৫০০ বছর আগে বাঙ্গালী জাতির মাঝে শ্রীভগবান শ্রীচৈতন্য রূপে অবতার নিয়েছিলেন। সেইসময় নদিয়ায় কাজীর অত্যাচারে হিন্দুর ধন,প্রান,ধর্ম রক্ষা করা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছিল। শ্রীচৈতন্য শুধু সেই কুশাসন বন্ধ করেছিলেন তাই নয় ,কাজীর মনুষ্যত্ব জাগিয়ে দিয়েছিলেন । বলদ ও গোহত্যা প্রসঙ্গে মহাপ্রভু সেসময় কাজীকে বলেছিলেন যে, যেহেতু বলদ উদয় অস্ত লাঙল টেনে শস্য উৎপাদনে সাহায্য করে ,তাই সে পিতৃতুল্য। আর দুগ্ধজাত বস্তু দ্বারা আমাদের প্রতিপালন করে বলে গাভী মাতৃ তুল্য। তাই এদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে এদের হত্যা না করে ভালবেসে সেবা করা উচিত।
"প্রভু কহে গোদুগ্ধ খাও গাভী তোমার মাতা। বৃষ অন্ন উপজাত তাতে
তেহ পিতা।। পিতা মাতা মারি খাও এবা কোন ধর্ম। কোন বলে কর তুমি এমত বিকর্ম।। "(চৈতন্য চরিতামৃত)
মহাপ্রভুর যুক্তি কাজী মেনে
নেন ও সনাতন হিন্দুত্বের আদর্শ গ্রহন করে এক সিদ্ধ পুরুষে পরিনত হন। তাঁর মাজার আজ হিন্দু-মুসলিম---উভয়
সম্প্রয়দায়ের কাছে তীর্থ স্বরুপ। নবদ্বীপের সেই তীর্থ দর্শনের সৌভাগ্য আমার একবার হয়েছিল।
"দয়া, মমতা, করুনা,প্রেম,কৃতজ্ঞতা ,বিনয়---এইসব মানবিক গুণ অর্জন করা হিন্দু ধর্মের মূল লক্ষ্য। গোহত্যা না করে, গোসেবা করে হিন্দু এইসব সদ বৃত্তির অনুশীলন করে।"
আসুন ,বিদ্রূপ না করে এই গুণ অনুশীলনে আমরা সবাই এগিয়ে আসি।
সনাতন হিন্দু ধর্মের জয় হোক। মানবতার জয় হোক। হরি ওঁ।
Debasish Singha
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন