দধামা করপদ্মভ্যাম্ অক্ষমালা কমণ্ডলু।
দেবী প্রসিদেতু ময়ী ব্রক্ষচারিন্যেনুত্তমা।।
নবরাত্রি দ্বিতীয়দিন পূজিতা হন দেবী ব্রক্ষচারিনীর, তিনি জ্ঞানদাত্রী ব্রক্ষজ্ঞানসরূপিণী, নবদুর্গার দ্বিতীয় দুর্গা রূপে প্রকাশিতা এই দেবী। ব্রক্ষার দ্বারা প্রকাশিত চার বেদ ও জ্ঞান এই জন্মাতার দ্বারাই তিনি প্রাপ্ত হয়েছেন। দেবী দ্বিভুজা তাঁর দক্ষিন হস্তে অক্ষমালা অর্থাৎ রুদ্রাক্ষের মালা বাম হস্তে কমণ্ডলু ধারন করে আছেন, তিনি পদ্ম দারা সুসজ্জিতা।
দেবী ত্যাগ, বৈরাগ্য তথা জপ ও মহাসিদ্ধির প্রতীক। মায়ের কান্তি দিয়ে নির্গত হয় মহাবৈরাগ্যের তেজ... ব্রক্ষচারিণী হল দেবী পার্বতীর এক অন্যতম প্রকাশ, দেবী যখন পার্বতী রূপে অবতীর্ণা তখন মহাদেবকে পতি রূপে পাওয়ার জন্য কঠিন তপ্যায় রত হন গভীর সমাধিতে মগ্ন হন এবং তাঁর এই কষ্ট দেখে তাঁর মা উঃ মা ! বলে ওঠেন তাই তাঁর আরেক নাম উমা রূপে প্রসিদ্ধা হয়। দেবীর কঠোর তপে মহাদেব ও তথা সমগ্র বিশ্ব দেবাদিগন স্তম্ভিত হয়। মায়ের তপস্যার প্রভাবে ত্রিভুবন আড়োলিত হয় তাঁর তেজ জগত ব্যাপ্ত হয়। জগন্মাতা এই রূপটি ব্রক্ষচারিণী রূপে ত্রিভুবনে খ্যাত।
জগন্মাতা আদিশক্তির এই রূপটি বৈরাগ্যরূপিণী ইনি সন্তুষ্ট হলে সমস্ত মোহ পাপ লোভ হিংসা ইত্যাদি আসুরিক প্রবৃত্তি থেকে আমাদের মুক্ত করেন মনকে বৈরাগ্য প্রদান করেন আমরা সঠিক পথে জীবনে চালিত হই। মায়ের এই রূপটি আমাদের জগতশিক্ষার জন্য পরিব্যাপ্ত তিনি স্বয়ং আদিশক্তি তিনি চাইলে কোন তপস্যা ছারাই দেবাদিদেবকে পতিরূপে বরন করতে পারতেন কিন্তু তবুও তিনি কঠোর তপের মাধ্যমেই শিবকে তুষ্ট করেছিলেন।তিনি জগত সংসার কে দেখিয়ে দিয়েছেন জীবনে কোন কিছু সহজে লভ্য হয় না তার জন্য চাই কঠিন পরিশ্রম ও লক্ষ পূরণের জন্য অসীম ধৈর্য। লক্ষ্য পূরণের জন্য চাই বাসনা ত্যাগ করে ধৈর্যের সাথে কঠোর পরিশ্রম তবেই কোন ব্যক্তি তাঁর জীবনের লক্ষ্য পূরণ করতে সক্ষম হবেন। মায়ের এই রূপ সেই ধৈর্য ,ত্যাগ ও পরিশ্রমের প্রতীক।
ব্রক্ষচারিনীর পূজা শুক্ল পক্ষের দ্বিতীয়া তিথিতে হয় , বিশুদ্ধ কাঠের আসনে মায়ের স্থাপনা করতে হয়। মাকে রক্ত জবা রক্ত চন্দন ও নানারকম গন্ধ পুস্প দিয়ে অর্চনা করে বিভিন্ন রকমের মিষ্টি মাকে নৈবিদ্য রূপে নিবেদন করতে হয়...
দেবীর আশীর্বাদে সংসারে ও জীবনে শান্তি আসে। জীবনে জ্ঞান বিদ্যার প্রকাশ ঘটে উন্নতি হয়।
ওঁ সিদ্ধি বুদ্ধি প্রদে দেবী ত্যাগ বৈরাগ্য দায়িনী
ব্রক্ষচারিনী মাতা ত্বং নমাম্ আত্মা বিভুতয়ে...।।
Written by: Joy Ghoshal
দেবী প্রসিদেতু ময়ী ব্রক্ষচারিন্যেনুত্তমা।।
নবরাত্রি দ্বিতীয়দিন পূজিতা হন দেবী ব্রক্ষচারিনীর, তিনি জ্ঞানদাত্রী ব্রক্ষজ্ঞানসরূপিণী, নবদুর্গার দ্বিতীয় দুর্গা রূপে প্রকাশিতা এই দেবী। ব্রক্ষার দ্বারা প্রকাশিত চার বেদ ও জ্ঞান এই জন্মাতার দ্বারাই তিনি প্রাপ্ত হয়েছেন। দেবী দ্বিভুজা তাঁর দক্ষিন হস্তে অক্ষমালা অর্থাৎ রুদ্রাক্ষের মালা বাম হস্তে কমণ্ডলু ধারন করে আছেন, তিনি পদ্ম দারা সুসজ্জিতা।
দেবী ত্যাগ, বৈরাগ্য তথা জপ ও মহাসিদ্ধির প্রতীক। মায়ের কান্তি দিয়ে নির্গত হয় মহাবৈরাগ্যের তেজ... ব্রক্ষচারিণী হল দেবী পার্বতীর এক অন্যতম প্রকাশ, দেবী যখন পার্বতী রূপে অবতীর্ণা তখন মহাদেবকে পতি রূপে পাওয়ার জন্য কঠিন তপ্যায় রত হন গভীর সমাধিতে মগ্ন হন এবং তাঁর এই কষ্ট দেখে তাঁর মা উঃ মা ! বলে ওঠেন তাই তাঁর আরেক নাম উমা রূপে প্রসিদ্ধা হয়। দেবীর কঠোর তপে মহাদেব ও তথা সমগ্র বিশ্ব দেবাদিগন স্তম্ভিত হয়। মায়ের তপস্যার প্রভাবে ত্রিভুবন আড়োলিত হয় তাঁর তেজ জগত ব্যাপ্ত হয়। জগন্মাতা এই রূপটি ব্রক্ষচারিণী রূপে ত্রিভুবনে খ্যাত।
জগন্মাতা আদিশক্তির এই রূপটি বৈরাগ্যরূপিণী ইনি সন্তুষ্ট হলে সমস্ত মোহ পাপ লোভ হিংসা ইত্যাদি আসুরিক প্রবৃত্তি থেকে আমাদের মুক্ত করেন মনকে বৈরাগ্য প্রদান করেন আমরা সঠিক পথে জীবনে চালিত হই। মায়ের এই রূপটি আমাদের জগতশিক্ষার জন্য পরিব্যাপ্ত তিনি স্বয়ং আদিশক্তি তিনি চাইলে কোন তপস্যা ছারাই দেবাদিদেবকে পতিরূপে বরন করতে পারতেন কিন্তু তবুও তিনি কঠোর তপের মাধ্যমেই শিবকে তুষ্ট করেছিলেন।তিনি জগত সংসার কে দেখিয়ে দিয়েছেন জীবনে কোন কিছু সহজে লভ্য হয় না তার জন্য চাই কঠিন পরিশ্রম ও লক্ষ পূরণের জন্য অসীম ধৈর্য। লক্ষ্য পূরণের জন্য চাই বাসনা ত্যাগ করে ধৈর্যের সাথে কঠোর পরিশ্রম তবেই কোন ব্যক্তি তাঁর জীবনের লক্ষ্য পূরণ করতে সক্ষম হবেন। মায়ের এই রূপ সেই ধৈর্য ,ত্যাগ ও পরিশ্রমের প্রতীক।
ব্রক্ষচারিনীর পূজা শুক্ল পক্ষের দ্বিতীয়া তিথিতে হয় , বিশুদ্ধ কাঠের আসনে মায়ের স্থাপনা করতে হয়। মাকে রক্ত জবা রক্ত চন্দন ও নানারকম গন্ধ পুস্প দিয়ে অর্চনা করে বিভিন্ন রকমের মিষ্টি মাকে নৈবিদ্য রূপে নিবেদন করতে হয়...
দেবীর আশীর্বাদে সংসারে ও জীবনে শান্তি আসে। জীবনে জ্ঞান বিদ্যার প্রকাশ ঘটে উন্নতি হয়।
ওঁ সিদ্ধি বুদ্ধি প্রদে দেবী ত্যাগ বৈরাগ্য দায়িনী
ব্রক্ষচারিনী মাতা ত্বং নমাম্ আত্মা বিভুতয়ে...।।
Written by: Joy Ghoshal
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন