আমরা অনেক সময় পশ্চিমবঙ্গ, কেরল , জম্মু ও কাশ্মীর এ হিন্দু জনসংখ্যা হ্রাস এর বিষয়ে আলোচনা করি বা চিন্তা করি ,, কিন্তু আজ পর্যন্ত কেউ উওর পূর্ব ভারতের হিন্দুদের নিয়ে চিন্তা করেনি , শুধু হিন্দুই নয় উওর-পূর্ব ভারতের সাধারণ জনতাদের নিয়েও কেউ চিন্তা করেনি । ১৯৭০ সালের পর থেকে এই অঞ্চলে হিন্দুদের সংখ্যা সাতটি রাজ্যেই দ্রুত হারে কমেছে ।
১৷ ত্রিপুরাতে ১৯৭১ সালে যেখানে ৮৯% হিন্দু ছিল যা বর্তমানে ৮৩% ।
২৷ আসামে ১৯৭১ সালে যেখানে ৭১% হিন্দু ছিল যা বর্তমানে ৬০% প্রায় ।
৩৷ মণিপুরে যেখানে ৬০% হিন্দু ছিল যা বর্তমানে ৪০% প্রায় ।
৪৷ অরুনাচলপ্রদেশ যেখানে হিন্দুদের সংখ্যা বেড়েছে ১৯৭১ সালে যেখানে ২২% হিন্দু ছিল তা বর্তমানে ৩০% এর মতো ।
৫৷ মেঘালয় যেখানে ১৬% হিন্দু ছিল যা বর্তমানে ১১% ।
৬৷ নাগাল্যান্ড যেখানে ১১% হিন্দু ছিল যা বর্তমানে ৯% ।
৭৷ মিজোরাম যেখানে ৬% হিন্দু ছিল যা বর্তমানে ২% এর একটু বেশি ।
এইসব রাজ্যে হিন্দুদের সংখ্যা এত দ্রুত গতিতে হ্রাসের কারণ কি ?
উওর :- এই অঞ্চলে হিন্দুদের সংখ্যা কমার পেছনে সবচেয়ে বড়ো কারণ হলো ১৷ ধর্ম পরিবর্তন :- ১৯৭১ থেকে যদি দেখা যায় তাহলে দেখা যাবে যে এই অঞ্চলে কমপক্ষে ২০ লক্ষ হিন্দু ধর্ম পরিবর্তন করেছেন , এর জন্য দায়ী কিন্তু হিন্দুরাই । ২৷ অনুপ্রবেশ :- অনুপ্রবেশ এই অঞ্চলে একটা বড়ো সমস্যা বিশেষ করে আসামের ক্ষেত্রে, বিগত কয়েক দশকে কয়েক লক্ষ বাংলাদেশী মুসলিমের অনুপ্রবেশ ঘটেছে , যা আসামের জনবিন্যাস এর ব্যাপক পরিবর্তন করেছে । অনুপ্রবেশ শুধু আসামেই হয়নি হয়েছে মণিপুরেও , মণিপুরের জনবিন্যাস পরিবর্তন করার জন্য খ্রিস্টান বহুল নাগাল্যান্ড থেকে ঘটেছে অনুপ্রবেশ । ৩৷ জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কম :- জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার একটা বড়ো কারণ ।
তাছাড়া মেঘালয়ে হিন্দুদের সংখ্যা কমে যাওয়া পেছনে পলায়ন দায়ী, ১৯৮০ সালের দিকে মেঘালয়ে খাসিয়া ও বিশেষ করে বাঙালির মধ্যে ব্যাপক দাঙ্গা হয় যার ফলে কমপক্ষে ২০ হাজার বাঙালি মেঘালয় ছেড়ে চলে যায় , এটাও একটা বড়ো কারণ , ঠিক তেমনি মিজোরামেও ১৯৯৮ সালে রিয়াং ও মিজোদের মধ্যে জাতিগত দাঙ্গার ফলে রিয়াংদের পলায়ন ।
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন