
শ্রীদ্বৈতচন্দ্র প্রভাতকালে জননী নাভাদেবীকে বলেন- মা! পর্বতপরি সমস্ত তীর্থ এসেছে, তুমি সেখানে গিয়ে স্নান করো। শ্রীমতি নাভাদেবী কৌতুহলবশত পুত্রসহ সেখানে যান। শ্রীঅদ্বৈতচন্দ্র জননী নাভাদেবীর পাশে দাঁড়িয়ে শঙ্গ-ঘন্টা বাজিয়ে ঊচ্চেঃস্বরে হরিধ্বনি করতে থাকেন। হরিধ্বনি করামাত্রই অঝোরে জলের প্রবাহ পতিত হতে থাকে। শ্রীঅদ্বৈতচন্দ্র তখন বলেন, - দেখ মা তীর্থের জল পড়ছে। এখানে এখন সকল তীর্থ অবস্থান করছে। ঐদেখ মা, মেঘের মতো যমুনার জল তোমাকে ভিজিয়ে ফেলেছে, গঙ্গার পুণ্যসলিলবিন্দু তোমাকে সিক্ত করছে। এভাবে অন্যাণ্য সকল তীর্থরে পূণ্য সলিলরাশি পতিত হতে থাকে। অতি আশ্চর্য এ দৃশ্য দর্শন করে এবং পুত্রের বাক্য শ্রবণে শ্রীমতি নাভাদেবীর বিশ্বাস হয় যে, সত্য সত্যই এখানে তীর্থ সকল এসেছেন। তিনি অত্যন্ত ভক্তিভরে তীর্থসমূহকে প্রণাম করে সেই জলে স্নান করলেন। সেই থেকে এ স্থান ‘পণাতীর্থ’ নামে খ্যাত হয়। শ্রীঅদ্বৈত প্রভু কর্তৃক স্বীয় জননী নাভাদেবীর অভিলাষ পূর্ণ করার জন্য এবং তীর্থগনের মধুকৃষ্ণা ত্রয়োদশীতে (মহাবারুণি) এখানে আবির্ভূত হওয়ার জন্য ‘পণ’ করার কারণেই পণাতীর্থের প্রসিদ্ধি। মধুকৃষ্ণা ত্রয়োদর্শীতে এখানে মেলা বসে। ঐ পূণ্য স্নানের দিনে অদ্যাপিও লক্ষ-লক্ষ তীর্থযাত্রীর সমাগম হয়।
Courtesy by: প্রশ্ন করুন, উত্তর পাবেন। সনাতন ধর্মের হাজারও প্রশ্ন এবং উত্তর
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন