ওঁ শৃণু বৎস প্রবক্ষ্যামি আদ্যাস্ত্রোত্রং মহাফলং । যঃ পঠেৎ সততং ভক্ত্যা স এব বিষ্ণুবল্লভঃ ।। মৃত্যুব্যাধিভয়ং তস্য নাস্তি কিঞ্চিৎ কলৌ যুগে । অপুত্রো লভতে পুত্রং ত্রিপক্ষং শ্রবণং যদি । দ্বৌ মাসৌ বন্ধনাম্মুক্তির্বিপ্রবক্ত্রাৎ শ্রুতং যদি । মৃতবৎসা জীববৎসা ষম্মাসাঞ্ শ্রবনং যদি ।। নৌকায়াং সঙ্কটে যুদ্ধে পঠনাজ্জয়মাপ্নুয়াৎ । লিখিত্বা স্থাপনাদ্ গেহে নাগ্নিচৌরভয়ং ক্কচিৎ ।। রাজস্থানে জয়ী নিত্যং প্রসন্নাঃ সর্বদেবতাঃ । ওঁ হ্রীঁ ব্রাহ্মণী ব্রহ্মলোকে চ বৈকুণ্ঠে সর্বমঙ্গলা ।। ইন্দ্রানী অমরাবত্যামম্বিকা বরুণালয়ে । যমালয়ে কালরূপা কুবেরভবনে শুভা ।। মহানন্দাগ্নিকোনে চ বায়ব্যাং মৃগবাহিনী । নৈর্ঝত্যাং রক্তদন্তা চ ঐশান্যাং শূলধারিণী ।। পাতালে বৈষ্ণবীরূপা, সিংহলে দেবমোহিনী । সুরসা চ মনিদ্বীপে লঙ্কায়াং ভদ্রকালিকা ।। রামেশ্বরী সেতুবন্ধে বিমলা পুরুষোত্তমে । বিরজা ঔড্রদেশে চ কামাখ্যা নীলপর্বতে ।। কালিকা বঙ্গদেশে চ অযোধ্যায়াং মহেশ্বরী । বারাণস্যমন্নপূর্ণা গয়াক্ষেত্রে গয়েশ্বরী । কুরুক্ষেত্রে ভদ্রকালী ব্রজে কাত্যায়নী পরা । দ্বারকায়াং মহামায়া মথুরায় মাহেশ্বরী ।। ক্ষুধা ত্বং সর্বভূতানাং বেলা ত্বং সাগরস্য চ । নবমী কৃষ্ণপক্ষস্য শুক্লাস্যৈকাদশী পরা ।। দক্ষস্য দুহিতা দেবী দক্ষযক্ষবিনাশিনী । রামস্য জানকী ত্বং হি রাবণধ্বংসকারিণী ।। চণ্ডমুণ্ডবধে দেবী রক্তবীজবিনাশিনী । নিশুম্ভশুম্ভমথনী মধুকৈটভঘাতিনী ।। বিষ্ণুভক্তিপ্রদা দুর্গা সুখদা মোক্ষদা সদা । ইমং আদ্যাস্তবং পুণ্যং যঃ পঠেৎ সততং নরঃ । সর্বজ্বরভয়ং ন স্যাৎ সর্বব্যাধিবিনাশনম্ ।। কোটিতীর্থফলঞ্চাসৌ লভতে নাত্র সংশয়ঃ ।। জয়া মে চাগ্রতঃ পাতু বিজয়া পাতু পৃষ্ঠতঃ । নারায়নী শীর্ষদেশে সর্বাঙ্গে সিংহবাহিনী ।। শিবদূতী উগ্রচণ্ডা প্রত্যঙ্গে পরমেশ্বরী । বিশালাক্ষী মহামায়া কৌমারী শঙ্খিনী শিবা।। চক্রিণী জয়দাত্রী চ রণমত্তা রনপ্রিয়া । দুর্গা জয়ন্তী কালী চ ভদ্রকালী মহোদরী ।। নারসিংহী চ বারাহী সিদ্ধিদাত্রী সুখপ্রদা । ভয়ঙ্করী মহারৌদ্রী মহাভয়বিনাশিনী ।। ইতি ব্রহ্মযামল- ব্রহ্ম -নারদ- সংবাদে আদ্যা স্ত্রোত্রং বাংলা অনুবাদঃ- হে বৎস্য । মহাফলপ্রদ আদ্যা স্ত্রোত্র বলিব- শ্রবন করো । যে সর্বদা ভক্তি পূর্বক ইহা পাঠ করে, সে বিষ্ণুর প্রিয় হয় । এই কলিযুগে তাহার মৃত্যু ও ব্যাধিভয় থাকে না । অপুত্রা তিনপক্ষ কাল ইহা শ্রবন করিলে পুত্র লাভ করে । ব্রাহ্মণের মুখ হইতে দুই মাস শ্রবন করিলে বন্ধন মুক্তি হয় । ছয় মাস কাল শ্রবন করিলে মৃতবৎসা নারী জীববৎসা হয় । ইহা পাঠ করিলে নৌকায়, সঙ্কটে , যুদ্ধে জয়লাভ হয় । লিখিয়া গৃহে রাখিলে অগ্নি বা চোরের ভয় থাকে না । রাজস্থানে নিত্য জয়ী হয় এবং সর্ব দেবতা সন্তুষ্ট হন । হে মাতঃ, তুমি ব্রহ্মলোকে ব্রহ্মাণী, বৈকুন্ঠে সর্বমঙ্গলা , অমরাবতীতে ইন্দ্রানী, বরুণালয়ে অম্বিকা, যমালয়ে কালরূপা, কুবের ভবনে শুভা , অগ্নিকোনে মহানন্দা, বায়ুকোনে মৃগবাহিনী, নৈর্ঝত কোনে রক্তদন্তা, ঈশান কোনে শুলধারিনী, পাতালে বৈষ্ণবীরূপা, সিংহলে দেবমোহিনী, মণিদ্বীপে সূরসা, লঙ্কায় ভদ্রকালিকা সেতুবন্ধে রামেশ্বরী, পুরুষোত্তমে বিমলা, উৎকলে বিরজা, নীলপর্বতে কামাখ্যা, বঙ্গদেশে কালিকা, অযোধ্যায় মহেশ্বরী, বারানসিতে অন্নপূর্ণা , গয়া ক্ষেত্রে গয়েশ্বরী, কুরুক্ষেত্রে ভদ্রকালী, ব্রজে শ্রেষ্ঠা কাত্যায়নী, দ্বারকায় মহামায়া , মথুরায় মাহেশ্বরী । তুমি সমস্ত জীবের ক্ষুধা স্বরূপা, সমুদ্রের বেলা, তুমি শুক্ল পক্ষের নবমী এবং কৃষ্ণ পক্ষের একাদশী। হে দেবী তুমি দক্ষের কন্যা দক্ষযজ্ঞবিনাশিণী , তুমি রামের রাবন ধ্বংসকারিনী জানকী। তুমি চণ্ড মুণ্ড বধকারিনী দেবী , রক্তবীজবিনাশিনী , নিশুম্ভ শুম্ভ মথনী , মধু- কৈটভ ঘাতিনী। তুমি বিষ্ণুভক্তিপ্রদা, দুর্গা, সর্বদা সুখ ও মোক্ষদায়িনী। জয়া আমাকে অগ্রভাগে রক্ষা করুন। বিজয়া পৃষ্ঠদেশে রক্ষা করুন। নারায়নী মস্তকে রক্ষা করুন । সিংহবাহিনী সর্বাঙ্গে রক্ষা করুন। শিবদূতী, উগ্রচণ্ডা, পরমেশ্বরী , বিশালাক্ষী, মহামায়া, কৌমারী, শঙ্খিনী, শিবা, চক্রিনী, জয়দাত্রী , রণমত্তা, রনপ্রিয়া, দুর্গা, জয়ন্তী, কালী ভদ্রকালী, মহোদরী, নারসিংহী, বারাহী, সিদ্ধিদাত্রী, সুখপ্রদা, ভয়ঙ্করী , মহারৌদ্রী, মহাভয়বিনাশিনী আমার প্রতি অঙ্গ রক্ষা করুন । ব্রহ্মযামলে ব্রহ্ম- নারদ সংবাদে আদ্যা স্ত্রোত্র সমাপ্ত ।
০৭ আগস্ট ২০১৪
আদ্যা স্ত্রোত্র (এই স্তব সকলে পড়ুন । এই স্তব সকলের পাঠ করা উচিৎ । )
ওঁ শৃণু বৎস প্রবক্ষ্যামি আদ্যাস্ত্রোত্রং মহাফলং । যঃ পঠেৎ সততং ভক্ত্যা স এব বিষ্ণুবল্লভঃ ।। মৃত্যুব্যাধিভয়ং তস্য নাস্তি কিঞ্চিৎ কলৌ যুগে । অপুত্রো লভতে পুত্রং ত্রিপক্ষং শ্রবণং যদি । দ্বৌ মাসৌ বন্ধনাম্মুক্তির্বিপ্রবক্ত্রাৎ শ্রুতং যদি । মৃতবৎসা জীববৎসা ষম্মাসাঞ্ শ্রবনং যদি ।। নৌকায়াং সঙ্কটে যুদ্ধে পঠনাজ্জয়মাপ্নুয়াৎ । লিখিত্বা স্থাপনাদ্ গেহে নাগ্নিচৌরভয়ং ক্কচিৎ ।। রাজস্থানে জয়ী নিত্যং প্রসন্নাঃ সর্বদেবতাঃ । ওঁ হ্রীঁ ব্রাহ্মণী ব্রহ্মলোকে চ বৈকুণ্ঠে সর্বমঙ্গলা ।। ইন্দ্রানী অমরাবত্যামম্বিকা বরুণালয়ে । যমালয়ে কালরূপা কুবেরভবনে শুভা ।। মহানন্দাগ্নিকোনে চ বায়ব্যাং মৃগবাহিনী । নৈর্ঝত্যাং রক্তদন্তা চ ঐশান্যাং শূলধারিণী ।। পাতালে বৈষ্ণবীরূপা, সিংহলে দেবমোহিনী । সুরসা চ মনিদ্বীপে লঙ্কায়াং ভদ্রকালিকা ।। রামেশ্বরী সেতুবন্ধে বিমলা পুরুষোত্তমে । বিরজা ঔড্রদেশে চ কামাখ্যা নীলপর্বতে ।। কালিকা বঙ্গদেশে চ অযোধ্যায়াং মহেশ্বরী । বারাণস্যমন্নপূর্ণা গয়াক্ষেত্রে গয়েশ্বরী । কুরুক্ষেত্রে ভদ্রকালী ব্রজে কাত্যায়নী পরা । দ্বারকায়াং মহামায়া মথুরায় মাহেশ্বরী ।। ক্ষুধা ত্বং সর্বভূতানাং বেলা ত্বং সাগরস্য চ । নবমী কৃষ্ণপক্ষস্য শুক্লাস্যৈকাদশী পরা ।। দক্ষস্য দুহিতা দেবী দক্ষযক্ষবিনাশিনী । রামস্য জানকী ত্বং হি রাবণধ্বংসকারিণী ।। চণ্ডমুণ্ডবধে দেবী রক্তবীজবিনাশিনী । নিশুম্ভশুম্ভমথনী মধুকৈটভঘাতিনী ।। বিষ্ণুভক্তিপ্রদা দুর্গা সুখদা মোক্ষদা সদা । ইমং আদ্যাস্তবং পুণ্যং যঃ পঠেৎ সততং নরঃ । সর্বজ্বরভয়ং ন স্যাৎ সর্বব্যাধিবিনাশনম্ ।। কোটিতীর্থফলঞ্চাসৌ লভতে নাত্র সংশয়ঃ ।। জয়া মে চাগ্রতঃ পাতু বিজয়া পাতু পৃষ্ঠতঃ । নারায়নী শীর্ষদেশে সর্বাঙ্গে সিংহবাহিনী ।। শিবদূতী উগ্রচণ্ডা প্রত্যঙ্গে পরমেশ্বরী । বিশালাক্ষী মহামায়া কৌমারী শঙ্খিনী শিবা।। চক্রিণী জয়দাত্রী চ রণমত্তা রনপ্রিয়া । দুর্গা জয়ন্তী কালী চ ভদ্রকালী মহোদরী ।। নারসিংহী চ বারাহী সিদ্ধিদাত্রী সুখপ্রদা । ভয়ঙ্করী মহারৌদ্রী মহাভয়বিনাশিনী ।। ইতি ব্রহ্মযামল- ব্রহ্ম -নারদ- সংবাদে আদ্যা স্ত্রোত্রং বাংলা অনুবাদঃ- হে বৎস্য । মহাফলপ্রদ আদ্যা স্ত্রোত্র বলিব- শ্রবন করো । যে সর্বদা ভক্তি পূর্বক ইহা পাঠ করে, সে বিষ্ণুর প্রিয় হয় । এই কলিযুগে তাহার মৃত্যু ও ব্যাধিভয় থাকে না । অপুত্রা তিনপক্ষ কাল ইহা শ্রবন করিলে পুত্র লাভ করে । ব্রাহ্মণের মুখ হইতে দুই মাস শ্রবন করিলে বন্ধন মুক্তি হয় । ছয় মাস কাল শ্রবন করিলে মৃতবৎসা নারী জীববৎসা হয় । ইহা পাঠ করিলে নৌকায়, সঙ্কটে , যুদ্ধে জয়লাভ হয় । লিখিয়া গৃহে রাখিলে অগ্নি বা চোরের ভয় থাকে না । রাজস্থানে নিত্য জয়ী হয় এবং সর্ব দেবতা সন্তুষ্ট হন । হে মাতঃ, তুমি ব্রহ্মলোকে ব্রহ্মাণী, বৈকুন্ঠে সর্বমঙ্গলা , অমরাবতীতে ইন্দ্রানী, বরুণালয়ে অম্বিকা, যমালয়ে কালরূপা, কুবের ভবনে শুভা , অগ্নিকোনে মহানন্দা, বায়ুকোনে মৃগবাহিনী, নৈর্ঝত কোনে রক্তদন্তা, ঈশান কোনে শুলধারিনী, পাতালে বৈষ্ণবীরূপা, সিংহলে দেবমোহিনী, মণিদ্বীপে সূরসা, লঙ্কায় ভদ্রকালিকা সেতুবন্ধে রামেশ্বরী, পুরুষোত্তমে বিমলা, উৎকলে বিরজা, নীলপর্বতে কামাখ্যা, বঙ্গদেশে কালিকা, অযোধ্যায় মহেশ্বরী, বারানসিতে অন্নপূর্ণা , গয়া ক্ষেত্রে গয়েশ্বরী, কুরুক্ষেত্রে ভদ্রকালী, ব্রজে শ্রেষ্ঠা কাত্যায়নী, দ্বারকায় মহামায়া , মথুরায় মাহেশ্বরী । তুমি সমস্ত জীবের ক্ষুধা স্বরূপা, সমুদ্রের বেলা, তুমি শুক্ল পক্ষের নবমী এবং কৃষ্ণ পক্ষের একাদশী। হে দেবী তুমি দক্ষের কন্যা দক্ষযজ্ঞবিনাশিণী , তুমি রামের রাবন ধ্বংসকারিনী জানকী। তুমি চণ্ড মুণ্ড বধকারিনী দেবী , রক্তবীজবিনাশিনী , নিশুম্ভ শুম্ভ মথনী , মধু- কৈটভ ঘাতিনী। তুমি বিষ্ণুভক্তিপ্রদা, দুর্গা, সর্বদা সুখ ও মোক্ষদায়িনী। জয়া আমাকে অগ্রভাগে রক্ষা করুন। বিজয়া পৃষ্ঠদেশে রক্ষা করুন। নারায়নী মস্তকে রক্ষা করুন । সিংহবাহিনী সর্বাঙ্গে রক্ষা করুন। শিবদূতী, উগ্রচণ্ডা, পরমেশ্বরী , বিশালাক্ষী, মহামায়া, কৌমারী, শঙ্খিনী, শিবা, চক্রিনী, জয়দাত্রী , রণমত্তা, রনপ্রিয়া, দুর্গা, জয়ন্তী, কালী ভদ্রকালী, মহোদরী, নারসিংহী, বারাহী, সিদ্ধিদাত্রী, সুখপ্রদা, ভয়ঙ্করী , মহারৌদ্রী, মহাভয়বিনাশিনী আমার প্রতি অঙ্গ রক্ষা করুন । ব্রহ্মযামলে ব্রহ্ম- নারদ সংবাদে আদ্যা স্ত্রোত্র সমাপ্ত ।
3 Comments:
জয় মা আদ্যা দেবী!!! তোমার অহেতুকী কৃপায় আজ বিশ্বব্রম্মান্ড ধন্য। তোমার পরিচয় তুমি না দিলে মানব জাতির সাধ্য ছিলো না তা জানার। তোমার অকৃ্ত্রিম ভালবাসায় সিক্ত হয়ে অনেকের মতো আমিও ধন্য। তোমার ইচ্ছাই পুর্ন হোক। মা তোমার দয়া, করুনা ও ভালোবাসা আমার জীবনে প্রতিফলিত হোক এই কামনা করি।
জয় মা আদ্যামায়ের জয়, আমায় রক্ষা করো মা।
জয় মা
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন