ভারত দীর্ঘদিন যন্ত্রণা সয়েছে , সনাতন ধর্মের ওপর বহুকাল ধরে অত্যাচার হয়েছে । কিন্তু প্রভু দয়াময় , তিনি আবার তাঁর সন্তানদের পরিত্রাণের জন্য এসেছেন । পতিত ভারতবর্ষ আবার জেগে ওঠার সুযোগ পেয়েছে । শ্রী রামকৃষ্ণের পদতলে বসে শিক্ষা গ্রহণ করলেই কেবল ভারতবর্ষ উঠতে পারবে । তাঁর জীবন , তাঁর উপদেশ চারদিকে প্রচার করতে হবে , যেন হিন্দু সমাজের সর্বাংশে -- প্রতি অণু পরমাণুতে এই উপদেশ ওতপ্রোত ভাবে ব্যাপ্ত হয়ে যায় ।
হে বীর হৃদয় বালক গণ , কাজে এগিয়ে যাও । টাকা থাক আর না থাক , মানুষের সহায়তা পাও আর নাই পাও , তোমার তো প্রেম আছে ? ভগবান তো তোমার সহায় আছেন ? অগ্রসর হও , তোমার গতি কেউ রোধ করতে পারবেনা । নিজের ভিতর উৎসাহাগ্নি প্রজ্বলিত কর , আর চারিদিকে বিস্তার করতে থাকো । তুমি যদি পবিত্র ও অকপট হও , সবই ঠিক হয়ে যাবে । তোমার মতো শত শত যুবক চাই , যারা সমাজের উপর গিয়ে মহা বেগে পড়বে এবং যেখানেই যাবে সেখানেই নবজীবন ও আধ্যাত্মিক শক্তি সঞ্চার করবে ।
.আমাদের এখন প্রয়োজন --- শক্তি সঞ্চার । তোমাদের স্নায়ু সতেজ কর । আমাদের আবশ্যক লৌহের মতো পেশী ও বজ্র দৃঢ় স্নায়ু । আমরা অনেক দিন ধরে কেঁদেছি ; এখন আর কাঁদবার প্রয়োজন নেই , এখন নিজের পায়ে ভর দিয়ে দাঁড়িয়ে মানুষ হও । তোমাদের উপনিষদ সেই বল প্রদ আলোক প্রদ দিব্য দর্শন শাস্ত্র আবার অবলম্বন কর , তোমাদের সম্মুখে উপনিষদের এই সত্য সমূহ আছে । ঐ সত্য সমূহ অবলোকন কর , ঐগুলি উপলব্ধি করে কার্যে পরিণত কর ।
এই বীর্য লাভের প্রথম উপায় উপনিষদে বিশ্বাসী হওয়া এবং বিশ্বাস করা যে ' আমি আত্মা , তরবারি আমাকে ছেদন করতে পারেনা , কোন যন্ত্র আমাকে ভেদ করতে পারেনা , অগ্নি আমাকে দগ্ধ করতে পারেনা , বায়ু শুষ্ক করতে পারেনা , আমি সর্বশক্তিমান , আমি সর্বজ্ঞ । '
হে বঙ্গীয় যুবক বৃন্দ , তোমাদের দেশের জন্যে এটা প্রয়োজন , সমুদয় জগতের জন্যে এটা প্রয়োজন । তোমাদের অন্তর্নিহিত ব্রহ্ম শক্তি জাগিয়ে তোল ; সেই শক্তি তোমাদেরকে ক্ষুধা - তৃষ্ণা শীত - উষ্ণতা - সব কিছু সহ্য করতে সমর্থ করবে । মহৎ হও । স্বার্থ ত্যাগ ছাড়া কোন মহৎ কার্যই সাধিত হতে পারেনা । অন্যে যাই ভাবুক আর করুক তুমি কখনও তোমার পবিত্রতা , নৈতিকতা আর ভগবৎ প্রেমের আদর্শকে নীচু করোনা । যে ভগবান কে ভালবাসে তার পক্ষে চালাকিতে ভীত হবার কিছু নেই । স্বর্গে ও মর্তে পবিত্রতাই সবচেয়ে মহৎ ও দিব্য শক্তি ।
প্রার্থনা করি আমার ভিতরে যে আগুন জ্বলছে , তা তোমাদের ভিতর জ্বলে উঠুক , তোমাদের মন - মুখ এক হোক , ভাবের ঘরে চুরি যেন একদম না থাকে । জগতের যুদ্ধ ক্ষেত্রে তোমরা যেন বীরের মতো মরতে পারো । এই সব সময় বিবেকানন্দের প্রার্থনা ।
হে বীর হৃদয় বালক গণ , কাজে এগিয়ে যাও । টাকা থাক আর না থাক , মানুষের সহায়তা পাও আর নাই পাও , তোমার তো প্রেম আছে ? ভগবান তো তোমার সহায় আছেন ? অগ্রসর হও , তোমার গতি কেউ রোধ করতে পারবেনা । নিজের ভিতর উৎসাহাগ্নি প্রজ্বলিত কর , আর চারিদিকে বিস্তার করতে থাকো । তুমি যদি পবিত্র ও অকপট হও , সবই ঠিক হয়ে যাবে । তোমার মতো শত শত যুবক চাই , যারা সমাজের উপর গিয়ে মহা বেগে পড়বে এবং যেখানেই যাবে সেখানেই নবজীবন ও আধ্যাত্মিক শক্তি সঞ্চার করবে ।
.আমাদের এখন প্রয়োজন --- শক্তি সঞ্চার । তোমাদের স্নায়ু সতেজ কর । আমাদের আবশ্যক লৌহের মতো পেশী ও বজ্র দৃঢ় স্নায়ু । আমরা অনেক দিন ধরে কেঁদেছি ; এখন আর কাঁদবার প্রয়োজন নেই , এখন নিজের পায়ে ভর দিয়ে দাঁড়িয়ে মানুষ হও । তোমাদের উপনিষদ সেই বল প্রদ আলোক প্রদ দিব্য দর্শন শাস্ত্র আবার অবলম্বন কর , তোমাদের সম্মুখে উপনিষদের এই সত্য সমূহ আছে । ঐ সত্য সমূহ অবলোকন কর , ঐগুলি উপলব্ধি করে কার্যে পরিণত কর ।
এই বীর্য লাভের প্রথম উপায় উপনিষদে বিশ্বাসী হওয়া এবং বিশ্বাস করা যে ' আমি আত্মা , তরবারি আমাকে ছেদন করতে পারেনা , কোন যন্ত্র আমাকে ভেদ করতে পারেনা , অগ্নি আমাকে দগ্ধ করতে পারেনা , বায়ু শুষ্ক করতে পারেনা , আমি সর্বশক্তিমান , আমি সর্বজ্ঞ । '
হে বঙ্গীয় যুবক বৃন্দ , তোমাদের দেশের জন্যে এটা প্রয়োজন , সমুদয় জগতের জন্যে এটা প্রয়োজন । তোমাদের অন্তর্নিহিত ব্রহ্ম শক্তি জাগিয়ে তোল ; সেই শক্তি তোমাদেরকে ক্ষুধা - তৃষ্ণা শীত - উষ্ণতা - সব কিছু সহ্য করতে সমর্থ করবে । মহৎ হও । স্বার্থ ত্যাগ ছাড়া কোন মহৎ কার্যই সাধিত হতে পারেনা । অন্যে যাই ভাবুক আর করুক তুমি কখনও তোমার পবিত্রতা , নৈতিকতা আর ভগবৎ প্রেমের আদর্শকে নীচু করোনা । যে ভগবান কে ভালবাসে তার পক্ষে চালাকিতে ভীত হবার কিছু নেই । স্বর্গে ও মর্তে পবিত্রতাই সবচেয়ে মহৎ ও দিব্য শক্তি ।
প্রার্থনা করি আমার ভিতরে যে আগুন জ্বলছে , তা তোমাদের ভিতর জ্বলে উঠুক , তোমাদের মন - মুখ এক হোক , ভাবের ঘরে চুরি যেন একদম না থাকে । জগতের যুদ্ধ ক্ষেত্রে তোমরা যেন বীরের মতো মরতে পারো । এই সব সময় বিবেকানন্দের প্রার্থনা ।
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন