এক
অল্প-বুদ্ধি-সম্পন্ন যুবক, একজন মুনির নিকট গিয়ে ঈশ্বর সম্পর্কে জানতে
চাইল। মুনি জিজ্ঞেস করলেন, ঈশ্বরকে তোমার কি দরকার? যদি বিশেষ কোনো দরকার
না থাকে, তবে ঈশ্বর দেখা দেন না। যুবকটি উত্তরে জানাল, তার দেখার ভীষণ
ইচ্ছে। দেখা চাই-ই চাই। মুনি বললেন, 'চাইলেই তো আর দেখা যায় না। দেখার জন্য
ব্যাকুল হতে হয়, তবেই দেখা যায়।' যুবক বলল, আমি অনেক ব্যাকুল হয়েও কোনো
ইঙ্গিত পাই নি। তিনি কোথায় থাকেন? মুনি উত্তর দিলেন,'তা কেন, তিনি তো সর্বভূতে বিরাজমান। তোমার দেখার মত চোখ এখনও জেগে ওঠেনি, তাই দেখতে পাচ্ছো না।'
নাছোড়বান্দা যুবক কিছুতেই শান্ত হচ্ছে না। বরং মুনিকে একটু আঘাত করেই কথা বলল। এবং বলল ' আপনি যে বলেছিলেন দেখাতে পারবেন , তবে দেখিয়ে দিন না? তবেই না বুঝব আপনি দেখেছেন এবং আপনার কথার মূল্য আছে।'
মুনি আধ্যাত্মিক শক্তি-সম্পন্ন, তিনি জানেন এই যুবকটির অন্তরে ঈশ্বর-ভাব রয়েছে এবং সে ঐ বিষয়ে অকপট। তাই তিনি যুবককে শান্ত করতে বললেন, 'আহা ধৈর্য ধরো, সবুরে মেওয়া ফলে'!! এই যুবকের ধৈর্যের বাঁধন যেন ততই টুটে যাচ্ছে। আরও বেশী অস্থির হয়ে গেল। অবশেষে মুনি তাকে, একটি দিন ধার্য করে দিলেন এবং বললেন ঐদিন দেখা মিলবেই।
যথারীতি ঠিক সময়ে সেদিন যুবক পৌঁছাল। তাকে দেখেই মুনি বললেন, 'আমি স্থির করলাম, তোমার জন্য ঈশ্বরদর্শন, স্থলের চেয়ে জলেই সহজ হবে এবং অল্প সময়ের মধ্যেই দেখা পাবে।' এদিকে যুবকের কি আনন্দ! কি আনন্দ! আজ ঈশ্বরদর্শন হবে। মুনি যুবককে বললেন জলে নামতে, তার সাথে তিনি থাকবেন। গলা জলে নেমে যুবক অপেক্ষা করছে। মুনিও জলে নামলেন। যুবককে বললেন, 'ঐ জলে ডুব দাও। আর দেরী নেই। সময় ঘনিয়ে এসেছে।' যুবক ডুব দিল। তখনই মুনি, জলের মধ্যে ডুবন্ত অবস্থায়, যুবকের ঘাড়ে ধরে থাকলেন। কয়েক সেকেণ্ডের মধ্যেই যুবকের প্রাণ যায় যায় !! সে উঠবে, কিন্তু মুনি ধরেই আছেন। অন্তিম অবস্থায় তার ঘাড় থেকে হাত সরালেন। জিজ্ঞেস করলেন, ' কি হে কেমন দেখলে?' যুবক উত্তর দিল, 'কি আর দেখব, এদিকে আমার প্রাণ যায় যায়, আমি কিছুই দেখিনি।' মুনি তখন স্নেহের সুরে ব্যাখ্যা করে বুঝালেন, ' দেখো হে, যখন হ্নদয় পূর্ণ পবিত্র হবে, সাধনায় মগ্ন হবে, আর ঈশ্বরের জন্য তোমার প্রাণ যায় যায় অবস্থা হবে, যেমনটি জলের ভিতরে থেকে বাঁচার জন্য তোমার হয়েছিল, ঠিক তখনই বুঝবে, ঈশ্বরদর্শনের সময় এসেছে এবং সকল যুক্তি-তর্ক এমনিতেই দূর হয়ে যাবে।
courtesy: Asit Ray
নাছোড়বান্দা যুবক কিছুতেই শান্ত হচ্ছে না। বরং মুনিকে একটু আঘাত করেই কথা বলল। এবং বলল ' আপনি যে বলেছিলেন দেখাতে পারবেন , তবে দেখিয়ে দিন না? তবেই না বুঝব আপনি দেখেছেন এবং আপনার কথার মূল্য আছে।'
মুনি আধ্যাত্মিক শক্তি-সম্পন্ন, তিনি জানেন এই যুবকটির অন্তরে ঈশ্বর-ভাব রয়েছে এবং সে ঐ বিষয়ে অকপট। তাই তিনি যুবককে শান্ত করতে বললেন, 'আহা ধৈর্য ধরো, সবুরে মেওয়া ফলে'!! এই যুবকের ধৈর্যের বাঁধন যেন ততই টুটে যাচ্ছে। আরও বেশী অস্থির হয়ে গেল। অবশেষে মুনি তাকে, একটি দিন ধার্য করে দিলেন এবং বললেন ঐদিন দেখা মিলবেই।
যথারীতি ঠিক সময়ে সেদিন যুবক পৌঁছাল। তাকে দেখেই মুনি বললেন, 'আমি স্থির করলাম, তোমার জন্য ঈশ্বরদর্শন, স্থলের চেয়ে জলেই সহজ হবে এবং অল্প সময়ের মধ্যেই দেখা পাবে।' এদিকে যুবকের কি আনন্দ! কি আনন্দ! আজ ঈশ্বরদর্শন হবে। মুনি যুবককে বললেন জলে নামতে, তার সাথে তিনি থাকবেন। গলা জলে নেমে যুবক অপেক্ষা করছে। মুনিও জলে নামলেন। যুবককে বললেন, 'ঐ জলে ডুব দাও। আর দেরী নেই। সময় ঘনিয়ে এসেছে।' যুবক ডুব দিল। তখনই মুনি, জলের মধ্যে ডুবন্ত অবস্থায়, যুবকের ঘাড়ে ধরে থাকলেন। কয়েক সেকেণ্ডের মধ্যেই যুবকের প্রাণ যায় যায় !! সে উঠবে, কিন্তু মুনি ধরেই আছেন। অন্তিম অবস্থায় তার ঘাড় থেকে হাত সরালেন। জিজ্ঞেস করলেন, ' কি হে কেমন দেখলে?' যুবক উত্তর দিল, 'কি আর দেখব, এদিকে আমার প্রাণ যায় যায়, আমি কিছুই দেখিনি।' মুনি তখন স্নেহের সুরে ব্যাখ্যা করে বুঝালেন, ' দেখো হে, যখন হ্নদয় পূর্ণ পবিত্র হবে, সাধনায় মগ্ন হবে, আর ঈশ্বরের জন্য তোমার প্রাণ যায় যায় অবস্থা হবে, যেমনটি জলের ভিতরে থেকে বাঁচার জন্য তোমার হয়েছিল, ঠিক তখনই বুঝবে, ঈশ্বরদর্শনের সময় এসেছে এবং সকল যুক্তি-তর্ক এমনিতেই দূর হয়ে যাবে।
courtesy: Asit Ray
2 Comments:
খুব সুন্দৰ জ্ঞানৰ পৰিধি অসীম।
ধন্যবাদ ।
এইটা কোন উপনিষদের গল্প?
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন