দক্ষযজ্ঞে ভগবান শিবকে নিমন্ত্রণ জানানো হয় নি। শিবহীন যজ্ঞ ছিলো অসম্পূর্ণ ও অশাস্ত্রীয় । যা অশাস্ত্রীয় তাই আসুরিক প্রবৃত্তি । এই আসুরিক প্রবৃত্তিকে বিনাশের জন্যই দেবী সেখানে গিয়েছিলেন। স্বামী নিন্দা সহ্য করতে না পেরে দেহ ত্যাগ করেন । এরপর ভগবান শিবের অনুচর গণ সেই যজ্ঞ ধ্বংস করেন। বীরভদ্র এসে দক্ষের মুণ্ড চ্ছেদন করে। সেই দেবী হলেন "দক্ষযজ্ঞবিনাশিনী" স্বরূপা । তাই দেবীর মন্ত্রে "দক্ষযজ্ঞবিনাশন্যৈই" উচ্চারন করা হয় । আবার সেই দেবী রাবণের কাল হয়ে লঙ্কায় পদার্পণ করেছিলেন । মা সীতা দেবী ছিলেন সাক্ষাৎ মহালক্ষ্মী । তারপর ভগবান রাম ও বানর সেনা লঙ্কার বিনাশ করেন। মা নিজেই রাবণের কাল হয়ে লঙ্কায় গেছিলেন। রাবন দ্বারা চুরি মায়ের ইচ্ছাতেই সম্ভব। নচেৎ ভগবতীকে অপহরণ করার শক্তি ত্রিলোকের কারোর নেই । চণ্ডমুণ্ড নামক দুই দানবের বধ করতে তিনি চামুণ্ডা রূপে বিক্রাল মূর্তি ধরে দানব সেনাদের ছিন্নভিন্ন করে ভক্ষণ করেন। অন্তিমে চণ্ডমুণ্ডর মুণ্ডচ্ছেদন করেন । সেই মহাশক্তি কৌষিকী রূপে শুম্ভ নিশুম্ভ নামক দুই অসুরের বিনাশ করেন । আবার দেখা যায় সৃষ্টির পূর্ব লগ্নে মধু ও কৈটভ দ্বারা প্রজাপতি ব্রহ্মা আক্রান্ত হয়ে ভগবতীর স্তব করলে এই মহাশক্তি বিষ্ণুমায়া রূপে প্রকট হয়ে মধু ও কৈটভ কে মায়া দ্বারা বিমোহিত করে ফেলেন। এরপর ভগবান বিষ্ণু দুই দানব মধু ও কৈটভ কে বধ করেন। এখানে মধু কৈটভ ধ্বংসের মূল কারন ছিলেন আদিশক্তি। সেই আদিশক্তি যুগে যুগে অবতীর্ণা হন।
২৬ ডিসেম্বর ২০১৪
Home »
পৌরানিক কাহিনী
» দখযজ্ঞ বিনাশের কারন হয়েছিলেন স্বয়ং মহামায়া
দখযজ্ঞ বিনাশের কারন হয়েছিলেন স্বয়ং মহামায়া
দক্ষযজ্ঞে ভগবান শিবকে নিমন্ত্রণ জানানো হয় নি। শিবহীন যজ্ঞ ছিলো অসম্পূর্ণ ও অশাস্ত্রীয় । যা অশাস্ত্রীয় তাই আসুরিক প্রবৃত্তি । এই আসুরিক প্রবৃত্তিকে বিনাশের জন্যই দেবী সেখানে গিয়েছিলেন। স্বামী নিন্দা সহ্য করতে না পেরে দেহ ত্যাগ করেন । এরপর ভগবান শিবের অনুচর গণ সেই যজ্ঞ ধ্বংস করেন। বীরভদ্র এসে দক্ষের মুণ্ড চ্ছেদন করে। সেই দেবী হলেন "দক্ষযজ্ঞবিনাশিনী" স্বরূপা । তাই দেবীর মন্ত্রে "দক্ষযজ্ঞবিনাশন্যৈই" উচ্চারন করা হয় । আবার সেই দেবী রাবণের কাল হয়ে লঙ্কায় পদার্পণ করেছিলেন । মা সীতা দেবী ছিলেন সাক্ষাৎ মহালক্ষ্মী । তারপর ভগবান রাম ও বানর সেনা লঙ্কার বিনাশ করেন। মা নিজেই রাবণের কাল হয়ে লঙ্কায় গেছিলেন। রাবন দ্বারা চুরি মায়ের ইচ্ছাতেই সম্ভব। নচেৎ ভগবতীকে অপহরণ করার শক্তি ত্রিলোকের কারোর নেই । চণ্ডমুণ্ড নামক দুই দানবের বধ করতে তিনি চামুণ্ডা রূপে বিক্রাল মূর্তি ধরে দানব সেনাদের ছিন্নভিন্ন করে ভক্ষণ করেন। অন্তিমে চণ্ডমুণ্ডর মুণ্ডচ্ছেদন করেন । সেই মহাশক্তি কৌষিকী রূপে শুম্ভ নিশুম্ভ নামক দুই অসুরের বিনাশ করেন । আবার দেখা যায় সৃষ্টির পূর্ব লগ্নে মধু ও কৈটভ দ্বারা প্রজাপতি ব্রহ্মা আক্রান্ত হয়ে ভগবতীর স্তব করলে এই মহাশক্তি বিষ্ণুমায়া রূপে প্রকট হয়ে মধু ও কৈটভ কে মায়া দ্বারা বিমোহিত করে ফেলেন। এরপর ভগবান বিষ্ণু দুই দানব মধু ও কৈটভ কে বধ করেন। এখানে মধু কৈটভ ধ্বংসের মূল কারন ছিলেন আদিশক্তি। সেই আদিশক্তি যুগে যুগে অবতীর্ণা হন।
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন