২২ জুলাই ২০২০

১০৮ বার হনুমান চালিশা পাঠেই ঘুচবে জীবনে সংকট

৪০ অধ্যায়ে সেখা হনুমান চল্লিশার রচনা করেন রামভক্ত তুলসি দাস। পুরানো নথি ঘেঁটে জানা যায় হনুমান চল্লিশা লেখার পিছেন যে কারণ রয়েছে, তা বেজায় কষ্টদায়ক। তুলসি দাস কোনও কারণে একদিন মোঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের দরবারে গিয়েছিলেন।


লেখককে দেখে সম্রাট আদেশ দেন, "আমি শ্রী রামের দেখা পেতে চাই।" উত্তরে কবি জানান, ভক্তির চরম উচ্চতায় না পৌঁছালে ভগবান রামের দেখা পাওয়া সম্ভব নয়। উত্তরটা লেখক এমনভাবে দিয়েছিলেন যা ঔরঙ্গজেবের একেবারেই পছন্দ হয়নি। ফল কারাদন্ড! অন্ধকার কারা কুঠিরে সময় কাটানোর সময় তুলসি দাস হনুমানের সম্পর্কে যা অনুভাব করেছিলেন, তাই লিখেতে শুরু করেছিলেন।

ধীরে ধীরে লেখকের ভাবনা, শব্দের সন্ধান পেতে শুরু করে। দেখতে দেখতে শব্দবন্ধ মাত্রা ছাড়ায়। জন্ম হয় এক শক্তি কুন্ডের, যার নাম হয় হনুমান চালিশা। শাস্ত্রে বলে হনুমান চালিশা সঙ্গে থাকার কারণে জেলখানায় থাকাকলীন তুলসি দাসের কোনও কষ্টই হয়নি।

তাই তো বলা হয় জীবন থেকে কষ্টের চিহ্ন মেটাতে এই বইয়ের স্বরনাপন্ন হওয়া একান্ত প্রয়োজন। শুধু তাই নয়, একথা প্রামাণিত হয়ে গেছে যে প্রতি শনিবার সকালবেলা স্নান সেরে যদি হনুমান চালিশা পাঠ করা যায়, তাহলে সব ধরনের কষ্ট কমে যেতে শুরু করে। সেই সঙ্গে মেলে আরও নানা উপকার।

যেমন ধরুন কর্মক্ষেত্রে চরম সফলতা আসে: এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে হনুমান চল্লিশা পাঠ করার মধ্যে দিয়ে যদি নিয়মিত শ্রী হনুমানের অরাধনা করা যায়, তাহলে গুড লাক রোজের সঙ্গী হয়ে ওঠে। ফলে মনের ছোট থেকে ছোটতর ইচ্ছা পূরণ হতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে কর্মক্ষেত্রে চরম সফলতার স্বাদ পাওয়া যায়। ফলে অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটে চোখে পরার মতো।

মনের জোর বাড়ে: এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে শনিবারের পাশাপাশি প্রতিদিন যদি হনুমান চল্লিশা পাঠ করা যায়, তাহলে চারিপাশে পজেটিভ শক্তির প্রভাব এতটা বেড়ে যায় যে মনের জোর বাড়তে শুরু করে। ফলে জীবন পথে চলতে চলতে যতই বাঁধা আসুক না কেন, তা এড়িয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে কোনও কষ্টই হয় না।

একের পর এক বাধার পাহাড় সরে যায়: কথায় বলে জীবনে যত বাঁধা আসে, তত মানুষ দিসেবে আমাদের উন্নতি ঘটে। কিন্তু কখনও কখনও এমন বাঁধা আসে যে সে সময় কী করা উচিত, তা ভেবে পাওয়া যায়। এমন পরিস্থিতিতে হনুমান চল্লিশা পড়া যদি শুরু করতে পারেন, তাহলে বাধার পাহাড় সরতে সময়ই লাগে না। তাই যদি কোনও সমস্যায় বহুদিন ধরে ফেঁসে থাকেন, তাহলে আজ থেকেই হনুমান চল্লিশা পড়া শুরু করুন। দেখবেন হাতে-নাতে ফল পাবেন।

নেগেটিভ শক্তি ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না: একথা অনেকেই বিশ্বাস করেন যে আমাদের চারপাশে ঘোরাফেরা করা আত্মা বা নেগেটিভ এনার্জি নানাভাবে আমাদের ক্ষতি করার চেষ্টা চালিয়ে যায়। এমন ক্ষতির হাত থেকে বাঁচতে নিয়মিত হনুমান চল্লিশা পড়া উচিত। কারণ হনুমানের ভয়ে যে কোনও ধরনের নেগেটিভ শক্তি দূরে থাকতে বাধ্য হয়। শুধু তাই নয়, আমাদের বন্ধু-বান্ধব বা আত্মীয়-স্বজনদের খারাপ দৃষ্টি থেকে বাঁচতেও হনুমান চল্লিশা সাহায্য করে থাকে। এবার বুঝতে পরেছেন তো দৈনন্দিন জীবনের টানাপোড়েনের মাঝেও সুখে থাকতে হনুমানের সঙ্গ নেওয়ার প্রয়োজন কতটা!

স্ট্রেস এবং মানসিক অবসাদের প্রকোপ কমে: পরিসংখ্যানের দিকে নজর ফেরালে দেখতে পাবেন আজকের ডেটে যে যে মারণ রোগের প্রকোপ চোখে পরার মতো বৃদ্ধি পয়েছে, সেই সবকটি রোগের সঙ্গে স্ট্রেসের সরাসরি যোগ রয়েছে। তাই সুস্থভাবে যদি বাঁচতে চান, তাহলে স্ট্রেস এবং মানসিক অবসাদকে বাগে আনতেই হবে। আর এই কাজটি করবেন কীভাবে? খুব সহজ! নিয়মিত হনুমান চল্লিশা পড়া শুরু করুন। দেখবেন স্ট্রেস লেভেল তো কমবেই, সেই সঙ্গে মনও খুশিতে ভরে উঠবে।

শনির সাড়ে সাতির প্রভাব কমতে থাকে: একথা তো সবারই জানা আছে যে শনির মহাদশা চললে জীবনে কোনও কিছুই ঠিক মতো চলে না। একের পর এক বাঁধায় দুর্বিষহ হয়ে ওঠে জীবন। এমন পরিস্থিতিতে সুখের সন্ধান দিতে পারে একমাত্র হনুমান। বিশেষজ্ঞরা বলেন নিয়মিত হনুমান চল্লিশা পড়া শুরু করলে শনির দশা কমতে শুরু করে। সেই সঙ্গে নানাবিধ বাঁধার জাল থেকেও মুক্তির সন্ধান মেলে।


Share:

Total Pageviews

বিভাগ সমুহ

অন্যান্য (91) অবতারবাদ (7) অর্জুন (4) আদ্যশক্তি (68) আর্য (1) ইতিহাস (30) উপনিষদ (5) ঋগ্বেদ সংহিতা (10) একাদশী (10) একেশ্বরবাদ (1) কল্কি অবতার (3) কৃষ্ণভক্তগণ (11) ক্ষয়িষ্ণু হিন্দু (21) ক্ষুদিরাম (1) গায়ত্রী মন্ত্র (2) গীতার বানী (14) গুরু তত্ত্ব (6) গোমাতা (1) গোহত্যা (1) চাণক্য নীতি (3) জগন্নাথ (23) জয় শ্রী রাম (7) জানা-অজানা (7) জীবন দর্শন (68) জীবনাচরন (56) জ্ঞ (1) জ্যোতিষ শ্রাস্ত্র (4) তন্ত্রসাধনা (2) তীর্থস্থান (18) দেব দেবী (60) নারী (8) নিজেকে জানার জন্য সনাতন ধর্ম চর্চাক্ষেত্র (9) নীতিশিক্ষা (14) পরমেশ্বর ভগবান (25) পূজা পার্বন (43) পৌরানিক কাহিনী (8) প্রশ্নোত্তর (39) প্রাচীন শহর (19) বর্ন ভেদ (14) বাবা লোকনাথ (1) বিজ্ঞান ও সনাতন ধর্ম (39) বিভিন্ন দেশে সনাতন ধর্ম (11) বেদ (35) বেদের বানী (14) বৈদিক দর্শন (3) ভক্ত (4) ভক্তিবাদ (43) ভাগবত (14) ভোলানাথ (6) মনুসংহিতা (1) মন্দির (38) মহাদেব (7) মহাভারত (39) মূর্তি পুজা (5) যোগসাধনা (3) যোগাসন (3) যৌক্তিক ব্যাখ্যা (26) রহস্য ও সনাতন (1) রাধা রানি (8) রামকৃষ্ণ দেবের বানী (7) রামায়ন (14) রামায়ন কথা (211) লাভ জিহাদ (2) শঙ্করাচার্য (3) শিব (36) শিব লিঙ্গ (15) শ্রীকৃষ্ণ (67) শ্রীকৃষ্ণ চরিত (42) শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু (9) শ্রীমদ্ভগবদগীতা (40) শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা (4) শ্রীমদ্ভাগব‌ত (1) সংস্কৃত ভাষা (4) সনাতন ধর্ম (13) সনাতন ধর্মের হাজারো প্রশ্নের উত্তর (3) সফটওয়্যার (1) সাধু - মনীষীবৃন্দ (2) সামবেদ সংহিতা (9) সাম্প্রতিক খবর (21) সৃষ্টি তত্ত্ব (15) স্বামী বিবেকানন্দ (37) স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (14) স্মরনীয় যারা (67) হরিরাম কীর্ত্তন (6) হিন্দু নির্যাতনের চিত্র (23) হিন্দু পৌরাণিক চরিত্র ও অন্যান্য অর্থের পরিচিতি (8) হিন্দুত্ববাদ. (83) shiv (4) shiv lingo (4)

আর্টিকেল সমুহ

অনুসরণকারী

" সনাতন সন্দেশ " ফেসবুক পেজ সম্পর্কে কিছু কথা

  • “সনাতন সন্দেশ-sanatan swandesh" এমন একটি পেজ যা সনাতন ধর্মের বিভিন্ন শাখা ও সনাতন সংস্কৃতিকে সঠিকভাবে সবার সামনে তুলে ধরার জন্য অসাম্প্রদায়িক মনোভাব নিয়ে গঠন করা হয়েছে। আমাদের উদ্দেশ্য নিজের ধর্মকে সঠিক ভাবে জানা, পাশাপাশি অন্য ধর্মকেও সম্মান দেওয়া। আমাদের লক্ষ্য সনাতন ধর্মের বর্তমান প্রজন্মের মাঝে সনাতনের চেতনা ও নেতৃত্ত্ব ছড়িয়ে দেওয়া। আমরা কুসংষ্কারমুক্ত একটি বৈদিক সনাতন সমাজ গড়ার প্রত্যয়ে কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের এ পথচলায় আপনাদের সকলের সহযোগিতা কাম্য । এটি সবার জন্য উন্মুক্ত। সনাতন ধর্মের যে কেউ লাইক দিয়ে এর সদস্য হতে পারে।