যজুর্বেদ ৪০.৮, ঈশোপনিষদ-৮
সপর্ষগাচ্ছুক্রমকায়মব্রণমস্রাবিরং শুদ্ধমপাপবিদ্ধম্।
কবির্মনীষী পরিভুঃ স্বয়ম্ভুর্ষাথানথ্যতোর্থান্ব্যশ্চতীভ্যঃ সমাভ্যঃ।।
ঈশ্বর সবর্ব্যাপক, জ্যোতির্ময়, শরীর রহিত, নিখুত, স্নায়ু আদি বন্ধন রহিত, পবিত্র। তিনি সর্বজ্ঞ, সকলের অন্তরজ্ঞাতা, সকল প্রকার পাপ হতে মুক্ত এবং তিনি স্বয়ং বিদ্যমান বা সয়ম্ভু। তিনি যথার্থরূপে বেদের মাধ্যমে তাঁর স্মরণীয় গুণের সমস্ত কিছু প্রকাশ করেছেন, তিনি জন্ম ও মৃত্যুর বন্ধন হতে মুক্ত।
এই মন্ত্রটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কেননা এতে একই সঙ্গে ঈশ্বর ও বেদ সম্পর্কে আলোকপাত করেছে। যারা ঈশ্বরের স্বরূপ সম্পর্কে জানতে চান তাদের জন্য এই একটি মন্ত্রই যথেষ্ট। এই মন্ত্রে ঈশ্বরের পূর্ণ রূপ আক্ষরিক অর্থেই প্রতিফলিত হয়েছে। এমনকি এই মন্ত্রে এটিও স্পষ্ট হয়েছে যে ঈশ্বরের সম্পূর্ণ জ্ঞান এই পবিত্র বেদেই অবতীর্ণ হয়েছে। যার ফলে পরবর্তীতে আব্রাহামিক মতবাদ এর ন্যায় যুগে যুগে কিতাব নাজিল করতে হয় না। কারণ বেদ স্বয়ং সম্পূর্ণ। আর কিছু ধর্ম ব্যবসায়ী আছে, যারা প্রচার করে ‘‘বেদ পড়ো না। বেদ অতি পবিত্র তা কলিযুগের জন্য নয়।’’ তারা এই কথা বলে কারণ আমরা যদি বেদ পাঠ করি এবং বেদ আচার্যের ব্যাখ্যা অনুধাবন করি তবে আমরা নিজেরাই ঈশ্বরকে জানতে পারব। আমাদের ধর্মকে যথার্থরূপে অনুধাবন করতে পারব। যা এই মন্ত্রে বলা হয়েছে। তবেই ঐসকল ধর্মব্যবসায়ীদের ব্যবসা ভন্ডুল হবে। অবশ্যই বেদ পবিত্র, আর সেই পবিত্রতা আমরা ইচ্ছে করলে নিজেরাই অর্জন করতে পারি। আসুন আমরা সকলে বেদকে জানি, সত্য ধর্মকে জানি এবং ঈশ্বরকে জানি।
সপর্ষগাচ্ছুক্রমকায়মব্রণমস্রাবিরং শুদ্ধমপাপবিদ্ধম্।
কবির্মনীষী পরিভুঃ স্বয়ম্ভুর্ষাথানথ্যতোর্থান্ব্যশ্চতীভ্যঃ সমাভ্যঃ।।
ঈশ্বর সবর্ব্যাপক, জ্যোতির্ময়, শরীর রহিত, নিখুত, স্নায়ু আদি বন্ধন রহিত, পবিত্র। তিনি সর্বজ্ঞ, সকলের অন্তরজ্ঞাতা, সকল প্রকার পাপ হতে মুক্ত এবং তিনি স্বয়ং বিদ্যমান বা সয়ম্ভু। তিনি যথার্থরূপে বেদের মাধ্যমে তাঁর স্মরণীয় গুণের সমস্ত কিছু প্রকাশ করেছেন, তিনি জন্ম ও মৃত্যুর বন্ধন হতে মুক্ত।
এই মন্ত্রটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কেননা এতে একই সঙ্গে ঈশ্বর ও বেদ সম্পর্কে আলোকপাত করেছে। যারা ঈশ্বরের স্বরূপ সম্পর্কে জানতে চান তাদের জন্য এই একটি মন্ত্রই যথেষ্ট। এই মন্ত্রে ঈশ্বরের পূর্ণ রূপ আক্ষরিক অর্থেই প্রতিফলিত হয়েছে। এমনকি এই মন্ত্রে এটিও স্পষ্ট হয়েছে যে ঈশ্বরের সম্পূর্ণ জ্ঞান এই পবিত্র বেদেই অবতীর্ণ হয়েছে। যার ফলে পরবর্তীতে আব্রাহামিক মতবাদ এর ন্যায় যুগে যুগে কিতাব নাজিল করতে হয় না। কারণ বেদ স্বয়ং সম্পূর্ণ। আর কিছু ধর্ম ব্যবসায়ী আছে, যারা প্রচার করে ‘‘বেদ পড়ো না। বেদ অতি পবিত্র তা কলিযুগের জন্য নয়।’’ তারা এই কথা বলে কারণ আমরা যদি বেদ পাঠ করি এবং বেদ আচার্যের ব্যাখ্যা অনুধাবন করি তবে আমরা নিজেরাই ঈশ্বরকে জানতে পারব। আমাদের ধর্মকে যথার্থরূপে অনুধাবন করতে পারব। যা এই মন্ত্রে বলা হয়েছে। তবেই ঐসকল ধর্মব্যবসায়ীদের ব্যবসা ভন্ডুল হবে। অবশ্যই বেদ পবিত্র, আর সেই পবিত্রতা আমরা ইচ্ছে করলে নিজেরাই অর্জন করতে পারি। আসুন আমরা সকলে বেদকে জানি, সত্য ধর্মকে জানি এবং ঈশ্বরকে জানি।
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন