গত কয়েকদিন আগে এক দম্পতি তার দুই ছেলের পড়াশুনা নিয়ে ভীষণ উদ্বিগ্ন হয়ে আমার কাছে ছেলে দুইজন কে নিয়ে আসেন। আমি তাদের যথাসাধ্য মূল্যবান পরামর্শ দিই। তারপরই একদিন পূর্বনির্ধারিত কথামত তাদের বাড়ী যাই। ভদ্রলোকের বড় ছেলের পড়ার ঘরে বসে তার সাথে গল্প করতে করতে তাকে পড়াশুনা ভালোভাবে করবার পরামর্শ দিয়ে চলে এলাম।
ভারতীয় জ্যোতিষ শাস্ত্রমতে ছাত্রদের বিভিন্ন শিক্ষা সংক্রান্ত যে পরামর্শ দিয়েছিলাম, মূল্যবান সেই তথ্য গুলো এখানে লিপিবদ্ধ করে দিলাম।
ভারতীয় জ্যোতিষ শাস্ত্রমতে ছাত্রদের বিভিন্ন শিক্ষা সংক্রান্ত যে পরামর্শ দিয়েছিলাম, মূল্যবান সেই তথ্য গুলো এখানে লিপিবদ্ধ করে দিলাম।
=> প্রাথমিক শিক্ষামূলক (উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত) পড়াশুনার ক্ষেত্রে পড়াশুনার ঘরের মধ্যে সর্বদা উত্তর দিক কিংবা উত্তর-পূর্ব কোণের (ঈশান কোণ) দিকে মুখ করে বসা উচিৎ, তবে উত্তর-পূর্ব কোণটাই গুরুত্বপূর্ণ।
=> পড়াশুনার ঘর সর্বদা সবুজ রঙ করা প্রয়োজন কারন সবুজ রঙ বুধ গ্রহের রঙ আর এই রঙ থেকে আমাদের সবচেয়ে বেশী মনঃসংযোগ বাড়ে।
=> পড়াশুনা করতে হলে সবসময় চেয়ার-টেবিল ব্যবহার করে তাতে বসে পড়াশুনা করা উচিৎ এবং তার সাথে যদি পাসে একটা টেবিল ল্যাম্প থাকে তাহলে সেটা শুভফলদায়ক।
=> উচ্চতর শিক্ষামূলক পড়াশুনা (উচ্চমাধ্যমিকের পরবর্তী শিক্ষা কিংবা ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, কিংবা কোনো টেকনোলজি কিংবা গবেষণা সংক্রান্ত শিক্ষা) উচ্চতর শিক্ষামূলক পড়াশুনার ক্ষেত্রে সর্বদা দক্ষিন-পূর্ব কোণ (অগ্নি কোণ) বরাবর মুখ করে প্রতিদিন পড়াশুনা করতে হবে। উচ্চতর বিদ্যার ক্ষেত্রে আপনার জন্ম কুন্ডলী (Horoscope) অনুযায়ী যে দিক শুভ, বাড়ীর সেই দিকের ঘরে পড়াশুনা করা উচিৎ। উচ্চতর শিক্ষার ক্ষেত্রেও পড়াশুনার ঘরের রঙ সবুজ করতে হবে। গবেষনা মূলক কিংবা টেকনোলজি শিক্ষার ক্ষেত্রে নীল, গোলাপী ইত্যাদি রঙও করা যেতে পারে।
=> পড়াশুনার ঘরে প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যে একটি করে চন্দনের ধুপ জ্বালানো উচিৎ কারন একমাত্র চন্দনের ধূপের মধ্যে মনঃসংযোগ করার অধিক ক্ষমতা আছে।
=> আপনাদের বাড়ীর মধ্যে যদি একটা গ্লোব রাখতে পারেন তাহলে এটা সেই বাড়ীর শিক্ষার্থীদের উপর শুভ প্রভাব ফেলতে বাধ্য।
আপনাদের শোবার ঘরে যেদিকে আপনি মাথা রেখে ঘুমান সেই দিকে আমাদের দেশের একটা বড় আকৃতির কাগজের ম্যাপ (Map) বা মানচিত্র দেওয়ালে পেরেক দিয়ে কিংবা আঠা লাগিয়ে শুধু টাঙিয়ে রাখবেন, এতে আশাকরি আপনাদের বাচ্চার মনঃসংযোগ অবশ্যই বৃদ্ধি পাবে।
=> যেসব ছাত্ররা উচ্চতর শিক্ষামূলক পড়াশুনা করছেন তারা তাদের পড়ার টেবিলে একটি পরিস্কার কাঁচের গ্লাসে চারটি সবুজ রঙের (মাথা ছোলা) পেন্সিল নিয়ে সেগুলিকে একটি সবুজ সুতো দিয়ে ৩ প্যাঁচে বেঁধে পেন্সিল গুলোর ছোলা দিকটা উপরের দিকে করে কাঁচের গ্লাসে রেখে দিন এবং সেই পেন্সিল সমেত গ্লাসটি রেখে দিন, এতে আশাকরি আপনাদের পড়াশুনার প্রতি মনঃসংযোগ বৃদ্ধি পাবে।
=> এই কাজটি করতে হবে শুক্ল পক্ষ্যের মধ্যে শুক্রবার। আপনাদের বাচ্চার পড়ার বই গুলোর মধ্যে শুক্লপক্ষের শনিবার একটি করে লবঙ্গ প্রতিটি বইয়ের মধ্যে রেখে দিন এতে ছাত্রের পড়ায় মনঃসংযোগ বাড়বে।
=> পরীক্ষার সময় যদি আপনারা আপনাদের বাচ্চার হাতের অনামিকা আঙ্গুল (Ring Finger) দিয়ে টক দইয়ের ফোটা কিংবা হনুমানজীর মন্দিরে গিয়ে তাঁর ডান কাঁধের থেকে কিছুটা মেটে সিন্দুর অনামিকা আঙ্গুল (Ring Finger) দিয়ে কপালে এবং গলায় তিলক দিয়ে তারপর পরীক্ষা দিতে যায় তাহলে পরীক্ষাকেন্দ্রে আপনার বাচ্চা মনঃসংযোগ সঠিকভাবে প্রয়োগ
করতে পারবে।
=> আপনাদের বাড়ীর শৌচালয় ঘরের (Toilet Room) পাশে অথবা শৌচালয় ঘরের দেওয়ালের সাথে সংযুক্ত কোনো ঘরে পড়াশুনা করা উচিৎ নয়।
=> আপনাদের বাড়ীর শোবার বিছানার উপর বসে পড়াশুনা করা কখনোও উচিৎ নয়, এটা ভারতীয় বাস্তুমতে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ, তবে এই বাস্তুদোষের জন্য হয়তো প্রথম প্রথম আপনারা আপনাদের পড়াশুনার ক্ষেত্রে বাস্তুর কুপ্রভাব বুঝতে নাও পারেন কিন্তু পরবর্তীকালে উচ্চ শিক্ষার সময় ৯৯% নিশ্চিতভাবে অবশ্যই আপনারা কুপ্রভাব আপনাদের বাচ্চার পড়াশুনার ক্ষেত্রে পাবেন।
=> আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতায় দেখেছি, 'হনুমান চালিশা' নিত্য পাঠ করা ছাত্রেরা পরীক্ষায় ভালো ফল তো অবশ্যই করে উপরন্তু শিক্ষক ও গুরুজনদের যথাযোগ্য সম্মান দেয় এবং সামাজিক অশুভ প্রভাব থেকে দুরে থাকে।
=> খাদ্যের প্রভাবও ছাত্রদের উপর মারাত্মক। যত বেশী নিরামিষ ও আঁশযুক্ত সুষম খাদ্য বাচ্চারা খায় ততই ভালো। প্রতিদিন ভোরে সূর্য্যপ্রণাম ও প্রাণায়াম বাচ্চাদের মনঃসংযোগ বাড়ানোর আরও একটা উপায়। ফাস্ট-ফুড্ মনঃসংযোগ ও স্বাস্থ্যের পক্ষে হানিকারক।
পড়াশুনা করার প্রতি মনঃসংযোগ বাড়ানোর উপায় নিয়ে এতক্ষন আলোচনা করলাম কিন্তু এই পড়াশুনাকে কে কতটা ভালোবেসে করবে সেটা পুরোটাই তার ব্যক্তিগত ব্যাপার, একজন ছাত্র সে নিজে থেকে কতটা পড়াশুনাকে ভালোবাসবে সেটা ব্যক্তিগত জন্ম-কুন্ডলী দেখে বিচার করতে হয়। কোনো ছাত্র যদি নিজে বা পরিবার থেকে তার মধ্যে পড়াশুনার প্রতি ভালোবাসা না থাকে তাহলে কিন্তু সেইক্ষেত্রে আমার এই তথ্য কিংবা আমি তার কাছে দায়ী থাকব না। অম্ততঃ একজন বাচ্চাও যদি আমার এই তথ্যে উপকৃত হয় আমি ধন্য হব।
=> পড়াশুনা করতে হলে সবসময় চেয়ার-টেবিল ব্যবহার করে তাতে বসে পড়াশুনা করা উচিৎ এবং তার সাথে যদি পাসে একটা টেবিল ল্যাম্প থাকে তাহলে সেটা শুভফলদায়ক।
=> উচ্চতর শিক্ষামূলক পড়াশুনা (উচ্চমাধ্যমিকের পরবর্তী শিক্ষা কিংবা ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, কিংবা কোনো টেকনোলজি কিংবা গবেষণা সংক্রান্ত শিক্ষা) উচ্চতর শিক্ষামূলক পড়াশুনার ক্ষেত্রে সর্বদা দক্ষিন-পূর্ব কোণ (অগ্নি কোণ) বরাবর মুখ করে প্রতিদিন পড়াশুনা করতে হবে। উচ্চতর বিদ্যার ক্ষেত্রে আপনার জন্ম কুন্ডলী (Horoscope) অনুযায়ী যে দিক শুভ, বাড়ীর সেই দিকের ঘরে পড়াশুনা করা উচিৎ। উচ্চতর শিক্ষার ক্ষেত্রেও পড়াশুনার ঘরের রঙ সবুজ করতে হবে। গবেষনা মূলক কিংবা টেকনোলজি শিক্ষার ক্ষেত্রে নীল, গোলাপী ইত্যাদি রঙও করা যেতে পারে।
=> পড়াশুনার ঘরে প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যে একটি করে চন্দনের ধুপ জ্বালানো উচিৎ কারন একমাত্র চন্দনের ধূপের মধ্যে মনঃসংযোগ করার অধিক ক্ষমতা আছে।
=> আপনাদের বাড়ীর মধ্যে যদি একটা গ্লোব রাখতে পারেন তাহলে এটা সেই বাড়ীর শিক্ষার্থীদের উপর শুভ প্রভাব ফেলতে বাধ্য।
আপনাদের শোবার ঘরে যেদিকে আপনি মাথা রেখে ঘুমান সেই দিকে আমাদের দেশের একটা বড় আকৃতির কাগজের ম্যাপ (Map) বা মানচিত্র দেওয়ালে পেরেক দিয়ে কিংবা আঠা লাগিয়ে শুধু টাঙিয়ে রাখবেন, এতে আশাকরি আপনাদের বাচ্চার মনঃসংযোগ অবশ্যই বৃদ্ধি পাবে।
=> যেসব ছাত্ররা উচ্চতর শিক্ষামূলক পড়াশুনা করছেন তারা তাদের পড়ার টেবিলে একটি পরিস্কার কাঁচের গ্লাসে চারটি সবুজ রঙের (মাথা ছোলা) পেন্সিল নিয়ে সেগুলিকে একটি সবুজ সুতো দিয়ে ৩ প্যাঁচে বেঁধে পেন্সিল গুলোর ছোলা দিকটা উপরের দিকে করে কাঁচের গ্লাসে রেখে দিন এবং সেই পেন্সিল সমেত গ্লাসটি রেখে দিন, এতে আশাকরি আপনাদের পড়াশুনার প্রতি মনঃসংযোগ বৃদ্ধি পাবে।
=> এই কাজটি করতে হবে শুক্ল পক্ষ্যের মধ্যে শুক্রবার। আপনাদের বাচ্চার পড়ার বই গুলোর মধ্যে শুক্লপক্ষের শনিবার একটি করে লবঙ্গ প্রতিটি বইয়ের মধ্যে রেখে দিন এতে ছাত্রের পড়ায় মনঃসংযোগ বাড়বে।
=> পরীক্ষার সময় যদি আপনারা আপনাদের বাচ্চার হাতের অনামিকা আঙ্গুল (Ring Finger) দিয়ে টক দইয়ের ফোটা কিংবা হনুমানজীর মন্দিরে গিয়ে তাঁর ডান কাঁধের থেকে কিছুটা মেটে সিন্দুর অনামিকা আঙ্গুল (Ring Finger) দিয়ে কপালে এবং গলায় তিলক দিয়ে তারপর পরীক্ষা দিতে যায় তাহলে পরীক্ষাকেন্দ্রে আপনার বাচ্চা মনঃসংযোগ সঠিকভাবে প্রয়োগ
করতে পারবে।
=> আপনাদের বাড়ীর শৌচালয় ঘরের (Toilet Room) পাশে অথবা শৌচালয় ঘরের দেওয়ালের সাথে সংযুক্ত কোনো ঘরে পড়াশুনা করা উচিৎ নয়।
=> আপনাদের বাড়ীর শোবার বিছানার উপর বসে পড়াশুনা করা কখনোও উচিৎ নয়, এটা ভারতীয় বাস্তুমতে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ, তবে এই বাস্তুদোষের জন্য হয়তো প্রথম প্রথম আপনারা আপনাদের পড়াশুনার ক্ষেত্রে বাস্তুর কুপ্রভাব বুঝতে নাও পারেন কিন্তু পরবর্তীকালে উচ্চ শিক্ষার সময় ৯৯% নিশ্চিতভাবে অবশ্যই আপনারা কুপ্রভাব আপনাদের বাচ্চার পড়াশুনার ক্ষেত্রে পাবেন।
=> আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতায় দেখেছি, 'হনুমান চালিশা' নিত্য পাঠ করা ছাত্রেরা পরীক্ষায় ভালো ফল তো অবশ্যই করে উপরন্তু শিক্ষক ও গুরুজনদের যথাযোগ্য সম্মান দেয় এবং সামাজিক অশুভ প্রভাব থেকে দুরে থাকে।
=> খাদ্যের প্রভাবও ছাত্রদের উপর মারাত্মক। যত বেশী নিরামিষ ও আঁশযুক্ত সুষম খাদ্য বাচ্চারা খায় ততই ভালো। প্রতিদিন ভোরে সূর্য্যপ্রণাম ও প্রাণায়াম বাচ্চাদের মনঃসংযোগ বাড়ানোর আরও একটা উপায়। ফাস্ট-ফুড্ মনঃসংযোগ ও স্বাস্থ্যের পক্ষে হানিকারক।
পড়াশুনা করার প্রতি মনঃসংযোগ বাড়ানোর উপায় নিয়ে এতক্ষন আলোচনা করলাম কিন্তু এই পড়াশুনাকে কে কতটা ভালোবেসে করবে সেটা পুরোটাই তার ব্যক্তিগত ব্যাপার, একজন ছাত্র সে নিজে থেকে কতটা পড়াশুনাকে ভালোবাসবে সেটা ব্যক্তিগত জন্ম-কুন্ডলী দেখে বিচার করতে হয়। কোনো ছাত্র যদি নিজে বা পরিবার থেকে তার মধ্যে পড়াশুনার প্রতি ভালোবাসা না থাকে তাহলে কিন্তু সেইক্ষেত্রে আমার এই তথ্য কিংবা আমি তার কাছে দায়ী থাকব না। অম্ততঃ একজন বাচ্চাও যদি আমার এই তথ্যে উপকৃত হয় আমি ধন্য হব।
জয় মা কামাখ্যা।
Courtesy by: Prithwish Ghosh
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন