যেসব মনীষীর সাধনা ও সৎ উপদেশের ফলে সনাতন ধর্ম তথা সনাতন সংস্কৃতি মহিমান্বিত হয়েছে পরম পুরুষ শ্রী শ্রী লোকনাথ ব্রহ্মচারী তাদের মধ্য অন্যতম। অলোকিক ঘটনার শক্তি ও বিভূতিতে দীর্ঘ ১৬০ বছর বিমোহিত করেছেন এই মহাপুরুষ। বাবা লোকনাথ আমাদের মাঝে যে ধর্ম প্রচার করেছেন, সেটা হল এক প্রকার জীবন বা অভিজ্ঞতা, যা তিনি সাধনার প্রতিটি স্তরে উপলব্দি করেছেন। সাধনায় সিদ্ধ এই মহাপুরুষ অর্জিত অনেক অসাধারণ ক্ষমতা লোক কল্যাণে প্রয়োগ করছেন। তাই তিনি হয়েছেন লোকের নাথ, লোকনাথ। তাঁর বিশ্বাস হল আত্মাকে দেখা, আত্মাকে ব্রহ্মজ্ঞানে উপলব্দি করা।
আজ ১৯ জ্যৈষ্ঠ, ১৪২১ বাংলা। সনাতন ধর্মের এই পরম পুরুষ শ্রীশ্রীলোকনাথ ব্রহ্মচারী ১২৪তম তিরোধান দিবস।
বাবা লোকনাথ বাংলা ১১৩৭ সালের বর্তমান পশ্চিমবঙ্গের বারাসাতের কচুয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পিতার নাম রামনারায়ণ ও মাতার নাম কমলা দেবী। নিজের কুল উদ্ধারের জন্য রামনারায়ণ মশাই তাঁর কনিষ্ঠ পুত্র লোকনাথকে তুলে দিলেন গুরু ভগবান গাঙ্গুলির হাতে যেন লোকনাথ গার্হস্থ্য জীবনের ভোগের পথ ত্যাগ করে, পরম করুনাময় ঈশ্বরের সাধনায় সিদ্ধি লাভ করতে পারে। আর, এই কারনেই রামনারায়ণ ও কমলা দেবীর কাছে আমরা চিরঋণী, যাদের পুত্র ত্যাগের ফলে শুধু কুল উদ্ধার রক্ষা হয়নি, রক্ষা হয়েছে সনাতন ধর্ম তথা প্রতিটি মানব জীবনের।
৯০ বছর বয়সে সিদ্ধি লাভের পর নানা স্থান পরিভ্রমণ শেষে বাবা লোকনাথ জীব উদ্ধারের জন্য পা রাখেন বারদীর মাটিতে। বারদীর ক্ষুদ্র আশ্রমে যে বৃহত্তম লীলা তিনি প্রকাশ করেছেন তার তুলনা বিরল। তাঁর বানী সংসারক্লিষ্ট মানুষের মধ্য আজও শান্তির প্রলেপ দিয়ে যায়।
লোকনাথ ব্রহ্মচারীর চিন্তায় ও দর্শনে জ্ঞানযোগ, ভক্তিযোগ ও কর্মযোগের সমন্বয় ছিল। তিনি প্রকৃত অর্থেই গীতার প্রতীক। গীতার ভাব ও গীতার আদর্শকে তিনি অনুশীলনের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “গীতা শুধু মাত্র একটি পাঠ্যপুস্তক নয়, যে তুই নিয়মিত পাঠ করবি, কন্ঠস্থ করবি সব সংস্কৃতি শ্লোক, গীতা হবার সাধনা কর।” যে যে পথ অনুসরন করতে চায়, তিনি গুরুরুপে তাকে সেই পথেই পরিচালিত করেছেন। তাঁর চিন্তায় সর্বধর্ম সমন্বয়ের প্রভাব লক্ষ করা যায়। সাংখ্য ও ন্যায় দর্শনের বস্তুবাদী ও যুক্তিবাদী দৃষ্টিভঙ্গি তাঁর উপদেশে প্রাধান্য পেয়েছে।
বারদিতে অবস্থান কালে যেমন কেউ শূনো হাতে ফেরেনি, আজও শরণাগত অভীষ্ট ফল লাভে বিফল হয় না। আজ বাবার এই তিরোধান তিথিতে আমাদের প্রার্থনা “তিনি যেন আমাদের সত্য ও সুন্দরের পথে পরিচালিত করেন। তাঁর প্রতিটি উপদেশ যেন আমরা আমাদের জীবনে সঠিক ভাবে পালন করতে পারি। ”
"ওঁ নমস্তে আর্তত্রাণায় সর্বসিদ্ধি প্রদায়িণে|
নমস্তে লোকনাথায় ব্রহ্মত্মনে নমো নমঃ|"
জয় বাবা লোকনাথ, জয় মা লোকনাথ, জয় শিব লোকনাথ, জয় ব্রহ্ম লোকনাথ।।
[ছবি কৃতজ্ঞতাঃ এ বছর লোকনাথ ব্রহ্মচারী বাবার তিরোধান দিবস উপলক্ষে “টরন্টো, কানাডা”র বাবা লোকনাথ আশ্রম কর্তৃক প্রকাশিত স্মরণিকার প্রচ্ছদ থেকে নেওয়া।]
Written by: Joy roy
আজ ১৯ জ্যৈষ্ঠ, ১৪২১ বাংলা। সনাতন ধর্মের এই পরম পুরুষ শ্রীশ্রীলোকনাথ ব্রহ্মচারী ১২৪তম তিরোধান দিবস।
বাবা লোকনাথ বাংলা ১১৩৭ সালের বর্তমান পশ্চিমবঙ্গের বারাসাতের কচুয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পিতার নাম রামনারায়ণ ও মাতার নাম কমলা দেবী। নিজের কুল উদ্ধারের জন্য রামনারায়ণ মশাই তাঁর কনিষ্ঠ পুত্র লোকনাথকে তুলে দিলেন গুরু ভগবান গাঙ্গুলির হাতে যেন লোকনাথ গার্হস্থ্য জীবনের ভোগের পথ ত্যাগ করে, পরম করুনাময় ঈশ্বরের সাধনায় সিদ্ধি লাভ করতে পারে। আর, এই কারনেই রামনারায়ণ ও কমলা দেবীর কাছে আমরা চিরঋণী, যাদের পুত্র ত্যাগের ফলে শুধু কুল উদ্ধার রক্ষা হয়নি, রক্ষা হয়েছে সনাতন ধর্ম তথা প্রতিটি মানব জীবনের।
৯০ বছর বয়সে সিদ্ধি লাভের পর নানা স্থান পরিভ্রমণ শেষে বাবা লোকনাথ জীব উদ্ধারের জন্য পা রাখেন বারদীর মাটিতে। বারদীর ক্ষুদ্র আশ্রমে যে বৃহত্তম লীলা তিনি প্রকাশ করেছেন তার তুলনা বিরল। তাঁর বানী সংসারক্লিষ্ট মানুষের মধ্য আজও শান্তির প্রলেপ দিয়ে যায়।
লোকনাথ ব্রহ্মচারীর চিন্তায় ও দর্শনে জ্ঞানযোগ, ভক্তিযোগ ও কর্মযোগের সমন্বয় ছিল। তিনি প্রকৃত অর্থেই গীতার প্রতীক। গীতার ভাব ও গীতার আদর্শকে তিনি অনুশীলনের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “গীতা শুধু মাত্র একটি পাঠ্যপুস্তক নয়, যে তুই নিয়মিত পাঠ করবি, কন্ঠস্থ করবি সব সংস্কৃতি শ্লোক, গীতা হবার সাধনা কর।” যে যে পথ অনুসরন করতে চায়, তিনি গুরুরুপে তাকে সেই পথেই পরিচালিত করেছেন। তাঁর চিন্তায় সর্বধর্ম সমন্বয়ের প্রভাব লক্ষ করা যায়। সাংখ্য ও ন্যায় দর্শনের বস্তুবাদী ও যুক্তিবাদী দৃষ্টিভঙ্গি তাঁর উপদেশে প্রাধান্য পেয়েছে।
বারদিতে অবস্থান কালে যেমন কেউ শূনো হাতে ফেরেনি, আজও শরণাগত অভীষ্ট ফল লাভে বিফল হয় না। আজ বাবার এই তিরোধান তিথিতে আমাদের প্রার্থনা “তিনি যেন আমাদের সত্য ও সুন্দরের পথে পরিচালিত করেন। তাঁর প্রতিটি উপদেশ যেন আমরা আমাদের জীবনে সঠিক ভাবে পালন করতে পারি। ”
"ওঁ নমস্তে আর্তত্রাণায় সর্বসিদ্ধি প্রদায়িণে|
নমস্তে লোকনাথায় ব্রহ্মত্মনে নমো নমঃ|"
জয় বাবা লোকনাথ, জয় মা লোকনাথ, জয় শিব লোকনাথ, জয় ব্রহ্ম লোকনাথ।।
[ছবি কৃতজ্ঞতাঃ এ বছর লোকনাথ ব্রহ্মচারী বাবার তিরোধান দিবস উপলক্ষে “টরন্টো, কানাডা”র বাবা লোকনাথ আশ্রম কর্তৃক প্রকাশিত স্মরণিকার প্রচ্ছদ থেকে নেওয়া।]
Written by: Joy roy
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন