আদ্যাশক্তি পরমা প্রকৃতি দেবী দুর্গা তাঁর
অসংখ্য সহস্রকোটি রূপ, সেই রূপের মধ্যে কিছু রূপ প্রকট ও কিছু প্রচ্ছন্ন,
আমরা সবাই দেবী দশমহাবিদ্যার কথা জানি মায়ের দশটি রূপ। আজ জানব দেবীর নব
দুর্গার রূপের আখ্যান , নব দুর্গা, দুর্গার নয় অংশ বা রূপ প্রতিটি
রূপের একএকটি মাহাত্ম্য আছে। মা দুর্গা এই নব দুর্গা রূপ সৃষ্টি করেছিলেন
সৃষ্টির রক্ষা তথা পালনের ও মঙ্গলের জন্য। শাস্ত্রে আছে মা দুর্গার এই নয়
রূপের পুজা যারা ন'দিন ধরে পালন করে পূজা করেন অর্থাৎ নবদুর্গা ব্রত পালন
করেন তারা সর্বদিক দিয়ে জয়ী হন সর্ব রোগ শোক বাঁধা অপসারিত হয় , এমনকি
নবগ্রহের কু প্রভাব পীড়নের হাত থেকেও রক্ষা পাওয়া যায়। নবগ্রহকে এই দেবীরাই
নিয়ন্ত্রন করেন।
শরৎকালে যেমন দুর্গা পুজার সাথে সাথে নব দুর্গার পূজার্চনা করা হয় তেমন এই বসন্তকালেও বাসন্তী পুজার সাথে নয়দিন ধরে চলে নবদুর্গার পূজা। শুক্লপক্ষের প্রতিপদ থেকে নবমী পর্যন্ত এই পূজার নিয়ম। প্রতি দিন এক এক দুর্গার পূজা। প্রথম দিন শৈল্যপুত্রি পূজা দিয়ে আরম্ভ হয় সমাপ্তি ঘটে সিদ্ধিদাত্রির পূজা দিয়ে।
প্রথমম্ শৈল্যপুত্রিতি দ্বিতিয়ম্ ব্রক্ষচারিণী তৃতীয়ম্ চন্দ্রঘণ্টেতি কুষ্মাণ্ডেতি চতুরথাকম্ পঞ্চমম্ স্কন্দমাতেতি ষষ্ঠমাম্ কাত্যায়নী তথা সপ্তমম্ কালরাত্রিতি মহাগৌরী চিতাষ্টমাম্ নবমাম সিদ্ধিদ্ধাত্রিতি নবদুর্গা প্রকীর্তিতা।।
অর্থাৎ প্রথম রূপ বা অংশ হলেন শৈল্যপুত্রি দ্বিতীয় হলেন ব্রক্ষচারিনী তৃতীয় চন্দ্রঘণ্টা ও কুষ্মাণ্ডা হলেন চতুর্থ , পঞ্চম জন হলেন স্কন্দমাতা ষষ্ঠ হলেন কাত্যায়নী তথা সপ্তমজন কালরাত্রি মহাগৌরী অষ্টম ও সর্বশেষ নবম অংশ সিদ্ধিদাত্রী ।। এই ভাবে নব দুর্গার কীর্তন সম্পূর্ণ হয়।
আজ প্রথম দুর্গা শৈল্যপুত্রির কথা বলব।।
ওঁ বন্দেবঞ্চিত লাভায়্ চন্দ্রারধকৃতশেখরাম্।
বৃষরূঢ়াম শূলধরানাম্ শৈল্যপুত্রিম যশস্বিনীম্।।
যার মাথায় অর্ধচন্দ্র শোভা পায় বৃষের ওপর আরোহন করে তিনি দক্ষিন হস্তে ত্রিশূল ও বাম হস্তে পদ্ম ধারন করে দেবী ভক্তদের অভয় প্রদান করছেন সমস্ত বিপদ মারন থেকে রক্ষা করেন তিনি শৈল্যপুত্রি।
দক্ষালয়ে মা সতী শিবের নিন্দা শুনে দেহ ত্যাগ করলেন, মহাদেব দেবীকে নিয়ে তাণ্ডব করতে লাগলেন সেই তাণ্ডব নিবারনের জন্য নারায়ণ সুদর্শনচক্র দিয়ে দেবীর দেহ খণ্ডিত করলেন ও মহাদেব শান্ত হয়ে গিরি শিখরে গিয়ে মহাসমাধিতে মগ্ন হলেন। এদিকে দৈত্যরাজ তারকাসুরের অত্যাচারে দেবগন অসহায় হয়ে পড়লেন ও সবাই একত্রিত হয়ে মা ভগবতীর শরণাপন্ন হলেন। মা দেবতাদের পার্থনায় তুষ্ট হলেন ও অভয় দিয়ে বলেন তিনি পুনরায় গিরিরাজ হিমালয়ের ঘরে জন্মগ্রহন করবেন ও দেবাদিদেব শঙ্করকে পতি রূপে বরন করে তাদের বিপদ হতে উদ্ধার করবেন।
পরবর্তী কালে জগতজননী মহামায়া গিরিরাজ হিমালয় এবং তাঁর স্ত্রী মেনকা দেবীর তপস্যায় সন্তুষ্টা হন ও তাদের ঘরে কন্যা রূপে অবতীর্ণা হন।। এই হিমালয় অর্থাৎ শৈল শিখরে জন্ম গ্রহন করেন বলেন তিনি শৈল্যপুত্রি নামে খ্যাত হন। অর্থাৎ মা পার্বতী নবদুর্গার প্রথম বিদ্যা শৈল্যপুত্রি রূপে প্রকাশিত হন।
শুক্লপক্ষের প্রতিপদে মায়ের পূজা হয়। বেলপত্র জবা ও বিভিন্ন উপাচারে মায়ের পূজা করতে হয় মায়ের পায়ে অর্পণ করতে হয় , মিষ্টান্ন ফল নৈবিদ্য মাকে অর্পণ করতে হয়। মা সন্তুষ্টা হলে সমস্ত বিপদ ভয় থেকে সর্বদা রক্ষা করেন।
Written by : joy ghoshal
শরৎকালে যেমন দুর্গা পুজার সাথে সাথে নব দুর্গার পূজার্চনা করা হয় তেমন এই বসন্তকালেও বাসন্তী পুজার সাথে নয়দিন ধরে চলে নবদুর্গার পূজা। শুক্লপক্ষের প্রতিপদ থেকে নবমী পর্যন্ত এই পূজার নিয়ম। প্রতি দিন এক এক দুর্গার পূজা। প্রথম দিন শৈল্যপুত্রি পূজা দিয়ে আরম্ভ হয় সমাপ্তি ঘটে সিদ্ধিদাত্রির পূজা দিয়ে।
প্রথমম্ শৈল্যপুত্রিতি দ্বিতিয়ম্ ব্রক্ষচারিণী তৃতীয়ম্ চন্দ্রঘণ্টেতি কুষ্মাণ্ডেতি চতুরথাকম্ পঞ্চমম্ স্কন্দমাতেতি ষষ্ঠমাম্ কাত্যায়নী তথা সপ্তমম্ কালরাত্রিতি মহাগৌরী চিতাষ্টমাম্ নবমাম সিদ্ধিদ্ধাত্রিতি নবদুর্গা প্রকীর্তিতা।।
অর্থাৎ প্রথম রূপ বা অংশ হলেন শৈল্যপুত্রি দ্বিতীয় হলেন ব্রক্ষচারিনী তৃতীয় চন্দ্রঘণ্টা ও কুষ্মাণ্ডা হলেন চতুর্থ , পঞ্চম জন হলেন স্কন্দমাতা ষষ্ঠ হলেন কাত্যায়নী তথা সপ্তমজন কালরাত্রি মহাগৌরী অষ্টম ও সর্বশেষ নবম অংশ সিদ্ধিদাত্রী ।। এই ভাবে নব দুর্গার কীর্তন সম্পূর্ণ হয়।
আজ প্রথম দুর্গা শৈল্যপুত্রির কথা বলব।।
ওঁ বন্দেবঞ্চিত লাভায়্ চন্দ্রারধকৃতশেখরাম্।
বৃষরূঢ়াম শূলধরানাম্ শৈল্যপুত্রিম যশস্বিনীম্।।
যার মাথায় অর্ধচন্দ্র শোভা পায় বৃষের ওপর আরোহন করে তিনি দক্ষিন হস্তে ত্রিশূল ও বাম হস্তে পদ্ম ধারন করে দেবী ভক্তদের অভয় প্রদান করছেন সমস্ত বিপদ মারন থেকে রক্ষা করেন তিনি শৈল্যপুত্রি।
দক্ষালয়ে মা সতী শিবের নিন্দা শুনে দেহ ত্যাগ করলেন, মহাদেব দেবীকে নিয়ে তাণ্ডব করতে লাগলেন সেই তাণ্ডব নিবারনের জন্য নারায়ণ সুদর্শনচক্র দিয়ে দেবীর দেহ খণ্ডিত করলেন ও মহাদেব শান্ত হয়ে গিরি শিখরে গিয়ে মহাসমাধিতে মগ্ন হলেন। এদিকে দৈত্যরাজ তারকাসুরের অত্যাচারে দেবগন অসহায় হয়ে পড়লেন ও সবাই একত্রিত হয়ে মা ভগবতীর শরণাপন্ন হলেন। মা দেবতাদের পার্থনায় তুষ্ট হলেন ও অভয় দিয়ে বলেন তিনি পুনরায় গিরিরাজ হিমালয়ের ঘরে জন্মগ্রহন করবেন ও দেবাদিদেব শঙ্করকে পতি রূপে বরন করে তাদের বিপদ হতে উদ্ধার করবেন।
পরবর্তী কালে জগতজননী মহামায়া গিরিরাজ হিমালয় এবং তাঁর স্ত্রী মেনকা দেবীর তপস্যায় সন্তুষ্টা হন ও তাদের ঘরে কন্যা রূপে অবতীর্ণা হন।। এই হিমালয় অর্থাৎ শৈল শিখরে জন্ম গ্রহন করেন বলেন তিনি শৈল্যপুত্রি নামে খ্যাত হন। অর্থাৎ মা পার্বতী নবদুর্গার প্রথম বিদ্যা শৈল্যপুত্রি রূপে প্রকাশিত হন।
শুক্লপক্ষের প্রতিপদে মায়ের পূজা হয়। বেলপত্র জবা ও বিভিন্ন উপাচারে মায়ের পূজা করতে হয় মায়ের পায়ে অর্পণ করতে হয় , মিষ্টান্ন ফল নৈবিদ্য মাকে অর্পণ করতে হয়। মা সন্তুষ্টা হলে সমস্ত বিপদ ভয় থেকে সর্বদা রক্ষা করেন।
Written by : joy ghoshal
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন