প্রতিবছর আষাঢ় মাসের শুক্লা দ্বিতীয়ায় অনুষ্ঠিত হয় রথ-উৎসব। রথের ওপর দেবতাদের মূর্তি স্থাপন করে রথ চালানো হয়। জগতের নাথ বা অধীশ্বর যিনি তিনি-ই জগন্নাথ । জগন্নাথকে দেখতে পেলে জীবের আর পুনর্জন্ম হয় না। তাই হিন্দু ধর্মে বিশ্বাসীরা তাঁর কৃপা প্রার্থনা করেই রথযাত্রার অনুষ্ঠান পালন করে থাকে। রথযাত্রার প্রধান কেন্দ্র উড়িষ্যার সমুদ্রতীরবর্তী পুরীধামের রথযাত্রার অনুসরণেই পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে জগন্নাথদেবের রথযাত্রা উৎসব পালিত হয়ে থাকে। সে ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় রথযাত্রা হলেও ঢাকা জেলার ধামরাই উপজেলার রথযাত্রা ও রথ-উৎসবের রয়েছে আন্তর্জাতিক খ্যাতি। ধামরাইয়ের মাধব মন্দিরে যশোমাধব নামে একটি বিষ্ণু মূর্তি রয়েছে।
যশোপাল ছিলেন পালবংশীয় শেষ রাজা। একবার জঙ্গলে মাধবের মূর্তি পান তিনি। বিষ্ণুভক্ত যশোপাল একপর্যায়ে বিগ্রহটি নিজ বাড়িতে প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর নাম অনুসারে বিগ্রহের নাম হয়ে যায় শ্রীশ্রী যশোমাধব। পুরুষানুক্রমে যশোমাধবের রথের যাবতীয় দায়িত্ব পালন করতেন বালিয়াটির জমিদাররা। সে সময় ধামরাইয়ে যে রথ বেরোত তা উচ্চতায় ছিল ৮০ ফুট। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে যশোমাধবের বিগ্রহসহ মন্দিরটি পুড়িয়ে দেয় পাকিস্তানি সেনাবাহিনী। স্বাধীনতার পর ২৭ ফুট উঁচু একটি কাঠের রথ তৈরি করে দীর্ঘদিন রথ টানা হতো। ভারত সরকারের সহযোগিতায় আদি রথের অনুরূপ একটি রথ পুনর্নির্মাণ করা হয়েছে। যশোমাধব মন্দির থেকে রথ টেনে প্রায় ২০০ গজ দূরের অপর একটি মন্দিরে নিয়ে যাওয়া হবে।ই উল্টো রথযাত্রার মধ্য দিয়ে এ উৎসবের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি হয়।
এই ৯ দিনই থাকে ধর্মীয় নানা আনুষ্ঠানিকতা। এ উপলক্ষে রথখোলা মাঠে মাসব্যাপী চলবে রথমেলা। প্রতিবছরের মতো এবারও রথমেলায় আয়োজন করা হবে পুতুল নাচ, সার্কাস, যাত্রা, মৃত্যুকূপে মোটরসাইকেল রেস ইত্যাদি। এ ছাড়া মাটি, কাঠ, বাঁশ-বেত, পিতলসহ নানা জিনিসের তৈরি হরেক রকম পণ্য পাওয়া যাবে এ মেলায়।
Written by: Rajat Das Gupta
যশোপাল ছিলেন পালবংশীয় শেষ রাজা। একবার জঙ্গলে মাধবের মূর্তি পান তিনি। বিষ্ণুভক্ত যশোপাল একপর্যায়ে বিগ্রহটি নিজ বাড়িতে প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর নাম অনুসারে বিগ্রহের নাম হয়ে যায় শ্রীশ্রী যশোমাধব। পুরুষানুক্রমে যশোমাধবের রথের যাবতীয় দায়িত্ব পালন করতেন বালিয়াটির জমিদাররা। সে সময় ধামরাইয়ে যে রথ বেরোত তা উচ্চতায় ছিল ৮০ ফুট। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে যশোমাধবের বিগ্রহসহ মন্দিরটি পুড়িয়ে দেয় পাকিস্তানি সেনাবাহিনী। স্বাধীনতার পর ২৭ ফুট উঁচু একটি কাঠের রথ তৈরি করে দীর্ঘদিন রথ টানা হতো। ভারত সরকারের সহযোগিতায় আদি রথের অনুরূপ একটি রথ পুনর্নির্মাণ করা হয়েছে। যশোমাধব মন্দির থেকে রথ টেনে প্রায় ২০০ গজ দূরের অপর একটি মন্দিরে নিয়ে যাওয়া হবে।ই উল্টো রথযাত্রার মধ্য দিয়ে এ উৎসবের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি হয়।
এই ৯ দিনই থাকে ধর্মীয় নানা আনুষ্ঠানিকতা। এ উপলক্ষে রথখোলা মাঠে মাসব্যাপী চলবে রথমেলা। প্রতিবছরের মতো এবারও রথমেলায় আয়োজন করা হবে পুতুল নাচ, সার্কাস, যাত্রা, মৃত্যুকূপে মোটরসাইকেল রেস ইত্যাদি। এ ছাড়া মাটি, কাঠ, বাঁশ-বেত, পিতলসহ নানা জিনিসের তৈরি হরেক রকম পণ্য পাওয়া যাবে এ মেলায়।
Written by: Rajat Das Gupta
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন