১২৮০ সালের ১৩ই জৈষ্ঠ্য ফলহারিনী কালী- পূজার
দিন ঠাকুর শ্রীশ্রীমাকে সাক্ষাৎ ষোড়শী জ্ঞানে পূজা করেন। যেভাবে সমাধিস্থ
হইয়া মা সেই মহাপূজা গ্রহণ করিয়াছিলেন তাহা হইতেই তিনি যে কত বড় মহাশক্তির
আধার কিছুটা অনুমান করা যাইতে পারে। ঘটনা এইরূপঃ
ঠাকুর অন্তরের এক অপূর্ব প্রেরনায় চালিত হইয়া নিজের ঘরে জগন্মাতার বিশেষ পূজা করিতে মনস্থ করিলেন । ভাগিনেয় হৃদয় ও দীনু পূজারীর সাহায্যে দেবীর রহস্যপূজার সর্বাঙ্গসুন্দর আয়োজন করিতে করিতে রাত্রি নয়টা বাজিয়া গেল। শ্রীশ্রীমাকে পূজাকালে উপস্থিত থাকিতে ঠাকুর পূর্বেই বলিয়া রাখিয়াছিলেন। এই সময় তিনি আসিয়া উপস্থিত হইলেন ও ঠাকুর পূজায় বসিলেন ।
পূজার পূর্বকৃত্যসকল দর্শন করিতে করিতে মা অর্ধবাহ্যদশা প্রাপ্ত হইলেন; এবং ঠাকুরের ইঙ্গিতে , পূর্বমুখে উপবিষ্ট পূজকের দক্ষিণভাগে আলিম্পনভূষিত পীঠে উত্তরাস্য হইয়া উপবেশন করিলেন । সম্মুখস্থ কলসের মন্ত্রপূত বারি দ্বারা ঠাকুর বারংবার শ্রীশ্রীমাকে যথাবিধানে অভিষিক্তা করিলেন। অনন্তর মন্ত্র শ্রবন করাইয়া তিনি এখন প্রার্থনামন্ত্র উচ্চারণ করিলেন,-“হে বালে, হে সর্বশক্তির অধীশ্বরী মাতঃ ত্রিপুরাসুন্দরী, সিদ্ধিদ্বার উন্মুক্ত কর; ইঁহার( শ্রীমায়ের) শরীর মনকে পবিত্র করিয়া ইহাতে আবির্ভূত হইয়া সর্বকল্যাণ সাধন কর!”
অতঃপর শ্রী শ্রীমার অঙ্গে মন্ত্রসকলের যথাবিধানে ন্যাস পূর্বক ঠাকুর সাক্ষাৎ দেবীজ্ঞানে তাঁহাকে পূজা করিলেন এবং ভোগ নিবেদন করিয়া নিবেদিত বস্তুসকলের কিয়দংশ স্বহস্তে তাঁহার মুখে প্রদান করিলেন। বাহ্যজ্ঞান তিরোহিত হইয়া শ্রীশ্রীমা সমাধিস্থা হইলেন। ঠাকুরও অর্ধবাহ্যদশায় মন্ত্রোচ্চারণ করিতে করিতে সম্পূর্ণ সমাধিমগ্ন হইলেন। সমাধিস্থ পূজক সমাধিস্থা দেবীর সহিত আত্মস্বরূপে পূর্ণভাবে মিলিত ও একীভূত হইলেন।
পূর্বপূর্ব সাধনকালে ব্যবহৃত বস্ত্র, আভরণ ও রুদ্রাক্ষের মালাদি সমূদয় দ্রব্য, সেই সকল সাধনার ফল এবং নিজেকে দেবী পাদপদ্মে সমর্পণ করিলেন ।
( শ্রীশ্রী সারদাদেবী... ব্রহ্মচারী অক্ষয়চৈতন্য )
collected from : Hindu dev devis
ঠাকুর অন্তরের এক অপূর্ব প্রেরনায় চালিত হইয়া নিজের ঘরে জগন্মাতার বিশেষ পূজা করিতে মনস্থ করিলেন । ভাগিনেয় হৃদয় ও দীনু পূজারীর সাহায্যে দেবীর রহস্যপূজার সর্বাঙ্গসুন্দর আয়োজন করিতে করিতে রাত্রি নয়টা বাজিয়া গেল। শ্রীশ্রীমাকে পূজাকালে উপস্থিত থাকিতে ঠাকুর পূর্বেই বলিয়া রাখিয়াছিলেন। এই সময় তিনি আসিয়া উপস্থিত হইলেন ও ঠাকুর পূজায় বসিলেন ।
পূজার পূর্বকৃত্যসকল দর্শন করিতে করিতে মা অর্ধবাহ্যদশা প্রাপ্ত হইলেন; এবং ঠাকুরের ইঙ্গিতে , পূর্বমুখে উপবিষ্ট পূজকের দক্ষিণভাগে আলিম্পনভূষিত পীঠে উত্তরাস্য হইয়া উপবেশন করিলেন । সম্মুখস্থ কলসের মন্ত্রপূত বারি দ্বারা ঠাকুর বারংবার শ্রীশ্রীমাকে যথাবিধানে অভিষিক্তা করিলেন। অনন্তর মন্ত্র শ্রবন করাইয়া তিনি এখন প্রার্থনামন্ত্র উচ্চারণ করিলেন,-“হে বালে, হে সর্বশক্তির অধীশ্বরী মাতঃ ত্রিপুরাসুন্দরী, সিদ্ধিদ্বার উন্মুক্ত কর; ইঁহার( শ্রীমায়ের) শরীর মনকে পবিত্র করিয়া ইহাতে আবির্ভূত হইয়া সর্বকল্যাণ সাধন কর!”
অতঃপর শ্রী শ্রীমার অঙ্গে মন্ত্রসকলের যথাবিধানে ন্যাস পূর্বক ঠাকুর সাক্ষাৎ দেবীজ্ঞানে তাঁহাকে পূজা করিলেন এবং ভোগ নিবেদন করিয়া নিবেদিত বস্তুসকলের কিয়দংশ স্বহস্তে তাঁহার মুখে প্রদান করিলেন। বাহ্যজ্ঞান তিরোহিত হইয়া শ্রীশ্রীমা সমাধিস্থা হইলেন। ঠাকুরও অর্ধবাহ্যদশায় মন্ত্রোচ্চারণ করিতে করিতে সম্পূর্ণ সমাধিমগ্ন হইলেন। সমাধিস্থ পূজক সমাধিস্থা দেবীর সহিত আত্মস্বরূপে পূর্ণভাবে মিলিত ও একীভূত হইলেন।
পূর্বপূর্ব সাধনকালে ব্যবহৃত বস্ত্র, আভরণ ও রুদ্রাক্ষের মালাদি সমূদয় দ্রব্য, সেই সকল সাধনার ফল এবং নিজেকে দেবী পাদপদ্মে সমর্পণ করিলেন ।
( শ্রীশ্রী সারদাদেবী... ব্রহ্মচারী অক্ষয়চৈতন্য )
collected from : Hindu dev devis
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন