বেদ শিক্ষা মুলত গুরু দ্বারাই বা মাধ্যমে কিন্তু চর্চা হিনতার কারণে বেদ জ্ঞানী গুরু পাওয়া যাবে না তেমন। দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো বহিঃশত্রুর আক্রমনের ফলে এবং সংরক্ষণের অভাবে বেদের বেশ কিছু শাখা হারিয়ে গেছে আবার এই হারানো শাখা গুলির আচরণ বিধি বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষের জীবন আচরণের সাথে মিশে আছে বিভিন্ন আচার রূপে। প্রাচীন কালে এক এক ঋষি এক এক বেদের দায়িত্ব নিয়ে প্রজন্ম গত ভাবে সেই শাখা গুলিকে সংরক্ষণ করতেন। প্রাকৃতিক বিপর্যয়, বহিঃশত্রুর আক্রমণ ইত্যাদির কারণে বিভিন্ন শাখার ধারক পরিবার গুলি ধংস হয়ে গেছে এবং সেই সাথে ঐ শাখার ও বিলুপ্তি ঘটছে।
দ্বাপরে ঋষি মেলা হতো। সেই মেলায় সব ঋষির অবশ্যই উপস্থিত থাকতে হতো। যেহেতু আর্যাবর্তের সকল ঋষি উপস্থিত থাকতেন সেহেতু বেদ মত্র দ্রষ্টা ঋষি বা ঐ ঋষি বেঁচে না থাকলে ও বেদের ঐ শাখার ধারক ঋষিদের পাওয়া যেত। ঋষি শ্রী কৃষ্ণ দ্বৈপায়ন বেদব্যাস সকল ঋষি থেকে প্রাপ্ত বেদ মন্ত্র ও ধারণা গুলিকে একত্রিত করে বেদকে ৪ টি ভাগে ভাগ করেন। এই চার ভাগের চারটি নামকরণ করা হয়; ঋক, সাম, যজুর ও অথর্ব বেদ।
ঋষি শ্রী কৃষ্ণ দ্বৈপায়ন বেদব্যাসর এই বিশাল উদ্যোগের কারণে আমরা আজ বেদ জ্ঞানকে গোছানো অবস্থায় পাচ্ছি। মুলত সরস্বতী নদীর তিরে বসে ধ্যানমগ্ন ঋষিরা ঈশ্বর হতে দৈব বাণী আকারে বেদ মন্ত্র ও ধারণা প্রাপ্ত হয়েছিলেন। এক এক ঋষি বেদের এক একটি ধারণা প্রাপ্ত হয়েছিলেন। কিন্তু তাঁরা বিচ্ছিন্ন ভাবে এক এক স্থানে অবস্থান করতেন। এই ভাবে দ্বাপরের পূর্বে অনেক ঋষির জীবন অবসানের ফলে সেই জ্ঞান গুলি হয়তো আর পাওয়া যায়নি। আবার অনেক ক্ষেত্রে ঐ ঋষির শিষ্যরা সেই জ্ঞান প্রজন্ম গত ভাবে ধরে রেখে ঐ ধারণা গুলিকে বাঁচিয়ে রেখেছিলেন যা ঋষি শ্রী কৃষ্ণ দ্বৈপায়ন বেদব্যাস একত্রিত করে বেদকে চার ভাগে সঙ্কলন করেছিলেন।
পরের পোষ্ট এ থাকবে ঋষি শ্রী কৃষ্ণ দ্বৈপায়ন বেদব্যাস এর বেদ বিন্যাসের তথ্য।
ঈশ্বর সকলের মঙ্গল করুন
গর্বের সাথে বলুন আমরা বৈদিক, আমরা সনাতন।
=Lincon Chokroborti=
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন