---------------------------------------------------------------------------------------------------
আসুন সবায় নিজে পরি অন্যকে ও পড়তে উৎসাহিত করি। এতদিন যা ধরা ছোঁয়ার বাইরে
রেখেছিলেন জ্ঞান পাপীরা কঠিন বলে, আমরা তা চর্চা করে প্রমান করেদিব সত্যকে
চেপে রাখা যায় না। আপনারা আপমাকে আশীর্বাদ করবেন যেন আমি এই কাজে সফল হতে
পারি।
----------------------------------------------------------------------------------------------------সংহিতা : প্রথম মন্ডল : ১৮
সুক্ত।। ব্রহ্মণ স্পতি প্রভৃতি দেবতা। কর্ণের পুত্র মেধাতিথি ঋষি। গায়ত্রী ছন্দ।
অনুবাদঃ
১/- হে ব্রহ্মনস্পতি (১) ! সোম রস দাতাকে (অর্থাৎ আমাকে) উশিজ পুত্র কক্ষীবানের (২) ন্যায় দেবগণের নিকট প্রসিধ কর।
২/- যিনি ধনবান, রোগ – হন্তা, ধনদাতা, পুষ্টিবর্ধক ও শীঘ্র ফলপ্রদ, সে ব্রাহ্মণ স্পতি আমাদের অনুগ্রহ করুন।
৩/- উপদ্রপ কারী মানুষের হিংসা যুক্ত নিন্দা আমাদের সেন স্পর্শ না করে, হে ব্রহ্মণস্পতি! আমাদের রক্ষা কর।
৪/- যে মানুষ্যকে ইন্দ্র ও ব্রাহ্মণস্পতি ও সোম বর্ধন করেন সে বীর বিনাশ প্রাপ্ত হয় না।
৫/- হি ব্রাহ্মানস্পতি! তুমি ও সোম ও ইন্দ্র ও দক্ষিণা (৩) সে মানুষ কে পাপ হতে রক্ষা কর।
৬/- বিস্ময়কর, ইন্দ্রপ্রিয় কমনীয় ও ধনদাতা সদসম্পতির নিকট মেধাশক্তি জাঞ্চা করছি।
৭/- যারা প্রসাধ ব্যতীত জ্ঞানমানেরও যজ্ঞ সিদ্ধ হয় না। সে সদসম্পত্তি আমাদের মানসিক প্রবৃত্তি সমূহের যোগ ব্যাপে আছেন।
৮/- পরে তিনি হব্য-সম্পাদক যজমানকে বর্ধন করেন, যজ্ঞ সম্যকরূপে সমাপন করেন, (তাঁর প্রসাদে) আমাদের স্তুতি দেবগণকে প্রাপ্ত হয়।
৯/- বিক্রম শালী সুবিখ্যাত আকাসের ন্যায় প্রাপ্ত তেজা নরশংসকে (৪) আমি দেখছি।
টিকাঃ
(১) - মূলে 'ব্রহ্মাণঃ' আছে। ঋগ্বেদে 'ব্রহ্ম' অর্থে স্তুতি বা প্রার্থনা
এবং 'ব্রহ্ম' অর্থে স্তুতিকারী পুরোহিত। সায়ণ এ অর্থ করেছেন, এবং ইউরোপীয়
পন্ডিতগণও ঐ অর্থ করেন। পন্ডিতবর রোথ 'ব্রহ্ম' শব্দের সাতটি অর্থ করেছেন,
যথা - প্রার্থনা, মন্ত্র, পবিত্রবাক্য, জ্ঞান, সততা, পরমাত্মা, এবং
পুরোহিত। মক্ষমূলর বিবেচনা করেন বৃহ ধাতুর একটি অর্থ বর্ধন, আর একটি অর্থ
বাক্য এবং ঐ ধাতু হতে 'বৃহস্পতি' ও 'ব্রহ্মণস্পতি' উৎপন্ন হয়েছে। Origin
and Growth of Religion (1882) PP. 366, 367 note. ব্রহ্মণস্পতি বা
বৃহস্পতি স্তুতিদেব।
(২) মহাভারতের মৎস্য পুরাণে ও বায়ু পুরাণে
কক্ষীবানের গল্প আছে। ঋকবেদে কক্ষীবান একজন ঋষি, এ মণ্ডলের ১১৫ ও ১২৫ সুক্ত
তাঁর রচিত। কলিঙ্গ রাজ সন্তান আকাঙ্ক্ষায় তাঁর রানীকে দীর্ঘতমা মুনির
সঙ্গে সহবাসের আদেশ দিয়েছিলেন। রানী সয়ং না গিয়ে দাসী উশিজকে পাঠিয়ে দিলেন।
মুনি টা বুঝতে পারলেন, এবং উশিজের দ্বারা কক্ষীবান নামক সন্তান উৎপাদন
করলেন। এ গল্পটি আধুনিক। প্রকৃত কক্ষীবান একজন বৈদিক ঋষি। এ ঋকবেদের প্রথম
মণ্ডলের ১৫৫ হতে ১২৫ সূক্তির ঋষি কক্ষীবান।
(৩) যজ্ঞান্তে দান ই দক্ষিণা, এখানে দিবী বলে আহূত করেছেন।
(৪) অগ্নির নাম বিশেষ।
এডমিন (সনাতন)
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন