লেখককে দেখে সম্রাট আদেশ দেন, "আমি শ্রী রামের দেখা পেতে চাই।" উত্তরে কবি জানান, ভক্তির চরম উচ্চতায় না পৌঁছালে ভগবান রামের দেখা পাওয়া সম্ভব নয়। উত্তরটা লেখক এমনভাবে দিয়েছিলেন যা ঔরঙ্গজেবের একেবারেই পছন্দ হয়নি। ফল কারাদন্ড! অন্ধকার কারা কুঠিরে সময় কাটানোর সময় তুলসি দাস হনুমানের সম্পর্কে যা অনুভাব করেছিলেন, তাই লিখেতে শুরু করেছিলেন।
ধীরে ধীরে লেখকের ভাবনা, শব্দের সন্ধান পেতে শুরু করে। দেখতে দেখতে শব্দবন্ধ মাত্রা ছাড়ায়। জন্ম হয় এক শক্তি কুন্ডের, যার নাম হয় হনুমান চালিশা। শাস্ত্রে বলে হনুমান চালিশা সঙ্গে থাকার কারণে জেলখানায় থাকাকলীন তুলসি দাসের কোনও কষ্টই হয়নি।
তাই তো বলা হয় জীবন থেকে কষ্টের চিহ্ন মেটাতে এই বইয়ের স্বরনাপন্ন হওয়া একান্ত প্রয়োজন। শুধু তাই নয়, একথা প্রামাণিত হয়ে গেছে যে প্রতি শনিবার সকালবেলা স্নান সেরে যদি হনুমান চালিশা পাঠ করা যায়, তাহলে সব ধরনের কষ্ট কমে যেতে শুরু করে। সেই সঙ্গে মেলে আরও নানা উপকার।
যেমন ধরুন কর্মক্ষেত্রে চরম সফলতা আসে: এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে হনুমান চল্লিশা পাঠ করার মধ্যে দিয়ে যদি নিয়মিত শ্রী হনুমানের অরাধনা করা যায়, তাহলে গুড লাক রোজের সঙ্গী হয়ে ওঠে। ফলে মনের ছোট থেকে ছোটতর ইচ্ছা পূরণ হতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে কর্মক্ষেত্রে চরম সফলতার স্বাদ পাওয়া যায়। ফলে অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটে চোখে পরার মতো।
মনের জোর বাড়ে: এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে শনিবারের পাশাপাশি প্রতিদিন যদি হনুমান চল্লিশা পাঠ করা যায়, তাহলে চারিপাশে পজেটিভ শক্তির প্রভাব এতটা বেড়ে যায় যে মনের জোর বাড়তে শুরু করে। ফলে জীবন পথে চলতে চলতে যতই বাঁধা আসুক না কেন, তা এড়িয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে কোনও কষ্টই হয় না।
একের পর এক বাধার পাহাড় সরে যায়: কথায় বলে জীবনে যত বাঁধা আসে, তত মানুষ দিসেবে আমাদের উন্নতি ঘটে। কিন্তু কখনও কখনও এমন বাঁধা আসে যে সে সময় কী করা উচিত, তা ভেবে পাওয়া যায়। এমন পরিস্থিতিতে হনুমান চল্লিশা পড়া যদি শুরু করতে পারেন, তাহলে বাধার পাহাড় সরতে সময়ই লাগে না। তাই যদি কোনও সমস্যায় বহুদিন ধরে ফেঁসে থাকেন, তাহলে আজ থেকেই হনুমান চল্লিশা পড়া শুরু করুন। দেখবেন হাতে-নাতে ফল পাবেন।
নেগেটিভ শক্তি ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না: একথা অনেকেই বিশ্বাস করেন যে আমাদের চারপাশে ঘোরাফেরা করা আত্মা বা নেগেটিভ এনার্জি নানাভাবে আমাদের ক্ষতি করার চেষ্টা চালিয়ে যায়। এমন ক্ষতির হাত থেকে বাঁচতে নিয়মিত হনুমান চল্লিশা পড়া উচিত। কারণ হনুমানের ভয়ে যে কোনও ধরনের নেগেটিভ শক্তি দূরে থাকতে বাধ্য হয়। শুধু তাই নয়, আমাদের বন্ধু-বান্ধব বা আত্মীয়-স্বজনদের খারাপ দৃষ্টি থেকে বাঁচতেও হনুমান চল্লিশা সাহায্য করে থাকে। এবার বুঝতে পরেছেন তো দৈনন্দিন জীবনের টানাপোড়েনের মাঝেও সুখে থাকতে হনুমানের সঙ্গ নেওয়ার প্রয়োজন কতটা!
স্ট্রেস এবং মানসিক অবসাদের প্রকোপ কমে: পরিসংখ্যানের দিকে নজর ফেরালে দেখতে পাবেন আজকের ডেটে যে যে মারণ রোগের প্রকোপ চোখে পরার মতো বৃদ্ধি পয়েছে, সেই সবকটি রোগের সঙ্গে স্ট্রেসের সরাসরি যোগ রয়েছে। তাই সুস্থভাবে যদি বাঁচতে চান, তাহলে স্ট্রেস এবং মানসিক অবসাদকে বাগে আনতেই হবে। আর এই কাজটি করবেন কীভাবে? খুব সহজ! নিয়মিত হনুমান চল্লিশা পড়া শুরু করুন। দেখবেন স্ট্রেস লেভেল তো কমবেই, সেই সঙ্গে মনও খুশিতে ভরে উঠবে।
শনির সাড়ে সাতির প্রভাব কমতে থাকে: একথা তো সবারই জানা আছে যে শনির মহাদশা চললে জীবনে কোনও কিছুই ঠিক মতো চলে না। একের পর এক বাঁধায় দুর্বিষহ হয়ে ওঠে জীবন। এমন পরিস্থিতিতে সুখের সন্ধান দিতে পারে একমাত্র হনুমান। বিশেষজ্ঞরা বলেন নিয়মিত হনুমান চল্লিশা পড়া শুরু করলে শনির দশা কমতে শুরু করে। সেই সঙ্গে নানাবিধ বাঁধার জাল থেকেও মুক্তির সন্ধান মেলে।
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন