স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১ সালের ০৯ এপ্রিল সকাল ১০টা ইতিহাসের ধারক ও এদেশের ঐতিহ্যময় ঐতিহাসিক হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম ধর্মীয় উৎসবের মূল্যবান ধামরাইয়ের কাঠের ‘রথ’ টি বর্বর পাক হানাদার বাহিনী ও দেশীয় দালাল, রাজাকার মিলে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। তখন গোটা দেশেই চলছিল হত্যাযঞ্জ, নির্যাতন, লুটপাট, পাশাপাশি চলছিল যুক্তিযুদ্ধ। ৪০ ফুট প্রস্থে ৭৫ ফুট উচ্চতা ৩ তলা বিশিষ্ঠ ও ৯ টি প্রকোষ্ঠ এবং ৯ টি মাথা বিশিষ্ঠ সৌন্দর্য শৈলীর নানা কারু কার্জ্য খঁচিত সেই রথটির ইতিহাস প্রায় ৪০০ বছরের পুরোনো।
বাংলাদেশই নয় পৃথিবীতে এত বড় রথ আর কোথাও নেই। এর খ্যাতি বিশ্ব জুড়ে। এদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম এ উৎসব ধর্মীয় স্রোতধারায় প্রতিষ্ঠিত হলেও , বর্তমানে এ উৎসব পুরোপুরি সার্বজনীনতা লাভ করেছে। লাখো মানুষের মিলন মেলায় পরিনত হয়ে উঠে এ উৎসব। প্রতি বছরই সরকারের মন্ত্রী বা উচ্চ পর্যায়ের কোন না কোন বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গরা আসেন এই রথ ও তার মাসব্যাপী মেলা উদ্ধোধন করতে।
ভারত সরকার বাংলাদেশের সাথে সেতু বন্ধন অটুট রাখতে ২০১০ সালে ধামরাইয়ে পুরোনো রথটির আদলে নির্মানে ৮০ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি নতুন রথ নির্মাণ করে দেয়। বাংলাদেশস্থ ভারতীয় দূতাবাসের তত্বাবধানে ২০০৯ সালে ধমরাই রথের টেন্ডার হয়। টেন্ডার পেয়ে উই.ডি.সি.কেল.বিন টেকনো. টাচ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ২০১০ সালের জানুয়ারী থেকে রথ নিমার্ন কাজ শুরু করে। নির্মান কাজ ৬ মাসের মধ্যেই শেষ করে। ২০১০ সালের রথ উৎসব নতুন রথেই অনূষ্ঠিত হয়।
ধামরাইয়ের ঐতিহ্যবাহী এই রথ ১০৭৯ সালে প্রথম জনৈক রাম জীবন বায় মৌলিকের প্রতিষ্ঠিত ও বাঁশের তৈরীরথে মূর্তি চড়িয়ে রথ যাত্রার শুরু হয়। তবে এর আগে কবে কখন রথ উৎসব শুরু হয়েছে তা অজানা। পরবর্তীতে বাংলা ১২০৪ সালে তৎকালীন ঢাকা জেলার অর্ন্তগত মানিকগঞ্জের বালিয়াটির জমিদারগন ঐতিহাসিক রথের নির্মান ব্যয়ভার বহন করেন। দেশ স্বাধীন হবার পর ১৯৭২ সালে এই রথ না থাকায় উৎসব বন্ধ ছিল এক বছর।
১৯৭৩ সালে হিন্দু সমপ্রদায়ের লোক জন ছোট আকারে একটি বাশঁ ও কাঠের রথ নির্মান করে উৎসব পালন করে। ১৯৭৪ সালে বৃহৎ রথের আদলে ছোট পরিসরে কাঠের রথ নির্মান করে শুরু করে পুণরায় রথ উৎসবের নবযাত্রা। এ ব্যাপারে ধামরাই রথ কমিটির অন্যতম সদস্য ও শিল্পী সুকান্ত বনিক বলেন, বিগত ২০০৬ সালে ধামরাইয়ের রথ উৎসবে তৎকালীন মাধব মন্দির কমিটির সাধরন সম্পাদক ধামরাইয়ের বিশিষ্ঠ সমাজ সেবক প্রয়াত ঠাকুর গোপাল বনিকের আমন্ত্রনে রথ উৎসবে বিশেষ অতিথি হয়ে আসেন ঐ সময়ের বাংলাদেশস্থ ভারতীয় দূতাবাসের দূত শ্রীমতি বিনা সিক্রী। ধামরাই বাসীর আন্তরিক দাবীর প্রেক্ষিতে শ্রীমতি বিনা সিক্রী তার ভাষণে পূর্বের আদলে ধামরাইয়ের রথটি নির্মান করে দেবার আশ্বাস দেন।
এরপর রথ ও মাধব মন্দির কমিটির দুই জন কর্মকর্তা বর্তমান প্রয়াত ঠাকুর গোপাল বণিক ও ধামরাইয়ের বিশ্ব কর্মা বলে খ্যাত শিল্পী সুকান্ত বণিক নিজে ধামরাই থেকে ভারতের পুরিতে যান। সেখানেই রথ নির্মান খরচ বিষয়ক ও তত্বাবধায়ক বিষয়ে আলোচনা হয়। ভারত সরকার বাংলাদেশের সেতু বন্ধন অটুট রাখতে ধামরাইয়ে বর্তমান এই রথটির নির্মানে প্রায় কোটি টাকা ব্যয়করে নির্মানের প্রদক্ষেপ গ্রহন করেন। । লক্ষী রানী জানালেন, রথযাত্রা আসলে তাদের আনন্দের অন্ত থাকে না। ধামরাইয়ের বাসিন্দা শিশু মোঃ জাহিদ ও বিশ্বনাথ জানালেন, শুনেছি আগে যে রথটি ছিলো সেটি ১৯৭১ এর মুক্তিযদ্ধের সময় পাক বর্বর বাহিনীরা পুড়িয়ে দিয়েছে। এখন ছোট রথেই রথ মেলা দেখবো বলেন। তারা আরো বলেন, এই ধামরাইয়ে রথমেলা হিন্দুদের হলেও সকল ধর্মের মানুষ উপভোগ করে থাকে এখানে কোন ভেদাভেদ নেই.
courtesy : bangali hindu post
বাংলাদেশই নয় পৃথিবীতে এত বড় রথ আর কোথাও নেই। এর খ্যাতি বিশ্ব জুড়ে। এদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম এ উৎসব ধর্মীয় স্রোতধারায় প্রতিষ্ঠিত হলেও , বর্তমানে এ উৎসব পুরোপুরি সার্বজনীনতা লাভ করেছে। লাখো মানুষের মিলন মেলায় পরিনত হয়ে উঠে এ উৎসব। প্রতি বছরই সরকারের মন্ত্রী বা উচ্চ পর্যায়ের কোন না কোন বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গরা আসেন এই রথ ও তার মাসব্যাপী মেলা উদ্ধোধন করতে।
ভারত সরকার বাংলাদেশের সাথে সেতু বন্ধন অটুট রাখতে ২০১০ সালে ধামরাইয়ে পুরোনো রথটির আদলে নির্মানে ৮০ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি নতুন রথ নির্মাণ করে দেয়। বাংলাদেশস্থ ভারতীয় দূতাবাসের তত্বাবধানে ২০০৯ সালে ধমরাই রথের টেন্ডার হয়। টেন্ডার পেয়ে উই.ডি.সি.কেল.বিন টেকনো. টাচ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ২০১০ সালের জানুয়ারী থেকে রথ নিমার্ন কাজ শুরু করে। নির্মান কাজ ৬ মাসের মধ্যেই শেষ করে। ২০১০ সালের রথ উৎসব নতুন রথেই অনূষ্ঠিত হয়।
ধামরাইয়ের ঐতিহ্যবাহী এই রথ ১০৭৯ সালে প্রথম জনৈক রাম জীবন বায় মৌলিকের প্রতিষ্ঠিত ও বাঁশের তৈরীরথে মূর্তি চড়িয়ে রথ যাত্রার শুরু হয়। তবে এর আগে কবে কখন রথ উৎসব শুরু হয়েছে তা অজানা। পরবর্তীতে বাংলা ১২০৪ সালে তৎকালীন ঢাকা জেলার অর্ন্তগত মানিকগঞ্জের বালিয়াটির জমিদারগন ঐতিহাসিক রথের নির্মান ব্যয়ভার বহন করেন। দেশ স্বাধীন হবার পর ১৯৭২ সালে এই রথ না থাকায় উৎসব বন্ধ ছিল এক বছর।
১৯৭৩ সালে হিন্দু সমপ্রদায়ের লোক জন ছোট আকারে একটি বাশঁ ও কাঠের রথ নির্মান করে উৎসব পালন করে। ১৯৭৪ সালে বৃহৎ রথের আদলে ছোট পরিসরে কাঠের রথ নির্মান করে শুরু করে পুণরায় রথ উৎসবের নবযাত্রা। এ ব্যাপারে ধামরাই রথ কমিটির অন্যতম সদস্য ও শিল্পী সুকান্ত বনিক বলেন, বিগত ২০০৬ সালে ধামরাইয়ের রথ উৎসবে তৎকালীন মাধব মন্দির কমিটির সাধরন সম্পাদক ধামরাইয়ের বিশিষ্ঠ সমাজ সেবক প্রয়াত ঠাকুর গোপাল বনিকের আমন্ত্রনে রথ উৎসবে বিশেষ অতিথি হয়ে আসেন ঐ সময়ের বাংলাদেশস্থ ভারতীয় দূতাবাসের দূত শ্রীমতি বিনা সিক্রী। ধামরাই বাসীর আন্তরিক দাবীর প্রেক্ষিতে শ্রীমতি বিনা সিক্রী তার ভাষণে পূর্বের আদলে ধামরাইয়ের রথটি নির্মান করে দেবার আশ্বাস দেন।
এরপর রথ ও মাধব মন্দির কমিটির দুই জন কর্মকর্তা বর্তমান প্রয়াত ঠাকুর গোপাল বণিক ও ধামরাইয়ের বিশ্ব কর্মা বলে খ্যাত শিল্পী সুকান্ত বণিক নিজে ধামরাই থেকে ভারতের পুরিতে যান। সেখানেই রথ নির্মান খরচ বিষয়ক ও তত্বাবধায়ক বিষয়ে আলোচনা হয়। ভারত সরকার বাংলাদেশের সেতু বন্ধন অটুট রাখতে ধামরাইয়ে বর্তমান এই রথটির নির্মানে প্রায় কোটি টাকা ব্যয়করে নির্মানের প্রদক্ষেপ গ্রহন করেন। । লক্ষী রানী জানালেন, রথযাত্রা আসলে তাদের আনন্দের অন্ত থাকে না। ধামরাইয়ের বাসিন্দা শিশু মোঃ জাহিদ ও বিশ্বনাথ জানালেন, শুনেছি আগে যে রথটি ছিলো সেটি ১৯৭১ এর মুক্তিযদ্ধের সময় পাক বর্বর বাহিনীরা পুড়িয়ে দিয়েছে। এখন ছোট রথেই রথ মেলা দেখবো বলেন। তারা আরো বলেন, এই ধামরাইয়ে রথমেলা হিন্দুদের হলেও সকল ধর্মের মানুষ উপভোগ করে থাকে এখানে কোন ভেদাভেদ নেই.
courtesy : bangali hindu post
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন