.এই পর্বে আমরা ভক্ত হনুমান জীর আবির্ভাব দেখবো । হনুমানজি রুদ্রাবতার । কেশরী বানরের সন্তান রূপে হনুমানের আবির্ভাব হয়েছিলেন । রাবণের রাক্ষস কূলের আতঙ্ক এত বৃদ্ধি পেয়েছিলো যে মুনি ঋষি দেবতারা মিলে ভগবান শিবের শরণাপন্ন হলেন । ভগবান শিব অভয় দিয়ে বললেন “আমার অংশ কেশরী পুত্র রূপে জন্ম নেবে। সেই অবতারে একদিকে যেমন ভগবান নারায়নের সহায়ক হবো, তাঁর নাম মাহাত্ম্য প্রচার করবো, অপরদিকে রাক্ষস নিধন করে সৎ জনকে রক্ষা করবো।” অতঃ মহাদেব পবন কে বললেন- “হে মরুত । তুমি আমার সেই অবতারের পালক পিতা হবে। তুমি তাহাকে যাবতীয় বিদ্যা দেবে।” এরপর মহেশ্বর সূর্য দেবতাকে বললেন- “হে তপন । তুমি যেরূপ আলোক বিকিরণ করে অন্ধকার দূর করো, সেই রূপ আমার সেই অবতারের গুরু হয়ে আমাকে সকল বিদ্যা দিয়ে জ্ঞানালোকে নিয়ে আসবে। ” মহাদেবের ইচ্ছায় দেবর্ষি নারদ মুনি গিয়ে অঞ্জনা দেবীকে শিব উপাসনা করবার পরামর্শ দিলেন ।
অঞ্জনা দেবী বনে গিয়ে ভগবান শিবের তপস্যা করলেন। ভগবান মহাদেব প্রকট হয়ে বললেন- “হে দেবী! তুমি আমার অংশের মাতা হবে। এই অবতারে আমি তোমার বাৎসল্য গ্রহণ করবো।” এরপর অঞ্জনা দেবী এক বলশালী পুত্রের জন্ম দিলেন । হনুমান যখন আবির্ভূত হলেন তখন সকলে খুশী হয়ে পুস্প বর্ষণ করতে লাগলো। গাছ গুলি ফুলে ঢেকে গেলো, পক্ষীরা মধুর সুরে ডাকতে লাগলো। প্রকৃতি যেনো তাঁর নিজস্ব ছন্দ ফিরে পেলো। কেবল লঙ্কায় নানা অশুভ চিহ্ন দেখা দিলো। হনুমান এর আবির্ভাব হয়েছিলো চৈত্র মাসের পূর্ণিমা তিথিতে (পূর্বভাদ্র নক্ষত্র মীন রাশি, কর্কট লগ্ন ) । বাল্য হনুমান ভগবান শিবের বাল্যরূপ । কেশরী বানরের রাজ্যে উৎসব আনন্দ অনুষ্ঠান হোলো। তিনি ব্রাহ্মণ ভোজোন, দান ধ্যান, মহাভোজের আয়োজন করলেন । সকলে এসে রাজার দান গ্রহণ করে ধন্য ধন্য করতে লাগলো । দেবতারা ছদ্দবেশে আসলেন । ভগবান শিবের বাল্যরূপ দর্শন সহজে মেলে না। চরণ স্পর্শ করে দেবতারা আশীর্বাদ গ্রহণ করতে লাগলেন । শুধু দেবতারাই নয় ব্রহ্মা, বিষ্ণু, সরস্বতী দেবী, লক্ষ্মী দেবী এমনকি মাতা গৌরী অবধি ছদ্দবেশে এসে দর্শন করলেন ভগবান শঙ্করের শিশু রূপ । মাতা অঞ্জনা দেবীর লালন পালন আদর যত্ন পেয়ে হনুমান জী বড় হতে লাগলেন । কেশরী কূলের ইষ্ট দেবতা ছিলেন পবন দেব । পবন দেব মাঝে মাঝে হনুমানকে দর্শন করতে আসতেন ।
হনুমান মহারাজ ছোটো থেকেই চঞ্চল ছিলেন । লাড্ডু, মোদোক, মিষ্ট, পক্ক ফলমূলের প্রতি তাঁর ছিলো বেশী আকর্ষণ । অপূর্ব সুন্দর মিষ্ট দর্শন শিশু হনুমান কে দেখে মোহিত হয়ে যেতেন সকলে। ক্রোড়ে নিয়ে আদর করতেন । শত দুষ্টামি শর্তেও সকলের নয়নের মণি ছিলেন। হনুমানের দেখাদেখি অন্য সকল দেবতাদের তেজ রূপে বানর কূলে জন্ম নিলেন। নল নীল, গবাক্ষ , বালি, সুগ্রীব, মৈনাক আদি বানর বীরেরা । ব্রহ্মার মানস পুত্র রূপে জাম্বুবান ভল্লুক কূলে জন্ম নিলেন । অপর দিকে রাবণের স্ত্রী মন্দাদোরী এক বীর পুত্রের জন্ম দিলেন। সে জন্মে মেঘের ন্যায় রোদোন করতে থাকলে রাবণ তার নাম দিলো মেঘনাদ । নল বিশ্বকর্মার পুত্র । কিন্তু এর পেছনে একটি প্রেমের কাহানী, অভিশাপের কাহানী এক অপ্সরার কাহানী জড়িয়ে আছে। পরবর্তী পর্বে তা বলা যাবে ।
( ক্রমশঃ )
অঞ্জনা দেবী বনে গিয়ে ভগবান শিবের তপস্যা করলেন। ভগবান মহাদেব প্রকট হয়ে বললেন- “হে দেবী! তুমি আমার অংশের মাতা হবে। এই অবতারে আমি তোমার বাৎসল্য গ্রহণ করবো।” এরপর অঞ্জনা দেবী এক বলশালী পুত্রের জন্ম দিলেন । হনুমান যখন আবির্ভূত হলেন তখন সকলে খুশী হয়ে পুস্প বর্ষণ করতে লাগলো। গাছ গুলি ফুলে ঢেকে গেলো, পক্ষীরা মধুর সুরে ডাকতে লাগলো। প্রকৃতি যেনো তাঁর নিজস্ব ছন্দ ফিরে পেলো। কেবল লঙ্কায় নানা অশুভ চিহ্ন দেখা দিলো। হনুমান এর আবির্ভাব হয়েছিলো চৈত্র মাসের পূর্ণিমা তিথিতে (পূর্বভাদ্র নক্ষত্র মীন রাশি, কর্কট লগ্ন ) । বাল্য হনুমান ভগবান শিবের বাল্যরূপ । কেশরী বানরের রাজ্যে উৎসব আনন্দ অনুষ্ঠান হোলো। তিনি ব্রাহ্মণ ভোজোন, দান ধ্যান, মহাভোজের আয়োজন করলেন । সকলে এসে রাজার দান গ্রহণ করে ধন্য ধন্য করতে লাগলো । দেবতারা ছদ্দবেশে আসলেন । ভগবান শিবের বাল্যরূপ দর্শন সহজে মেলে না। চরণ স্পর্শ করে দেবতারা আশীর্বাদ গ্রহণ করতে লাগলেন । শুধু দেবতারাই নয় ব্রহ্মা, বিষ্ণু, সরস্বতী দেবী, লক্ষ্মী দেবী এমনকি মাতা গৌরী অবধি ছদ্দবেশে এসে দর্শন করলেন ভগবান শঙ্করের শিশু রূপ । মাতা অঞ্জনা দেবীর লালন পালন আদর যত্ন পেয়ে হনুমান জী বড় হতে লাগলেন । কেশরী কূলের ইষ্ট দেবতা ছিলেন পবন দেব । পবন দেব মাঝে মাঝে হনুমানকে দর্শন করতে আসতেন ।
হনুমান মহারাজ ছোটো থেকেই চঞ্চল ছিলেন । লাড্ডু, মোদোক, মিষ্ট, পক্ক ফলমূলের প্রতি তাঁর ছিলো বেশী আকর্ষণ । অপূর্ব সুন্দর মিষ্ট দর্শন শিশু হনুমান কে দেখে মোহিত হয়ে যেতেন সকলে। ক্রোড়ে নিয়ে আদর করতেন । শত দুষ্টামি শর্তেও সকলের নয়নের মণি ছিলেন। হনুমানের দেখাদেখি অন্য সকল দেবতাদের তেজ রূপে বানর কূলে জন্ম নিলেন। নল নীল, গবাক্ষ , বালি, সুগ্রীব, মৈনাক আদি বানর বীরেরা । ব্রহ্মার মানস পুত্র রূপে জাম্বুবান ভল্লুক কূলে জন্ম নিলেন । অপর দিকে রাবণের স্ত্রী মন্দাদোরী এক বীর পুত্রের জন্ম দিলেন। সে জন্মে মেঘের ন্যায় রোদোন করতে থাকলে রাবণ তার নাম দিলো মেঘনাদ । নল বিশ্বকর্মার পুত্র । কিন্তু এর পেছনে একটি প্রেমের কাহানী, অভিশাপের কাহানী এক অপ্সরার কাহানী জড়িয়ে আছে। পরবর্তী পর্বে তা বলা যাবে ।
( ক্রমশঃ )
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন