স্বামী বিবেকানন্দ একবার রাজস্থানের একটি রেলস্টেশনে বসে আছেন । তিনি ছিলেন এমন একজন যাকে দেখলেই সবাই
কথা আর মনে নেই । বৈদান্তিক সন্ন্যাসী তো তাই । এদিকে সবাই ধর্ম কথা শুনে শুনে চলে যাচ্ছেন , কেউ
তার খাবার কথা মুখেও আনছে না । এভাবে তৃতীয় দিন রাতে এক গরীব লোক সকলে চলে যাবার পর এসে বললেন স্বামীজিকে যে , মহারাজ আপনি অনবরত তিন দিন কথাই বলে চলছেন কিছুই খান নি ,আমার খুব খারাপ লাগছে । স্বামীজি বলেলন তাকে তুমি কি কিছু খেতে দেবে আমাকে । তখন সেই লোক বললেন ,তা তো চাই কিন্তু আমি চামার
কি করে আপনাকে খেতে দেই ? বলেন তো আমি আপনাকে আটা ডাল এনে দিই ,আপনি ডাল রুটি বানিয়ে খান । স্বামীজি বললেন সে হবে না তোমার তৈরি রুটি আমায় দাও তাই খাব । সে বললেন রাজা যদি জানতে পারেন নিচু হয়েও আমি এসব করেছি তবে রক্ষা নেই । স্বামীজি মানলেন না । তার রান্নাই খেলেন । এসময় এই লোকটির দয়া দেখে চোখে জল এসে গেল । ভাবলেন এই তো ভগবান এসেছেন দীন বেশে ।
আকৃষ্ট হত ।ঐ রেলস্টেশনে সেদিন শত শত লোক স্বামীজির কাছে ধর্মকথা শুনতে আসছে । লোকে প্রশ্ন করছে আর স্বামীজি বিরামহীন ভাবে তার উত্তর দিয়ে চলছেন । এভাবে তিন দিন কেটে গেল ,স্বামীজি অভুক্তই রইলেন। তার খাবার
তিনি ভাবলেন এই সব গরীব দীন দুঃখী মানুষের মধ্যে কত মানবতা লুকিয়ে রয়েছে । এসময় কিছু লোক এটা দেখে স্বামীজিকে বললেন কি করছেন এটা নিচু লোকের হাতে খাচ্ছেন ? স্বামিজি বললেন তোমার এত বড় বড় লোক তিন দিন হল আমাকে দিয়ে কত কথা বলালে কিন্তু আমার খাবার কথা একবার ও বললে না ,খোজ ও নিলে না ।অথচ এ ছোটলোক
হল ,আর নিজেরা ভদ্র বলে বড়াই করছ ? ও যে মনুষ্যত্ব দেখিয়েছে তাতে ও নীচ হল কি করে । এই হল কাহিনী । আসলে সনাতন ধর্মই হল মানুষের অন্তনিহিত দেবত্ত্ব কে জাগরিত করা । এ তো আজকের কথা নয় ।
শ্রীরাম গুহক চন্ডাল কে বুকে তুলে নিলেন । ভগবান শ্রীকৃষ্ন দরিদ্র সুদামাকে নিজে পা ধুইয়ে দিলেন । প্রেমের ঠাকুর
চৈতন্য কত অশুচি ,নিচু জাতি ,আসুস্থ লোকেদের নিয়ে হরিনাম সংকীর্তন করলেন ।ঠাকুর রামকৃষ্নদেব বললেন শিব ঞ্জানে জীব সেবা । তাই আমাদের এই মানবাত্মার অগ্নী মন্ত্রে দীক্ষিত হবে ।
Written by: Agni Sampad
কথা আর মনে নেই । বৈদান্তিক সন্ন্যাসী তো তাই । এদিকে সবাই ধর্ম কথা শুনে শুনে চলে যাচ্ছেন , কেউ
তার খাবার কথা মুখেও আনছে না । এভাবে তৃতীয় দিন রাতে এক গরীব লোক সকলে চলে যাবার পর এসে বললেন স্বামীজিকে যে , মহারাজ আপনি অনবরত তিন দিন কথাই বলে চলছেন কিছুই খান নি ,আমার খুব খারাপ লাগছে । স্বামীজি বলেলন তাকে তুমি কি কিছু খেতে দেবে আমাকে । তখন সেই লোক বললেন ,তা তো চাই কিন্তু আমি চামার
কি করে আপনাকে খেতে দেই ? বলেন তো আমি আপনাকে আটা ডাল এনে দিই ,আপনি ডাল রুটি বানিয়ে খান । স্বামীজি বললেন সে হবে না তোমার তৈরি রুটি আমায় দাও তাই খাব । সে বললেন রাজা যদি জানতে পারেন নিচু হয়েও আমি এসব করেছি তবে রক্ষা নেই । স্বামীজি মানলেন না । তার রান্নাই খেলেন । এসময় এই লোকটির দয়া দেখে চোখে জল এসে গেল । ভাবলেন এই তো ভগবান এসেছেন দীন বেশে ।
আকৃষ্ট হত ।ঐ রেলস্টেশনে সেদিন শত শত লোক স্বামীজির কাছে ধর্মকথা শুনতে আসছে । লোকে প্রশ্ন করছে আর স্বামীজি বিরামহীন ভাবে তার উত্তর দিয়ে চলছেন । এভাবে তিন দিন কেটে গেল ,স্বামীজি অভুক্তই রইলেন। তার খাবার
তিনি ভাবলেন এই সব গরীব দীন দুঃখী মানুষের মধ্যে কত মানবতা লুকিয়ে রয়েছে । এসময় কিছু লোক এটা দেখে স্বামীজিকে বললেন কি করছেন এটা নিচু লোকের হাতে খাচ্ছেন ? স্বামিজি বললেন তোমার এত বড় বড় লোক তিন দিন হল আমাকে দিয়ে কত কথা বলালে কিন্তু আমার খাবার কথা একবার ও বললে না ,খোজ ও নিলে না ।অথচ এ ছোটলোক
হল ,আর নিজেরা ভদ্র বলে বড়াই করছ ? ও যে মনুষ্যত্ব দেখিয়েছে তাতে ও নীচ হল কি করে । এই হল কাহিনী । আসলে সনাতন ধর্মই হল মানুষের অন্তনিহিত দেবত্ত্ব কে জাগরিত করা । এ তো আজকের কথা নয় ।
শ্রীরাম গুহক চন্ডাল কে বুকে তুলে নিলেন । ভগবান শ্রীকৃষ্ন দরিদ্র সুদামাকে নিজে পা ধুইয়ে দিলেন । প্রেমের ঠাকুর
চৈতন্য কত অশুচি ,নিচু জাতি ,আসুস্থ লোকেদের নিয়ে হরিনাম সংকীর্তন করলেন ।ঠাকুর রামকৃষ্নদেব বললেন শিব ঞ্জানে জীব সেবা । তাই আমাদের এই মানবাত্মার অগ্নী মন্ত্রে দীক্ষিত হবে ।
Written by: Agni Sampad
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন