নমস্তুভ্যং বিরূপাক্ষং নমস্তে দিব্যচক্ষুষে।
নমঃ পিণাকহস্তায় বজ্রহস্তায় বৈ নমঃ।।
নমস্ত্রিশূলহস্তায় দণ্ডপাশাংসিপাণয়ে।
নমস্ত্রৈলোক্যনাথায় ভূতানাং পতয়ে নমঃ।।
শ্রীশ্রী শিবের অষ্টোত্তর শতনামঃ
দিকপতি মহাদেব পৃথিবীর পতি ।
ভূত-গতি ভুত-পতি আর শান্তমতি ।।
শান্তিময় আর নাম হয় হরি হর।
শিবশম্ভু কহে মোরে আর দিগম্বর ।।
দাতা ভোক্তা নাম মোর কর অবধান।
দিনমনি মহীপাল আর অনুপম।।
ভৈরবগণের প্রভু জানিবে শিবানী ।
আশুতোষ কৃপাসিন্ধু আর শূলপাণি।।
ভূতচক্র ভুতপতি আর খগেশ্বর।
খেপা খ্যাতি নাম মোর খ্যাত চরাচর।।
শ্রী অঙ্গ আমারে কহে কাল কালময়।
ত্রিশূলধারী আর নাম সদা দয়াময়।।
জগত পালন নাম বিষ্ণুর ভবন।
ভরণীর নাম এই অতি মনোরম।।
অপর নাম গৌরীবর বলে সর্বজন।
কল্পজাত কল্পময় জানে ত্রিভুবনে।।
কৃপাণধারী কহে মোরে জগত মাঝারে।
সংসারনাশক নাম বিখ্যাত সংসারে।।
রমণীর প্রমুগ্ধ হয় আর এক নাম।
সর্ব্বদেব অধিকারী সুন্দর সুঠাম।।
ত্র্যম্বক এক নাম অপর ত্রিপুরারি।
সকলেতে নাম লয় ত্রি-জগৎ ভরি।।
দীনদুঃখী বলি মোর হয় এক নাম।
আরো কহে সবে মোরে নবঘনশ্যাম।।
ব্যাঘ্রচর্ম্ম পরিধান কেহ কেহ বলে।
বৃষভ বাহন কেহ বলয়ে আমারে।।
বিঘ্নহারী মম নাম জানিবে শিবানী।
অপর নাম হয় বিভু শূলপাণি।।
ত্রিশূলধারী নাম মোর বিদিত ভুবন।
অন্য নাম চণ্ডীবর জ্ঞাত সর্বজন।।
যোগীশ্রেষ্ট বলে দেবী জানিবে আমাকে।
যোগেশ্বর বলে মোরে ব্রম্মাণ্ডের লোকে।।
যমরাজ, কাল, যম, হয় মোর নাম।
শব, মড়া, মম নাম বিদিত ভুবন।।
অন্য এক নাম দেবী ভোলানাথ কয়।
অন্য নাম মহাকাল অপর অভয়।।
ভোলা নামে ডাকে মোরে বিশ্বের মাঝারে।
নীলকণ্ঠ নাম মম খ্যাত চরাচরে।।
উমাপতি নাম মম খ্যাত জগত ঈশ্বর।
নিজে হর হই আমি নাম গৌরীবর।।
বাতরূপী আমি হই জানিবে শিবানী ।
তব স্বামী হই আমি তুমি দাক্ষায়ণী।।
ধূর্জ্জটি অপর নাম খ্যাত চরাচর।
ব্রহ্মাণ্ডে বিখ্যাত নাম আমিই ঈশ্বর ।।
-শ্রীশ্রী শিবের অষ্টোত্তর শতনাম সম্পূর্ণ-
‘শিব বলে কথা মোর শুনিলে মঙ্গলা।
পড়িবে আমার শাস্ত্র বিপদের বেলা।।’
পোষ্ট কার্টেসীঃ অমিত
1 Comments:
হর হর মহাদেব
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন