প্রকৃত জ্ঞান অর্জনের কিছু পন্থা আছে।
কেউ যখন বিশুদ্ধ উপায় অবলম্বন করে তখন তাঁর কোন রোগ হয় না এবং সে কখনও অসুস্থ হয় না।
একজন মানুষের অন্তর্নিহিত জ্ঞান বিকশিত করার জন্য যে পদ্ধতি অবলম্বন করা হয় তাঁকে বলা হয়
তপস্যা।
একজন মানুষ তপশ্চর্যা অথবা কৌমার্য ( ব্রহ্মচারী) অবলম্বনের মাধ্যমে, যোগাসন অবলম্বনের মাধ্যমে, ইন্দ্রিয়কে দমন করার মাধ্যমে, নিজের ধনদৌলত দান করার মাধ্যমে, সত্যবাদী থাকার মাধ্যমে, পরিস্কার-পরিছন্ন থাকার মাধ্যমে কৃষ্ণভাবনামৃত অর্জন করতে পারে।
কিন্তু কেউ যদি যথার্থ গুরুর অধীনে কৃষ্ণভাবনামৃত অর্জন করতে চায় তাহলে তাঁর এই সব যোগাভ্যাস না করা সত্ত্বেও সে কৃষ্ণচেতনা অর্জন করতে পারবে।
কিন্তু যথার্থ গুরুর অধীনে কৃষ্ণ চেতনা অর্জন করতে গেলে কতগুলো নিয়ম কঠোরভাবে পালন করতে হবে, যেমন- অবৈধ যৌনাচার, মাংস ভক্ষণ, জুয়া খেলা, নেশাজাতীয় দ্রব্য পান করা ইত্যাদি থেকে বিরত থাকা এবং যথার্থ বা প্রকৃত গুরুর অধীনে কৃষ্ণ চেতনা অর্জন করা।
এই সহজ পন্থাটি শ্রীরূপ গোস্বামী কর্তৃক সুপারিশ করা হয়েছে।
আমাদের সকলের কথা বলার স্বাধীনতা আছে, আমরা যখনই সুযোগ পাই তখনই কথা বলতে চাই।
কিন্তু বেশির ভাগ সময় আমরা কৃষ্ণ সম্পর্কিত কথা না বলে যতসব আজগুবি বিষয় নিয়ে কথা বলি।
এটাকে ব্যাঙের ডাকের সাথে তুলনা করা যেতে পারে।
ব্যাঙ সব সময় কর্কশ স্বরে ডাকে এবং সাপকে আহবান করে তাঁকে খাওয়ার জন্য।
যদিও সে বুঝতে পারে যে সে ডাকলে সাপ সেই ডাক
শূনে তাঁকে খেতে আসবে তবুও সে ডাকে।
তেমনি জড়জাগতিক বিষয়াসক্ত মানুষ এবং মায়াবাদী দার্শনিকেরা সব সময় এই ব্যাঙের মত ডেকে চলেছে।
এবং এই ভাবে তারা তাদের মৃত্যু ডেকে আনছে।
নিজের বক্তব্য নিয়ন্ত্রণ করা মানে মৌনতা নয়
যেটা মায়াবাদীদের ভাষ্য।
মৌনতা মাঝে মাঝে উপকার করে কিন্তু বেশির ভাগ সময় ব্যর্থ প্রতীয়মান হয়।
শ্রীরূপ গোস্বামী বক্তব্য নিয়ন্ত্রণ করতে বুঝিয়েছেন
জড়জাগতিক আলোচনা কম করে বেশির ভাগ সময়
কৃষ্ণনাম জপ করতে হবে।
মনের অস্থিরতা তখনই দূরীভূত হবে যখন মন কৃষ্ণভাবনায় নিয়োজিত হবে।
শ্রী চৈতন্যচরিতামৃতে ( মধ্যলীলা ২২।৩১)
বলা হয়েছে...... "কৃষ্ণ হল সূর্যের মত, আর
মায়া হল অন্ধকার।
যেখানে সূর্য থাকবে সেখানে অন্ধকারের কোন অস্তিত্ব
থাকতে পারে না।"
তেমনি মনে যদি কৃষ্ণ চেতনা জাগ্রত হয় তাহলে মন আর মায়ার বাঁধনে বাঁধা পড়বে না।
জড়জাগতিক বন্ধন থেকে মুক্ত হওয়ার সমস্ত যোগীক
প্রচেষ্টা সাধারণত খুব বেশী ফলপ্রসূ হয় না।
মনে একটি শূন্যস্থান তৈরি হলে সেই শূন্যস্থান বেশীক্ষণ স্থায়ী হয়না।
মনে যদি কৃষ্ণচেতনা জাগ্রত হয় তাহলে মন আপনা থেকেই নিয়ন্ত্রিত হয়।
Courtesy by: প্রশ্ন করুন, উত্তর পাবেন। সনাতন ধর্মের হাজারও প্রশ্ন এবং উত্তর
কেউ যখন বিশুদ্ধ উপায় অবলম্বন করে তখন তাঁর কোন রোগ হয় না এবং সে কখনও অসুস্থ হয় না।
একজন মানুষের অন্তর্নিহিত জ্ঞান বিকশিত করার জন্য যে পদ্ধতি অবলম্বন করা হয় তাঁকে বলা হয়
তপস্যা।
একজন মানুষ তপশ্চর্যা অথবা কৌমার্য ( ব্রহ্মচারী) অবলম্বনের মাধ্যমে, যোগাসন অবলম্বনের মাধ্যমে, ইন্দ্রিয়কে দমন করার মাধ্যমে, নিজের ধনদৌলত দান করার মাধ্যমে, সত্যবাদী থাকার মাধ্যমে, পরিস্কার-পরিছন্ন থাকার মাধ্যমে কৃষ্ণভাবনামৃত অর্জন করতে পারে।
কিন্তু কেউ যদি যথার্থ গুরুর অধীনে কৃষ্ণভাবনামৃত অর্জন করতে চায় তাহলে তাঁর এই সব যোগাভ্যাস না করা সত্ত্বেও সে কৃষ্ণচেতনা অর্জন করতে পারবে।
কিন্তু যথার্থ গুরুর অধীনে কৃষ্ণ চেতনা অর্জন করতে গেলে কতগুলো নিয়ম কঠোরভাবে পালন করতে হবে, যেমন- অবৈধ যৌনাচার, মাংস ভক্ষণ, জুয়া খেলা, নেশাজাতীয় দ্রব্য পান করা ইত্যাদি থেকে বিরত থাকা এবং যথার্থ বা প্রকৃত গুরুর অধীনে কৃষ্ণ চেতনা অর্জন করা।
এই সহজ পন্থাটি শ্রীরূপ গোস্বামী কর্তৃক সুপারিশ করা হয়েছে।
আমাদের সকলের কথা বলার স্বাধীনতা আছে, আমরা যখনই সুযোগ পাই তখনই কথা বলতে চাই।
কিন্তু বেশির ভাগ সময় আমরা কৃষ্ণ সম্পর্কিত কথা না বলে যতসব আজগুবি বিষয় নিয়ে কথা বলি।
এটাকে ব্যাঙের ডাকের সাথে তুলনা করা যেতে পারে।
ব্যাঙ সব সময় কর্কশ স্বরে ডাকে এবং সাপকে আহবান করে তাঁকে খাওয়ার জন্য।
যদিও সে বুঝতে পারে যে সে ডাকলে সাপ সেই ডাক
শূনে তাঁকে খেতে আসবে তবুও সে ডাকে।
তেমনি জড়জাগতিক বিষয়াসক্ত মানুষ এবং মায়াবাদী দার্শনিকেরা সব সময় এই ব্যাঙের মত ডেকে চলেছে।
এবং এই ভাবে তারা তাদের মৃত্যু ডেকে আনছে।
নিজের বক্তব্য নিয়ন্ত্রণ করা মানে মৌনতা নয়
যেটা মায়াবাদীদের ভাষ্য।
মৌনতা মাঝে মাঝে উপকার করে কিন্তু বেশির ভাগ সময় ব্যর্থ প্রতীয়মান হয়।
শ্রীরূপ গোস্বামী বক্তব্য নিয়ন্ত্রণ করতে বুঝিয়েছেন
জড়জাগতিক আলোচনা কম করে বেশির ভাগ সময়
কৃষ্ণনাম জপ করতে হবে।
মনের অস্থিরতা তখনই দূরীভূত হবে যখন মন কৃষ্ণভাবনায় নিয়োজিত হবে।
শ্রী চৈতন্যচরিতামৃতে ( মধ্যলীলা ২২।৩১)
বলা হয়েছে...... "কৃষ্ণ হল সূর্যের মত, আর
মায়া হল অন্ধকার।
যেখানে সূর্য থাকবে সেখানে অন্ধকারের কোন অস্তিত্ব
থাকতে পারে না।"
তেমনি মনে যদি কৃষ্ণ চেতনা জাগ্রত হয় তাহলে মন আর মায়ার বাঁধনে বাঁধা পড়বে না।
জড়জাগতিক বন্ধন থেকে মুক্ত হওয়ার সমস্ত যোগীক
প্রচেষ্টা সাধারণত খুব বেশী ফলপ্রসূ হয় না।
মনে একটি শূন্যস্থান তৈরি হলে সেই শূন্যস্থান বেশীক্ষণ স্থায়ী হয়না।
মনে যদি কৃষ্ণচেতনা জাগ্রত হয় তাহলে মন আপনা থেকেই নিয়ন্ত্রিত হয়।
Courtesy by: প্রশ্ন করুন, উত্তর পাবেন। সনাতন ধর্মের হাজারও প্রশ্ন এবং উত্তর
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন