ভগবদগীতা মহাভারতের ভীষ্মপর্বের একটি অংশ । ২৫ অধ্যায় হতে ৪২ অধ্যায় পর্যন্ত এই ১৮ অধ্যায়কে শ্রীমদভগবদগীতা বা গীতোপনিষদ বলা হয়। ১৮ অধ্যায় সমন্বিত ভগবদগীতাকে বৈষ্ণব আচার্যরা মূখ্যতঃ তিন ভাগে বিভক্ত করেছে। প্রথম ছয়টি কে বলা হয় কর্ম-ষটক, মাঝের ছয়টি কে বলা হয় ভক্তি-ষটক এবং শেষ ছয়টি কে বলা হয় জ্ঞান-ষটক । শ্রীমদভগবদগীতায় পাঁচটি বিষয় বা তত্ত্ব মুখ্যতঃ আলোচিত হয়েছে । এগুলো হলো - জীব, ঈশ্বর, প্রকৃতি, কর্ম এবং কাল ।
গীতাজ্ঞান ভগবান শ্রীকৃষ্ণ তার সখা ও শিষ্য অর্জুনকে কুরুক্ষেত্রের রণাঙ্গনে যুদ্ধের পূর্ব মুহূর্তে প্রদান করেছিলেন । কুরুক্ষেত্রে যুদ্ধে কি হচ্ছে তা হস্তিনাপুর হতে সঞ্জয় দেখতে পেয়েছিলেন। কারন সঞ্জয় ছিলেন শ্রীল ব্যাসদেবের শিষ্য । শ্রীল ব্যাসদেবের কৃপায় সঞ্জয় দিব্যদৃষ্টি লাভ করেছিলেন ফলে তিনি জম্মান্ধ ধৃতরাষ্টকে সে সমস্ত ঘটনা বর্ননা করেছিলেন । যুদ্ধের প্রথমদিকে কৌরব পক্ষের সেনাপতি ছিল পিতামহ ভীষ্মদেব।
কুরুক্ষেত্রে যুদ্ধের পূর্বে শ্রীকৃষ্ণ পাঞ্চজন্য, অর্জুন দেবদত্ত, ভীম পৌন্ড্র, যুধিষ্ঠির অনন্ত বিজয়, নকুল সুঘোষ ও সহদেব মনিপুষ্পক নামক শঙ্খ বাজিয়েছিলেন । চলবে.........
অমিত সরকার শুভ
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন