতন্য মহাপ্রভুর পূর্বাশ্রমের নাম গৌরাঙ্গ বা নিমাই। তাঁর গাত্রবর্ণ স্বর্ণালি আভাযুক্ত ছিল বলে তাঁকে গৌরাঙ্গ বা গৌর নামে অভিহিত করা হত। অন্যদিকে নিম বৃক্ষের নিচে জন্ম বলে তাঁর নামকরণ হয়েছিল নিমাই। ষোড়শ শতাব্দীতে চৈতন্য মহাপ্রভুর জীবনী সাহিত্য বাংলা সন্তজীবনী ধারায় এক নতুন যুগের সূচনা ঘটিয়েছিল। সেযুগে একাধিক কবি চৈতন্য মহাপ্রভুর জীবনী অবলম্বনে কাব্য রচনা করে গিয়েছেন। এগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল: কৃষ্ণদাস কবিরাজ গোস্বামীর চৈতন্য চরিতামৃত, বৃন্দাবন দাস ঠাকুরের চৈতন্য ভাগবত, এবং লোচন দাস ঠাকুরের চৈতন্যমঙ্গল।

প্রথম যৌবনে তিনি ছিলেন স্বনামধন্য পণ্ডিত। তর্কশাস্ত্রে নবদ্বীপের নিমাই পণ্ডিতের খ্যাতি ছিল অবিসংবাদিত। জপ ও কৃষ্ণের নাম কীর্তনের প্রতি তাঁর আকর্ষণ যে ছেলেবেলা থেকেই বজায় ছিল, তা জানা যায় তাঁর জীবনের নানা কাহিনি থেকে।চৈতন্য এর আন্দোলন শুরু হয় নবদ্বীপ থেকে যা তার জন্মভূমি ও তার এ আন্দোলনের শুরুতে তিনি একটি গ্রুপ করেন যারা কৃষ্ণের নামগান করতে থাকেন । কিন্তু তাঁর প্রধান আগ্রহের বিষয় ছিল সংস্কৃত গ্রন্থাদি পাঠ ও জ্ঞানার্জন। পিতার মৃত্যুর পর গয়ায় পিণ্ডদান করতে গিয়ে নিমাই তাঁর গুরু ঈশ্বর পুরীর সাক্ষাৎ পান। ঈশ্বর পুরীর নিকট তিনি গোপাল মন্ত্রে দীক্ষিত হন। এই ঘটনা নিমাইয়ের পরবর্তী জীবনে গভীর প্রভাব বিস্তার করে। বাংলায় প্রত্যাবর্তন করার পর পণ্ডিত থেকে ভক্ত রূপে তাঁর অপ্রত্যাশিত মন পরিবর্তন দেখে অদ্বৈত আচার্যের নেতৃত্বাধীন স্থানীয় বৈষ্ণব সমাজ আশ্চর্য হয়ে যান। অনতিবিলম্বে নিমাই নদিয়ার বৈষ্ণব সমাজের এক অগ্রণী নেতায় পরিণত হন।
শ্রীকৃষ্ণ চৈতন্য ছিলেন ভাগবত পুরাণ ও ভগবদ্গীতা-য় উল্লিখিত দর্শনের ভিত্তিতে সৃষ্ট বৈষ্ণব ভক্তিযোগ মতবাদের একজন বিশিষ্ট প্রবক্তা। তিনি বিশেষত রাধা ও কৃষ্ণ রূপে ঈশ্বরের পূজা প্রচার করেন এবং হরে কৃষ্ণ মহামন্ত্রটি জনপ্রিয় করে তোলেন। সংস্কৃত ভাষায় শিক্ষাষ্টক নামক প্রসিদ্ধ স্তোত্রটিও তাঁরই রচনা। গৌড়ীয় বৈষ্ণব মতানুসারে, ভাগবত পুরাণের শেষের দিকের শ্লোকগুলিতে রাধারানির ভাবকান্তি সংবলিত শ্রীকৃষ্ণের চৈতন্য রূপে অবতার গ্রহণের কথা বর্ণিত হয়েছে।
কেশব ভারতীর নিকট সন্ন্যাসব্রতে দীক্ষিত হওয়ার পর নিমাই শ্রীকৃষ্ণ চৈতন্য নাম গ্রহণ করেন। সন্ন্যাস গ্রহণের পর তিনি জন্মভূমি বাংলা ত্যাগ করে কয়েক বছর ভারতের বিভিন্ন তীর্থস্থান পর্যটন করেন। এই সময় তিনি অবিরত কৃষ্ণনাম জপ করতেন। জীবনের শেষ চব্বিশ বছর তিনি অতিবাহিত করেন জগন্নাথধাম পুরীতে। ওড়িশার সূর্যবংশীয় হিন্দু সম্রাট গজপতি মহারাজা প্রতাপরুদ্র দেব চৈতন্য মহাপ্রভুকে কৃষ্ণের সাক্ষাৎ অবতার মনে করতেন। মহারাজা প্রতাপরুদ্র চৈতন্যদেব ও তাঁর সংকীর্তন দলের পৃষ্ঠপোষকে পরিণত হয়েছিলেন। ভক্তদের মতে, জীবনের শেষপর্বে চৈতন্যদেব ভক্তিরসে আপ্লুত হয়ে হরিনাম সংকীর্তন করতেন এবং অধিকাংশ সময়েই ভাবসমাধিস্থ থাকতেন।

ষোড়শ শতাব্দীতে রচিত চৈতন্য জীবনীগ্রন্থগুলির বর্ণনা অনুসারে, তিনি একাধিকবার অদ্বৈত আচার্য ও নিত্যানন্দ প্রভুকে কৃষ্ণের মতো বিশ্বরূপ দেখিয়েছিলেন।
-- বিভিন্ন মাধ্যম হতে তথ্য নেওয়া ।

<কৃষ্ণকমল>
Share:

Total Pageviews

বিভাগ সমুহ

অন্যান্য (91) অবতারবাদ (7) অর্জুন (3) আদ্যশক্তি (68) আর্য (1) ইতিহাস (30) উপনিষদ (5) ঋগ্বেদ সংহিতা (10) একাদশী (10) একেশ্বরবাদ (1) কল্কি অবতার (3) কৃষ্ণভক্তগণ (11) ক্ষয়িষ্ণু হিন্দু (21) ক্ষুদিরাম (1) গায়ত্রী মন্ত্র (2) গীতার বানী (14) গুরু তত্ত্ব (6) গোমাতা (1) গোহত্যা (1) চাণক্য নীতি (3) জগন্নাথ (23) জয় শ্রী রাম (7) জানা-অজানা (7) জীবন দর্শন (68) জীবনাচরন (56) জ্ঞ (1) জ্যোতিষ শ্রাস্ত্র (4) তন্ত্রসাধনা (2) তীর্থস্থান (18) দেব দেবী (60) নারী (8) নিজেকে জানার জন্য সনাতন ধর্ম চর্চাক্ষেত্র (9) নীতিশিক্ষা (14) পরমেশ্বর ভগবান (25) পূজা পার্বন (43) পৌরানিক কাহিনী (8) প্রশ্নোত্তর (39) প্রাচীন শহর (19) বর্ন ভেদ (14) বাবা লোকনাথ (1) বিজ্ঞান ও সনাতন ধর্ম (39) বিভিন্ন দেশে সনাতন ধর্ম (11) বেদ (35) বেদের বানী (14) বৈদিক দর্শন (3) ভক্ত (4) ভক্তিবাদ (43) ভাগবত (14) ভোলানাথ (6) মনুসংহিতা (1) মন্দির (38) মহাদেব (7) মহাভারত (39) মূর্তি পুজা (5) যোগসাধনা (3) যোগাসন (3) যৌক্তিক ব্যাখ্যা (26) রহস্য ও সনাতন (1) রাধা রানি (8) রামকৃষ্ণ দেবের বানী (7) রামায়ন (14) রামায়ন কথা (211) লাভ জিহাদ (2) শঙ্করাচার্য (3) শিব (36) শিব লিঙ্গ (15) শ্রীকৃষ্ণ (67) শ্রীকৃষ্ণ চরিত (42) শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু (9) শ্রীমদ্ভগবদগীতা (40) শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা (4) শ্রীমদ্ভাগব‌ত (1) সংস্কৃত ভাষা (4) সনাতন ধর্ম (13) সনাতন ধর্মের হাজারো প্রশ্নের উত্তর (3) সফটওয়্যার (1) সাধু - মনীষীবৃন্দ (2) সামবেদ সংহিতা (9) সাম্প্রতিক খবর (21) সৃষ্টি তত্ত্ব (15) স্বামী বিবেকানন্দ (37) স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (14) স্মরনীয় যারা (67) হরিরাম কীর্ত্তন (6) হিন্দু নির্যাতনের চিত্র (23) হিন্দু পৌরাণিক চরিত্র ও অন্যান্য অর্থের পরিচিতি (8) হিন্দুত্ববাদ. (82) shiv (4) shiv lingo (4)

আর্টিকেল সমুহ

অনুসরণকারী

" সনাতন সন্দেশ " ফেসবুক পেজ সম্পর্কে কিছু কথা

  • “সনাতন সন্দেশ-sanatan swandesh" এমন একটি পেজ যা সনাতন ধর্মের বিভিন্ন শাখা ও সনাতন সংস্কৃতিকে সঠিকভাবে সবার সামনে তুলে ধরার জন্য অসাম্প্রদায়িক মনোভাব নিয়ে গঠন করা হয়েছে। আমাদের উদ্দেশ্য নিজের ধর্মকে সঠিক ভাবে জানা, পাশাপাশি অন্য ধর্মকেও সম্মান দেওয়া। আমাদের লক্ষ্য সনাতন ধর্মের বর্তমান প্রজন্মের মাঝে সনাতনের চেতনা ও নেতৃত্ত্ব ছড়িয়ে দেওয়া। আমরা কুসংষ্কারমুক্ত একটি বৈদিক সনাতন সমাজ গড়ার প্রত্যয়ে কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের এ পথচলায় আপনাদের সকলের সহযোগিতা কাম্য । এটি সবার জন্য উন্মুক্ত। সনাতন ধর্মের যে কেউ লাইক দিয়ে এর সদস্য হতে পারে।