★★★ মূর্তির উপর যার কোনো ভালোবাসা নেই,যার মূর্তিপূজকের উপর হিংসাভাব থাকে,এবং হিংসাভাব নিয়ে যারা মূর্তি ভেঙে ফেলে,তাদের উপর ভগবান তার প্রভাব এবং মহিমা কেনই বা প্রকাশিত করবেন? ভগবানের মহত্ত্ব শ্রদ্ধাভাবের হ্মেত্রেই প্রকাশিত হয়। আমারা যারা মূর্তিপূজাকরি তাদের মূর্তিতে ভগবান আছেন,এই বিশ্বাস পূর্নভাবে না থাকার জন্য অধার্মিক ব্যক্তিমূর্তি ভাঙতে চায় এবং ভগবানো তার মহিমা তাদের কাছে প্রকাশ করেন না। আবার যে সব ভক্তের মূর্তিতে ভগবানআছেন এরুপ দৃঢ় শ্রদ্ধা বিশ্বাস থাকে,সেখানে ভগবান নিজ মহিমা প্রকাশ করেন।
★★★ যেমন গুজরাটে সুরাটের কাছে এক শিবের মন্দির আছে।তাতে যে শিবলিঙ্গ আছে,তার গাত্রে অসংখ্য ছিদ্র,তার কারন যখন মুসলমানেরা সেই শিবলিঙ্গ টি ভাঙতে এসেছিল তখন সেই লিঙ্গ থেকে অসংখ্য বড় বড় ভ্রমর বেরিয়ে দুর্বৃত্তদের তাড়িয়ে দিয়েছিল।
★★★ একবার,দুবার নয়, বারবার মুসলমান দের হাতে বিশ্বনাথ মন্দির ধংস হওয়ায় অনেক শিবভক্তেরই মনের জিঞ্জাসা,,,ওই পাপিষ্ঠদের শাস্তি দিতে কেন শিব রুদ্রমূর্তি ধারন করেননি? কেন শিব রুদ্রমূর্তি ধরেননি,তাবলা না গেলেও জানা যায় গজনীর সুলতান মামুদ থেকে শুরু করে যারাই কাশী বিশ্বনাথের মন্দির নষ্ট করেছেন,পরবর্তীকালে তারা কেউ শান্তিতে থাকতে পারেননি।প্রত্যেককেই শাস্তি পেতে হয়েছে।সুলতান মামুদের সুখভোগ কপালে বেশী দিন জোটেনি। গুপ্তঘাতকের হাতে তার জীবন যায়।মহম্মদ ঘোরী,কুতুবউদ্দিন আইবক,সিকন্দর লোদি এদের প্রত্যেকের জীবন ছিল নানান সমস্যায় জর্জরিত।
আওরঙ্গজেব দীর্ঘ আশি বছরের জীবনের বেশির ভাগ সময়ি কেটেছে দুশ্চিন্তায়।শেষজীবনে অসুস্থ আওরঙ্গজেবের কথাও গিয়েছিল জড়িয়ে।যে মুখেতিনি বারাণসী মন্দির ভেঙ্গে দিয়ে মসজিদ তৈরীর হুকুম দেন,শোনা যায় তার সেই মুখ বেকেও গিয়েছিল।এমনকি ভারতের সর্বশক্তিমান বাদশাহ আওরঙ্গজেবের মৃত্যুকালে তার কোন সন্তানই তার কাছে উপাস্থিত ছিলেন না।। আর সব থেকে বড় চমৎকারি ঘটনা হোল পাপাচারী আওরঙ্গজেব মৃত্যুর পড়েই বিশাল মোঘল সাম্রাজ্যের পতন।(কথায়আছে পাপ বাপকেও ছাড়ে না)
★★★ শ্রীমদ্ভাগবত (৭।১।২৯-৩০) "একজন নয়, অনেক ব্যক্তিই কাম,দ্বেষ,ভয়,স্নেহ দ্বারা মনকে ভগবানে নিবিষ্ট করে নিজের সকল পাপ মুছে সেইভাবেই ভগবানকে লাভ করে,যেমন, ভক্ত ভক্তি দ্বারা লাভ করে,যেমন গোপীরা কাম দ্বারা,কংস ভয়ের দ্বারা,শিশুপাল দন্তবক্ত্র প্রমুখ রাজারা দ্বেষের দ্বারা,যদু বংশীয়রা পারিবারিক সম্পর্কের দ্বারা,যুধিষ্ঠির ইত্যাদি স্নেহের দ্বারা এবং নারদাদি ভক্তি দ্বারা নিজ মন ভগবানে নিবিষ্ট করেছেন।।।"
★★★ এতো গেলো সব তাত্ত্বিক প্রবচন যা প্রকৃত ধর্মিক ব্যক্তিরা বোলেথাকেন,, কিন্তু বর্ত্তমান যুগে যখন কোন দুরাচারী পশু আমাদের ধর্মকে অবমাননাকরে তখন আমাদের মতন ঈশ্বর বিশ্বাসী স্বল্পধার্মিক সনাতনী হিন্দুদের কি কর্তব্য???? আমার ব্যক্তিগত মতামত, যদীও আমার ঞ্জান সীমাবদ্ধ, আমি অতি নগণ্য মানুষ তবুও যখন পশুরা তাদের পশুত্বে নমুনা স্বরুপ আমাদের ভাবাবেগে আঘাত করে তখন কিছু না কোরতে পারার অপরাধ আমাকে কুরে কুরে খায়।
★★★ আমাদের ধর্মাদর্শন কখনই কোন প্রকার হিংসার কথা বলেনা,তাই আমারা ধর্মঞ্জানি না হয়েও জেনিটিক্যালি অন্যদের চাইতে একটু ঠান্ডা এবং ধৈর্যবান।আমাদের পূর্বপুরুষদের অসীম ধৈর্যের ফলেই আজো পৃথিবীর বুকে সনাতন রুপি মানবের প্রকৃত ধর্ম দর্শন টিকে আছে, যুগ যুগ ধরে শত আঘাত সহন কোরেও আজো আমারঅসীম অটল, সে শুধু পূর্বপুরুষদের ধৈর্য আর সুগভীর ধর্মদর্শনেরবুনিয়াদের জন্যি সম্ভবপর হয়েছে। যারা ঈশ্বরের অনুরক্ত নয় কেবলি শরীর সর্বস্য ভোগবাদী তারা তো কবেই বেরিয়ে গেছে।আর ক্রমাগত চেষ্টা চালিয়েযাচ্ছে আমাদের কে ভূল পথে চালিত করার,আর যে খানে চালিত কোরতে পারছেনা সেখানে মন্দিরভেঙে মূর্তি ভেঙে আমাদের আত্মবিশ্বাসকে চূর্ন কোরতে,কিন্তু পশু গুলো যানেনা যে তাদের আগেয় অনেক বড় মাপের জানোয়ারাও যুগেরপড় যুগ ধরে এই একি প্রচেষ্টা চালিয়ে গেছিল আর কালে তমসায় তলিয়ে গেছে।।মধ্যযুগে হাজার হাজার মন্দির, মূর্তি ভেঙে লহ্ম লহ্ম ধর্মান্তরিতকরণ কোরিয়েও কোন লাভ হয়নি।
★★★ কিন্তু এখন কেবল ধৈর্য দেখাবার সময় নেই।সকল হিন্দুকে সংঘবদ্ধ হতে হবে,সকল দল-মত- প্রতিষ্ঠান-জাতী-বর্ণ-মঠ-আশ্রম-শৈব-শাক্ত- বৈষ্ণব -সাধু - সংসারী সকলকে একত্রিত হতে হবে, সকল অহং বোধ ত্যাগ কোরে ধর্মের নামে একত্রিত হবে যদী ধর্ম ই কলুসিত হয় তখন কোথায় পাবো নিজের সুবৃহৎ প্রতিষ্ঠান,কোথায় পাবো আমার গুরুর দেখানো শরনাগত হবার মার্গ,,আর কোথায় বা পূজিব আমার আরাদ্ধ দেব কে???
আজ ধর্ম সুধু আমার ধর্মাচারের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। সনাতনী হিন্দু আমার পরিচয় আমার পূর্বপুরুষদের কাছ থেকে পাওয়া গৌরব ময়উত্তরঅধিকার।এই উত্তর দায়িত্ব আমৃত্যু আমি বহন কোরবো।কোন রাজনৈতিক দলের পতাকা আমার পরিচয় নয়,কোন মঠ আশ্রম আমার গণ্ডি নয়,সকল সৎ গুরুই আমার গুরু, সকল মূর্তিইআমার উপাস্ব দেব,সকল সনাতনী ধর্ম গ্রন্থ আমার আলোক পথের দিশারি। আমি পরমব্রহ্মের পূজারি,আবার নিজের ইষ্টের ভিতরে পরমব্রহ্ম কে খুজে পাই,আবার সৎগুরুর মধ্যে পরমব্রহ্মকে অনুভব করি। আমি শিবে শক্তি সবে বিশ্বাসী কারন আমি সনাতনি হিন্দু।
★★★ আসুন নিজেদের সনাতনি হিন্দু পরিবারের সকল ভেদাভেদ কে দুরে ঠেলে দিয়ে নিয়ের ধর্মের নামে নিজের পরিচয়ের নামে সকল প্রান্তের হিন্দু সনাতনীরা ঐক্যজোট হই। ভগবান আমাদের সহায়ক হবেন নিশ্চিই।।। হর হর মহাদেব।।
Collected from: My India Eternal India / আমার ভারত শাশ্বত ভারত
1 Comments:
Akdom sotik bolechen. ai website ta amader dorkar besi besi choriye deya
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন