কেও মারা গেলে তার সন্তানেরা ৩৬৫ দিন অশুচ পালন করে । কেন ?
কারণ ৩৬৫ দিনে , ৩৬৫ ঋন শোধ হয়। এই ঋন শোধ না হলে সেই সন্তানেরা পূজা অর্চনা আদি বৈদিক কাজের যোগ্য হয় না। আসুন দেখি ৩৬৫ ঋনগুলো কি কিঃ–
১) জন্মদান , ২) মাতার গর্ভে ধারন/ পিতার বীজ স্থাপন , ৩) গর্ভকালীন কষ্ট/ পিতার গর্ভকালীন মাতাকে দেখাশোনা , ৪) গর্ভকালীন চিন্তা , ৫) শিশুর মঙ্গলের জন্য ঈশ্বরের নিকট প্রার্থনা , ৬) আগলে রাখা , ৭) শিশুর মঙ্গলের জন্য ব্রত করা , ৮) শিশুর কল্যাণে সাধু সেবা , ৯) শিশুর কল্যাণে মন্দির যাত্রা , ১০) উত্তম শিশু লাভের জন্য তীর্থ যাত্রা , ১১) শিশুর কল্যাণে দান করা , ১২) নিজের সুখ সুবিধা বর্জন করা , ১৩) গর্ভস্থ শিশুর সঞ্চালন সহ্য করা/ পিতার ক্ষেত্রে রাত্র জাগরণ করত মাতাকে সান্ত্বনা দেওয়া , ১৪) শিশুর জন্য অমঙ্গলের আশায় ভীত হওয়া , ১৫) দাই আনা বর্তমানে চিকিৎসক হাসপাতাল , ১৬) অসহ্য গর্ভ যন্ত্রনা/ পিতার ক্ষেত্রে দুশ্চিন্তা , ১৭) নাড়ীচ্ছেদনের কষ্ট/ পিতার ক্ষেত্রে কঠিন পরিস্থিতিতে মানসিক নিয়ন্ত্রন রাখা, ১৮) দাইয়ের খরচ বর্তমানে হাসপাতালের খরচ , ১৯) শিশুকে স্তন্য পান/ পিতার ক্ষেত্রে উত্তম স্তন্যদুগ্ধের জন্য মাতাকে উত্তম ভোজন প্রদান , ২০) আতুর ঘর নির্মাণ / মাতার ক্ষেত্রে আতুর ঘরে কাঁথা বিছানো , ২১) আতুর ঘর নির্মাতা ঘরামি কে অর্থ প্রদান / মাতার ক্ষেত্রে উত্তম আতুর ঘর নির্মাণ কিনা পরীক্ষা করা ২২) আতুর ঘরে রাত জেগে প্রহরা , ২৩) শৃগাল- কুকুর- মশক- মক্ষী বিতরণ , ২৪) পিতার পুত্রের মুখ দেখার ব্যাকুলতা , মাতার ক্ষেত্রে পুত্রকে প্রহরা একপাশে থেকে পীঠ ব্যাথা উপেক্ষা করে , ২৫) পিতার দোলনা নির্মাণে খরচ/ মাতার দোলনা তে দোলা তে দেওয়া , ২৬) মাতা পিতার আদর , ২৭) মাতার ঘুমপাড়ানি সঙ্গীত / পিতার বাৎসল্য বশতঃ “খোকা-খুকী” বলে সম্বোধন , ২৮) মাতার স্তন্যে শিশুর কামড় দেওয়ার যন্ত্রনা সহ্য/ পিতার ক্ষেত্রে ক্রোড়ে মল মূত্র ত্যাগ করা সহ্য করা , ২৯) সন্তানকে বড় করা/ পিতার সংসার চালানো , ৩০) সন্তানের সজ্জা করা/ পিতার খরচ , ৩১) দুজনের চোখের মণি হয়ে থাকা , ৩২) সন্তানের জন্য দুশ্চিন্তা , ৩৩) ক্রীড়াচ্ছলে আঘাতপ্রাপ্ত হলে মাতা- পিতার চিন্তা, ৩৪) আঘাতের পর মাতা পিতার দুঃখ, ৩৫) মাতার উৎকণ্ঠা পিতার চিকিৎসক খরচা , ৩৬) উভয়ে মিলে যত্ন করা , ৩৭) ষষ্ঠী আদি মঙ্গল ব্রতে মায়ের উপোবাস ও পিতার পূজার দ্রব্যের আয়োজন করা , ৩৮) অন্নপ্রাশনে উভয়ের দায়িত্ব ও ব্রাহ্মণকে দক্ষিণা দানে সন্তুষ্ট করা , ৩৯) দশবিধ সংস্কারে উভয়ের দায়িত্ব , ৪০) হাতে খড়িতে উভয়ের ভূমিকা, ৪১) পিতার , সরস্বতী পূজার আয়োজন – মাতার সেই পূজায় জোগারযন্ত্র যেমন নৈবদ্য- আল্পনা- পূজা দ্রব্য সাজানো , ৪২) মাতা পিতাই প্রথম বিদ্যা দেন , ৪৩) মাতার বিদ্যা বিষয়ে উৎকণ্ঠা ও পিতার উপযুক্ত গুরু পাঠশালা বর্তমানে স্কুল ও শিক্ষক অন্বেষণ , ৪৪) উপযুক্ত স্কুলে ভর্তি হবার উৎকণ্ঠা , ৪৫) বিদ্যা বিষয়ে পিতার খরচা ও মাতার যত্ন , ৪৬) শিক্ষার মান নিয়ে উভয়ের দুশ্চিন্তা , ৪৭) পরীক্ষা নিয়ে দুশ্চিন্তা , ৪৮) বিদ্যার্থীর খারাপ ফলে প্রতিবেশীদিগের গঞ্জনা খোঁটা সহ্য করা , ৪৯) পুত্রের মঙ্গল নিমিত্ত শাসন, ৫০) পুত্রকে সঠিক দিশা দেখানো।
৫১) অসৎ সঙ্গ থেকে চিন্তা , ৫২) অসৎ সঙ্গ থেকে বেরিয়ে আসার জন্য উভয়ের শাসন, ৫৩) উভয়ের সঠিক দিশা দেখানো, ৫৪) সন্তানের অসুখে দুশ্চিন্তা , ৫৫) মাতার উৎকণ্ঠা ও পিতার চিকিৎসক পথ্যের খরচ , ৫৬) উভয়ের রাত্রি জাগরণ করত নিদ্রা বিসর্জন , ৫৭) উভয়ের বার ব্রত ঈশ্বরের কৃপার জন্য কৃচ্ছতা গ্রহণ , ৫৮) মাতার পথ্য রন্ধন/ পিতার সেগুলির জোগার , ৫৯) সন্তানের বমন- পূরীষ পরিষ্কার / পিতার ক্ষেত্রে চিকিৎসকের বিধান মাতাকে শেখানো , ৬০) সন্তানকে আশ্বাস দেওয়া, ৬১) অসুখ অন্তে সন্তানকে শাসন ও যত্নে রাখা , ৬২) পুনঃ অসুখের আশাঙ্কায় চিন্তিত হওয়া , ৬৩) উচ্চ শিক্ষার জন্য উচ্চতর টোলে / বর্তমানে আরোও বড় শিক্ষালয়ে প্রেরন , ৬৪) তত প্রেরনের জন্য নানা দুশ্চিন্তা , ৬৫) পিতার উৎকণ্ঠা ও মায়ের উৎকণ্ঠা , ৬৬) মাতার উপদেশ ও পিতার সেই সংক্রান্ত খরচা , ৬৪) উচ্চ শিক্ষালয়ে সহপাঠী হতে খতির আশাঙ্কা , ৬৫) কষ্ট মনে চেপে শিক্ষালয়ে প্রেরণ , ৬৬) সন্তানের জন্য বুকে কম্পন , ৬৭) সন্তানের জন্য বিবিধ রান্না/ পিতার ক্ষেত্রে সেগুলো ক্রয় করা , ৬৮) মাতার খাদ্য পরিবেশন/ পিতার ক্ষেত্রে সন্তানকে উত্তম দ্রব্য প্রদানের জন্য মাতাকে অনুরোধ। ৬৯) পুত্রকে বাতাস দেওয়া/ পিতার ক্ষেত্রে পুত্রকে উত্তম দ্রব্য বেশী পরিমাণে গ্রহণের জন্য অনুরোধ , ৭০) দুজনের নিকট গল্প আখ্যান শোনা , ৭১) পিতামাতার সাথে বেড়ানো , ৭২) ভ্রমণকালে পিতামাতার যত্ন পাওয়া , ৭৩) ভ্রমণে পিতার খরচ ও মাতার ক্ষেত্রে পরিপাটি করে সন্তানকে সাজানো, ৭৪) পিতা মাতার ক্রোড়ে চড়ে পরিভ্রমণ , ৭৫) খুব কষ্টে পিতামাতা হাসিমুখে সন্তানকে ক্রোড়ে নিয়ে যাত্রা করা যেমন প্রবল গরমে , ৭৬) পিতার ক্ষেত্রে সন্তানের মাথায় ছত্র ধরা , মাতার ক্ষেত্রে আঁচল । ৭৭) মাতার ক্ষেত্রে সন্তানকে স্নান – শৌচাদি করানো/ পিতার ততবিষয়ক পরামর্শ দেওয়া । ৭৮) দোকান হতে উত্তম আহার্য ক্রয় করা/ মাতার ক্ষেত্রে শিশুর মুখে তুলে দেওয়া । ৭৯) পিতার সাথে মেলা ভ্রমণ / মাতার কেশ বিন্যাস ও বস্ত্র বিন্যাস করা । ৮০) নিজের কথা ভুলে সন্তানের হাত ধরে চলা, ৮১) কঠিন জায়গায় ক্রোড়ে লয়ে চলা , ৮২) কঠিন জায়গা চলার সময় চরণে কাঁদা, গরম ভাব, কণ্টক বিদ্ধ হবার কষ্ট গ্রহণ করা , ৮৩) অভাবেও সন্তানকে আহার দেওয়া , ৮৪) অভাব বুঝতে না দেওয়া , ৮৫) নিজেদের অভাব শর্তেও উত্তম খাদ্য দেওয়া , ৮৬) অভাবে সন্তানের যত্ন নেওয়া, ৮৭) কেশ বিন্যাস ও বস্ত্রের জোগান অভাবেও করা , ৮৮) অভাব বুকে চেপে রাখার বেদনা , ৮৯) নিজেরা ক্ষুধায় থাকে , ৯০) নিজেদের নতুন বস্ত্রের কথা ভুলে যাওয়া , ৯১) নিজেদের চিকিৎসার খরচা বাঁচিয়ে সন্তানের জন্য তুলে রাখা , ৯২) বহু কষ্ট সহ্য করা , ৯৩) অভাবে গৃহতে বুঝতে না দেওয়া, ৯৪) খাদ্য সংগ্রহের জন্য দূরে যাত্রা, ৯৫) খাদ্য বহনের কষ্ট, ৯৬) সন্তানদের সাথে প্রীতি ভাব মনে কষ্ট চাপা দিয়ে , ৯৭) সন্তান দুঃখে থাকলে পিতা মাতার কষ্ট , ৯৮) সন্তানের মনের ব্যাথা বোঝার জন্য আপ্রান চেষ্টা , ৯৯) সন্তানের পক্ষে থাকে , ১০০) ব্যাথা দূরীকরণের উপায় খোঁজা ।
১৫১) আত্মীয় দের নিমন্ত্রণ , ১৫২) আত্মীয় দের সেবা ও খরচা , ১৫৩) আত্মীয়দিগের নানা জিনিস পত্র দেওয়া , ১৫৪) অসমর্থে ক্ষমা চাওয়া , ১৫৫) বিবাহ কালীন খরচ বা দেনাপাওনা তে বন্ধক রাখা , ১৫৬) বিবাহের দিন আগানোর সাথে সাথে নানা দুশ্চিন্তায় রাত্রি জাগরণ , ১৫৭) বিবাহ পূর্বে নানা দুঃস্বপ্নে চোখের ঘুম বিসর্জন , ১৫৮) বিবাহ সংক্রান্ত আলোচনা , ১৫৯) বিবাহে তিন জনের উপস্থিতির জন্য ভিক্ষা প্রার্থনা করা , ১৬০) পুরুত ঠাকুরকে সস্মমানে বরন , ১৬১) রান্নার বামুন ঠাকুরকে বরন , ১৬২) নাপিত ঠাকুরকে আনয়ন , ১৬১) পুরুত ঠাকুরকে বস্ত্র দেওয়া , ১৬২) শালগ্রাম নারায়ণের তুষ্টি কামনা , ১৬৩) পাচক ঠাকুরের তুষ্টি , ১৬৪) পাঁচক ঠাকুরকে পান কলা দেওয়া , ১৬৫) অগ্নিতে ব্রহ্মা- বিষ্ণু- মহেশ্বরকে আনয়নের জন্য প্রার্থনা জানানো, ১৬৬) নানা উত্তম দ্রব্য সন্ধান / রান্নার জোগার , ১৬৭) মহিলা কুটুম্বদের সম্মান মাতার/ পুরুষ কুটুম্ব দের সম্মান পিতার , ১৬৮) উভয়ের যত্নের দিক দেখা , ১৬৯) উভয়ের মন বুঝে চলা , ১৭০) উভয়ের সামনে সময়ে রঙ্গ রসিকতা , ১৭১) উভয়ের সম্মান যত্নে ত্রুটি না দেখা, ১৭২) উভয়ের সামান্য অযত্নে চাকর দিকগে বকাঝকা , ১৭৩) কুটুম্বদের নিকট বুদ্ধি প্রার্থনা , ১৭৪) বুদ্ধি শুনে চলা, ১৭৫) বুদ্ধি নিয়ে সংশয় চিন্তা , ১৭৬) নাপিত ঠাকুরকে দক্ষিণা দান, ১৭৭) নাপিত আনান ও তার সংক্রান্ত চিন্তা , ১৭৮) নাপিত বরন , ১৭৯) বিবাহে প্রীতিভোজ প্রদান , ১৮০) জামাই বরন/ বৌভাতে পুত্রবধূ বরন , ১৮১) শুশুরকূলের সকলকে বস্ত্র মিষ্ট প্রদান , ১৮২) বিবাহ সম্পন্ন , ১৮৩) শ্বশুরকূল সম্বন্ধে চিন্তা , ১৮৪) জামাতা/ পুত্রবধূ সম্বন্ধে চিন্তা , ১৮৫) তত সংক্রান্ত নানা অনর্থক আলোচনায় চিন্তা , ১৮৬) নানা দুঃস্বপ্ন রচনা , ১৮৭) কন্যা বিদায়ে ক্রন্দন/ পুত্রবধূ আনয়নে আনন্দ , ১৮৮) কন্যা বিদায়ে বরন/ পুত্রবধূ আনয়নে বরন , ১৮৯) সমন্ধীর বাড়ীতে সাবধানে যাতায়াত , ১৯০) পুত্রবধূকে নানা সুশিক্ষা প্রদান ও কন্যাকে নানা সুশিক্ষা দিয়ে প্রেরণ , ১৯১) পুত্রবধূকে সংস্কার দেওয়া , ১৯২) ঘরের জিনিস বোঝানো, ১৯৩) সংসারের ভার নিতে শেখা , ১৯৪) পুত্রবধূ ও কন্যার গর্ভের জন্য চিন্তা , ১৯৫) তার জন্য মাদুলী আনয়ন , ১৯৬) নানা ধরনের চিন্তা , ১৯৭) চিন্তায় রাত্র জাগরণ , ১৯৮) ঘন ঘন খোঁজ নেওয়া , ১৯৯) লোকের গাল খেয়ে কন্যার গৃহে গিয়ে খোঁজ , ২০০) হবু নাতি- নাতিনীর মুখ দর্শন ।
২০১) গর্ভস্থ অবস্থায় পুত্রবধূ/ কন্যার দেখাশোনা, ২০২) নানা উপদেশ দেওয়া , ২০৩) নানা ধর্মকথা শুনানো, ২০৪) ভজন সাধন , ২০৫) উপবাস ও পূজা, ২০৬) ষষ্ঠীপূজা , ২০৭) নানা জিনিস পত্র খুজে আনা ও রান্না, ২০৮) কবিরাজ বদ্যি আনয়ন , ২০৯) কবিরাজের কথায় নানা পথ্য সংগ্রহ , ২১০) সেগুলো রান্না ও পরিবেশন , ২১১) সান্ত্বনা বাক্য দেওয়া , ২১২) রাত জেগে উৎকণ্ঠা , ২১৩) বারে বারে খোঁজ নেওয়া, ২১৪) পুত্র/ জামাতার অনুপস্থিতিতে কন্যা / পুত্রবধূর দেখাশোনা , ২১৫) উভয়ের মন ভালো করা বাক্য বলা, ২১৬) ইচ্ছানুসারে গ্রহণ করার খাদ্য আনয়ন ও রন্ধন ২১৭) যত্ন করে রাখা , ২১৮) গুছিয়ে কথা বলা , ২১৯) বুকে আগলে রাখা, ২২০) জীবজন্তু থেকে রক্ষা, ২২১) তাবিজ মাদুলী এনে বেতাল কুস্মাণ্ড থেকে রক্ষা , ২২২) পুরাণের ঘটনা শোনানো, ২২৩) মন প্রফুল্লের চেষ্টা , ২২৪) মনে বিভীষিকা দূরের চেষ্টা , ২২৫) তার জন্য নানা উপমা ব্যাখান করা , ২২৬) কেশে তেল দেওয়া/ পিতার ক্ষেত্রে সেই তেল আনয়ন , ২২৭) সান্ত্বনা দেওয়া , ২২৮) অভয় দেওয়া, ২২৯) রাতে দুশ্চিন্তায় জাগরণ হয়ে থাকা, ২৩০) বারবার খোঁজ নেওয়া , ২৩১) পুত্র/ জামাতাকে অভয় প্রদান, ২৩২) পুত্র/ জামাতাকে চিন্তা থেকে বের করা , ২৩২ ) পুত্র/ জামাতার মনে আস্থা উৎপাদন , ২৩৩) শত ব্যস্ততায় তাদের সেবা, ২৩৪) পুত্র/ জামাতাকে উত্তম দ্রব্য সন্ধান , ২৩৫) আনয়ন ও রন্ধন , ২৩৬) ভয় দূর করা, ২৩৭) পুত্র/ জামাতাকে মন প্রসন্ন রাখতে বলা , ২৩৮) সেই বিষয়ে নানা প্রবোধবাক্য, ২৩৯) মনে সন্তোষ উৎপাদন , ২৪০) প্রফুল্ল ভাব বজায় রাখা , ২৪১) মনের মত জিনিস আনয়ন , ২৪২) উভয়ের শ্বশুরকূলকে প্রসন্নতা দান , ২৪৩) উভয়ের শ্বশুরকূলকে সান্ত্বনা দেওয়া , ২৪৪) উভয়ের শ্বশুরকূলকে প্রীতি প্রদান , ২৪৫ ) উভয়ের শ্বশুরকূলকে ভগবানে আস্থা রাখার পরামর্শ , ২৪৬) উভয়ের শ্বশুরকূলকে ভরসা জাগানো, ২৪৭) উভয়ের শ্বশুরকূলকে বিশ্বাস জ্ঞাপন , ২৪৮) উভয়ের শ্বশুরকূলের থেকে কুশল মঙ্গল সংবাদ নেওয়া , ২৪৯) উভয়ের শ্বশুরকূলকে সুবুদ্ধি দেওয়া, ২৫০) উভয়ের শ্বশুরকূলের মঙ্গলে খুশী হওয়া,
২৫১) আর অমঙ্গলে দুখী হওয়া , ২৫২) উভয়ের সঙ্গে সুসম্পর্ক , ২৫৩) উভয়ের আতিথ্যেয়তা , ২৫৪) উভয়ের যত্ন , ২৫৫) উত্তম দ্রব্য প্রেরণ , ২৫৬) উত্তম বস্তু প্রেরণ , ২৫৭) ততজনিত আনয়ন ও প্রেরণ , ২৫৮) বস্তু প্রেরণের আয়োজন , ২৫৯) তাঁদের সুখ দুঃখের সংবাদ নেওয়া , ২৬০) দুঃখ সময়ে সেখানে যাওয়া , ২৬১) অপমান হজম করা , ২৬২) সম্মান পেলে গৃহে এসে কুটুম্বের সুখ্যাতি করা , ২৬৩) নাতি নাতনীর সংবাদ শ্রবনে আনন্দ হওয়া , ২৬৪) আনন্দে সকলের নিকট প্রচার , ২৬৫) যত্ন আত্তি নেওয়া, ২৬৬) ভজন সাধন করা , ২৬৭) নাতি নাতনীর মুখ দেখে দান ধ্যান করা , ২৬৮) আনন্দ লাভ , ২৬৯) দাইকে উপযুক্ত পারিশ্রামিক দেওয়া , ২৭০) মিষ্টি বিতরণ করা , ২৭১) নাতি নাতনীর সাথে খেলা। ২৭২) নাতি নাতনীর সময় কাটানো, ২৭৩) উভয়কে যত্ন নেওয়া , ২৭৪) উভয়ের মনোরঞ্জন করা , ২৭৫) উভয়কে নানা খেলনা এনে দেওয়া, ২৭৬) নাতি নাতনীর জন্য মঙ্গল চিন্তা , ২৭৭) নাতি নাতনীর জন্য নানা দ্রব্য আনয়ন ও রন্ধন, ২৭৮) নানা দুশ্চিন্তা করা, ২৭৯) নানা চিন্তায় রাত্রি জাগরণ , ২৮০) নানা চিন্তায় খারাপ স্বপ্নে ভয় পাওয়া, ২৮১) অলীক কল্পনায় ভীত হওয়া , ২৮২) নানা ভাবে আনন্দ দেওয়া , ২৮৩) সময় কাটানো, ২৮৬) রূপকথা শোনানো, ২৮৭) যত্ন করা , ২৮৮) উত্তম ভেষজ তেল সংগ্রহ , ২৮৯) কবিরাজকে দক্ষিণা ও তেল মর্দন , ২৯০) উত্তম গো দুধের আয়োজন, ২৯১) উত্তম গোমাতা আনয়ন ও সেবা, ২৯২) উত্তম গো দুগ্ধের জন্য গোমাতার সেবা , ২৯৩) গো মাতার দুধ দোয়ানো , ২৯৪) নাতি নাতনী মুখে ভাত অনুষ্ঠান করা/ হাজির থাকা, ২৯৫) নাতি নাতনীর সুখ্যাতি করা, ২৯৬) নাতি নাতনীকে নিয়ে পাড়া বেড়ানো, ২৯৭) বৌমা/ জামাতার প্রশংসা , ২৯৮) বৌমা/ জামাতার বংশের সুখ্যাতি , ২৯৯) উভয়ের কুল নিয়ে গর্ব , ৩০০) উভয়ের কর্মের প্রশংসা ।
এবার দেখা যাক পিতা মাতার বংশে কিছু ঋন থাকে।
৩০১) পিতা/ মাতার বংশ ভূমিকা , ৩০২) উত্তম সন্তান সন্ততি জন্মের সুকৃতি , ৩০৩) উভয়ের বংশে গুরুদেবের ভূমিকা, ৩০৪) উভয়ের ঈশ্বর ভক্তি, ৩০৫) মাতার ক্ষেত্রে কুমারী কালে পুণ্যিপুকুর ব্রত,শিবরাত্রি, গোসেঁজুতি ব্রত, তুষ তুষালী ব্রত , সন্ধ্যামণির ব্রত করা/ পিতার ক্ষেত্রে ঈশ্বর ভক্তি, ৩০৬) উভয়ের ঈশ্বর ভক্তি। কারণ ঈশ্বর ভক্তি না থাকলে সুসন্তান সন্ততির জনক জননী হওয়া সম্ভব না , ৩০৭) উভয়ে গুরু কুলের ঋন, ৩০৮) পরম গুরুর ঋন, ৩০৯) পরমেষ্ঠী গুরুর ঋন , ৩১০) পরাপর গুরুর ঋন , ৩১১) গুরু পরম্পরার ঋন , ৩১২) গুরু সম্প্রদায়ের ঋন , ৩১৩) গুরুকূলের ঋন, ৩১৪) উত্তম শাস্ত্র শ্রবণে উত্তম হওয়ার ঋন, ৩১৫) উভয়ের কুলদেবতা/ কুলদেবীর ঋন , ৩১৬) উভয়ের গ্রাম দেবতা/ দেবীর ঋন , ৩১৭) উভয়ের বাস্তুপুরুষের ঋন , ৩১৮) উভয়ের ইষ্ট দেব/ দেবীর ঋন , ৩১৯) উভয়ের তীর্থ যাত্রার ঋন , ৩২০) উভয়ের সাধু সেবার ঋন, ৩২১) উভয়ের সাধুকে দানের ঋন , ৩২২) উভয়ের ভিক্ষুক ঋন , ৩২৩) উভয়ের পিতৃপুরুষের ঋন, ৩২৪) উভয়ের বাড়ীর অন্ন শস্য- যা গ্রহণে তারা নিজেদের সন্তানের জন্মের উপযুক্ত করেছেন তার ঋন , ৩২৫) উভয়ের দেহে অবস্থিত শক্তির ঋন, ৩২৬) উভয়ের বৃদ্ধির ঋন, ৩২৭) উভয়ের বিবাহ ঋন , ৩২৮) উভয়ের বিবাহের সম্বন্ধ ঘটকের ঋন, ৩২৯) উভয়ের বিবাহে ব্রাহ্মণের ঋন, ৩৩০) উভয়ের পোষ্য জীবজন্তু যেমন কুকুর বিড়াল গোমাতার ঋন, ৩৩১) পোষ্যদের আহার দেওয়ার ঋন, ৩৩৩) পোষ্যদের জল দেওয়ার ঋন , ৩৩৪) অভুক্তকে আহার দেওয়ার ঋন , ৩৩৫) তৃষ্ণার্ত কে জল দেওয়ার ঋন , ৩৩৬) পুকুর ঘাটে স্নানে বরুণ দেবতার ঋন, ৩৩৭) গঙ্গা স্নানে পুণ্যফল নেওয়ার ঋন , ৩৩৮) অগ্নির ঋন , ৩৩৯) শ্বাস গ্রহণে পবন দেবতার ঋন, ৩৪০) ভাগ্যচক্রে উভয়ের নবগ্রহের ঋন , ৩৪১) শাস্ত্র শ্রবনে নিজেদের উন্নতির ঋন, ৩৪২) তীর্থে দেবদর্শনে সুসন্তান পাওয়ার ঋন , ৩৪৩) বিভিন্ন পূজার ঋন , ৩৪৪) সন্তান ধারণের জন্য দেহ গঠনের ঋন, ৩৪৪) বিবাহ করা , ৩৪৫) দাদুদিদা বা ঠাকুরদা/ ঠাকুমার ঋন, ৩৪৬) তাহাদের যাবতীয় কর্মের ঋন , ৩৪৭) পূর্বপুরুষদের কৃৎ কর্মের ঋন, ৩৪৮) সূর্য দেবতার ঋন, ৩৪৯) মা ষষ্ঠীর ঋন , ৩৫০) মা অন্নপূর্ণার ঋন, ৩৫১) পিতার মধ্যে অবস্থিত জগতপিতা মহাদেবের ঋন, ৩৫২) মাতার মধ্যে অবস্থিত জগতজননী মা পার্বতীর ঋন , ৩৫৩) উভয়ের বাৎসল্যের ঋন , ৩৫৪) নতুন সংসারের ঋন, ৩৫৪) সোনাবলী দেবীর ঋন, ৩৫৫) সন্তান জন্মের ক্ষমতার ঋন, ৩৫৬) সন্তানকে হাটা চলা শেখানো, ৩৫৭) তুলসী দেবীর ঋন, ৩৫৮) দুই পক্ষের ঋন শুক্ল ও কৃষ্ণ পক্ষ , ৩৫৯) পুত্র হলে গোপালের ঋন/ কন্যা জন্মে মা লক্ষ্মীর ঋন , ৩৬০) পিতামাতার মধ্যে অবস্থিত খাদ্যরূপী ব্রহ্মের ঋন, ৩৬১) শ্মশান ঋন , ৩৬২) পঞ্চভূতের ঋন, ৩৬৩) শ্মশান ভৈরবের ঋন, ৩৬৪) শ্মশান অবস্থিত দেবীর ঋন , ৩৬৫) মুক্তির জন্য শাস্ত্র বিহিত কর্মের ঋন।
এই গেলো ৩৬৫ ঋন। তবে মাতার সূচাগ্র স্তন্যুদুগ্ধের ও পিতার সূচাগ্র ঘর্মের ঋন মোচন করা সাক্ষাৎ ব্রহ্মা- বিষ্ণু- মহেশ্বরেরও অসাধ্য। এবার বুঝলেন কত প্রকার ঋন আছে আমাদের সবার।
তথ্যসূত্র:-
বিধিবিধান ও সংস্কার শ্রীব্রজেশ্বর চক্রবর্তী
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন