কিছু দিন আগে “কা তব কান্তা” নামক সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়ের একটি উপন্যাস
পড়লাম। যার মূল থিম সনাতন হিন্দুধর্মের প্রাণপুরুষ আর্চার্য শঙ্কর কে নিয়ে
রচিত। উপন্যাসটির সূচনায় লেখক একটি জিনিস তুলে ধরেছেন সেটি হল, “বৌদ্ধ
ধর্মের প্রবর্তক গৌতম বুদ্ধ কেন হিন্দুর দশ অবতারের এক অবতার হলেন। যেহেতু,
ধর্ম সংস্থাপনই হিন্দু অবতারের অবতীর্ণ হওয়ার মূল উদ্দেশ্য বা কারণ।”
এই প্রশ্নটা অনেকের মধ্যই থাকতে পারে। ধরে নেই, যেহেতু বুদ্ধদেব বৌদ্ধধর্মের প্রবর্তক সেহেতু সনাতন দৃষ্টিকোণ থেকে তিনি নাস্তিক। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, তিনি কি প্রকৃতই নাস্তিক ছিলেন??
উপন্যাসের ভাষায়,-- “পণ্ডিত সমাজ এর উত্তর দিয়েছেন এভাবে যে, ‘বুদ্ধদেব কখনোই নাস্তিক ছিলেন না,কারন তিনি কখনো সৃষ্টিকর্তাকে ভুলে যথেচ্চাচারে ভেসে যেতে বলেন নি। তিনি সারাজীবন পরম সত্যকে জানার জন্য চরম কৃচ্ছ্রসাধনে দেহ ও অস্থি পর্যন্ত বিসর্জন দিতে প্রস্তুত ছিলেন। তিনি যে বোধিলাভ করে বুদ্ধ হয়েছিলেন। সেই পরম উপলব্দিটি কি? বেদান্ত সেই উপলব্দিকেই বলেছেন নির্বিকল্প সমাধি। সেই বিন্দুতে উপনীত হওয়া, যেখানে স্রস্টা ও সৃষ্টি এক হয়ে বসে আছেন।’ বাইবেলে যে বিন্দুটিকে বলা হয় ‘ওমেগা’।”
সুতরাং, দেখা যাচ্ছে যে, নদীর যতই শাখা-প্রশাখা হোক না কেন, মিলিত কিন্তু হচ্ছে একই সাগরে অথ্যাৎ সেই “বেদান্ত”। পরবর্তী কালে এই উচ্চভাব ধারণে যারা অক্ষম তাঁরাই জোর গলার বলেছেন, ঈশ্বর বলে কিছু নেই। আমরা সবাই নাস্তিক।
বৌদ্ধতত্ত্বের বাহ্যভাব ধর্মসমন্বিত না হলেও এর অত্যুচ্চ নীতি-তত্ত্ব যে গভীর ধর্মভিত্তির ওপর তা যে কোনও সূক্ষ্মদর্শী সমালোচক স্বীকার না করে পারবে না। বৌদ্ধনীতি কখনোই জঘন্য সুখবাদ বা প্রত্যক্ষবাদের মতো অধ্যাত্মহীন নয়। তাই, বুদ্ধদেব হিন্দু দশ অবতারের এক অবতার। তাঁর প্রচারিত বা উদ্ভাবিত নীতি অতিউচ্চ, অতি মহান। যার সাথে বেদান্তের সূক্ষ্ম যোগসূত্র রয়েছে।
হয়তো এই জন্যই স্বামীজী বলেছেন, ''আমাদের সমাজ জ্ঞান চর্চার ক্ষেত্রে , অধাত্ম্য চর্চার ক্ষেত্রে অনেক উদার, যা আমাদের ধর্ম কে উন্নত করেছে । যুগে যুগে আমাদের ধর্মে বিভিন্ন সংস্কারক আবির্ভূত হন,তাই আমাদের ধর্মে এত মত, এত বিভিন্নতা।”
-জয় রায়
৩/০৬/১২
এই প্রশ্নটা অনেকের মধ্যই থাকতে পারে। ধরে নেই, যেহেতু বুদ্ধদেব বৌদ্ধধর্মের প্রবর্তক সেহেতু সনাতন দৃষ্টিকোণ থেকে তিনি নাস্তিক। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, তিনি কি প্রকৃতই নাস্তিক ছিলেন??
উপন্যাসের ভাষায়,-- “পণ্ডিত সমাজ এর উত্তর দিয়েছেন এভাবে যে, ‘বুদ্ধদেব কখনোই নাস্তিক ছিলেন না,কারন তিনি কখনো সৃষ্টিকর্তাকে ভুলে যথেচ্চাচারে ভেসে যেতে বলেন নি। তিনি সারাজীবন পরম সত্যকে জানার জন্য চরম কৃচ্ছ্রসাধনে দেহ ও অস্থি পর্যন্ত বিসর্জন দিতে প্রস্তুত ছিলেন। তিনি যে বোধিলাভ করে বুদ্ধ হয়েছিলেন। সেই পরম উপলব্দিটি কি? বেদান্ত সেই উপলব্দিকেই বলেছেন নির্বিকল্প সমাধি। সেই বিন্দুতে উপনীত হওয়া, যেখানে স্রস্টা ও সৃষ্টি এক হয়ে বসে আছেন।’ বাইবেলে যে বিন্দুটিকে বলা হয় ‘ওমেগা’।”
সুতরাং, দেখা যাচ্ছে যে, নদীর যতই শাখা-প্রশাখা হোক না কেন, মিলিত কিন্তু হচ্ছে একই সাগরে অথ্যাৎ সেই “বেদান্ত”। পরবর্তী কালে এই উচ্চভাব ধারণে যারা অক্ষম তাঁরাই জোর গলার বলেছেন, ঈশ্বর বলে কিছু নেই। আমরা সবাই নাস্তিক।
বৌদ্ধতত্ত্বের বাহ্যভাব ধর্মসমন্বিত না হলেও এর অত্যুচ্চ নীতি-তত্ত্ব যে গভীর ধর্মভিত্তির ওপর তা যে কোনও সূক্ষ্মদর্শী সমালোচক স্বীকার না করে পারবে না। বৌদ্ধনীতি কখনোই জঘন্য সুখবাদ বা প্রত্যক্ষবাদের মতো অধ্যাত্মহীন নয়। তাই, বুদ্ধদেব হিন্দু দশ অবতারের এক অবতার। তাঁর প্রচারিত বা উদ্ভাবিত নীতি অতিউচ্চ, অতি মহান। যার সাথে বেদান্তের সূক্ষ্ম যোগসূত্র রয়েছে।
হয়তো এই জন্যই স্বামীজী বলেছেন, ''আমাদের সমাজ জ্ঞান চর্চার ক্ষেত্রে , অধাত্ম্য চর্চার ক্ষেত্রে অনেক উদার, যা আমাদের ধর্ম কে উন্নত করেছে । যুগে যুগে আমাদের ধর্মে বিভিন্ন সংস্কারক আবির্ভূত হন,তাই আমাদের ধর্মে এত মত, এত বিভিন্নতা।”
-জয় রায়
৩/০৬/১২
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন