চক্রবাড় নৃসিংহদেব |
পুরাকালে হিরণ্যকশিপু নামে এক অত্যাচারী দৈত্য ভগবান বিষ্ণু বিদ্বেষী ছিলেন।
অহোবলমের ম্যাপ |
নিম্ন অহোবলম |
উচ্চ অহোবলয়ামের যাওয়ার রাস্তা |
তিনি নিজেকে ভগবানের আসনে অধিষ্ঠিত করার মানসে মন্দর পর্বতের উপত্যকায় পায়ের আঙ্গুলের উপর ভর করে দাঁড়িয়ে উর্ধ্ববাহু হয়ে আকাশে দৃষ্টি নিবদ্ধ করে অনাহারে অত্যন্ত কঠোর তপস্যা শুরু করলেন। সুদীর্ঘ ছত্রিশ বছর তপস্যার পর সৃষ্টিকর্তা ব্রহ্মা তাকে অবশেষে দর্শন দেন। ব্রহ্মা তাকে অমরত্ব ছাড়া যা খুশি বর চাইতে বললেন। তখন চতুর হিরণ্যকশিপু তৎক্ষণাৎ গভীরভাবে চিন্তা করে অমরত্ব কথাটি বাদ দিয়ে ছলে বলে অমরত্বের মতই বর চাইলেন। তাই সে বলতে লাগল -
- আপনার সৃষ্টির কোনও প্রাণী থেকে আমার মৃত্যু হবে না।
- গৃহের ভেতরে কিংবা বাইরে আমার মৃত্যু হবে না।
- দিন কিংবা রাতে আমার মৃত্যু হবে না।
- জল ভুমি বা আকাশে ও না।
- পশু বা মানুষের হাতে ও না।
- কোন অস্ত্রে যেন আমার মৃত্যু না হয়।
- আমি যেন ব্যাধিগ্রস্ত বা জরাগ্রস্ত না হই।এভাবে শক্তিমান হয়ে তিনি আরো অত্যাচারী হয়ে উঠে। নিজেকে ভগবান বলে প্রচার করতে লাগলেন। তার পাঁচ বছরের প্রিয় পু্ত্র প্রহ্লাদকে পর্যন্ত তিনিই যে ভগবান তার শিক্ষা দিতে লাগলেন। কিন্তুু শিশু প্রহ্লাদ পক্ষান্তরে বিষ্ণুকেই ভগবান বলে প্রতিপন্ন করতে চাইলে হিরণ্যকশিপু অত্যন্ত ক্রুদ্ব হয়ে তার উপর অত্যাচার করতে তাকে। সত্বেও প্রহ্লাদকে ভগবান রক্ষা করলেন। এক সময় বিরক্ত হয়ে হিরণ্যকশিপু যখন জিজ্ঞেস করলেন, তোর বিষ্ণু কি এই স্তম্ভের মধ্যে ও আছে। ভক্ত প্রহ্লাদ তখন উওর দিলেন, শ্রীহরি সর্বএই বিদ্যমান, তিনি এই স্তম্ভের মধ্যে ও বিদ্যমান। হিরণ্যকশিপু তখন তার অস্ত্র দিয়ে স্তম্ভের উপর আঘাত করলে স্তম্ভ থেকে বেরিয়ে আসে ভগবান শ্রীনৃসিংহদেব। তখন অন্তরীক্ষ থেকে ব্রহ্মার বাণী সে শুনতে পেল -হে হিরণ্যকশিপু,
- নৃসিংহদেব আমার সৃষ্টির কেউ না, বরং আমিই উনার সৃষ্টি।
- গৃহের ভিতর বা বাইরে নয়, ভগবান তোমাকে চৌকাঠে মারতে যাচ্ছে।
- দিন বা রাত্রি নয়, চেয়ে দেখ এখন গোধুলী লগ্ন।
- জলে, ভূমিতে বা আকাশে নয় তুমি নৃসিংহদেবের উরুদেশে মরতে যাচ্ছ।
- পশু বা মানব নয় দেখ, নৃসিংহদেব পশু ও নয় মানব ও নয়।
- কোন অস্ত্রে নয়, বরং ভগবানের নখ তোমার শরীর বিদীর্ণ করবে এক্ষুনি।
-তুমি জরা বা ব্যাধিগ্রস্ত নও তাই তুমি এখন মৃত্যু কবলগ্রস্ত।
এভাবে ভগবান তার ভক্তকে বিপদ থেকে রক্ষা করেন তাই তাকে বলা হয় বিপদভঞ্জক ভগবান নৃসিংহদেব। কেউ যদি ভক্তিভরে ভগবান নৃসিংহদেবের কাছে চরম বিপদে ও প্রার্থনা করে তবে তােক তিনি রক্ষা করেন। তার আবির্ভাবের উদ্দেশ্যই হল তার ভক্তদের সমস্ত বিপদ বা বাধাবিঘ্ন থেকে রক্ষা করা।
- আপনার সৃষ্টির কোনও প্রাণী থেকে আমার মৃত্যু হবে না।
- গৃহের ভেতরে কিংবা বাইরে আমার মৃত্যু হবে না।
- দিন কিংবা রাতে আমার মৃত্যু হবে না।
- জল ভুমি বা আকাশে ও না।
- পশু বা মানুষের হাতে ও না।
- কোন অস্ত্রে যেন আমার মৃত্যু না হয়।
- আমি যেন ব্যাধিগ্রস্ত বা জরাগ্রস্ত না হই।এভাবে শক্তিমান হয়ে তিনি আরো অত্যাচারী হয়ে উঠে। নিজেকে ভগবান বলে প্রচার করতে লাগলেন। তার পাঁচ বছরের প্রিয় পু্ত্র প্রহ্লাদকে পর্যন্ত তিনিই যে ভগবান তার শিক্ষা দিতে লাগলেন। কিন্তুু শিশু প্রহ্লাদ পক্ষান্তরে বিষ্ণুকেই ভগবান বলে প্রতিপন্ন করতে চাইলে হিরণ্যকশিপু অত্যন্ত ক্রুদ্ব হয়ে তার উপর অত্যাচার করতে তাকে। সত্বেও প্রহ্লাদকে ভগবান রক্ষা করলেন। এক সময় বিরক্ত হয়ে হিরণ্যকশিপু যখন জিজ্ঞেস করলেন, তোর বিষ্ণু কি এই স্তম্ভের মধ্যে ও আছে। ভক্ত প্রহ্লাদ তখন উওর দিলেন, শ্রীহরি সর্বএই বিদ্যমান, তিনি এই স্তম্ভের মধ্যে ও বিদ্যমান। হিরণ্যকশিপু তখন তার অস্ত্র দিয়ে স্তম্ভের উপর আঘাত করলে স্তম্ভ থেকে বেরিয়ে আসে ভগবান শ্রীনৃসিংহদেব। তখন অন্তরীক্ষ থেকে ব্রহ্মার বাণী সে শুনতে পেল -হে হিরণ্যকশিপু,
- নৃসিংহদেব আমার সৃষ্টির কেউ না, বরং আমিই উনার সৃষ্টি।
- গৃহের ভিতর বা বাইরে নয়, ভগবান তোমাকে চৌকাঠে মারতে যাচ্ছে।
- দিন বা রাত্রি নয়, চেয়ে দেখ এখন গোধুলী লগ্ন।
- জলে, ভূমিতে বা আকাশে নয় তুমি নৃসিংহদেবের উরুদেশে মরতে যাচ্ছ।
- পশু বা মানব নয় দেখ, নৃসিংহদেব পশু ও নয় মানব ও নয়।
- কোন অস্ত্রে নয়, বরং ভগবানের নখ তোমার শরীর বিদীর্ণ করবে এক্ষুনি।
-তুমি জরা বা ব্যাধিগ্রস্ত নও তাই তুমি এখন মৃত্যু কবলগ্রস্ত।
এভাবে ভগবান তার ভক্তকে বিপদ থেকে রক্ষা করেন তাই তাকে বলা হয় বিপদভঞ্জক ভগবান নৃসিংহদেব। কেউ যদি ভক্তিভরে ভগবান নৃসিংহদেবের কাছে চরম বিপদে ও প্রার্থনা করে তবে তােক তিনি রক্ষা করেন। তার আবির্ভাবের উদ্দেশ্যই হল তার ভক্তদের সমস্ত বিপদ বা বাধাবিঘ্ন থেকে রক্ষা করা।
কথিত আছে হিরণ্যকশিপুর রাজপ্রসাদ এগুলো সব পাথরের পাহাড় হয়ে গেছে |
প্রহ্লাদ মহারাজের গুরুকূল |
নীচ থেকে উগ্র নৃসিংহ স্তম্ব দেখা যাচ্ছে যেখান থেকে নৃসিংহদেব বের হয়েছে |
হিরণকশিপুর আস্তানা |
এই সেই উগ্র স্তম্ভ যেখান থেকে নৃসিংহ দেব বের হয়েছেন |
রক্তকুন্ড যেখানে নৃসিংহ দেব হিরণ্যকশিপুকে বধ করে হাত ধুয়েছিল |
জয় বিজয় দ্বারপালের সাথে ছবি তুলা এটা লক্ষ্মী নৃসিংহদেবের মন্দিরের বাইরে |
উগ্র স্তম্ভের পবিত্র জল উপর থেকে নিচে নামছে
|
অহোবলম মন্দির |
লিখেছেনঃ প্রীথিষ ঘোষ
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন