বর্তমান দিনে আমরা একটা বাস্তব কথার সাথে খুব পরিচিত:
"যদি কিছু হিন্দুর সাথে কিছু মুসলিমের ঝামেলা হয় তাহলে হিন্দুদের দল থেকে কিছু হিন্দু পলায়ন করবে আর অপর দিকে মুসলিমের দলে কিছু মুসলিম যোগ দান করবে"
যদি এর কারণ অনুসন্ধান করা যায়, তাহলে আমার মতে এর ৫টা কারণ হতে পারে:-
১. ভ্রাত্রিয়তা বোধের অভাব:-
বর্তমান বঙ্গীয় হিন্দু সমাজে সামাজিক একতা লুপ্তপ্রাপ্তির একটা প্রধান কারণ এটি। একটা উদাহরণ দিচ্ছি-
ধরুণ আমি কোনো স্থানে বিনা দোষে কোনো মুসলিম বা হিন্দুর দ্বারা অত্যাচারীত হচ্ছি। আর আপনি আমার কাছে আছেন, আর আমি আপনার কাছে সাহায্যের জন্য বার বার আবেদন করছি। আর আপনি সব দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখছেন আর মনে মনে Ignore করছেন ও সাহায্যের জন্য এগিয়েও আসছেন না। আপনি মনে মনে ভাবছেন "আমি আপনার কে হই, যার জন্য আমাকে আপনি সাহায্য করবেন"। এবার ঘটনা টিকে উল্টে দেওয়া যাক-
অত্যাচারীত হচ্ছেন আপনি আর আমি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখছি। আপনি আমার কাছে সাহায্য চাইছেন আর আমিও Ignore করছি। এই সময় আপনার মানসিক অবস্থা কেমন হবে আশা করছি আমাকে আর বলতে হবে না।
কিন্তু যদি আপনার ও আমার মধ্যে ভ্রাত্রিয়তা বোধ টুকু থাকতো তাহলে আপনাকে বিনা দোষে নিপীড়ন হবার কোনো প্রশ্নই থাকতো না, কারণ ভ্রাত্রিয়তা বোধের জন্য আমি আপনার দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতাম। কিন্তু বর্তমানে "প্রতিটি হিন্দু পরস্পরের ভাই" এই কথা টা যেন লুপ্তপ্রায় হচ্ছে। ফলে আমাদের সামাজিক একতায় ফাটল ধরছে।বর্তমান দিনে হিন্দু সমাজে সামাজিক একতা কে ফিরিয়ে আনার সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হল পরস্পরের মধ্যে সাহায্যের আদান প্রদান করা।তাই আমি প্রতিটি হিন্দুদের বলছি আপনারা যথাসাধ্য মতো অপর এক হিন্দুদের সাহায্য করুণ ও নিজেদের মধ্যে ভ্রাত্রিয়তা বোধ গড়ে তুলুন, যাতে আমরা একে অপরের সাহায্যে সময় বিনা দ্বিধাবোধে এগিয়ে আসতে পারি।চেস্টা করুন চেস্টা করতে দ্বিধাবোধ করছেন কেনো।
২. স্বার্থপরতা:-
বর্তমান বঙ্গীয় হিন্দু সমাজে সামাজিক একতা লুপ্তপ্রাপ্তির এটি আরেকটি কারণ। আমাদের বঙ্গীয় হিন্দু সমাজে এক শ্রেণীর মানুষ আছে যাদের "নিজ স্বার্থপরতা" গুনের জন্য সামাজিক একতা ও ভ্রাত্রিয়তা বোধের মধ্যে ফাটল সৃস্টি করে। এই শ্রেণীর মানুষেরা সাহায্য নেবার সময় সবসময় প্রস্তুত কিন্তু সাহায্য দেবার সময় হাত গুটিয়ে নেবে, একমাত্র নিজের স্বার্থ ছাড়া কাউকে সাহায্য করবে না, এমন কি এই সব মানুষের দ্বারা যারা প্রতারিত হয় তাদেরও মন থেকে ভ্রাত্রিয়তা বোধ উড়ে যায় এবং সেও স্বার্থপর হয়ে উঠে। যার ফলে সামাজিক একতা ও ভ্রাত্রিয়তা বোধের লুপ্তপ্রায় ঘটে।এই শ্রেণীর মানুষদের শোধন এর জন্য আমাদের প্রতিবার এদের সামনে একটি করে বাস্তব বোধমূলক উদাহরণ তুলে ধরতে হবে, যে উদাহরণের দ্বারা সে বুঝতে পারে নিজ স্বার্থপরতার দরুণ সে কিভাবে অন্য মানুষের কাছে ছোটো হচ্ছে ও সমাজে সামাজিক একতা মধ্যে ফাটল ধরাচ্ছে। এরপর যদিও সে বুঝতে না পারে তাহলে যতটা পারবেন ওনাকে Ignore করার চেস্টা করবেন।কারণ দুস্ট গোরুর চেয়ে শূন্য গোয়াল অনেক ভালো।
৩. সাহসিকতার অভাব:-
সামাজিক একতা তৈরির জন্য সাহসিকতা খুব গুরুত্বপূর্ণ। সাহসিকতার অভাবে একতা তৈরির হলেও সেটা কার্যকারী হয়ে উঠতে পারে না। আপনার মধ্যে সাহসিকতার আছে কিনা তা জানার জন্য আপনি নিজে কে ৫টি প্রশ্ন করুন:-
১) আপনি কি অন্যায় কে সহ্য করে মাথা নিচু করে বাঁচবেন না ন্যায় কে সঙ্গী করে মাথা উঁচু করে বাঁচবেন ?
২) আপনার উপকারে যদি কতগুলি মানুষের উপকার হয় তবে আপনি কি সেই উপকারে উপস্থিত থাকবেন না সেখান থেকে কেটে পরবেন ?
৩) আপনি কি ঐ মানুষদের উপকার করে তাদের কাছে থেকে "একজন সত্যিকারের বন্ধু" হিসাবে পরিচিত হতে চান না "বেইমান" হিসাবে পরিচিত হতে চান?
৪) ঐ মানুষদের উপকারের জন্য যদি আপনাকে কয়েকটি আঘাত খেতে হয়, তবে আপনি কি সেখান থেকে পলায়ন করবেন না একজন সহকারী হিসাবে সেখানে উপস্থিত থাকবেন ?
৫) আপনার একটি সাহায্য যদি পরস্পরের ভ্রাত্রিয়তা বোধ সম্পর্ক কে পুনঃজীবন দিতে পারে তবে আপনি কি সেই সাহায্য করবেন ?
যদি আপনার মন আপনাকে কার্য করার জন্য উৎসাহ দেয় তাহলে আপনি নিঃসন্ধেহে একজন ন্যায়বাদী সাহসী, আর যদি বাধাদেয় তাহলে আপনি নিঃসন্ধেহে একজন দূর্বল মানসিকতা সম্পন্ন বেক্তি।আরেকটা জিনিস আমাদের ভালোভাবে মনে রাখতে হবে -"একটি লাঠি যদি অল্পচাপ পাই তাহলে সেটা ভেঙে যায় কিন্তু লাঠির সংখ্যা বাড়ানোর সাথে সাথে বেশী চাপ সহ্য করার ক্ষমতা বৃদ্ধি পাই ও একটি অভঙ্গুর লাঠি স্তম্ভ তৈরি করে"।
৪. হিন্দু সামাজিক Cast System:-
বঙ্গীয় হিন্দু সমাজে সামাজিক একতা ভাঙনের এটা একটা প্রধান কারণ, এখনও বর্তমান দিনে বঙ্গীয় হিন্দুরা এই মিথ্যা Cust System কে মেনে চলে। কিন্তু হিন্দুধর্ম মতে Cust System এর কোনো স্থান নেই এবং প্রতিটি মানুষ সমান অধীকারী, এই Cust System এর জন্য হিন্দু্দের মধ্যে ভেদা ভেদ তৈরী হয়, একজন বলে "আমি জ্ঞানী, আমি উঁচু, আমি মাথা" অপর জন বলে "আমি জ্ঞানী, আমি উঁচু, আমি মাথা" "তুই মূর্খ, তুই নিচু, তুই ল্যাজ। এই মনোভাবের জন্য দুটি ভিন্ন Cust এর হিন্দু্দের মধ্যে একতা তৈরী হয় না। এর জন্য আমাদের এই মিথ্যা Cust System কে ভুলে, মনে রাখতে হবে স্বামী বিবেকানন্দের কথা -
"হে ভারত ভুলিও না নীচ জাতি, মূর্খ, দরিদ্র, অজ্ঞ, মুচি, মেথর তোমার রক্ত তোমার ভাই"
"হে বীর, সাহস অবলম্বন কর, সদর্পে বল-আমি ভারতবাসী, ভারতবাসী আমার ভাই"
(স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা ৬ খন্ড ২৪৯ পৃস্ঠা)
আবারও বলছি চেস্টা করুন অন্য জনকে অনুপ্রেরণা জোগান, এটা সম্ভব নয় বলে হাত গুটিয়ে বসে থাকবেন না, চেস্টা করুন, আপনি কয়বার চেস্টা করেছেন ???
৫. উপযুক্ত সনাতনী শিক্ষার অভাব:-
বর্তমান দিনে উপযুক্ত সনাতনী শিক্ষার অভাব মানুষের অধঃপতনের একটি মুখ্য কারণ। মুসলিমরা যেমন মাদ্রাসাতে গিয়ে সঠিক ইসলামিক শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে, স্কুল কলেজে গিয়ে ইসলামিক শিক্ষার উপর ডিগ্রী গ্রহণ করতে পারে, যার ফলে ওরা শুধু নিজের জাতি কে এগিয়ে নিয়ে যাবার উৎসাহ পাই। কিন্তু আমরা হিন্দুরা এই দিকে অনেক পিছিয়ে আছি। তাই আমরা আস্তে আস্তে লুপ্তির দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। বর্তমান সালের সাথে সাথে যত আমরা এগিয়ে যাচ্ছি তেমনি উপযুক্ত সনাতনী শিক্ষার অভাবে আমরা অন্ধকার রূপী কুসংস্কার, অনৈতিক, অধার্মিক, অমানবিক প্রবৃত্তির দিকে আস্তে আস্তে এগিয়ে যাচ্ছি। ফলে সামাজিক একতা তো দূরে থাক নিজের মায়ের পেটের ভাই এমন কি নিজের জন্মদাতা বাবা মায়ের সঙ্গেও সঠিক সম্পর্ক রাখতে চাই না। ফলে সামাজিক ও পারিবারিক একতা দুটি শুন্যের দিকে ধাবিত হচ্ছে।
তাই আমি প্রতিটি হিন্দুদের বলছি- নিজ সন্তান সন্তানীদের শুধমাত্র পুঁথিগত বিদ্য না দিয়ে, উপযুক্ত সনাতনী শিক্ষায় শিক্ষিত করুন। অথ্যাৎ ভগবত গীতা বা বেদ এর জ্ঞানের সাথে পরিচয় করান, কারণ এই জ্ঞান তার ভবিষ্যৎ জীবন যাত্রার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। যদি সময়ের অভাব হয় তাহলে সারাদিনে একবার ভগবত গীতা বা বেদ এর একটি শ্লোক বা মন্ত্র পড়ান ও বুঝান।
এই একতা কেই ভিত্তি করে প্রাচীনকাল থেকে বর্তমান দিন পর্যন্ত বহু জীবজন্তু এখনো বেঁচে রয়েছে, যদি তাদের এই একতা নস্ট হত তাহলে তাদের আর এই বর্তমান দিনে দেখা যেতোনা, এমন কি এই একতা নস্ট হবার জন্য অনেক জীবজন্তু লুপ্ত হয়ে গেছে। কারণ এদের উপর ডারউইনের যোগ্যতমের উদবর্তন (Survival of the fittest) ও প্রাকৃতিক নির্বাচন (Natural selection) নীতি প্রয়োগ হয়েছিল, আমরা মানুষ হলেও আমরা একটি জীব তাই এই নীতি আমাদেরও উপর প্রয়োগ হতে পারে, তাই "সাবধান"।
এখন এই বর্তমান দিনে যদি আমরা নিজেদের মধ্যে একতা গড়ে তুলতে না পারি, তবে ভবিষ্যতে আমাদের কাছে কেবল মাত্র ২টি রাস্তা খোলা থাকবে
১. কারো গোলামি করা.
২. লুপ্ত হয়ে যাওয়া.
Choice is yours?
লেখার মাধ্যমে যদি কোন ভূল হয় সবাই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
আপনার বন্ধুদের আমাদের ওয়েভসাইটে #ইনভাইট করুন যাতে করে তারাও আপনার মত ধর্মীয় ঞ্জান অর্জনের সুযোগ পায়।
☀ হরে কৃষ্ণ ☀
Collected: আশীর্বাদ - Ashirbad
"যদি কিছু হিন্দুর সাথে কিছু মুসলিমের ঝামেলা হয় তাহলে হিন্দুদের দল থেকে কিছু হিন্দু পলায়ন করবে আর অপর দিকে মুসলিমের দলে কিছু মুসলিম যোগ দান করবে"
যদি এর কারণ অনুসন্ধান করা যায়, তাহলে আমার মতে এর ৫টা কারণ হতে পারে:-
১. ভ্রাত্রিয়তা বোধের অভাব:-
বর্তমান বঙ্গীয় হিন্দু সমাজে সামাজিক একতা লুপ্তপ্রাপ্তির একটা প্রধান কারণ এটি। একটা উদাহরণ দিচ্ছি-
ধরুণ আমি কোনো স্থানে বিনা দোষে কোনো মুসলিম বা হিন্দুর দ্বারা অত্যাচারীত হচ্ছি। আর আপনি আমার কাছে আছেন, আর আমি আপনার কাছে সাহায্যের জন্য বার বার আবেদন করছি। আর আপনি সব দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখছেন আর মনে মনে Ignore করছেন ও সাহায্যের জন্য এগিয়েও আসছেন না। আপনি মনে মনে ভাবছেন "আমি আপনার কে হই, যার জন্য আমাকে আপনি সাহায্য করবেন"। এবার ঘটনা টিকে উল্টে দেওয়া যাক-
অত্যাচারীত হচ্ছেন আপনি আর আমি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখছি। আপনি আমার কাছে সাহায্য চাইছেন আর আমিও Ignore করছি। এই সময় আপনার মানসিক অবস্থা কেমন হবে আশা করছি আমাকে আর বলতে হবে না।
কিন্তু যদি আপনার ও আমার মধ্যে ভ্রাত্রিয়তা বোধ টুকু থাকতো তাহলে আপনাকে বিনা দোষে নিপীড়ন হবার কোনো প্রশ্নই থাকতো না, কারণ ভ্রাত্রিয়তা বোধের জন্য আমি আপনার দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতাম। কিন্তু বর্তমানে "প্রতিটি হিন্দু পরস্পরের ভাই" এই কথা টা যেন লুপ্তপ্রায় হচ্ছে। ফলে আমাদের সামাজিক একতায় ফাটল ধরছে।বর্তমান দিনে হিন্দু সমাজে সামাজিক একতা কে ফিরিয়ে আনার সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হল পরস্পরের মধ্যে সাহায্যের আদান প্রদান করা।তাই আমি প্রতিটি হিন্দুদের বলছি আপনারা যথাসাধ্য মতো অপর এক হিন্দুদের সাহায্য করুণ ও নিজেদের মধ্যে ভ্রাত্রিয়তা বোধ গড়ে তুলুন, যাতে আমরা একে অপরের সাহায্যে সময় বিনা দ্বিধাবোধে এগিয়ে আসতে পারি।চেস্টা করুন চেস্টা করতে দ্বিধাবোধ করছেন কেনো।
২. স্বার্থপরতা:-
বর্তমান বঙ্গীয় হিন্দু সমাজে সামাজিক একতা লুপ্তপ্রাপ্তির এটি আরেকটি কারণ। আমাদের বঙ্গীয় হিন্দু সমাজে এক শ্রেণীর মানুষ আছে যাদের "নিজ স্বার্থপরতা" গুনের জন্য সামাজিক একতা ও ভ্রাত্রিয়তা বোধের মধ্যে ফাটল সৃস্টি করে। এই শ্রেণীর মানুষেরা সাহায্য নেবার সময় সবসময় প্রস্তুত কিন্তু সাহায্য দেবার সময় হাত গুটিয়ে নেবে, একমাত্র নিজের স্বার্থ ছাড়া কাউকে সাহায্য করবে না, এমন কি এই সব মানুষের দ্বারা যারা প্রতারিত হয় তাদেরও মন থেকে ভ্রাত্রিয়তা বোধ উড়ে যায় এবং সেও স্বার্থপর হয়ে উঠে। যার ফলে সামাজিক একতা ও ভ্রাত্রিয়তা বোধের লুপ্তপ্রায় ঘটে।এই শ্রেণীর মানুষদের শোধন এর জন্য আমাদের প্রতিবার এদের সামনে একটি করে বাস্তব বোধমূলক উদাহরণ তুলে ধরতে হবে, যে উদাহরণের দ্বারা সে বুঝতে পারে নিজ স্বার্থপরতার দরুণ সে কিভাবে অন্য মানুষের কাছে ছোটো হচ্ছে ও সমাজে সামাজিক একতা মধ্যে ফাটল ধরাচ্ছে। এরপর যদিও সে বুঝতে না পারে তাহলে যতটা পারবেন ওনাকে Ignore করার চেস্টা করবেন।কারণ দুস্ট গোরুর চেয়ে শূন্য গোয়াল অনেক ভালো।
৩. সাহসিকতার অভাব:-
সামাজিক একতা তৈরির জন্য সাহসিকতা খুব গুরুত্বপূর্ণ। সাহসিকতার অভাবে একতা তৈরির হলেও সেটা কার্যকারী হয়ে উঠতে পারে না। আপনার মধ্যে সাহসিকতার আছে কিনা তা জানার জন্য আপনি নিজে কে ৫টি প্রশ্ন করুন:-
১) আপনি কি অন্যায় কে সহ্য করে মাথা নিচু করে বাঁচবেন না ন্যায় কে সঙ্গী করে মাথা উঁচু করে বাঁচবেন ?
২) আপনার উপকারে যদি কতগুলি মানুষের উপকার হয় তবে আপনি কি সেই উপকারে উপস্থিত থাকবেন না সেখান থেকে কেটে পরবেন ?
৩) আপনি কি ঐ মানুষদের উপকার করে তাদের কাছে থেকে "একজন সত্যিকারের বন্ধু" হিসাবে পরিচিত হতে চান না "বেইমান" হিসাবে পরিচিত হতে চান?
৪) ঐ মানুষদের উপকারের জন্য যদি আপনাকে কয়েকটি আঘাত খেতে হয়, তবে আপনি কি সেখান থেকে পলায়ন করবেন না একজন সহকারী হিসাবে সেখানে উপস্থিত থাকবেন ?
৫) আপনার একটি সাহায্য যদি পরস্পরের ভ্রাত্রিয়তা বোধ সম্পর্ক কে পুনঃজীবন দিতে পারে তবে আপনি কি সেই সাহায্য করবেন ?
যদি আপনার মন আপনাকে কার্য করার জন্য উৎসাহ দেয় তাহলে আপনি নিঃসন্ধেহে একজন ন্যায়বাদী সাহসী, আর যদি বাধাদেয় তাহলে আপনি নিঃসন্ধেহে একজন দূর্বল মানসিকতা সম্পন্ন বেক্তি।আরেকটা জিনিস আমাদের ভালোভাবে মনে রাখতে হবে -"একটি লাঠি যদি অল্পচাপ পাই তাহলে সেটা ভেঙে যায় কিন্তু লাঠির সংখ্যা বাড়ানোর সাথে সাথে বেশী চাপ সহ্য করার ক্ষমতা বৃদ্ধি পাই ও একটি অভঙ্গুর লাঠি স্তম্ভ তৈরি করে"।
৪. হিন্দু সামাজিক Cast System:-
বঙ্গীয় হিন্দু সমাজে সামাজিক একতা ভাঙনের এটা একটা প্রধান কারণ, এখনও বর্তমান দিনে বঙ্গীয় হিন্দুরা এই মিথ্যা Cust System কে মেনে চলে। কিন্তু হিন্দুধর্ম মতে Cust System এর কোনো স্থান নেই এবং প্রতিটি মানুষ সমান অধীকারী, এই Cust System এর জন্য হিন্দু্দের মধ্যে ভেদা ভেদ তৈরী হয়, একজন বলে "আমি জ্ঞানী, আমি উঁচু, আমি মাথা" অপর জন বলে "আমি জ্ঞানী, আমি উঁচু, আমি মাথা" "তুই মূর্খ, তুই নিচু, তুই ল্যাজ। এই মনোভাবের জন্য দুটি ভিন্ন Cust এর হিন্দু্দের মধ্যে একতা তৈরী হয় না। এর জন্য আমাদের এই মিথ্যা Cust System কে ভুলে, মনে রাখতে হবে স্বামী বিবেকানন্দের কথা -
"হে ভারত ভুলিও না নীচ জাতি, মূর্খ, দরিদ্র, অজ্ঞ, মুচি, মেথর তোমার রক্ত তোমার ভাই"
"হে বীর, সাহস অবলম্বন কর, সদর্পে বল-আমি ভারতবাসী, ভারতবাসী আমার ভাই"
(স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা ৬ খন্ড ২৪৯ পৃস্ঠা)
আবারও বলছি চেস্টা করুন অন্য জনকে অনুপ্রেরণা জোগান, এটা সম্ভব নয় বলে হাত গুটিয়ে বসে থাকবেন না, চেস্টা করুন, আপনি কয়বার চেস্টা করেছেন ???
৫. উপযুক্ত সনাতনী শিক্ষার অভাব:-
বর্তমান দিনে উপযুক্ত সনাতনী শিক্ষার অভাব মানুষের অধঃপতনের একটি মুখ্য কারণ। মুসলিমরা যেমন মাদ্রাসাতে গিয়ে সঠিক ইসলামিক শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে, স্কুল কলেজে গিয়ে ইসলামিক শিক্ষার উপর ডিগ্রী গ্রহণ করতে পারে, যার ফলে ওরা শুধু নিজের জাতি কে এগিয়ে নিয়ে যাবার উৎসাহ পাই। কিন্তু আমরা হিন্দুরা এই দিকে অনেক পিছিয়ে আছি। তাই আমরা আস্তে আস্তে লুপ্তির দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। বর্তমান সালের সাথে সাথে যত আমরা এগিয়ে যাচ্ছি তেমনি উপযুক্ত সনাতনী শিক্ষার অভাবে আমরা অন্ধকার রূপী কুসংস্কার, অনৈতিক, অধার্মিক, অমানবিক প্রবৃত্তির দিকে আস্তে আস্তে এগিয়ে যাচ্ছি। ফলে সামাজিক একতা তো দূরে থাক নিজের মায়ের পেটের ভাই এমন কি নিজের জন্মদাতা বাবা মায়ের সঙ্গেও সঠিক সম্পর্ক রাখতে চাই না। ফলে সামাজিক ও পারিবারিক একতা দুটি শুন্যের দিকে ধাবিত হচ্ছে।
তাই আমি প্রতিটি হিন্দুদের বলছি- নিজ সন্তান সন্তানীদের শুধমাত্র পুঁথিগত বিদ্য না দিয়ে, উপযুক্ত সনাতনী শিক্ষায় শিক্ষিত করুন। অথ্যাৎ ভগবত গীতা বা বেদ এর জ্ঞানের সাথে পরিচয় করান, কারণ এই জ্ঞান তার ভবিষ্যৎ জীবন যাত্রার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। যদি সময়ের অভাব হয় তাহলে সারাদিনে একবার ভগবত গীতা বা বেদ এর একটি শ্লোক বা মন্ত্র পড়ান ও বুঝান।
এই একতা কেই ভিত্তি করে প্রাচীনকাল থেকে বর্তমান দিন পর্যন্ত বহু জীবজন্তু এখনো বেঁচে রয়েছে, যদি তাদের এই একতা নস্ট হত তাহলে তাদের আর এই বর্তমান দিনে দেখা যেতোনা, এমন কি এই একতা নস্ট হবার জন্য অনেক জীবজন্তু লুপ্ত হয়ে গেছে। কারণ এদের উপর ডারউইনের যোগ্যতমের উদবর্তন (Survival of the fittest) ও প্রাকৃতিক নির্বাচন (Natural selection) নীতি প্রয়োগ হয়েছিল, আমরা মানুষ হলেও আমরা একটি জীব তাই এই নীতি আমাদেরও উপর প্রয়োগ হতে পারে, তাই "সাবধান"।
এখন এই বর্তমান দিনে যদি আমরা নিজেদের মধ্যে একতা গড়ে তুলতে না পারি, তবে ভবিষ্যতে আমাদের কাছে কেবল মাত্র ২টি রাস্তা খোলা থাকবে
১. কারো গোলামি করা.
২. লুপ্ত হয়ে যাওয়া.
Choice is yours?
লেখার মাধ্যমে যদি কোন ভূল হয় সবাই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
আপনার বন্ধুদের আমাদের ওয়েভসাইটে #ইনভাইট করুন যাতে করে তারাও আপনার মত ধর্মীয় ঞ্জান অর্জনের সুযোগ পায়।
☀ হরে কৃষ্ণ ☀
Collected: আশীর্বাদ - Ashirbad
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন