আমি আমার জন্য করছি না। আমি নিঃস্বার্থপরভাবে জাতির সেবা করছি কিন্তু প্রভুপাদ বলছেন সেটা নিষ্কামকর্ম নয় সেটা নিঃস্বার্থপর নয়। ২ প্রকারের স্বার্থপরতা আছে। ১টা সংকুচিত স্বার্থপরতা আরেকটা প্রসারিত স্বার্থপরতা। আমি মনে মনে খুব খুশি আমি দেশের সেবা করছি নিঃস্বার্থভাবে কিন্তু তা নিঃস্বার্থপর নয়।এখানেও স্বার্থপরতা আছে। সংকুচিত স্বার্থপরতা।
বাড়িতে যদি কোন আত্মীয় স্বজন রসগোল্লা রাজভোগ নিয়ে এসেছেন তখন আমার ভাই আছে, বোন আছে, সবাই আছে কিন্তু আমি মনে করি আমি যেন বেশি খাই। ভাই বোনের সঙ্গে ঝগড়া করি আমরা। আমি বেশি খাব, এ সংকুচিত স্বার্থপরতা। আমি পাব আরকেউ পাবে না।
তারপর কি হবে? গ্রামে অনেক বাড়ি আগুনে পুড়ে গেছে তো কেউসাহায্য নিয়ে আসবে গ্রামে তখন চিন্তা হবে আমার বাড়ি যেন বেশি পায়। অন্য বাড়ি যেনকম পায়। একটু প্রসারিত হল আমার থেকে আমার বাড়ি।
বড় বন্যা এসেছে বহু গ্রাম ভেসে গিয়েছে। তখন আমার স্বার্থপরতা বাড়িতে সীমিত নয় আমার গ্রাম যেন বেশি পাবে। আমার গ্রামে রাস্তাঘাট হয়ে যাবে ইলেক্ট্রিসিটি হয়ে যাবে অন্য গ্রামগুলো ধুয়ে যাক। তারপর আরেকটু প্রসারিত হবে আমার দেশ যেন বেশি পাবে আমার জাতি যেন বেশি পাবে। এভাবে সঙ্কুচিত স্বার্থপরতা প্রসারিত হবে।
তাই আমরা মনে করছি নিষ্কামভাবে করছি। কিন্তু এটা নিষ্কামকর্ম নয়। নিঃস্বার্থপর নয়। আমি দেশের জন্যকরছি আমার দেশ, আমার জাতি।
খুব বেশি হলে আমরা কি চিন্তা করছি মানবিকতা। আমরা মানব সমাজের জন্য খাটব। আমি মানব সমাজের সেবার জন্য জীবনকে উৎসর্গ করেছি। সেটাও নিঃস্বার্থপর নয়। আমি মানব সমাজের জন্য করছি কিন্তু পশুদের মুরে মুরে খাচ্ছি। আমি জীবের দয়ার কথা বলছি। ভগবান যে কোথায় আছি আমি তা পাত্তা দিতে চাই না। কিন্তু মনে মনে ভাবছি জীবের সেবা করলে ভগবানের সেবা হয়। কিন্তু এদিকে মুরগি মুরে মুরে খাচ্ছিমাছ কেটে খাচ্ছি। ওঁরা জীব না জড়? মুরগি, ছাগল, পাঁঠা। যখন আমরা বঁড়শি দিয়ে মাছ ধরি তারপর কি করি আছার মেরে পিটাই তখন কি করে চটপট করে না? তারা কি আনন্দে লাফায়,নাচে- কষ্ট হয় না নেই? যদি আপনার ছেলেকে নিয়ে কেউ মাটিতে আছার মারে আপনি কি আনন্দে লাফাবেন? কষ্ট পাবেন না? কিন্তু আমরা বলছি জীবে দয়া আর এদিকে আর কি কি আছে এইগুলা গ্রহণ করছি। মনে করব না এইগুলো নিঃস্বার্থ কিছুই নয়। এইগুলোও স্বার্থপর। এসবে স্বার্থপরতা রয়েছে।
সে জন্য যেকোনো কর্মের ফল যদি ভগবানকে নিবেদন করা না হয় সেটা নিষ্কাম কর্ম নয় নিঃস্বার্থপর নয়।
Courtesy by: প্রশ্ন করুন, উত্তর পাবেন। সনাতন ধর্মের হাজারও প্রশ্ন এবং উত্তর
বাড়িতে যদি কোন আত্মীয় স্বজন রসগোল্লা রাজভোগ নিয়ে এসেছেন তখন আমার ভাই আছে, বোন আছে, সবাই আছে কিন্তু আমি মনে করি আমি যেন বেশি খাই। ভাই বোনের সঙ্গে ঝগড়া করি আমরা। আমি বেশি খাব, এ সংকুচিত স্বার্থপরতা। আমি পাব আরকেউ পাবে না।
তারপর কি হবে? গ্রামে অনেক বাড়ি আগুনে পুড়ে গেছে তো কেউসাহায্য নিয়ে আসবে গ্রামে তখন চিন্তা হবে আমার বাড়ি যেন বেশি পায়। অন্য বাড়ি যেনকম পায়। একটু প্রসারিত হল আমার থেকে আমার বাড়ি।
বড় বন্যা এসেছে বহু গ্রাম ভেসে গিয়েছে। তখন আমার স্বার্থপরতা বাড়িতে সীমিত নয় আমার গ্রাম যেন বেশি পাবে। আমার গ্রামে রাস্তাঘাট হয়ে যাবে ইলেক্ট্রিসিটি হয়ে যাবে অন্য গ্রামগুলো ধুয়ে যাক। তারপর আরেকটু প্রসারিত হবে আমার দেশ যেন বেশি পাবে আমার জাতি যেন বেশি পাবে। এভাবে সঙ্কুচিত স্বার্থপরতা প্রসারিত হবে।
তাই আমরা মনে করছি নিষ্কামভাবে করছি। কিন্তু এটা নিষ্কামকর্ম নয়। নিঃস্বার্থপর নয়। আমি দেশের জন্যকরছি আমার দেশ, আমার জাতি।
খুব বেশি হলে আমরা কি চিন্তা করছি মানবিকতা। আমরা মানব সমাজের জন্য খাটব। আমি মানব সমাজের সেবার জন্য জীবনকে উৎসর্গ করেছি। সেটাও নিঃস্বার্থপর নয়। আমি মানব সমাজের জন্য করছি কিন্তু পশুদের মুরে মুরে খাচ্ছি। আমি জীবের দয়ার কথা বলছি। ভগবান যে কোথায় আছি আমি তা পাত্তা দিতে চাই না। কিন্তু মনে মনে ভাবছি জীবের সেবা করলে ভগবানের সেবা হয়। কিন্তু এদিকে মুরগি মুরে মুরে খাচ্ছিমাছ কেটে খাচ্ছি। ওঁরা জীব না জড়? মুরগি, ছাগল, পাঁঠা। যখন আমরা বঁড়শি দিয়ে মাছ ধরি তারপর কি করি আছার মেরে পিটাই তখন কি করে চটপট করে না? তারা কি আনন্দে লাফায়,নাচে- কষ্ট হয় না নেই? যদি আপনার ছেলেকে নিয়ে কেউ মাটিতে আছার মারে আপনি কি আনন্দে লাফাবেন? কষ্ট পাবেন না? কিন্তু আমরা বলছি জীবে দয়া আর এদিকে আর কি কি আছে এইগুলা গ্রহণ করছি। মনে করব না এইগুলো নিঃস্বার্থ কিছুই নয়। এইগুলোও স্বার্থপর। এসবে স্বার্থপরতা রয়েছে।
সে জন্য যেকোনো কর্মের ফল যদি ভগবানকে নিবেদন করা না হয় সেটা নিষ্কাম কর্ম নয় নিঃস্বার্থপর নয়।
Courtesy by: প্রশ্ন করুন, উত্তর পাবেন। সনাতন ধর্মের হাজারও প্রশ্ন এবং উত্তর
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন