একবার মহাদেব পাৰ্বতীদেবীকে নিয়ে নিৰ্জন স্থানে দিকবন্ধন করে বসে শ্ৰীমদ্ভাগবতম কীৰ্তন করছিলেন। ভাগবত কথার প্রারম্ভে মহাদেব পাৰ্বতীকে শর্ত দিলেন যে, ভাগবত কথা চলাকালে পাৰ্বতীদেবী যে গভীর মনোযোগ সহকারে শুনছেন, তার প্রমাণস্বরপ তিনি যেনো ''হু'' বলে সায় দেন।
যথারীতি ভাগবত কথা শুরু হলো। কিছুক্ষণ অতিবাহিত হলে পাৰ্বতীদেবী ভাগবত কথা শুনতে শুনতেখনিদ্ৰাচ্ছন্ন হলেন। যে বৃক্ষের নিচে মহাদেব ভাগবত কথা বলছিলেন, সে বৃক্ষে অবস্থান করে একটি শুকপাখিও ভাগবত কথা শ্ৰবণ করছিলো। পাখিটি দেখলো যে, পাৰ্বতী দেবী ঘুমিয়ে গেছেন। তখন ভাগবত কথা বন্ধ হয়ে যাবে ভেবে পাৰ্বতীদেবীর বদলে পাখিটিই ''হু'' দিতে থাকলো।
এদিকে মহাদেব তন্ময় হয়ে সম্পূৰ্ণ ভাগবত কথা শ্ৰবণ করালেন। চোখ খুলে দেখতে পেলেন, দেবী পাৰ্বতী ঘুমিয়ে পড়েছেন। তখন মহাদেবের মনে প্রশ্নের উদয় হলো, 'তাহলে ‘হু’ দিলো কে?' চারদিকে তাকিয়ে তিনি বৃক্ষের ডালে ঐ পাখিটিকে দেখতে পেলেন। পাৰ্বতীদেবীর পরিবর্তে পাখিটি ‘হু’ দিছিলো। তাছাড়া ভাগবতের অতি গুহ্য লীলাকথা সাধারণ একটি শুকপাখি শ্ৰবণ করেছে ভেবে মহাদেব অত্যন্ত ক্রদ্ধ হয়ে ত্ৰিশুল হাতে পাখিটিকে তাড়া করলেন। প্রাণভয়ে পাখিটি দিকবিদিক শূন্য হয়ে পলায়ন করতে লাগলো।
মহাদেবও তার পেছনে পেছনে ধাবিত হলেন। এদিকে ব্যাসদেবও তাঁর স্ত্ৰীকে ভাগবত কথা শ্ৰবণ করাচ্ছিলেন। তিনিও তখন ভাগবত কথা শুনতে শুনতে হা করে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। ঠিক তখনই শুকপাখিটি প্ৰাণ বাঁচানোর কোনো উপায় না পেয়ে ব্যাসদেবের স্ত্রীর মুখে প্ৰবেশ করলো।
তৎক্ষণাৎ মহাদেবও সেখানে উপস্থিত হয়ে, পাখিটিকে ব্যাসদেবের স্ত্রীর মুখে প্ৰবেশ করতে দেখে অভিশাপ দিলেন যে, পাখিটি যেখানে প্ৰবেশ করেছে, সেখানে তাকে ষোল বছর মতান্তরে বারো বছর, থাকতে হবে। শ্রীল ব্যাসদেব মহাদেবকে দেখামাত্ৰই ব্যাসদেব প্ৰণাম নিবেদন করলেন এবং তাঁকে ক্ৰোধান্বিত দেখে ক্রোধের কারণ জিজ্ঞেস করলেন। তখন মহাদেব সমস্ত বৃত্তান্ত খুলে বললেন। ব্যাসদেব মহাদেবের সন্তুষ্টি বিধানের জন্য বললেন, “ হে দেবাদিদেব, যিনি আপনার শ্ৰীমুখ থেকে ভাগবত কথা শ্ৰবণ করেছেন, তিনি তো মহাভাগ্যবান এবং আপনার আশীৰ্বাদের যোগ্য।"
আশুতোষ মহাদেব প্ৰসন্ন হয়ে, সেই শুকপাখিটিকে আশীৰ্ব্বাদ করলেন, “পাখিটি আমার কাছ থেকে যে ভাগবতকথা শ্ৰবণ করেছে, তা সম্পূৰ্ণরপে তার হৃদয়ে অক্ষত থাকুক।" এই বলে তিনি প্ৰস্থান করলেন।
মহাদেবের অভিশাপে ষোলো বছর সেই শুকপাখিটি ব্যাসদেবের স্ত্রীর গর্ভে অবস্থান করছিলো। ভাগবতের বীর্যবতী কথা শ্ৰবণ করার ফলে, সেই শুকপাখি মহাভাগবত শুকদেব গোস্বামীতে রুপান্তরিত হলেন। মাতৃগৰ্ভে অবস্থানকালেও তিনি নিত্য তার পিতা ব্যাসদেবের কাছ থেকে ভাগবত শ্ৰবণ করতেন।
ইতোমধ্যে ষোল বছর অতিক্ৰান্ত হলেও শুকদেব গোস্বামী এ জড়জগতের মায়ায় প্ৰবেশ করতে অনিচ্ছা প্ৰকাশ করলেন। এমতাবস্থায় ব্যাসদেব তাকে বুঝিয়ে বললেন, “বৎস, তুমি ভূমিষ্ট হও নতুবা তোমার মাতৃহত্যা জনিত পাপ হবে।"
তাতেও শুকদেব গোস্বামীর কোনো প্ৰতিক্ৰিয়া না হলে, ব্যাসদেব উপায়ান্তর না দেখে ভগবান শ্ৰীকৃষ্ণের কাছে গেলেন। তখন ভগবান স্বয়ং শুকদেব গোস্বামীকে প্ৰবোধ দিলেন, “এ জগতে আবির্ভাব হলেও আমার মায়া কখনোই তোমাকে স্পৰ্শ করতে পারবে না।"
শুকদেব গোস্বামী ভগবানের আশীৰ্বাদ প্ৰাপ্ত হয়ে বললেন, “এ জগতে ভূমিষ্ট হলেও আমি এ জগতের কোনো বন্ধনে আবদ্ধ না হয়ে বনে গমন করবো।"
যথারীতি আবিস্তৃত হয়ে, ষোড়শ বৰ্ষীয় যুবক শুকদেব গোস্বামী দিগম্বর বেশে অন্য কোনো দিকে না তাকিয়ে বনে গমন করেন। তখন ব্যাসদেব হা পুত্ৰ! হা পুত্ৰ! বলে শুকদেব গোস্বামীর পেছন পেছন ধাবিত
হলেন।
''যং প্ৰজন্তমনুপেতমপেতকৃত্যং
দ্বৈপায়নো বিরহকাতর আজুহাব।
পুত্ৰেতি তনুয়াতিয়া তরবোেহভিনেদু
স্তং সৰ্বভূতহদয়ং মুনিমানতোহম্মি'।।"
পুত্ৰকে ধরতে না পেরে বিরহকাতর পিতা ব্যাসদেব বনের ব্যাধদের ভাগবতের দুটি শ্লোক শিখিয়ে দিলেন। যা শুকদেব গোস্বামীকে শ্ৰবণ করানোর মাধ্যমে পুনরায় তাকে ফিরিয়ে আনা হলো। তারপর তিনি তার পিতা ব্যাসদেবের আনুগত্যে পুনরায় ভাগবত অধ্যয়ন করলেন। এর পর কলিযুগে মহারাজ পরিক্ষিতকে তিনি সাতদিন ব্যাপী শ্রীমদ্ভাগবতম শ্রবন করান এবং বলেন, শ্রীমদ্ভাগবতে নির্দেশখরয়েছে,
"কলের্দোষনিধে রাজন্ অস্তি হ্যেকো মহান্ গুণঃ।
কীর্তনাদেব কৃষ্ণস্য মুক্তসঙ্গ পরং ব্রজেৎ॥"
অর্থাৎ, “হে রাজন্! কলিযুগ সমস্ত দোষের আকর। কিন্তু এই কলিযুগে একটি মাত্র মহান গুণ রয়েছে। তা হলো কেবলমাত্র শ্রীকৃষ্ণের নাম কীর্তন করে জীব সংসার-বন্ধন মুক্ত হয়ে ভগবানকে লাভ করতে পারে।"
শ্রীমদ্ভাগবতে (১২/৩/৫১-৫২) বলা হয়েছে,
"কৃতে যৎ ধ্যায়তো বিষ্ণুং ত্রেতায়াং যজতো মখৈঃ।
দ্বাপরে পরিচর্যায়াং কলৌ তদ্ হরিকীর্তনাৎ॥"
অর্থাৎ, “সত্যযুগে ধ্যান, ত্রেতাযুগে যজ্ঞ, আর দ্বাপরযুগে অর্চন দ্বারা যা লাভ হয়, কলিযুগে কেবলমাত্র শ্রীকৃষ্ণনাম সংকীর্তন দ্বারা তা লাভ হয়ে থাকে। তাই প্রত্যেকের উচিত ভগবানের দিব্য নাম কীর্ত্তণ ও জপ করা।"
“হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ
কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে
হরে রাম হরে রাম
রাম রাম হরে হরে।।”
পরমকরুনাময় গোলোকপতি সচ্চিদানন্দ ভগবান, পরমেশ্বর শ্রীকৃষ্ণ ও তাঁর একান্ত হ্লাদিনী শক্তি শ্রীমতী রাধারাণী আর সকল ভক্ত-পার্ষদদের শ্রীচরণকমলে নিরন্তর প্রার্থনা করি, সকলের জীবন যেনো রাধাকৃষ্ণময়তায় পূর্ণ হয়ে, মঙ্গলময়, কল্যাণময়, ভক্তিময়, সুন্দরময় আর আনন্দময় হয়ে ওঠে।
"হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ
কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে
হরে রাম হরে রাম
রাম রাম হরে হরে!!"
!!জয় হোক সকল ভক্তদের!!
!!জয় শ্রীল সুকদেব গোস্বামী!!
!!জয় শ্রীকৃষ্ণ!! জয় রাধে!!
(দেবেন্দ্র)
যথারীতি ভাগবত কথা শুরু হলো। কিছুক্ষণ অতিবাহিত হলে পাৰ্বতীদেবী ভাগবত কথা শুনতে শুনতেখনিদ্ৰাচ্ছন্ন হলেন। যে বৃক্ষের নিচে মহাদেব ভাগবত কথা বলছিলেন, সে বৃক্ষে অবস্থান করে একটি শুকপাখিও ভাগবত কথা শ্ৰবণ করছিলো। পাখিটি দেখলো যে, পাৰ্বতী দেবী ঘুমিয়ে গেছেন। তখন ভাগবত কথা বন্ধ হয়ে যাবে ভেবে পাৰ্বতীদেবীর বদলে পাখিটিই ''হু'' দিতে থাকলো।
এদিকে মহাদেব তন্ময় হয়ে সম্পূৰ্ণ ভাগবত কথা শ্ৰবণ করালেন। চোখ খুলে দেখতে পেলেন, দেবী পাৰ্বতী ঘুমিয়ে পড়েছেন। তখন মহাদেবের মনে প্রশ্নের উদয় হলো, 'তাহলে ‘হু’ দিলো কে?' চারদিকে তাকিয়ে তিনি বৃক্ষের ডালে ঐ পাখিটিকে দেখতে পেলেন। পাৰ্বতীদেবীর পরিবর্তে পাখিটি ‘হু’ দিছিলো। তাছাড়া ভাগবতের অতি গুহ্য লীলাকথা সাধারণ একটি শুকপাখি শ্ৰবণ করেছে ভেবে মহাদেব অত্যন্ত ক্রদ্ধ হয়ে ত্ৰিশুল হাতে পাখিটিকে তাড়া করলেন। প্রাণভয়ে পাখিটি দিকবিদিক শূন্য হয়ে পলায়ন করতে লাগলো।
মহাদেবও তার পেছনে পেছনে ধাবিত হলেন। এদিকে ব্যাসদেবও তাঁর স্ত্ৰীকে ভাগবত কথা শ্ৰবণ করাচ্ছিলেন। তিনিও তখন ভাগবত কথা শুনতে শুনতে হা করে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। ঠিক তখনই শুকপাখিটি প্ৰাণ বাঁচানোর কোনো উপায় না পেয়ে ব্যাসদেবের স্ত্রীর মুখে প্ৰবেশ করলো।
তৎক্ষণাৎ মহাদেবও সেখানে উপস্থিত হয়ে, পাখিটিকে ব্যাসদেবের স্ত্রীর মুখে প্ৰবেশ করতে দেখে অভিশাপ দিলেন যে, পাখিটি যেখানে প্ৰবেশ করেছে, সেখানে তাকে ষোল বছর মতান্তরে বারো বছর, থাকতে হবে। শ্রীল ব্যাসদেব মহাদেবকে দেখামাত্ৰই ব্যাসদেব প্ৰণাম নিবেদন করলেন এবং তাঁকে ক্ৰোধান্বিত দেখে ক্রোধের কারণ জিজ্ঞেস করলেন। তখন মহাদেব সমস্ত বৃত্তান্ত খুলে বললেন। ব্যাসদেব মহাদেবের সন্তুষ্টি বিধানের জন্য বললেন, “ হে দেবাদিদেব, যিনি আপনার শ্ৰীমুখ থেকে ভাগবত কথা শ্ৰবণ করেছেন, তিনি তো মহাভাগ্যবান এবং আপনার আশীৰ্বাদের যোগ্য।"
আশুতোষ মহাদেব প্ৰসন্ন হয়ে, সেই শুকপাখিটিকে আশীৰ্ব্বাদ করলেন, “পাখিটি আমার কাছ থেকে যে ভাগবতকথা শ্ৰবণ করেছে, তা সম্পূৰ্ণরপে তার হৃদয়ে অক্ষত থাকুক।" এই বলে তিনি প্ৰস্থান করলেন।
মহাদেবের অভিশাপে ষোলো বছর সেই শুকপাখিটি ব্যাসদেবের স্ত্রীর গর্ভে অবস্থান করছিলো। ভাগবতের বীর্যবতী কথা শ্ৰবণ করার ফলে, সেই শুকপাখি মহাভাগবত শুকদেব গোস্বামীতে রুপান্তরিত হলেন। মাতৃগৰ্ভে অবস্থানকালেও তিনি নিত্য তার পিতা ব্যাসদেবের কাছ থেকে ভাগবত শ্ৰবণ করতেন।
ইতোমধ্যে ষোল বছর অতিক্ৰান্ত হলেও শুকদেব গোস্বামী এ জড়জগতের মায়ায় প্ৰবেশ করতে অনিচ্ছা প্ৰকাশ করলেন। এমতাবস্থায় ব্যাসদেব তাকে বুঝিয়ে বললেন, “বৎস, তুমি ভূমিষ্ট হও নতুবা তোমার মাতৃহত্যা জনিত পাপ হবে।"
তাতেও শুকদেব গোস্বামীর কোনো প্ৰতিক্ৰিয়া না হলে, ব্যাসদেব উপায়ান্তর না দেখে ভগবান শ্ৰীকৃষ্ণের কাছে গেলেন। তখন ভগবান স্বয়ং শুকদেব গোস্বামীকে প্ৰবোধ দিলেন, “এ জগতে আবির্ভাব হলেও আমার মায়া কখনোই তোমাকে স্পৰ্শ করতে পারবে না।"
শুকদেব গোস্বামী ভগবানের আশীৰ্বাদ প্ৰাপ্ত হয়ে বললেন, “এ জগতে ভূমিষ্ট হলেও আমি এ জগতের কোনো বন্ধনে আবদ্ধ না হয়ে বনে গমন করবো।"
যথারীতি আবিস্তৃত হয়ে, ষোড়শ বৰ্ষীয় যুবক শুকদেব গোস্বামী দিগম্বর বেশে অন্য কোনো দিকে না তাকিয়ে বনে গমন করেন। তখন ব্যাসদেব হা পুত্ৰ! হা পুত্ৰ! বলে শুকদেব গোস্বামীর পেছন পেছন ধাবিত
হলেন।
''যং প্ৰজন্তমনুপেতমপেতকৃত্যং
দ্বৈপায়নো বিরহকাতর আজুহাব।
পুত্ৰেতি তনুয়াতিয়া তরবোেহভিনেদু
স্তং সৰ্বভূতহদয়ং মুনিমানতোহম্মি'।।"
পুত্ৰকে ধরতে না পেরে বিরহকাতর পিতা ব্যাসদেব বনের ব্যাধদের ভাগবতের দুটি শ্লোক শিখিয়ে দিলেন। যা শুকদেব গোস্বামীকে শ্ৰবণ করানোর মাধ্যমে পুনরায় তাকে ফিরিয়ে আনা হলো। তারপর তিনি তার পিতা ব্যাসদেবের আনুগত্যে পুনরায় ভাগবত অধ্যয়ন করলেন। এর পর কলিযুগে মহারাজ পরিক্ষিতকে তিনি সাতদিন ব্যাপী শ্রীমদ্ভাগবতম শ্রবন করান এবং বলেন, শ্রীমদ্ভাগবতে নির্দেশখরয়েছে,
"কলের্দোষনিধে রাজন্ অস্তি হ্যেকো মহান্ গুণঃ।
কীর্তনাদেব কৃষ্ণস্য মুক্তসঙ্গ পরং ব্রজেৎ॥"
অর্থাৎ, “হে রাজন্! কলিযুগ সমস্ত দোষের আকর। কিন্তু এই কলিযুগে একটি মাত্র মহান গুণ রয়েছে। তা হলো কেবলমাত্র শ্রীকৃষ্ণের নাম কীর্তন করে জীব সংসার-বন্ধন মুক্ত হয়ে ভগবানকে লাভ করতে পারে।"
শ্রীমদ্ভাগবতে (১২/৩/৫১-৫২) বলা হয়েছে,
"কৃতে যৎ ধ্যায়তো বিষ্ণুং ত্রেতায়াং যজতো মখৈঃ।
দ্বাপরে পরিচর্যায়াং কলৌ তদ্ হরিকীর্তনাৎ॥"
অর্থাৎ, “সত্যযুগে ধ্যান, ত্রেতাযুগে যজ্ঞ, আর দ্বাপরযুগে অর্চন দ্বারা যা লাভ হয়, কলিযুগে কেবলমাত্র শ্রীকৃষ্ণনাম সংকীর্তন দ্বারা তা লাভ হয়ে থাকে। তাই প্রত্যেকের উচিত ভগবানের দিব্য নাম কীর্ত্তণ ও জপ করা।"
“হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ
কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে
হরে রাম হরে রাম
রাম রাম হরে হরে।।”
পরমকরুনাময় গোলোকপতি সচ্চিদানন্দ ভগবান, পরমেশ্বর শ্রীকৃষ্ণ ও তাঁর একান্ত হ্লাদিনী শক্তি শ্রীমতী রাধারাণী আর সকল ভক্ত-পার্ষদদের শ্রীচরণকমলে নিরন্তর প্রার্থনা করি, সকলের জীবন যেনো রাধাকৃষ্ণময়তায় পূর্ণ হয়ে, মঙ্গলময়, কল্যাণময়, ভক্তিময়, সুন্দরময় আর আনন্দময় হয়ে ওঠে।
"হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ
কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে
হরে রাম হরে রাম
রাম রাম হরে হরে!!"
!!জয় হোক সকল ভক্তদের!!
!!জয় শ্রীল সুকদেব গোস্বামী!!
!!জয় শ্রীকৃষ্ণ!! জয় রাধে!!
(দেবেন্দ্র)
5 Comments:
মুখ দিয়ে প্রবেশ করলে হয়তো ফুসফুসে যাবে শ্বাসনালি দিয়ে, নয়তো পাকস্থলীতে। জরায়ুতে যাওয়ার যৌক্তিক রেফারেন্স প্রদান করুন অন্যথায় ভ্রান্ত ধারণা পরিত্যাগ করে সত্য জানুন।
শ্রী কৃষ্ণ ও রুক্মিণী দেবীর জয় 🙏🙏🙏
ভগবানের অচিন্ত্য লীলা যদি যুক্তিতর্কের দ্বারা বিচার করা যেত তাহলে তো সকলেই পন্ডিৎ হয়ে যেতো। এজন্যই ভাগবত বলছেন "মুহ্যন্তি যৎসূরয়ঃ"
ভগবান অসীম শক্তির অধিকারী।জড়জগতের মনুষ্যগনের কার্য সমূহ দ্বারা বা চিন্তা দ্বারা ভগবানের কার্য বিচার ধারনাতীত।
এই কাহিনী কোন গ্রন্থ হতে নেয়া।যদি কেউ বলতেন।
আদিতে যদি হুকুমে সৃষ্টি হয় তাহলে আগুম নিগুম শোনার পর শুকদেব কি আমাদের মতো জনীয় জন্মের প্রয়োজন আছেকি? যদি থাকে তাহলে নিগুম কথা জানার কি মহাত্ম থাকল।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন