সারা বিশ্বে এমন দেবী মাহাত্ম্য আর দ্বিতীয় খুঁজে পাওয়া যায় না। যেখানে হিন্দুরাতো বটেই ভক্তিভরে পুজো করছেন মুসলিমরাও। না বলপ্রয়োগ করে অন্য ধর্মের মানুষদের পুজো করতে বাধ্য করা হচ্ছে এমন গল্প নয়। দেবী খাঁটি প্রচীন ভারতীয় হলেও, অধুনা কট্টর ইসলামধর্মী একটি দেশেই সগৌরবে পূজিতা হন তিনি। তাঁকে রক্ষা করার জন্য হিন্দু বাহিনীর প্রয়োজন পড়ে না। বরং সর্বজাতির তিনি রক্ষা করে চলেছেন তিনি নিজ হাতে। তাঁর শরণাপন্ন হলে জীবনবোধটাই বদলে যায়। কোনও অনিষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকে না।
ভারতে এমন বহু জায়গা রয়েছে যেখানে দেব দেবীর মাহাত্ম্য বহু শতাব্দী ধরে চলে আসছে। তার মধ্যে বেশ কিছু জায়গা দুর্গম হলেও জনপদ রয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন এবং সরকারের তরফে সাজানো হয়েছে, যাতে বেশি করে পর্যটকেরা আসেন। কিন্তু হিঙ্গোল মাতার মন্দির তার থেকে অনেকটাই আলাদা। আলাদা ঐশ্বর্যে বা বৈভবে নয়। তিনি স্বয়ং এবং তাঁর মহিমায়।
পাকিস্তান, বালুচিস্তান। আপামর বাঙালি মরুতীর্থ হিংলাজ ছবিটি দেখেননি, এমন ব্যক্তি খুঁজে পাওয়া যাবে না। কিন্তু এই হিঙ্গোলমাতা বা হিংলাজ মাতা সম্পর্কে কে কতটা জানেন?
করাচি থেকে প্রায় ৩২৮ কিলোমিটার পথ। মাকরান উপকূল রাজপথ ধরে গেলে ঘণ্টা চারেকের রাস্তা। রাস্তা ভালো হলেও, দুর্গম, চারপাশে শুধু শুকনো পাহাড় আর পাহাড়। জনশূন্য পথ। দিনের বেলাতেও গা ছমছমে ব্যপার থাকবেই।
একবার ভেবে দেখুন। একটা সময় এই পথটাই অতিক্রম করতে হত পায়ে হেঁটে।বালিয়াড়ি, মরুভূমি পথ। বেশ কয়েকটা দিন যেত পুণ্যর্থীদের যেতে। বহু মানুষ রাস্তাতেই মারা পড়তেন এ ছাড়া দস্যুদের হানাতো ছিলই। রাস্তার মধ্যে কেউ মারা গেলে তাঁকে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থাও করা যেত না। প্রিয়জনকে ছেড়ে যেতে হত ধু ধু মরুপ্রান্তরেই।
বর্তমানে সেই কষ্ট আর নেই, তবু চলার পথে অনুভব করা যায় কতটা কঠিন এ পথ। ভারতের ইতিহাস বলছে, নানা সময়ে বহু প্রচীন মন্দির নষ্ট হয়েছে মোগল, আফগানদের হাতে। কিন্তু এক এবং অদ্বিতীয় হিংলাজ মাতার মন্দিরকে স্পর্শ করার ক্ষমতা কারও হয়নি।
পুরাণ বলছে, এই মরুক্ষেত্রে সতীর ব্রহ্মরন্ধ্র পড়েছিল। তাই একান্ন পীঠের মধ্যে এটিই শ্রেষ্ঠ বলে ধরা হয়। সতীর যত পীঠ আছে তার মধ্যে সবচেয়ে দুর্গম পথ এটাই। এবং মানা হয় সেই কারণেই এখানকার পবিত্রতা এখনও অক্ষুণ্ণ।
এখানে দেবীর কোনও প্রথাগত মূর্তি নেই। পাহাড়ের গুহার মধ্যে অধিষ্ঠান করছেন দেবী। এই দেবীকে নিয়ে বেশ কিছু কিংবদন্তী রয়েছে। বলা হয় সর্বমনস্কামনাপূর্ণকারী দেবী। অর্থাৎ এই দেবীর কাছে যা চাওয়া হয় তাই মেলে।
এখানে একটা কথা বলা ভালো, সতীর পীট নিয়ে বেশ কিছু বিতর্ক রয়েছে। কারণ যত প্রাচীন সাহিত্য ঘাঁটা হয় তত দেবীর পীঠের সংখ্যা কমতে থাকে। কুলার্নভ তন্ত্রে সতীর ১৮টি পীঠের উল্লেখ রয়েছে, তার মধ্যে হিংলাজ মাতা তৃতীয় স্থানে। আবার কুব্জিকা তন্ত্রে ৪২টি পীঠের কথা রয়েছে, যেখানে হিংলাজ মাতা পঞ্চম স্থানে। তন্ত্রচূড়ামণিতে ৪৩টি পীঠের নাম আছে, পরে অবশ্য মোট ৫১টি পীঠের সংযোজন হয়।
হিংলাজ মাতা এখানে আরও বেশ কিছু নামে পরিচিত, যেমন কোট্টারি, কোট্টাভি, কোট্টারিশা, ভৈরবী, ভীমলোচনা। এই দেবীকে নিয়ে বেশ কিছু কিংবদন্তি রয়েছে। তার মধ্যে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ ব্রহ্মক্ষত্রিয়ের কাহিনী। একবার পরশুরাম ক্ষত্রিয় নিধনে সারা বিশ্ব ভ্রমণ করছেন। সেই সময় তিনি একবার আসেন এই মরুতে, তখন স্থানীয় ক্ষত্রিয়রা এই দেবীর শরণাপন্ন হন। দেবীই তখন ক্ষত্রিয়দের ব্রাহ্মণ রূপ দান করে পরশুরামের হাত থেকে বাঁচান। তাঁদের মধ্যে একজন ছিলেন জয়সেনা। যিনি সিন্ধ প্রদেশের রাজত্ব করেন। কথিত আছে ক্ষত্রিয়দের শুধু বাঁচানোই নয়, পরশুরামকে এই হত্যালীলা থেকে অস্ত্র ছাড়তে বাধ্য করেছিলেন স্বয়ং হিংলাজ মাতা। পরশুরামকে বলেছিলেন, প্রত্যেক মানব ব্রহ্মার সন্তান। আর ব্রহ্মত্ব আসে সুকর্মের মধ্যে দিয়ে। জাতি দাঙ্গায় ব্রহ্মত্ব প্রমাণ হয় না। পরশুরাম বুঝেছিলেন তিনি ব্রাহ্মণ সন্তান তাই তিনি ক্ষত্রিয় নিধনে নেমে আদপে ব্রহ্মহত্যাই করছেন। অগত্যা ক্ষত্রিয়হত্যা থেকে সরে আসেন তিনি।
সিন্ধ প্রদেশের প্রত্যন্ত দুর্গম অঞ্চলে দেবীর বাস, অথচ তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে দেখা যায় এই মন্দিরের রক্ষণাবেক্ষণ, পুজাচারে মুসলিমদের ভূমিকা অগ্রগণ্য। পাকিস্তানের মুসলিমরা এই দেবীকে বড়ি নানি বলে সম্বোধন করে। আর এই গুহা মন্দিরকে নানি কি হজ বলেন।
মন্দিরের কাছে আছে একটি কুণ্ড। এটিও বেশ রহস্যময়। কুণ্ডের মধ্যে অবিরাম কাদা মাটি ফুটতে থাকে। কিংবদন্তি রয়েছে, এই ফুটন্ত কুণ্ডের কাছে এসে অন্তর থেকে নিজের জ্ঞানত পাপের প্রায়শ্চিত্ত করলে পাপ স্খলন হয়। বৈজ্ঞানিকদের অবশ্য যুক্তি, ওই কুণ্ডের তলা থেকে কিছু রাসায়নিক গ্যাস নির্গত হয় বলেই এমন চিত্র ধরা পড়ে। স্থানীয়দের অবশ্য প্রশ্ন, এই কুণ্ড ছাড়া আশে পাশের কয়েকশো কিলোমিটার ব্যসে কেন এমন কুণ্ড দ্বিতীয় দেখা যায় না? মন্দিরের কাছেই কেন? আর এই কুণ্ডের মহিমা সেতো যুক্তি দিয়ে বিচার করা যায় না। কিছু শিক্ষা লাভ করা যায় অনুভূতি দিয়ে।
অনেকে বলেন, দেব দেবীতো সর্বত্র বিরাজ করছে, তাহলে এতো কষ্ট করে এতো দুর্গম পথ পেরিয়ে দেবীর দর্শন করতে যাওয়া কেন? উত্তর একটাই, এই যাত্রা জীবনের সঙ্গে ওতোপ্রোত ভাবে জড়িয়ে। তুমি কি জীবনের কষ্টকর, দুর্গম পথকে অতিক্রম করতে চাও? তুমি কি সত্যি সত্যি মানব কল্যাণ পছন্দ করো? তুমি কি সত্যি সত্যি সত্যকে উপলব্ধী করতে চাও মানবজাতির স্বার্থে? তাহলে তোমাকে কষ্ট করতে হবে। সুখ স্বচ্ছন্দ্য তোমার অধিকার, কিন্তু অন্যকে কষ্ট দিয়ে নয়। হত্যা করে নয়। হ্যাঁ বধ করতে হয়েছে প্রয়োজন হলে, তবে সেটা নিজের অন্তরে থাকা অসুর এবং রাক্ষসদের। কারণ কারও ছত্রছায়ায় থেকে যেমন জীবনের মূল্য বোঝা সম্ভব নয়। তেমন জীবনের যাত্রাটাও অনুভব করা সম্ভব নয়। তথাকথিক ধর্ম, জাতির ঊর্ধ্বে উঠতে পেরেছেন একাংশ মানুষ, তাই তারাও ভিন জাতির হয়েও উপাসনা করেন বড়ি নানির।
কী অবিশ্বাস্য লাগছে? বিশ্বাস করুন, এটাই সত্যি।
Collected from: http://travelweekbazar.com/hindu-muslim-pilgrim-784759/
ভারতে এমন বহু জায়গা রয়েছে যেখানে দেব দেবীর মাহাত্ম্য বহু শতাব্দী ধরে চলে আসছে। তার মধ্যে বেশ কিছু জায়গা দুর্গম হলেও জনপদ রয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন এবং সরকারের তরফে সাজানো হয়েছে, যাতে বেশি করে পর্যটকেরা আসেন। কিন্তু হিঙ্গোল মাতার মন্দির তার থেকে অনেকটাই আলাদা। আলাদা ঐশ্বর্যে বা বৈভবে নয়। তিনি স্বয়ং এবং তাঁর মহিমায়।
পাকিস্তান, বালুচিস্তান। আপামর বাঙালি মরুতীর্থ হিংলাজ ছবিটি দেখেননি, এমন ব্যক্তি খুঁজে পাওয়া যাবে না। কিন্তু এই হিঙ্গোলমাতা বা হিংলাজ মাতা সম্পর্কে কে কতটা জানেন?
করাচি থেকে প্রায় ৩২৮ কিলোমিটার পথ। মাকরান উপকূল রাজপথ ধরে গেলে ঘণ্টা চারেকের রাস্তা। রাস্তা ভালো হলেও, দুর্গম, চারপাশে শুধু শুকনো পাহাড় আর পাহাড়। জনশূন্য পথ। দিনের বেলাতেও গা ছমছমে ব্যপার থাকবেই।
একবার ভেবে দেখুন। একটা সময় এই পথটাই অতিক্রম করতে হত পায়ে হেঁটে।বালিয়াড়ি, মরুভূমি পথ। বেশ কয়েকটা দিন যেত পুণ্যর্থীদের যেতে। বহু মানুষ রাস্তাতেই মারা পড়তেন এ ছাড়া দস্যুদের হানাতো ছিলই। রাস্তার মধ্যে কেউ মারা গেলে তাঁকে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থাও করা যেত না। প্রিয়জনকে ছেড়ে যেতে হত ধু ধু মরুপ্রান্তরেই।
বর্তমানে সেই কষ্ট আর নেই, তবু চলার পথে অনুভব করা যায় কতটা কঠিন এ পথ। ভারতের ইতিহাস বলছে, নানা সময়ে বহু প্রচীন মন্দির নষ্ট হয়েছে মোগল, আফগানদের হাতে। কিন্তু এক এবং অদ্বিতীয় হিংলাজ মাতার মন্দিরকে স্পর্শ করার ক্ষমতা কারও হয়নি।
পুরাণ বলছে, এই মরুক্ষেত্রে সতীর ব্রহ্মরন্ধ্র পড়েছিল। তাই একান্ন পীঠের মধ্যে এটিই শ্রেষ্ঠ বলে ধরা হয়। সতীর যত পীঠ আছে তার মধ্যে সবচেয়ে দুর্গম পথ এটাই। এবং মানা হয় সেই কারণেই এখানকার পবিত্রতা এখনও অক্ষুণ্ণ।
এখানে দেবীর কোনও প্রথাগত মূর্তি নেই। পাহাড়ের গুহার মধ্যে অধিষ্ঠান করছেন দেবী। এই দেবীকে নিয়ে বেশ কিছু কিংবদন্তী রয়েছে। বলা হয় সর্বমনস্কামনাপূর্ণকারী দেবী। অর্থাৎ এই দেবীর কাছে যা চাওয়া হয় তাই মেলে।
এখানে একটা কথা বলা ভালো, সতীর পীট নিয়ে বেশ কিছু বিতর্ক রয়েছে। কারণ যত প্রাচীন সাহিত্য ঘাঁটা হয় তত দেবীর পীঠের সংখ্যা কমতে থাকে। কুলার্নভ তন্ত্রে সতীর ১৮টি পীঠের উল্লেখ রয়েছে, তার মধ্যে হিংলাজ মাতা তৃতীয় স্থানে। আবার কুব্জিকা তন্ত্রে ৪২টি পীঠের কথা রয়েছে, যেখানে হিংলাজ মাতা পঞ্চম স্থানে। তন্ত্রচূড়ামণিতে ৪৩টি পীঠের নাম আছে, পরে অবশ্য মোট ৫১টি পীঠের সংযোজন হয়।
হিংলাজ মাতা এখানে আরও বেশ কিছু নামে পরিচিত, যেমন কোট্টারি, কোট্টাভি, কোট্টারিশা, ভৈরবী, ভীমলোচনা। এই দেবীকে নিয়ে বেশ কিছু কিংবদন্তি রয়েছে। তার মধ্যে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ ব্রহ্মক্ষত্রিয়ের কাহিনী। একবার পরশুরাম ক্ষত্রিয় নিধনে সারা বিশ্ব ভ্রমণ করছেন। সেই সময় তিনি একবার আসেন এই মরুতে, তখন স্থানীয় ক্ষত্রিয়রা এই দেবীর শরণাপন্ন হন। দেবীই তখন ক্ষত্রিয়দের ব্রাহ্মণ রূপ দান করে পরশুরামের হাত থেকে বাঁচান। তাঁদের মধ্যে একজন ছিলেন জয়সেনা। যিনি সিন্ধ প্রদেশের রাজত্ব করেন। কথিত আছে ক্ষত্রিয়দের শুধু বাঁচানোই নয়, পরশুরামকে এই হত্যালীলা থেকে অস্ত্র ছাড়তে বাধ্য করেছিলেন স্বয়ং হিংলাজ মাতা। পরশুরামকে বলেছিলেন, প্রত্যেক মানব ব্রহ্মার সন্তান। আর ব্রহ্মত্ব আসে সুকর্মের মধ্যে দিয়ে। জাতি দাঙ্গায় ব্রহ্মত্ব প্রমাণ হয় না। পরশুরাম বুঝেছিলেন তিনি ব্রাহ্মণ সন্তান তাই তিনি ক্ষত্রিয় নিধনে নেমে আদপে ব্রহ্মহত্যাই করছেন। অগত্যা ক্ষত্রিয়হত্যা থেকে সরে আসেন তিনি।
সিন্ধ প্রদেশের প্রত্যন্ত দুর্গম অঞ্চলে দেবীর বাস, অথচ তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে দেখা যায় এই মন্দিরের রক্ষণাবেক্ষণ, পুজাচারে মুসলিমদের ভূমিকা অগ্রগণ্য। পাকিস্তানের মুসলিমরা এই দেবীকে বড়ি নানি বলে সম্বোধন করে। আর এই গুহা মন্দিরকে নানি কি হজ বলেন।
মন্দিরের কাছে আছে একটি কুণ্ড। এটিও বেশ রহস্যময়। কুণ্ডের মধ্যে অবিরাম কাদা মাটি ফুটতে থাকে। কিংবদন্তি রয়েছে, এই ফুটন্ত কুণ্ডের কাছে এসে অন্তর থেকে নিজের জ্ঞানত পাপের প্রায়শ্চিত্ত করলে পাপ স্খলন হয়। বৈজ্ঞানিকদের অবশ্য যুক্তি, ওই কুণ্ডের তলা থেকে কিছু রাসায়নিক গ্যাস নির্গত হয় বলেই এমন চিত্র ধরা পড়ে। স্থানীয়দের অবশ্য প্রশ্ন, এই কুণ্ড ছাড়া আশে পাশের কয়েকশো কিলোমিটার ব্যসে কেন এমন কুণ্ড দ্বিতীয় দেখা যায় না? মন্দিরের কাছেই কেন? আর এই কুণ্ডের মহিমা সেতো যুক্তি দিয়ে বিচার করা যায় না। কিছু শিক্ষা লাভ করা যায় অনুভূতি দিয়ে।
অনেকে বলেন, দেব দেবীতো সর্বত্র বিরাজ করছে, তাহলে এতো কষ্ট করে এতো দুর্গম পথ পেরিয়ে দেবীর দর্শন করতে যাওয়া কেন? উত্তর একটাই, এই যাত্রা জীবনের সঙ্গে ওতোপ্রোত ভাবে জড়িয়ে। তুমি কি জীবনের কষ্টকর, দুর্গম পথকে অতিক্রম করতে চাও? তুমি কি সত্যি সত্যি মানব কল্যাণ পছন্দ করো? তুমি কি সত্যি সত্যি সত্যকে উপলব্ধী করতে চাও মানবজাতির স্বার্থে? তাহলে তোমাকে কষ্ট করতে হবে। সুখ স্বচ্ছন্দ্য তোমার অধিকার, কিন্তু অন্যকে কষ্ট দিয়ে নয়। হত্যা করে নয়। হ্যাঁ বধ করতে হয়েছে প্রয়োজন হলে, তবে সেটা নিজের অন্তরে থাকা অসুর এবং রাক্ষসদের। কারণ কারও ছত্রছায়ায় থেকে যেমন জীবনের মূল্য বোঝা সম্ভব নয়। তেমন জীবনের যাত্রাটাও অনুভব করা সম্ভব নয়। তথাকথিক ধর্ম, জাতির ঊর্ধ্বে উঠতে পেরেছেন একাংশ মানুষ, তাই তারাও ভিন জাতির হয়েও উপাসনা করেন বড়ি নানির।
কী অবিশ্বাস্য লাগছে? বিশ্বাস করুন, এটাই সত্যি।
Collected from: http://travelweekbazar.com/hindu-muslim-pilgrim-784759/
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন