ইনি সেই ব্যাক্তি যিনি তাঁর আত্মজীবনীতে লিখেছিলেন, "Vivekananda entered my life." তিনি লিখেছেন, 'ত্যাগে বেহিসাবি, কর্মে বিরামহীন, প্রেমে সীমাহীন স্বামীজির জ্ঞান ছিল যেমন গভীর তেমনি বহুমুখী। ... আমাদের জগতে এরূপ ব্যাক্তিত্ব বাস্তবিকই বিরল। স্বামীজি ছিলেন পৌরুষসম্পন্ন পূর্ণাঙ্গ মানুষ।.... ঘন্টার পর ঘন্টা বলে গেলেও সেই মহাপুরুষের বিষয় কিছুই বলা হবে না। এমনি ছিলেন তিনি মহত্, এমনি ছিল তাঁর চরিত্র- যেমন মহাণ তেমনি জটিল। ... আজ তিনি জীবিত থাকলে আমি তাঁর চরণেই আশ্রয় নিতাম।"
ইনিই নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বোস। তাঁর অন্তরঙ্গ বাল্যবন্ধু চারুচন্দ্র গঙ্গোপাধ্যায় এক সাক্ষাত্কারে বলেছিলেন, ' সুভাষের সঙ্গে আবাল্য খুব ঘনিষ্ঠ ভাবে মিশেছি। তাই জোর করে বলতে পারি যে, বিবেকানন্দের প্রভাব যদি সুভাষের উপর না পড়ত তবে সুভাষ "সুভাষ" হত না, "নেতাজী" হত না। হয়ত অ্যাডভোকেট জেনারেল হত কিম্বা ব্যারিস্টার হত, কিন্তু আইএনএ যে ফর্ম করেছে সেই "নেতাজী সুভাষচন্দ্র"কে আমরা পেতাম না।'
স্কুল জীবনে নেতাজী তাঁর প্রধান শিক্ষক শ্রীযুক্ত বেণীমাধব দাসের সংস্পর্শে খুব প্রভাবিত হন।
তাঁর প্রভাবেই বালক সুভাষের মধ্যে প্রকৃতিপ্রেম, কাব্য ও সৌন্দর্যচেতনা, আদর্শবাদ ও নীতিবোধের স্ফুরণ ঘটে। কিন্তু বালক সুভাষ ব্যাকুল প্রাণে এমন একটি আদর্শের সন্ধান করছিলেন যার ওপর ভিত্তি করে সমস্ত জীবনকে গড়া যায়, যা তাঁর সমস্ত সত্ত্বাকে আলোড়িত করতে পারে।
এমন সময় এক সহপাঠীর (আত্মজীবনী মতে সহপাঠীর নাম: সুহৃদচন্দ্র মিত্র) মাধ্যমে তাঁর হাতে এল- 'স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা।' এবং তারপর............. আসুন নেতাজীর মুখেই শুনি-
"কয়েক পাতা উলটেই বুঝতে পারলাম, এই জিনিসই আমি এতদিন ধরে চাইছিলাম। বইগুলো বাড়ি নিয়ে এসে গোগ্রাসে গিলতে লাগলাম। পড়তে পড়তে হৃদয়-মন আচ্ছন্ন হয়ে যেতে লাগল। ...........
দিনের পর দিন কেটে যেতে লাগল, আমি তাঁর বই নিয়ে তন্ময় হয়ে রইলাম।............. বিবেকানন্দের প্রভাব আমার জীবনে আমূল পরিবর্তন এনে দিল।.... তাঁর মধ্যে আমার জীবনের অসংখ্য জিজ্ঞাসার সহজ সমাধান খুঁজে পেয়েছিলাম।"
(আত্মজীবনী: 'ভারত পথিক', পৃষ্ঠা: ৪৩-৪৪)
গৈরিক বস্ত্র পরে স্বামী বিবেকানন্দ যদি বিশ্বে এত খ্যাতি পেতে পারেন তবে আমি কেন কোট প্যান্ট পড়ব? – বাল্যকালে নেতাজী সুভাষ তাঁর পিতাকে এই কথা বলেছিল, অর্চনা, ২০১১, পৃঃ ৪৬।
ছবি; বালক নেতাজি
(c) স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা
ইনিই নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বোস। তাঁর অন্তরঙ্গ বাল্যবন্ধু চারুচন্দ্র গঙ্গোপাধ্যায় এক সাক্ষাত্কারে বলেছিলেন, ' সুভাষের সঙ্গে আবাল্য খুব ঘনিষ্ঠ ভাবে মিশেছি। তাই জোর করে বলতে পারি যে, বিবেকানন্দের প্রভাব যদি সুভাষের উপর না পড়ত তবে সুভাষ "সুভাষ" হত না, "নেতাজী" হত না। হয়ত অ্যাডভোকেট জেনারেল হত কিম্বা ব্যারিস্টার হত, কিন্তু আইএনএ যে ফর্ম করেছে সেই "নেতাজী সুভাষচন্দ্র"কে আমরা পেতাম না।'
স্কুল জীবনে নেতাজী তাঁর প্রধান শিক্ষক শ্রীযুক্ত বেণীমাধব দাসের সংস্পর্শে খুব প্রভাবিত হন।
তাঁর প্রভাবেই বালক সুভাষের মধ্যে প্রকৃতিপ্রেম, কাব্য ও সৌন্দর্যচেতনা, আদর্শবাদ ও নীতিবোধের স্ফুরণ ঘটে। কিন্তু বালক সুভাষ ব্যাকুল প্রাণে এমন একটি আদর্শের সন্ধান করছিলেন যার ওপর ভিত্তি করে সমস্ত জীবনকে গড়া যায়, যা তাঁর সমস্ত সত্ত্বাকে আলোড়িত করতে পারে।
এমন সময় এক সহপাঠীর (আত্মজীবনী মতে সহপাঠীর নাম: সুহৃদচন্দ্র মিত্র) মাধ্যমে তাঁর হাতে এল- 'স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা।' এবং তারপর............. আসুন নেতাজীর মুখেই শুনি-
"কয়েক পাতা উলটেই বুঝতে পারলাম, এই জিনিসই আমি এতদিন ধরে চাইছিলাম। বইগুলো বাড়ি নিয়ে এসে গোগ্রাসে গিলতে লাগলাম। পড়তে পড়তে হৃদয়-মন আচ্ছন্ন হয়ে যেতে লাগল। ...........
দিনের পর দিন কেটে যেতে লাগল, আমি তাঁর বই নিয়ে তন্ময় হয়ে রইলাম।............. বিবেকানন্দের প্রভাব আমার জীবনে আমূল পরিবর্তন এনে দিল।.... তাঁর মধ্যে আমার জীবনের অসংখ্য জিজ্ঞাসার সহজ সমাধান খুঁজে পেয়েছিলাম।"
(আত্মজীবনী: 'ভারত পথিক', পৃষ্ঠা: ৪৩-৪৪)
গৈরিক বস্ত্র পরে স্বামী বিবেকানন্দ যদি বিশ্বে এত খ্যাতি পেতে পারেন তবে আমি কেন কোট প্যান্ট পড়ব? – বাল্যকালে নেতাজী সুভাষ তাঁর পিতাকে এই কথা বলেছিল, অর্চনা, ২০১১, পৃঃ ৪৬।
ছবি; বালক নেতাজি
(c) স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন