১৮ই ফেব্রুয়ারীতে বাংলার আধ্যাত্মিক ভাবান্দোলনে দু'জন নক্ষত্রের আবির্ভাব ঘটেছিল- যারা শুধু যে আধ্যাত্মিক ভাবপ্রবাহের সঞ্চালন করেছিলেন তা নয়, তারা বদলে ফেলেছিলেন সমসাময়িক যুগের গোটা সংস্কৃতি ও মানুষের চিন্তাধারা, এমনকি আজও তাদের জীবন ও শিক্ষা চর্চিত হচ্ছে দেশে দেশে। বিশেষত হিন্দুর ধর্ম জীবনের বিরাট অংশজুড়ে এঁদের অবস্থান। একজন মধ্যযুগে ইসলামি আগ্রাসনে বিপর্যস্ত হিন্দুর জন্য ত্রাতা হয়েছিলেন। ব্রাহ্মণ্যবাদ ও নানান অপপ্রথা থেকে মুক্তি দিয়েছিলেন ব্যাপক ভক্তি আন্দোলনের সূচনা করে। যার হৃদয় ছিল প্রেমে পরিপূর্ণ। যার জন্য, এমনকি আমাদের হুমায়ুন আজাদের মত কট্টর আধ্যাত্মিকতা-অবিশ্বাসী মানূষকেও লিখতে হয়েছিল- 'প্রেম একবারই মানবমূর্তি ধরেছিল পৃথিবীতে শ্রীচৈতন্য রূপে'! শ্রীচৈতন্যদেব জন্মেছিলেন ১৪৮৬ সনের ১৮ই ফেব্রুয়ারী। ন্যায়শাস্ত্রের তুখোড় পন্ডিত, অদ্বৈত মতের সন্ন্যাসী হয়েও তিনি দ্বৈত পথের সাধনাকেই প্রদীপ্ত করেছিলেন।
অপরজন? উনবিংশ শতাব্দীর বাঙালী নবজাগরণের ইতিহাসের একটা প্রখর দ্যুতিময় নক্ষত্র, স্বদেশে বিদেশে নন্দিত। কথায় কথায় গল্প বাঁধতে পারতেন আর সেইসব গল্প দিয়ে কত জটিল তত্ত্বকথাকে মানুষের মাঝে সরল করে দিতেন। কত শত উপমা। রোঁমারোঁলা বলেছিলেন- 'এগুলো জগতের উপমা সাহিত্যের আকর'। প্রমথনাথ বিশী 'উপমা কালিদাসস্য' উলটে বলেছিলেন- 'উপমা রামকৃষ্ণস্য'! হ্যাঁ রামকৃষ্ণদেবের কথা বলছি। প্রায়-অশিক্ষিত দক্ষিণেশ্বরের এই ক্ষ্যাপা বামুনের কাছে বসে তত্ত্বকথা শুনতো কোলকাতার বিদ্বৎ সমাজ। হিন্দু ধর্ম ও সংস্কৃতি যখন ইংরেজের প্রভাবে পাশ্চাত্যের গ্রাসে তখন ইনিই এসেছিলেন প্রাচীন ভারতের বার্তা নিয়ে। আমাদের একজন 'বিবেকানন্দ' উপহার দিয়েছিলেন। শুনিয়েছিলেন 'যত মত তত পথ' এর মত উদার বাণী। শ্রীরামকৃষ্ণও জন্মেছিলেন ১৮ই ফেব্রুয়ারীতে! তবে সেটা ১৮৩৬ সালে। এই দুই ভাববাদী বাঙালী দখল করে আছেন হিন্দুর ঠাকুরঘরের উপাসনার বেদী যুগযুগ ধরে। দু'জনই মুগ্ধ করে রেখেছেন হাজার হাজার বাঙালীর বিরাট বিরাট মাথাগুলোকেও!
তাঁদের প্রেম ও করুণা, তাদের শিক্ষা ও সাধনা- যা আজও নিরবে প্লাবিত করে চলেছে আমাদের সমাজ, আমাদের দিন ও রাত, আমাদের প্রজন্মের পর প্রজন্ম। এই দুই মহামানবকে জন্মদিনে প্রণাম জানাই।
(c) স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা
অপরজন? উনবিংশ শতাব্দীর বাঙালী নবজাগরণের ইতিহাসের একটা প্রখর দ্যুতিময় নক্ষত্র, স্বদেশে বিদেশে নন্দিত। কথায় কথায় গল্প বাঁধতে পারতেন আর সেইসব গল্প দিয়ে কত জটিল তত্ত্বকথাকে মানুষের মাঝে সরল করে দিতেন। কত শত উপমা। রোঁমারোঁলা বলেছিলেন- 'এগুলো জগতের উপমা সাহিত্যের আকর'। প্রমথনাথ বিশী 'উপমা কালিদাসস্য' উলটে বলেছিলেন- 'উপমা রামকৃষ্ণস্য'! হ্যাঁ রামকৃষ্ণদেবের কথা বলছি। প্রায়-অশিক্ষিত দক্ষিণেশ্বরের এই ক্ষ্যাপা বামুনের কাছে বসে তত্ত্বকথা শুনতো কোলকাতার বিদ্বৎ সমাজ। হিন্দু ধর্ম ও সংস্কৃতি যখন ইংরেজের প্রভাবে পাশ্চাত্যের গ্রাসে তখন ইনিই এসেছিলেন প্রাচীন ভারতের বার্তা নিয়ে। আমাদের একজন 'বিবেকানন্দ' উপহার দিয়েছিলেন। শুনিয়েছিলেন 'যত মত তত পথ' এর মত উদার বাণী। শ্রীরামকৃষ্ণও জন্মেছিলেন ১৮ই ফেব্রুয়ারীতে! তবে সেটা ১৮৩৬ সালে। এই দুই ভাববাদী বাঙালী দখল করে আছেন হিন্দুর ঠাকুরঘরের উপাসনার বেদী যুগযুগ ধরে। দু'জনই মুগ্ধ করে রেখেছেন হাজার হাজার বাঙালীর বিরাট বিরাট মাথাগুলোকেও!
তাঁদের প্রেম ও করুণা, তাদের শিক্ষা ও সাধনা- যা আজও নিরবে প্লাবিত করে চলেছে আমাদের সমাজ, আমাদের দিন ও রাত, আমাদের প্রজন্মের পর প্রজন্ম। এই দুই মহামানবকে জন্মদিনে প্রণাম জানাই।
(c) স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন