শঙ্করাচার্য সনাতন ধর্মের এক পরম পুরুষ, যিনি জগতের কল্যাণের জন্য সন্ন্যাস গ্রহণ করে গৃহ আর জননীকে ছেড়ে বেড়িয়ে এসেছিলো। কিন্তু, গর্ভধারিণী মায়ের সাথে একটি চুক্তি তিনি করেছিলো যে, “মা, আমি যেখানেই থাকি তোমার অন্তিম মুহূর্তে আমি তোমার কাছে ঠিকই চলে আসবো।”
একদিন সকালে তিনি তাঁর মুখে মাতৃস্তনের সাধ অনুভব করলো। বুঝতে পারলো মায়ের অন্তিম সময় আসন্ন। ছুটে চলে আসলেন গর্ভধারিণীর কাছে। পুত্রের কোলে মাথা রেখে মাতা পরমপদ্মকমলে লীন হলেন।
এর পরে অদ্বিতীয় বেদান্তবাদী, জ্যোতির্ময়ী, ভারতবিজেতা, সন্ন্যাসী তাঁর বৃদ্ধা মায়ের মরদেহ বুকে করে নিয়ে এসে চিতার উপর ধীরে ধীরে শুইয়ে দিচ্ছেন। চারিদিকে নিস্তব্ধ। শঙ্করাচার্য কাঠে কাঠে ঠুকে আগুন বের করার চেষ্টা করছেন। আর সেই শব্দ আকাশের গায়ে করাঘাত করছে। দরজা খোল ভগবান, আমার মা যাচ্ছেন। চিতা জ্বলে উঠলো। লকলকে আগুনের শিখা। চোখের সামনে মায়ের দেহ ধীরে ধীরে পরিণত হল একমুঠো ভস্ম...ে। শঙ্করাচার্য ভাবছেন- কাঠের মত নিষ্প্রাণ বস্তুর ভেতরেও আগুন থাকে, কিন্তু প্রান সম্পদে ভরপুর মানুষের অন্তরে কি সামান্য স্নেহ ভালোবাসা নেই!
জননীর ভস্মাধার নিয়ে যতিরাজ শঙ্করাচার্য চলছেন নদীর দিকে। আর নিজের মনকে কঠিন করার জন্য শোনাচ্ছেন নিজেরই রচিত শ্লোক। এ যেন জীবাত্মা শুনছে, পরমাত্মার কণ্ঠস্বর। আমি দেহ নই, আমি ইন্দ্রিয় নই, এই দুয়ের মাঝখানে আমার কোন স্থান নেই। আমি অহংকার নই, আমি বুদ্ধিও নই। আমি সেই সাক্ষী স্বরূপ, নিত্য,শিবস্বরূপ। আমি সব কিছুর অতীত কিন্তু, আমি আমার মায়ের অতীত নই।
অন্ধকার নদী জল কল্লোলের শব্দ। আমি বহে যাই। আমি চলে যাই। আমি নিয়ে যাই কাল থেকে কালান্তরে.........
Written by : জয় রায়
একদিন সকালে তিনি তাঁর মুখে মাতৃস্তনের সাধ অনুভব করলো। বুঝতে পারলো মায়ের অন্তিম সময় আসন্ন। ছুটে চলে আসলেন গর্ভধারিণীর কাছে। পুত্রের কোলে মাথা রেখে মাতা পরমপদ্মকমলে লীন হলেন।
এর পরে অদ্বিতীয় বেদান্তবাদী, জ্যোতির্ময়ী, ভারতবিজেতা, সন্ন্যাসী তাঁর বৃদ্ধা মায়ের মরদেহ বুকে করে নিয়ে এসে চিতার উপর ধীরে ধীরে শুইয়ে দিচ্ছেন। চারিদিকে নিস্তব্ধ। শঙ্করাচার্য কাঠে কাঠে ঠুকে আগুন বের করার চেষ্টা করছেন। আর সেই শব্দ আকাশের গায়ে করাঘাত করছে। দরজা খোল ভগবান, আমার মা যাচ্ছেন। চিতা জ্বলে উঠলো। লকলকে আগুনের শিখা। চোখের সামনে মায়ের দেহ ধীরে ধীরে পরিণত হল একমুঠো ভস্ম...ে। শঙ্করাচার্য ভাবছেন- কাঠের মত নিষ্প্রাণ বস্তুর ভেতরেও আগুন থাকে, কিন্তু প্রান সম্পদে ভরপুর মানুষের অন্তরে কি সামান্য স্নেহ ভালোবাসা নেই!
জননীর ভস্মাধার নিয়ে যতিরাজ শঙ্করাচার্য চলছেন নদীর দিকে। আর নিজের মনকে কঠিন করার জন্য শোনাচ্ছেন নিজেরই রচিত শ্লোক। এ যেন জীবাত্মা শুনছে, পরমাত্মার কণ্ঠস্বর। আমি দেহ নই, আমি ইন্দ্রিয় নই, এই দুয়ের মাঝখানে আমার কোন স্থান নেই। আমি অহংকার নই, আমি বুদ্ধিও নই। আমি সেই সাক্ষী স্বরূপ, নিত্য,শিবস্বরূপ। আমি সব কিছুর অতীত কিন্তু, আমি আমার মায়ের অতীত নই।
অন্ধকার নদী জল কল্লোলের শব্দ। আমি বহে যাই। আমি চলে যাই। আমি নিয়ে যাই কাল থেকে কালান্তরে.........
Written by : জয় রায়
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন