“কৃষ্ণস্তু ভগবান স্বয়ং”। আমাদের সমগ্র হিন্দুর ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক ও জাতীয় জীবনপ্রবাহের আলোচনা ও বিশ্লেষণ করলে
দেখা যায়- শ্রীকৃষ্ণের জীবন ও চরিত্রই যেন সমস্ত কিছুকে আচ্ছন্ন করে আছে। ভগবান
শ্রীকৃষ্ণের ন্যায় সর্বতোমুখী মহাপ্রতিভাশালী জীবন জগতের ইতিহাসে দেখা যায় না।
অথচ, আজ সেই ধর্ম-সাম্রাজ্য-সংগঠক শ্রীকৃষ্ণের কর্মপ্রতিভা ও কীর্তিকলাপের স্মৃতিগুলি
বিসর্জন দিয়ে তাঁকে বৃন্দাবনের ভাবসাধনার প্রতিমায় সাজিয়ে বসনচোরা, গোপীচোরা
হিসেবেই বেশি প্রচার করা হয়। কিন্তু, এই উচ্চ দর্শন কয় জন বোঝে? অনধিকারীরা ব্যাপক ভাবে এর চর্চা করতে গিয়ে
বিভ্রান্ত হচ্ছে। ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে অতিমানব, মহামানব,অবতার, অবতারী যাই বলা হোক
না কেন তিনি মনুষ্য দেহধারী অমিতগুণ ও শক্তির অধিকারী একজন ঐতিহাসিক পুরুষ। একদিকে
তিনি বাঁশি হাতে বৃন্দাবনের রাখাল ও অন্যদিকে তিনি ধর্মযুদ্ধে অর্জুনের
সিংহনাধকারী সারথি।
আজ চারিদিকে ভগবান ও ধর্মের নামে ভণ্ডামি।
কোথাও কোন আরাধ্য শ্রীকৃষ্ণ মূর্তি চূর্ণিত হতে দেখলে প্রতিবাদ প্রতিকার তো দূরের
কথা, বিপদের আশঙ্খায় প্রাণভয়ে পলায়ন করে সবাই।
সমগ্র হিন্দু জাতির আরাধ্য আদর্শ, হিন্দু ধর্মের ও
জাতীয়তার পরিপূর্ণ বিগ্রহ শ্রীকৃষ্ণের জীবন ও চরিত্রের এই বিকৃতি দূর করে; আর্য
হিন্দুজাতির সংস্কারক, ধর্ম সাম্রাজ্য সংগঠক শ্রীকৃষ্ণের জীবনের যথার্থ ও ঐতিহাসিক
কীর্তিকলাপের প্রচার আবশ্যক। আর তাতেই হিন্দু জাতি সম্মিলিত, সঙ্ঘবদ্ধ,
মহাপরাক্রমশালী, দিগ্বিজয়ী জাতিরূপে গড়ে উঠতে পারে। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ
ধর্ম ও কৃষ্টির মূলাধার, তাঁকে যদি আমরা
সঠিকভাবে জানতে না পারি তবে সেটা হবে
আমাদের জন্য অত্যন্ত বেদনাদায়ক।
ঈশ্বর সকলের মঙ্গল করুক। নমস্কার।
jr
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন