লজ্জিত হয়ে রাবণ মাথা হেট করে লঙ্কায় প্রবেশ করলো। এসেছিলো কত সেনা সামন্ত নিয়ে । আর ফিরে যাচ্ছে এই রকম ভাবে
অধিকাংশ সেনা সামন্ত হারিয়ে । মনে হল দেহে যেনো শত কণ্টক বিঁধেছে । এর থেকে যুদ্ধে নিহত হওয়াই শ্রেয় ছিলো । এক ভিক্ষুক বনবাসীর কাছে জীবন ফিরে পাওয়ার লজ্জা রাবণকে গ্রাস করলো । লজ্জিত হয়ে অধোমুখে রাবণ হেঁটে হেঁটে লঙ্কায় প্রবেশ করে রাজমহলের দিকে চলতে লাগলো। তাঁর রথখানাও ধ্বংস হয়েছে । পেছন পেছন জীবিত কিছু অনুচর তারাও লজ্জায় ভেতরে ঢুকল । রাক্ষসেরা অবাক হল এই ভেবে যে দশানন রাবণ পরাজিত হয়েছে । তারা ভাবতেই পারছিলো না। কোথায় সেই আস্ফালন- কোথায় সেই প্রতাপ- কোথায় সেই বীরত্ব – কোথায় সেই যুদ্ধজয়ের আগাম আনন্দ- এসব যেনো রাবণকে ছেড়ে বিদায় নিয়েছে । একাকী নিসঙ্গ রাবণ মাথা নীচু করে লজ্জায় হেটে যাচ্ছে । অপমানে যেনো তার মাটিটে মিশে যেতে মন চাইছে । এইভাবে দশানন লঙ্কার মহলে প্রবেশ করলেন। পাত্রমিত্রদের মাঝে কিছুক্ষণ মাথা নীচু করে থাকলেন । পাত্রমিত্রারাও কেও ভয়ে রাবণকে কোন কিছু বলবার সাহস পাচ্ছে না । পাছে সব রাগ তার ওপরই না গিয়ে পড়ে। খানিক বাদে লঙ্কেশ্বর বললেন- “মনে হচ্ছে নন্দীর শাপ ফলে গেলো। বহু পূর্বে কৈলাসে প্রবেশ করতে গিয়ে নন্দীর বাঁধা প্রাপ্ত হই । তার সাথে আমার যুদ্ধ হয়। সে আমাকে শাপ দেয় নর আর বানর আমার সর্বনাশ করবে। বোধ হয় সেই শাপ এতদিনে ফলতে আরম্ভ করেছে । নাহলে ত্রিলোকবিজয়ী রাবণের বিপক্ষে ভয়ে কেউ যুদ্ধে দাঁড়াতে পারে না, আর ঐ তুচ্ছ নর রাম আমাকে পরাজিত করে প্রান দান দিলো। এই লজ্জা আমি কোথায় রাখবো ! আমার জীবনদান দিয়ে সেই বনবাসী রাম আমার সকল মান- সম্মান- প্রতিষ্ঠাকে বধ করলো । এর চেয়ে ভালো ছিলো যদি আজ রামের শরে আমার প্রান যেতো।” এই বলে রাবণ কপাল চাপড়ে আক্ষেপ করতে লাগলো । সভাসদরা তখন এক বুদ্ধি বের করলো ।
তারা ভাবল কুম্ভকর্ণ এখন নিদ্রিত । সে বীর। তার সাথে যুদ্ধে কেহ পারে না। কেন না এই সময় তাকে যুদ্ধে পাঠানো হোক । নন্দি তো রাবণকে শাপ দিয়েছে। কুম্ভকর্ণকে ত দেয়নি । সুতরাং কুম্ভকর্ণ যুদ্ধে গমন করলে বিজয়ী হয়ে আসবেই । যদি বানর রাজ সুগ্রীবকে বন্দী করে আনতে সক্ষম হয় তবে এই যুদ্ধই বন্ধ হবে। কারণ বানর কুলের রাজা বন্দী হলে বানরেরা পলায়ন করবে। তখন একাকী রাম লক্ষ্মণ আর কি যুদ্ধ করবে ? সভাসদেরা বলল- “মহারাজ! কুম্ভকর্ণকে যুদ্ধে প্রেরণ করুণ । সে মহাবীর। অনায়েসে সে কপিদের বধ করে, সুগ্রীবকে বন্দী করে রাম লক্ষ্মণ কে হত্যা করবে।” রাবণ ভেবে দেখলো, তাই তো! ভ্রাতা কুম্ভকর্ণ এখন আছে শয়নে। যদি লঙ্কা ধ্বংস হয় তবে সে আর জেগে করবে কি ?
যায় অর্ধ লঙ্কাপুরী কুম্ভকর্ণ ভোগে ।
ছয়মাস নিদ্রা যায়, একদিন জাগে ।।
পাঁচ মাস গত নিদ্রা একমাস আছে ।
আজই লঙ্কা মজিলে কি করিবে সে পাছে ।।
কুম্ভকর্ণে জাগাইতে করহ যতন ।
প্রাণসত্ত্বে মোর যেন হয় সচেতন ।।
( কৃত্তিবাসী রামায়ণ )
কুম্ভকর্ণের ওপর সদয় হয়ে বরদান দিয়েছিলেন প্রজাপ্রতি ব্রহ্মা । কুম্ভকর্ণ প্রচুর শক্তিশালী। সে কোন রকম বরদান ছাড়াই দেবতাদের ত্রাস ছিলো। দেবতারা ভয় পেতো। তাই যখন ব্রহ্মা , কুম্ভকর্ণকে বরদান দিতে চাইলো, তখন দেবতাগণ ভীত ছিলেন । কারণ কুম্ভকর্ণ এমনিতেই বীর । তার উপর যদি ব্রহ্মার কাছে আরোও কিছু বরদান পায় তো ধ্বংস করে দেবে সব। তখন একে বধ করা আরোও কঠিন হবে। কুম্ভকর্ণকে যখন ব্রহ্মা বর চাইতে বললেন, তখন দেবতাদের প্রার্থনায় মাতা সরস্বতী দেবী কুম্ভকর্ণের জিহ্বায় অধিষ্ঠিতা হলেন । সরস্বতী প্রভাবে কুম্ভকর্ণ বর চাইলেন যে ছয় মাস যেনো ঘুমায়, একদিন মাত্র জাগে। ব্রহ্মা তাই দিলেন। বললেন- “অকালে নিদ্রভঙ্গ হলে কিন্তু প্রান হারাবে।”
রাবণের মাতা কেকসী রাবণকে খুব বকাঝকা করলো । কারণ বিভীষণ চলে যাওয়ার পর তিনি রাবণের ওপর ক্ষিপ্ত ছিলেন । কেকসী বলল- “ওরে দুষ্ট! তোমার কেমন নীতি ? নিজের দম্ভের কারণে একটার পর একটা ভুল করে যাচ্ছো। নিজের ভগিনীকে নিজ হাতে বিধবা করলে । নিজ পুত্র অক্ষয়কুমারকে হারালে, লঙ্কার ভস্ম হল তোমার কারণে। বিভীষণকে লঙ্কা থেকে বিতারিত করলে। তুমি কি বিস্মৃত হয়েছো ব্রহ্মার বরদাণ ? যদি কুম্ভকর্ণ যুদ্ধে যায়, তবে তার মৃত্যু অবধি হতে পারে। কেন সীতাকে ফিরিয়ে দিচ্ছো না ?” রাবণ বলল- “মাতঃ! তোমার দ্বিতীয় পুত্র কুম্ভকর্ণ মহাবীর। তার কিছুই হবে না। সে গিয়ে শত্রুদের সমুচিত শিক্ষা দেবে। আর বিভীষণ আমার ভ্রাতা হয়েও সর্বদা শত্রুর বন্দনা করতো। আমার বিভীষণের প্রতি কোন ব্যক্তিগত আক্রোশ নেই। আমি বিভীষণের স্ত্রী সরমা ও পুত্র তরণীকে পালন করছি । বিভীষণকে না বিতারিত করলে সমগ্র লঙ্কা আমাকে স্বার্থপর বলে গালমন্দ করতো। নিজের ভ্রাতার দোষও আমি ক্ষমা করি না। মাতঃ ব্রহ্মার বর সব সময় অক্ষরে অক্ষরে পালিত হয় না। পিতামহ ব্রহ্মা আমাকে ত্রিলোকবিজয়ী হবার বর দিয়েছিলেন। তাহলে কেনই আজকে আমি পরাজিত হলাম । নিশ্চিন্ত থাকো – কুম্ভকর্ণের কোন ক্ষয়ক্ষতি হবে না। ” মন্দোদরী বলল- “স্বামী! আপনি কি সমগ্র লঙ্কাকে এই যুদ্ধের যজ্ঞে আহুতি দেবেন ? শ্রীরামের বিক্রম আপনি আজ নিজের চোখেই দেখলেন । আপনি বরং আপনার মাতার কথা মেনে নিন। শ্রীরাম আজ চাইলে আপনাকে বধ করতে পারতেন । কিন্তু উনি আপনাকে সুযোগ দিচ্ছেন। আপনি সীতাকে ফিরিয়ে দিন। এই যুদ্ধ বন্ধ করুন।” এই বলে মন্দোদরী , স্বামী দশাননের চরণ ধরে প্রার্থনা , অনুনয়- বিনয় করতে লাগলেন । কিন্তু রাবণ কিছুতেই রাজী হল না। সে দর্পে বলল- “রক্ষ রাজ রাবণের স্ত্রীর মনে এত শঙ্কা কেন? আজ রামের ভাগ্য রামের সঙ্গ দিয়েছে তাই সে জিতেছে । কিন্তু প্রত্যহ ভাগ্য সঙ্গ দেবে না। দেখো কুম্ভকর্ণ যুদ্ধে গেলে শত্রুদের কি অবস্থাই না হয়।”
( ক্রমশঃ )
অধিকাংশ সেনা সামন্ত হারিয়ে । মনে হল দেহে যেনো শত কণ্টক বিঁধেছে । এর থেকে যুদ্ধে নিহত হওয়াই শ্রেয় ছিলো । এক ভিক্ষুক বনবাসীর কাছে জীবন ফিরে পাওয়ার লজ্জা রাবণকে গ্রাস করলো । লজ্জিত হয়ে অধোমুখে রাবণ হেঁটে হেঁটে লঙ্কায় প্রবেশ করে রাজমহলের দিকে চলতে লাগলো। তাঁর রথখানাও ধ্বংস হয়েছে । পেছন পেছন জীবিত কিছু অনুচর তারাও লজ্জায় ভেতরে ঢুকল । রাক্ষসেরা অবাক হল এই ভেবে যে দশানন রাবণ পরাজিত হয়েছে । তারা ভাবতেই পারছিলো না। কোথায় সেই আস্ফালন- কোথায় সেই প্রতাপ- কোথায় সেই বীরত্ব – কোথায় সেই যুদ্ধজয়ের আগাম আনন্দ- এসব যেনো রাবণকে ছেড়ে বিদায় নিয়েছে । একাকী নিসঙ্গ রাবণ মাথা নীচু করে লজ্জায় হেটে যাচ্ছে । অপমানে যেনো তার মাটিটে মিশে যেতে মন চাইছে । এইভাবে দশানন লঙ্কার মহলে প্রবেশ করলেন। পাত্রমিত্রদের মাঝে কিছুক্ষণ মাথা নীচু করে থাকলেন । পাত্রমিত্রারাও কেও ভয়ে রাবণকে কোন কিছু বলবার সাহস পাচ্ছে না । পাছে সব রাগ তার ওপরই না গিয়ে পড়ে। খানিক বাদে লঙ্কেশ্বর বললেন- “মনে হচ্ছে নন্দীর শাপ ফলে গেলো। বহু পূর্বে কৈলাসে প্রবেশ করতে গিয়ে নন্দীর বাঁধা প্রাপ্ত হই । তার সাথে আমার যুদ্ধ হয়। সে আমাকে শাপ দেয় নর আর বানর আমার সর্বনাশ করবে। বোধ হয় সেই শাপ এতদিনে ফলতে আরম্ভ করেছে । নাহলে ত্রিলোকবিজয়ী রাবণের বিপক্ষে ভয়ে কেউ যুদ্ধে দাঁড়াতে পারে না, আর ঐ তুচ্ছ নর রাম আমাকে পরাজিত করে প্রান দান দিলো। এই লজ্জা আমি কোথায় রাখবো ! আমার জীবনদান দিয়ে সেই বনবাসী রাম আমার সকল মান- সম্মান- প্রতিষ্ঠাকে বধ করলো । এর চেয়ে ভালো ছিলো যদি আজ রামের শরে আমার প্রান যেতো।” এই বলে রাবণ কপাল চাপড়ে আক্ষেপ করতে লাগলো । সভাসদরা তখন এক বুদ্ধি বের করলো ।
তারা ভাবল কুম্ভকর্ণ এখন নিদ্রিত । সে বীর। তার সাথে যুদ্ধে কেহ পারে না। কেন না এই সময় তাকে যুদ্ধে পাঠানো হোক । নন্দি তো রাবণকে শাপ দিয়েছে। কুম্ভকর্ণকে ত দেয়নি । সুতরাং কুম্ভকর্ণ যুদ্ধে গমন করলে বিজয়ী হয়ে আসবেই । যদি বানর রাজ সুগ্রীবকে বন্দী করে আনতে সক্ষম হয় তবে এই যুদ্ধই বন্ধ হবে। কারণ বানর কুলের রাজা বন্দী হলে বানরেরা পলায়ন করবে। তখন একাকী রাম লক্ষ্মণ আর কি যুদ্ধ করবে ? সভাসদেরা বলল- “মহারাজ! কুম্ভকর্ণকে যুদ্ধে প্রেরণ করুণ । সে মহাবীর। অনায়েসে সে কপিদের বধ করে, সুগ্রীবকে বন্দী করে রাম লক্ষ্মণ কে হত্যা করবে।” রাবণ ভেবে দেখলো, তাই তো! ভ্রাতা কুম্ভকর্ণ এখন আছে শয়নে। যদি লঙ্কা ধ্বংস হয় তবে সে আর জেগে করবে কি ?
যায় অর্ধ লঙ্কাপুরী কুম্ভকর্ণ ভোগে ।
ছয়মাস নিদ্রা যায়, একদিন জাগে ।।
পাঁচ মাস গত নিদ্রা একমাস আছে ।
আজই লঙ্কা মজিলে কি করিবে সে পাছে ।।
কুম্ভকর্ণে জাগাইতে করহ যতন ।
প্রাণসত্ত্বে মোর যেন হয় সচেতন ।।
( কৃত্তিবাসী রামায়ণ )
কুম্ভকর্ণের ওপর সদয় হয়ে বরদান দিয়েছিলেন প্রজাপ্রতি ব্রহ্মা । কুম্ভকর্ণ প্রচুর শক্তিশালী। সে কোন রকম বরদান ছাড়াই দেবতাদের ত্রাস ছিলো। দেবতারা ভয় পেতো। তাই যখন ব্রহ্মা , কুম্ভকর্ণকে বরদান দিতে চাইলো, তখন দেবতাগণ ভীত ছিলেন । কারণ কুম্ভকর্ণ এমনিতেই বীর । তার উপর যদি ব্রহ্মার কাছে আরোও কিছু বরদান পায় তো ধ্বংস করে দেবে সব। তখন একে বধ করা আরোও কঠিন হবে। কুম্ভকর্ণকে যখন ব্রহ্মা বর চাইতে বললেন, তখন দেবতাদের প্রার্থনায় মাতা সরস্বতী দেবী কুম্ভকর্ণের জিহ্বায় অধিষ্ঠিতা হলেন । সরস্বতী প্রভাবে কুম্ভকর্ণ বর চাইলেন যে ছয় মাস যেনো ঘুমায়, একদিন মাত্র জাগে। ব্রহ্মা তাই দিলেন। বললেন- “অকালে নিদ্রভঙ্গ হলে কিন্তু প্রান হারাবে।”
রাবণের মাতা কেকসী রাবণকে খুব বকাঝকা করলো । কারণ বিভীষণ চলে যাওয়ার পর তিনি রাবণের ওপর ক্ষিপ্ত ছিলেন । কেকসী বলল- “ওরে দুষ্ট! তোমার কেমন নীতি ? নিজের দম্ভের কারণে একটার পর একটা ভুল করে যাচ্ছো। নিজের ভগিনীকে নিজ হাতে বিধবা করলে । নিজ পুত্র অক্ষয়কুমারকে হারালে, লঙ্কার ভস্ম হল তোমার কারণে। বিভীষণকে লঙ্কা থেকে বিতারিত করলে। তুমি কি বিস্মৃত হয়েছো ব্রহ্মার বরদাণ ? যদি কুম্ভকর্ণ যুদ্ধে যায়, তবে তার মৃত্যু অবধি হতে পারে। কেন সীতাকে ফিরিয়ে দিচ্ছো না ?” রাবণ বলল- “মাতঃ! তোমার দ্বিতীয় পুত্র কুম্ভকর্ণ মহাবীর। তার কিছুই হবে না। সে গিয়ে শত্রুদের সমুচিত শিক্ষা দেবে। আর বিভীষণ আমার ভ্রাতা হয়েও সর্বদা শত্রুর বন্দনা করতো। আমার বিভীষণের প্রতি কোন ব্যক্তিগত আক্রোশ নেই। আমি বিভীষণের স্ত্রী সরমা ও পুত্র তরণীকে পালন করছি । বিভীষণকে না বিতারিত করলে সমগ্র লঙ্কা আমাকে স্বার্থপর বলে গালমন্দ করতো। নিজের ভ্রাতার দোষও আমি ক্ষমা করি না। মাতঃ ব্রহ্মার বর সব সময় অক্ষরে অক্ষরে পালিত হয় না। পিতামহ ব্রহ্মা আমাকে ত্রিলোকবিজয়ী হবার বর দিয়েছিলেন। তাহলে কেনই আজকে আমি পরাজিত হলাম । নিশ্চিন্ত থাকো – কুম্ভকর্ণের কোন ক্ষয়ক্ষতি হবে না। ” মন্দোদরী বলল- “স্বামী! আপনি কি সমগ্র লঙ্কাকে এই যুদ্ধের যজ্ঞে আহুতি দেবেন ? শ্রীরামের বিক্রম আপনি আজ নিজের চোখেই দেখলেন । আপনি বরং আপনার মাতার কথা মেনে নিন। শ্রীরাম আজ চাইলে আপনাকে বধ করতে পারতেন । কিন্তু উনি আপনাকে সুযোগ দিচ্ছেন। আপনি সীতাকে ফিরিয়ে দিন। এই যুদ্ধ বন্ধ করুন।” এই বলে মন্দোদরী , স্বামী দশাননের চরণ ধরে প্রার্থনা , অনুনয়- বিনয় করতে লাগলেন । কিন্তু রাবণ কিছুতেই রাজী হল না। সে দর্পে বলল- “রক্ষ রাজ রাবণের স্ত্রীর মনে এত শঙ্কা কেন? আজ রামের ভাগ্য রামের সঙ্গ দিয়েছে তাই সে জিতেছে । কিন্তু প্রত্যহ ভাগ্য সঙ্গ দেবে না। দেখো কুম্ভকর্ণ যুদ্ধে গেলে শত্রুদের কি অবস্থাই না হয়।”
( ক্রমশঃ )
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন