এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজতে গিয়ে ,,দেবর্ষি নারদ একবার ব্রহ্মলোকে সৃষ্টিকর্তা ব্রহ্মাজীর কাছে গিয়ে উপস্থিত হলেন।ব্রহ্মাজী বললেন ,, হে দেবর্ষি নারদ !!দেবতারাও আমার সন্তান আর দানবরাও আমারই সন্তান ,,তাই এই প্রশ্নের উত্তর যদিও আমার দেওয়া উচিৎ নয় ,, তবে আমি তোমাকে আগামীকাল একটি উদাহরন দেখিয়ে বুঝিয়ে দেবো !! তুমি আজ সকল দেবতা ও দানবদের কাছে গিয়ে নিমন্ত্রন করে আসো ,,আগামীকাল তারা যেন আমার এখানে দ্বিপ্রহরে ভোজন সেবা করতে আসেন।দেবর্ষি নারদও পিতার আদেশ পালন করলেন।তিনি স্বর্গে গিয়ে দেবতাদের আর পাতালে গিয়ে দানবদের নিমন্ত্রন করে আসলেন !! পরদিন দুপুর বেলা প্রথমে দানবরা এসে উপস্থিত হলেন।দানবেরা ভোজন শুরু করবেন ,,ঠিক সেইসময় ব্রহ্মাজী একজন দানবের হাত ধরে ফেললেন এবং বললেন ,, তোমরা ভোজন করার আগে আমার একটি শর্ত মানতে হবে !! শর্তটি হলো তোমাদের সবার হাতে আমি কাঠ বেঁধে দেবো তারপর তোমরা ভোজন করতে পারবে !!
সেই মোতাবেক সকল দানবদের হাতে লাকড়ী বেঁধে দেওয়া হলো ,,তারা যেন হাত কিছুতেই বাঁকা করে খেতে না পারে !! দানবরা তো হাত বাঁকা করতে না পেরে কেউ কেউ মাটিতে শুয়ে ভোজন শুরু করে দিলেন ,,আবার কেউ কেউ পা দিয়ে কোনোরকমে ভোজনের থালাটা উঠিয়ে অনেক কষ্টে ভোজন করতে লাগলেন !! অবশেষে তারা ভালো করে ভোজন করতে না পেরে বিরক্ত হয়ে ব্রহ্মাজীকে বকাবকি শুরু করে দিলেন !! এইরকম ভাবেই যদি দুই হাতে লাকড়ী বেঁধে আমাদের ভোজন করতে দেওয়া হয় তাহলে কেন আমাদের নিমন্ত্রন করে এখানে আনা হলো ?? আমাদের কি এখানে অপমান করার জন্য আনা হয়েছে ??
ঠিক সেইসময় দেবতারা সেখানে এসে উপস্থিত হলেন এবং তারাও ভোজন করতে বসলেন।পরমপিতা ব্রহ্মাজী তাদেরও হাত ঐ একইভাবে বেঁধে দিলেন।দেবতারা বুঝে গেছেন যে এইভাবে তো ভোজন করা যাবেনা।তাই এই হাত সোজা অবস্থাতেই দেবতারা খুবই আনন্দ সহকারে একে অপরকে ভোজন করাতে লাগলেন।কিছুক্ষণ পর দেবতাদের ভোজন শেষ হয়ে গেল।এবার দেবতারা একে অপরকে হাত ধোঁয়াতে লাগলেন।এই দৃশ্য দেখে দানবরা খুবই লজ্জিত হয়ে গেলেন এবং তারা আফসোস করতে লাগলেন যে ,, দেবতাদের এই চিন্তাধারাটা আগে কেন আমাদের মাথায় আসলোনা !!
দূর থেকে দেবর্ষি নারদ এই দৃশ্য দেখে উনার এতদিনের প্রশ্নের উত্তর পেয়ে গেছেন এবং ব্রহ্মাজীকে অসংখ্য ধন্যবাদ ও প্রনাম জানালেন।
#হিতোপদেশঃ- তাই ভগবৎ ভক্তগন ,, এই পৌরাণিক কাহিনীটি থেকে আমরা একটা দারুন শিক্ষা পাচ্ছি যে ,, অপরকে ভালবাসা আর পরোপকার করার মধ্যেই ধর্মের অন্তর্নিহিত অর্থ লুকিয়ে থাকে।
(C) ডি শীল
সেই মোতাবেক সকল দানবদের হাতে লাকড়ী বেঁধে দেওয়া হলো ,,তারা যেন হাত কিছুতেই বাঁকা করে খেতে না পারে !! দানবরা তো হাত বাঁকা করতে না পেরে কেউ কেউ মাটিতে শুয়ে ভোজন শুরু করে দিলেন ,,আবার কেউ কেউ পা দিয়ে কোনোরকমে ভোজনের থালাটা উঠিয়ে অনেক কষ্টে ভোজন করতে লাগলেন !! অবশেষে তারা ভালো করে ভোজন করতে না পেরে বিরক্ত হয়ে ব্রহ্মাজীকে বকাবকি শুরু করে দিলেন !! এইরকম ভাবেই যদি দুই হাতে লাকড়ী বেঁধে আমাদের ভোজন করতে দেওয়া হয় তাহলে কেন আমাদের নিমন্ত্রন করে এখানে আনা হলো ?? আমাদের কি এখানে অপমান করার জন্য আনা হয়েছে ??
ঠিক সেইসময় দেবতারা সেখানে এসে উপস্থিত হলেন এবং তারাও ভোজন করতে বসলেন।পরমপিতা ব্রহ্মাজী তাদেরও হাত ঐ একইভাবে বেঁধে দিলেন।দেবতারা বুঝে গেছেন যে এইভাবে তো ভোজন করা যাবেনা।তাই এই হাত সোজা অবস্থাতেই দেবতারা খুবই আনন্দ সহকারে একে অপরকে ভোজন করাতে লাগলেন।কিছুক্ষণ পর দেবতাদের ভোজন শেষ হয়ে গেল।এবার দেবতারা একে অপরকে হাত ধোঁয়াতে লাগলেন।এই দৃশ্য দেখে দানবরা খুবই লজ্জিত হয়ে গেলেন এবং তারা আফসোস করতে লাগলেন যে ,, দেবতাদের এই চিন্তাধারাটা আগে কেন আমাদের মাথায় আসলোনা !!
দূর থেকে দেবর্ষি নারদ এই দৃশ্য দেখে উনার এতদিনের প্রশ্নের উত্তর পেয়ে গেছেন এবং ব্রহ্মাজীকে অসংখ্য ধন্যবাদ ও প্রনাম জানালেন।
#হিতোপদেশঃ- তাই ভগবৎ ভক্তগন ,, এই পৌরাণিক কাহিনীটি থেকে আমরা একটা দারুন শিক্ষা পাচ্ছি যে ,, অপরকে ভালবাসা আর পরোপকার করার মধ্যেই ধর্মের অন্তর্নিহিত অর্থ লুকিয়ে থাকে।
(C) ডি শীল
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন