বৈদিক সনাতন ধর্মের অনুসারীরা কারো সাথে দেখা
হলে বা কাউকে সম্ভাষণ করার সময় প্রথমে তাকে নমস্কার করে। আবার কোনো মন্দিরে গেলে মন্দিরের বিগ্রহকে
বা পবিত্র কোনো অনুষ্ঠান সম্পন্ন করার সময়ও নমস্কার প্রদান করে। এই নমস্কারের মাধ্যকে
কি তারা ঐ মনুষ্য দেহকে নমস্কার করে!!! আসুন দেখি বেদ কি বলে -
‘যো দেবো অগ্নৌ যো অপসু যো বিশ্বং ভুবনাবিবেশ
য ওষধীষু যো বনস্পতি তস্মৈ দেবায় নমো নমঃ
।।’ -শ্বেতশ্বতর উপনিষদ,
২-১৭।
...
‘যোগ যেমন পরমাত্মার দর্শনের সাধন বা উপায়,
নমস্কারাদিও অনুরূপ বলিয়া তাঁহাকে নমস্কার জানাই। তিনি কিরূপে?
তিনি দেব অর্থাৎ প্রকাশস্বভাব পরমাত্মা। তিনি কোথায়?
তিনি আছেন অগ্নিতে, জলে,
তৃণ-লতাদিতে, অশ্বথাদি বৃক্ষে,
তিনি এই বিশ্বভুবনে অন্তর্যামীরূপে অনুপ্রবিষ্ট হইয়া আছেন।’
উপোরক্ত শ্লোকে আমরা দেখতে পাচ্ছি,
যোগ যেমন পরমাত্মার দর্শনের সাধন বা উপায় তেমনি নমস্কারও পরমাত্মার
দর্শনের সাধন বা উপায়। তাই যখন আমরা কাউকে নমস্কার করি তখন আমরা সর্বজীবে অন্তর্যামীরূপে অবস্থিত পরমাত্মাকেই
প্রণতি নিবেদন করি কোন মনুষ্যদেহকে নয়। বর্তমানে অনেকে এই নমস্কার শব্দের অপব্যাখ্যা করে প্রচার করছে
এতে করে সনাতন ধর্মের অনুসারীরাও অনেক সময় বিভ্রান্ত হয়ে পড়ছে। এজন্য সকলকে অনুরোধ
জানাচ্ছি আপনারা বেদ পড়ুন ও বৈদিক পবিত্র জ্ঞানের আলোক সমগ্রবিশ্বে ছড়িয়ে দিন। নমস্কার । হরে কৃষ্ণ
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন