দিনটা ছিল ১৯৪৬-এর ১৬ই আগস্ট ....‘ ডায়রেক্ট অ্যাকশন‘-এর মাধ্যমে
‘পাকিস্তান‘-এর জন্য ডাক দিয়েছে মুসলিম লিগ.... অহিংস সহিংস অনেক পথ পেরিয়ে
ভারতে স্বাধীনতা আসবো আসবো করছে অথচ মানবরক্তে স্নান করছে কলকাতা |
সূরাবর্দীর সরকারের পুলিশ প্রশাসনের সহায়তায় মুসলমানদের হাতে হিন্দুরা তখন
একের পর এক মার খাচ্ছেন, খুন হচ্ছেন, হিন্দু মহিলারা ধর্ষিতা হচ্ছেন ....
এমতাবস্থা লাগাতার তিন দিন ধরে চলার পর গোপাল পঁাঠার মতো হিন্দুরা বুঝলেন
হিন্দুদের বাঁচাতে সরকার ও পুলিশ কেউই কিছু করবেন না।
গোপাল পাঁঠা ১
দিনের মধ্যে ৮০০ হিন্দু ও শিখ যুবককে সাথে নিয়ে গড়ে তোলেন 'ভারত জাতীয়
বাহিনী'। রডা কোম্পানির লুঠ করা বন্দুক এবং বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে এবং
ভারত ছাড়ো আন্দোলনের সময়ে যা কিছু অস্ত্র সংগ্রহ করেছিলেন তা দিয়ে পাল্টা
জবাব দিতে শুরু করেন। এর পরই, খুব দ্রুত, পরিস্থিতি মুসলমানদের বিরুদ্ধে
যেতে থাকে এবং সূরাবর্দী তাঁর বিপদ বুঝে দ্রুত পুলিশ-প্রশাসনকে সক্রিয় করেন
এবং দাঙ্গা থামাতে বাধ্য হন। এভাবে গোপাল পাঁঠা নামক এক বীরের নেতৃত্বে
১৯৪৬ এ রক্ষা পান কলকাতার হিন্দুরা ।

১৯১৩ সালে ব্রিটিশ কলকাতার মলঙ্গা লেনে জন্ম গোপাল চন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের |
ব্রাহ্মণ বংশ হলেও তাঁদের পারিবারিক ব্যবসা ছিল মাংস বিক্রি | আর তখন
বাঙালি ভোজে মাংস মানেই পাঁঠা বা খাসি | এই বংশেরই আর এক সন্তান
অনুকূলচন্দ্র মুখোপাধ্যায় ছিলেন সক্রিয় বিপ্লবী | তাঁর ভাইপো গোপাল খুব
অল্প বয়সেই ঠনঠনিয়া কালীবাড়ির পড়শি এলাকায় পারিবারিক ব্যবসায় চলে আসেন |
মুখে মুখে তাঁর নাম হয়ে যায় গোপাল পাঁঠা |গান্ধীবিদ্বেষী গোপাল পাঁঠা ছিলেন নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর ভক্ত ... ১৯৫২ সালের ইলেকশনের আগে বিধান রায় তাঁকে ডেকে বলেছিলেন, ‘একটু জেলে যেতে হবে যে... ভোট আসছে, বাইরে থাকলে নিন্দে হবে যে...’ ইলেকশনের পর পুলিশ কমিশনার বললেন, ‘এই নাও দুটো ট্যাক্সির পারমিট।’ পারমিট ছুঁড়ে দিয়ে বলেছিলেন, ‘এ সব ঘুষ নিই না আমি। আমি গোপাল মুখুজ্যে।’ সমাজসেবী গোপাল পাঁঠা ন্যাশনাল রিলিফ সেন্টার বানিয়ে গৃহহীনদের জন্য কাজ করেন | নিজের এলাকায় শুরু করেন বারোয়ারী দুর্গাপুজো | দর্শকদের ভিড় ভেঙে পড়ত গোপাল পাঁঠার পুজো দেখতে |এই দেশপ্রেমীর কর্মময় জীবন থেমে যায় ২০০৫ সালে .... কালের পরিহাসে এই দেশপ্রেমীকে ভুলে গিয়েছেন বাঙ্গালী হিন্দুরা .............
Courtesy by: Somenath Sengupta
মুখে মুখে তাঁর নাম হয়ে যায় গোপাল পাঁঠা |গান্ধীবিদ্বেষী গোপাল পাঁঠা ছিলেন নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর ভক্ত ... ১৯৫২ সালের ইলেকশনের আগে বিধান রায় তাঁকে ডেকে বলেছিলেন, ‘একটু জেলে যেতে হবে যে... ভোট আসছে, বাইরে থাকলে নিন্দে হবে যে...’ ইলেকশনের পর পুলিশ কমিশনার বললেন, ‘এই নাও দুটো ট্যাক্সির পারমিট।’ পারমিট ছুঁড়ে দিয়ে বলেছিলেন, ‘এ সব ঘুষ নিই না আমি। আমি গোপাল মুখুজ্যে।’ সমাজসেবী গোপাল পাঁঠা ন্যাশনাল রিলিফ সেন্টার বানিয়ে গৃহহীনদের জন্য কাজ করেন | নিজের এলাকায় শুরু করেন বারোয়ারী দুর্গাপুজো | দর্শকদের ভিড় ভেঙে পড়ত গোপাল পাঁঠার পুজো দেখতে |এই দেশপ্রেমীর কর্মময় জীবন থেমে যায় ২০০৫ সালে .... কালের পরিহাসে এই দেশপ্রেমীকে ভুলে গিয়েছেন বাঙ্গালী হিন্দুরা .............
Courtesy by: Somenath Sengupta
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন