ভক্তি শব্দটা আসছে ‘ভজ’ ধাতুর উত্তর ‘ক্তিন’ প্রত্যয় করে; আর ভজনা শব্দের মানে হচ্ছে, আর অন্য কিছুকে আমার বলে মনে না করে ও আমাকে আর অন্য কিছুর মনে না করে প্রাণ, মন ও সমস্ত ভাবনাকে একাগ্র করে যখন ঈশ্বরের দিকে দেওয়া হয়, পরমপুরুষের দিকে দেওয়া হয় তাকে বলে ভক্তি। এই যাওয়াটা যদি পরমপুরুষের দিকে না হয়, অন্য কোন স্থূল বস্তুর দিকে , জড় জাগতিক বস্তুর দিকে হয়, তাকে বলা হয় আসক্তি। ভক্তি হ’ল সর্ববৃত্তিকে একাগ্র করে পরমপুরুষের দিকে নিয়ে যাওয়া। এই যে ভজনা, এই ভাবটাকে বলা হয় ভক্তি - ‘ভজ’ ধাতু + ‘ক্তিন’ = ভক্তি । ভজনার ব্যাখ্যা হ’ল - ‘ভক্তির্ভগবতো সেবা’। এখন ঈশ্বরকে ভজনা করে ঈশ্বরের সান্নিধ্য পেয়ে সে কী করবে ? কোন্ কাজটা সে সেই সময় করবে ? - না, ভগবানের সেবা করবে। ‘ভগবতো সেবা’ মানে ভগবানের সেবা, পরমপুরুষের সেবা ।
(সূত্রঃ তন্ত্রই সাধনা সাধনাই তন্ত্র)
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন