সবেমাত্র আধ্যাত্মজগতের সন্ধান পাওয়া একজন মানুষের প্রলাপঃ
হে মা,অপার করুনাময়ী মা, একি অপরূপ মায়া তব হে মা। তুমি নিজেই সব সৃষ্টি কর আবার নিজেই ধ্বংসও কর। তাহলে বানাও কেন? যদি বানালেই তবে ঘোচাও কেন? হরিণ বানালে কত সুন্দর। বাঘ কেন বানালে মা। যে সেই সুন্দরকে গ্রাস করে? দেবতা থাকলেই শুধু কি ক্ষতি ছিল অসুরের কিবা প্রয়োজন? আবার অসুরই যদি বানালে তখন তাদের হাত থেকে দেবতা ও মনুষ্যকুলকে রক্ষা করতে তুমিই আবার দায়িত্ব নাও। আহা, কি অপরুপ মায়া তব। মানুষগুলোর কাজ দেখেও যে আমি পাগল না হয়ে পারিনা। তোমার বানান নাকি সব থেকে বুদ্ধিমান প্রানী এই আমরা মানুষ। কিন্তু সামান্য এই বুদ্ধিটাও নেই যে আজ যা পাওয়ার জন্যে এত মারামারি করছি, এত খুনোখুনি রাহাজানি করছি তা পেয়েই বা কি লাভ হবে?
সেই তো চিতাতেই যেতে হবে। হ্যাঁগো মা, এই বুদ্ধিটুকু কেন হয়েনা গো মানুষের? বল যে সে সবথেকে বুদ্ধিমান? সকলে তো জানে যে এ বিশ্বের সবথেকে বড় ও চরম সত্য হল মৃত্যু। আর তার হাত থেকে কারোরই নিস্তার নেই। তবে কেন এত লোভ? এত হিংসা? যেখানে সকলে সকলের সাথে ভালোবেসে মিলেমিশে একসাথে যে কদিন এ পৃথিবীতে থাকার সুযোগ পাচ্ছে সেকদিন কাটাতে পারত তা নয়। কি করে বেরাচ্ছে দেখেছো একবার? কিছু মনে করনা মা, এই যদি বুদ্ধিমানের লক্ষন হয় তাহলে আমায় পরের জন্মে পাঁঠা কোরো। অন্তত জানব যে আমার এই বুদ্ধি নেই। তার ওপর আমি কারও ক্ষতিও করব না। চিরনিরামিশাষী হতে পারব পুরো জীবন কালে।
ছাই পাঁশ কেয়ে জীবন ও শরীরকে অপবিত্র করবনা। আর শেষে যদি তোমার কৃপা হয়, তোমার কাছেই সমর্পীত হওয়ার সুযোগটাও পেতে পারি। এইভাবে হিংসাপূর্ণ লোভি মানুষ হওয়ার চেয়ে তা ঢের ভালো। তুমি নিজেই হয়েতো আজ ভাবছ কি ভেবে মানুষ বানিয়েছিলে আর কি হল। এদের শিক্ষার অভাব দেখে যুগে যুগে নিজের অংশ, নিজের কৃপাধন্য পুত্রদেরও পাঠালে। কিছু মানুষ তাতে কিন্তু প্রকৃত মানুষও হল। কিন্তু বাকিরা? কজন এনাদের কথা মানে? মানা দুরের কথা কজন তাঁদের বলা নিতিকথা জানে? ভাবতে পার?যাদের তুমি বানালে, যাদের তুমি খাওয়ার জোটালে, নিশ্বাসের প্রয়োজনীয় বাতাস যোগালে, থাকার যায়গা দিলে, তারা আজ উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত (?) হয়ে তোমাকেই মানেনা। হাহা। ভাবলেও পাগল হয়ে যাই। মনীষীগন সকলের ভালোর জন্যে, যাতে নিজের ভালো হয় এবং সমাজেরও কল্যান হয় তেমন কত পথই বাতলালেন। কিন্তু শুনল কজন?
তোমায় নিয়ে এখন ব্যাবসাও হচ্ছে। দেখতে পাওনাগো? তোমায় একবার চোখের দেখা দেখব বলে মন্দিরে ঢুকেছিলাম। কাছে পয়েসা ছিলোনা। মাগো, আমায় দেখতে দেওয়া হয়েনি। কারনটা জানলাম, কমকরে ৫০ টাকা না দিলে তোমায় নাকি দেখা যায় না। হাহা। আবার পাগল হয়েছি গো। মাগো, তুমি যে সর্বত্র তাই যারা জানেনা তারা তোমার মন্দিরের সেবক। আবার সর্বত্র থাকলেও তোমায় যে দেখা যায়না তাও এরা জানে না, আবার পরম ভক্তি থাকলে চর্মচক্ষু বিনাও যে তোমার দর্শন লাভ সম্ভব তাও জানে না গো।
এসব ভেবে রাগও হয়। আবার পরক্ষনেই কিন্তু নিজেকেই বোঝায়, এতে রাগের তো কারন নেই, কারন? এ সকলই যে তোমার মায়া মা। তাই তো বললাম, কি অপরূপ মায়া তব।
তবে আমার একটা আবদার আছে। আমাকে এই মায়ায় বেঁধোনা। আমার ভালো লাগেনা। আমি সত্যিকারের জ্ঞানী হতে চাই। মানুষ হয়ে জন্মেও কুকুরের মত আচরন করতে চাইনা। আমি চাই তোমার সবথেকে বড় সৃষ্টির মান রাখতে। যেমন রেখেছেন ঠাকুর শ্রী রামকৃষ্ণ, মা সারদা, স্বামী বিবেকানন্দ। আমি অতি সামান্য, নির্বোধ। এনাদের মত হওয়াতো নিতান্ত কল্পনা মাত্র। আমায় শুধু এই মতি দাও যাতে এনাদের দেখানো পথে হাঁটতে পারি মা। তবেই যে তোমায় পেতে পারার সুযোগ পাব। আমি পাগলই হতে চাই। বাবার মত পাগল হলে মা যে তোমার চরন পাব। জয় মা। জয় মা। জয় মা।
লেখকঃ দেবাশীষ ভট্টাচার্য্য
হে মা,অপার করুনাময়ী মা, একি অপরূপ মায়া তব হে মা। তুমি নিজেই সব সৃষ্টি কর আবার নিজেই ধ্বংসও কর। তাহলে বানাও কেন? যদি বানালেই তবে ঘোচাও কেন? হরিণ বানালে কত সুন্দর। বাঘ কেন বানালে মা। যে সেই সুন্দরকে গ্রাস করে? দেবতা থাকলেই শুধু কি ক্ষতি ছিল অসুরের কিবা প্রয়োজন? আবার অসুরই যদি বানালে তখন তাদের হাত থেকে দেবতা ও মনুষ্যকুলকে রক্ষা করতে তুমিই আবার দায়িত্ব নাও। আহা, কি অপরুপ মায়া তব। মানুষগুলোর কাজ দেখেও যে আমি পাগল না হয়ে পারিনা। তোমার বানান নাকি সব থেকে বুদ্ধিমান প্রানী এই আমরা মানুষ। কিন্তু সামান্য এই বুদ্ধিটাও নেই যে আজ যা পাওয়ার জন্যে এত মারামারি করছি, এত খুনোখুনি রাহাজানি করছি তা পেয়েই বা কি লাভ হবে?
সেই তো চিতাতেই যেতে হবে। হ্যাঁগো মা, এই বুদ্ধিটুকু কেন হয়েনা গো মানুষের? বল যে সে সবথেকে বুদ্ধিমান? সকলে তো জানে যে এ বিশ্বের সবথেকে বড় ও চরম সত্য হল মৃত্যু। আর তার হাত থেকে কারোরই নিস্তার নেই। তবে কেন এত লোভ? এত হিংসা? যেখানে সকলে সকলের সাথে ভালোবেসে মিলেমিশে একসাথে যে কদিন এ পৃথিবীতে থাকার সুযোগ পাচ্ছে সেকদিন কাটাতে পারত তা নয়। কি করে বেরাচ্ছে দেখেছো একবার? কিছু মনে করনা মা, এই যদি বুদ্ধিমানের লক্ষন হয় তাহলে আমায় পরের জন্মে পাঁঠা কোরো। অন্তত জানব যে আমার এই বুদ্ধি নেই। তার ওপর আমি কারও ক্ষতিও করব না। চিরনিরামিশাষী হতে পারব পুরো জীবন কালে।
ছাই পাঁশ কেয়ে জীবন ও শরীরকে অপবিত্র করবনা। আর শেষে যদি তোমার কৃপা হয়, তোমার কাছেই সমর্পীত হওয়ার সুযোগটাও পেতে পারি। এইভাবে হিংসাপূর্ণ লোভি মানুষ হওয়ার চেয়ে তা ঢের ভালো। তুমি নিজেই হয়েতো আজ ভাবছ কি ভেবে মানুষ বানিয়েছিলে আর কি হল। এদের শিক্ষার অভাব দেখে যুগে যুগে নিজের অংশ, নিজের কৃপাধন্য পুত্রদেরও পাঠালে। কিছু মানুষ তাতে কিন্তু প্রকৃত মানুষও হল। কিন্তু বাকিরা? কজন এনাদের কথা মানে? মানা দুরের কথা কজন তাঁদের বলা নিতিকথা জানে? ভাবতে পার?যাদের তুমি বানালে, যাদের তুমি খাওয়ার জোটালে, নিশ্বাসের প্রয়োজনীয় বাতাস যোগালে, থাকার যায়গা দিলে, তারা আজ উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত (?) হয়ে তোমাকেই মানেনা। হাহা। ভাবলেও পাগল হয়ে যাই। মনীষীগন সকলের ভালোর জন্যে, যাতে নিজের ভালো হয় এবং সমাজেরও কল্যান হয় তেমন কত পথই বাতলালেন। কিন্তু শুনল কজন?
তোমায় নিয়ে এখন ব্যাবসাও হচ্ছে। দেখতে পাওনাগো? তোমায় একবার চোখের দেখা দেখব বলে মন্দিরে ঢুকেছিলাম। কাছে পয়েসা ছিলোনা। মাগো, আমায় দেখতে দেওয়া হয়েনি। কারনটা জানলাম, কমকরে ৫০ টাকা না দিলে তোমায় নাকি দেখা যায় না। হাহা। আবার পাগল হয়েছি গো। মাগো, তুমি যে সর্বত্র তাই যারা জানেনা তারা তোমার মন্দিরের সেবক। আবার সর্বত্র থাকলেও তোমায় যে দেখা যায়না তাও এরা জানে না, আবার পরম ভক্তি থাকলে চর্মচক্ষু বিনাও যে তোমার দর্শন লাভ সম্ভব তাও জানে না গো।
এসব ভেবে রাগও হয়। আবার পরক্ষনেই কিন্তু নিজেকেই বোঝায়, এতে রাগের তো কারন নেই, কারন? এ সকলই যে তোমার মায়া মা। তাই তো বললাম, কি অপরূপ মায়া তব।
তবে আমার একটা আবদার আছে। আমাকে এই মায়ায় বেঁধোনা। আমার ভালো লাগেনা। আমি সত্যিকারের জ্ঞানী হতে চাই। মানুষ হয়ে জন্মেও কুকুরের মত আচরন করতে চাইনা। আমি চাই তোমার সবথেকে বড় সৃষ্টির মান রাখতে। যেমন রেখেছেন ঠাকুর শ্রী রামকৃষ্ণ, মা সারদা, স্বামী বিবেকানন্দ। আমি অতি সামান্য, নির্বোধ। এনাদের মত হওয়াতো নিতান্ত কল্পনা মাত্র। আমায় শুধু এই মতি দাও যাতে এনাদের দেখানো পথে হাঁটতে পারি মা। তবেই যে তোমায় পেতে পারার সুযোগ পাব। আমি পাগলই হতে চাই। বাবার মত পাগল হলে মা যে তোমার চরন পাব। জয় মা। জয় মা। জয় মা।
লেখকঃ দেবাশীষ ভট্টাচার্য্য
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন