Sir William James কে আমরা হয়তো অনেকেই চিনি; একজন নামকরা বিজ্ঞানী। তিনি ঈশ্বর বলে কিছু মানতেন না। কিন্তু, যারা মানতেন তাঁদের সম্বন্ধে তাঁর বিশেষ দরদ ছিল। কারণ, তিনি দেখেছেন যে পৃথিবীর কোটি কোটি লোক ঈশ্বর মানে। তিনি অনেক ঈশ্বর বিশ্বাসী সাধারন লোকের সাথে মিলে মিশে তাদের
মনের ভাব জেনে একটা বই লিখেছিলেন- “Varieties
of Religious Experience”
এই বইটিতে তিনি বিজ্ঞানীদের সতর্ক করে দিয়েছেন এই কথা বলে
যে; “ঈশ্বর বলে কোন কিছুর অস্তিত্ব নেই- একথা কখনোই মানুষের কাছে প্রচার করবেন না। কারণ, ঈশ্বর বিশ্বাস মানুষকে যা দিতে পারে; আপনারা কিছুতেই
তা দিতে পারেন না। ঈশ্বর নেই এইকথা
মানব সমাজে বলার কোন অধিকারই আপনার নেই। একটি ব্যাধিগ্রস্ত ছেলের মা যখন ঠাকুর মন্দিরে ডুকে কিছুক্ষন পরে বেরিয়ে এলো; তখন দেখা গেল, তার দুঃখভারাকান্ত
মুখে উজ্জ্বলতার ছাপ পড়েছে। সে যেন তার মনের বাথা কাউকে জানিয়ে এলো এবং যাকে জানালো সে তার কথা শুনেছে এবং
তার ছেলেকে ভালও করে দিবে। ব্যাধিগ্রস্ত সন্তানের মায়ের মনের এ পরিবর্তন কোন বিজ্ঞানী আনতে পারবে না।
আজ পর্যন্ত কোন Laboratory তে এমন কোন যন্ত্র বা Chemical আবিস্কার হয় নি, এমন কোন অংকের ফরমুলা
বা equation নেই। কাজেই যতদিন না
আপনারা সে ধরনের কিছু আবিস্কার করতে পারছেন, ততদিন তাকে বিশ্বাস করতে দেন যে, ভগবান আছেন।
তার এ বিশ্বাসটুকু কেড়ে নেবার আপনার কি অধিকার আছে???
[পুনশ্চঃ নাস্তিকতার আবরণ পরে বিজ্ঞানের হাওয়ায় গাঁ ভাসিয়ে মানবের চৈতন্যকে অস্বীকার
করা এবং মানব চেতনার ক্রমবিকাশ, ব্যাপকতা ও বিশালতাকে উপেক্ষা করা একটি ক্ষতিকারক দুর্গতিপূর্ণ বিপ্লব। এটা একটা বিশাল বড় বোকামি। হিন্দু জাতির যে আধ্যাত্মিক ধাত, সেই ধাতে আমাদের
পূর্বপুরুষ সহস্র বছর ধরে সাধনা করে আসছে; আমরা যেন তা থেকে বিচ্যুত না হই। বিজ্ঞানের চর্চা আমরা অবশ্যই করবো, তবে আমাদের ধর্মীয়
চেতনাকে বিসর্জন দিয়ে নয়। তবেই সর্বনাশ হতে পারবে না। মঙ্গল আসবেই।]
@joy ray
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন